*সোনেলা*
তুমি আমার এক প্রাণের স্পন্দন। আজ তোমার জন্মদিন। কি লিখব বলো তো ! এই আমাকে লিখতে বসালে কতো আদর করে, এতো স্নেহ, মায়া, মমতা, ধৈর্য্য তুমি কি করে পাও বলো তো !
আগে যখন মন খারাপ হত, বা মনে নতুন কোনো ভাবনা এলে কাগজের বুকে যা ইচ্ছে লিখে ফেলতাম। কাগজ তো কথা বলতে পারে না, তাই সে কখনো বলেও না, লেখায় আমার প্রাণ আছে নাকি নাই। কোনো শব্দের মিল ছিল না তাই তাতে। ছিলনা কোনো ভাবনারও মিল। এ ভাব না থেকে ও ভাবনায় হঠাৎই চলে যেতাম। আচ্ছা বল তো কাগজ হাস ত তাই না ? কলম তাই ঘুরতে চাইত না। কিন্তু তুমি বললে, “কলম না, তোমার আঙ্গুলের স্পর্শে আমার বুকে লিখে ফেল, আমিই বলে দিব, এই পরিবারের সবাই বলে দিবে তোমার আঙ্গুলের স্পর্শের শব্দে প্রাণ আছে নাকি।” হলো ও তাই। কতো আদর করে বুঝিয়ে বললে শব্দ সাজানোর নিয়ম কানুন। ভাবনার আদান প্রদান শিখালে। তুমি কি জান, তোমার বুকে প্রথম লেখাগুলো পড়ে এখন হাসি আমি। কতোটা পরিবর্তন করে দিয়েছো এই আমায়। তোমার আয়নায় মুখ দেখে হেসে ফেলি। আমি যখন তোমার বুকে হ য ব র ল লিখি, তোমার তখন মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা হয়। ভেবে কি বসো ? কাকে তুমি শাঁখের ভুঁই দেখালে! না, জানি তুমি তা ভাব না।
এই পৃথিবী আজ বড়ই যান্ত্রিকতায় ভরে গেছে। কেউ বসে মনের দুইটা কথা শুনাবে ও শুনবে সেই সময়টুকু নেই। মন খারাপ হয় না এমন মানুষ নেই। তুমি আমার সেই দিনগুলোতে তোমার মনের দুয়ার খুলে দিলে। নিজের শব্দগুলো ছিল আমার ঠিকানা বিহীন। তুমি তাদের একটা ঠিকানা দিলে। কখনো তোমায় দেখি আমি টিপ পরা কোনো এক সোনালী কিশোরী(তাজ, শুন্য) কখনো তুমি সোনালী পাড়ের শাড়ীর এক পরিনত নারী( নীলা, খসড়া, রুবা আপু, নন্দিনী আপু, মিষ্টি আপু), কখনো বড় ভাই, কখনো ছোট ভাই, কখনো তুমি এমন এক বন্ধু, যার ঘাড়ে মাথা রেখে বলে যাই অনেক কথা। একজন মানুষের অনেক কিছুই বলার থাকে, তা দেশ, সংসার, সমাজ ও নিজেকে নিয়ে যা এক প্লাটফর্মে সবাই পড়তে পারবে। তুমি সেই প্লাটফর্ম।
প্রথম যখন তোমার কাছে শব্দ নিয়ে আসলাম, অন্যদের লেখা দেখে ভাবতাম, ইশ এটা যদি আমি লিখতে পারতাম! ভেবে ভেবে হেসে ফেলতাম। রাজ্যময় আনন্দ নিয়ে তোমার বুকে লিখে ফেলি আমার সব ভালবাসা, দুঃখ আনন্দের কথা। তোমার এই উৎসাহে আজ আমি অনেক বিশী আত্মবিশ্বাসী। তুমি আমাকে করেছো সাহসী। তোমার বাড়িতে আমার শব্দের হাতেখড়ি। দেখতে দেখতে তোমার সাথে কেটে গেল আমার এক বছর দুই মাস। আমার জীবনের আমি ও মরণের আমি, এই সময়টুকুতে যদি কলম ও শব্দ থেমে যায় তবে ভুলে যেও না। আজ আর লিখছি না।
পরিশেষে, তোমাকে সালাম না শ্রদ্ধা জানাব জানিনা তবে তোমার আয়ু কামনা করতে হয় তা জানি। কারণ, তোমার মাঝে নতুন এক আমার জন্ম। ভাল লাগে তোমার সব সদস্যের সব কিছু। তুমি ভাল থেকো।
-ইতি
মৌনতা।
২৮টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
সোনেলার জন্মদিনে ঝগড়া করবোনা, কাট্টি নিবো। কোনো কথা নাই। আমার নাম নাই কেনু? ;(
মৌনতা রিতু
লক্ষি পক্ষি আপুরা কাটটি নিও না। তোমরা কাটট্টি নিলে কৈ যামু ! ;(
অনেক ভালবাসা নিও।
অনিকেত নন্দিনী
কই যাবে জানিনা, নাম খুঁজে না পেলেই কাট্টি। -:-
মৌনতা রিতু
সোনা আপু নাম খুঁজে দেখেছো কি ! দেখ 🙂 কাট্টি নিলে কাইন্দা ফালামু ;( ;(
আবু খায়ের আনিছ
ভুলে যাওয়ার ঠিকানা এটা নয়, বারবার না চাইলেও ফিরে ফিরে আসে। হঠাৎ অনুপস্থিতি যেমন খোজেঁ চলে তার প্রতিটি সদস্যকে।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপু।
মৌনতা রিতু
আনিছ ভাই আপনাকেও অনেক শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
বেশ আবেগময়তা নিয়ে লেখা চিঠি বোধ করি সবাইকেই স্পর্শ করে যাবে।
শেখার আন্তরিক ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই আমরা শিখতে পারি, শিখিও, এটি অবশ্যই আনন্দের,
আপনার লেখাসমৃদ্ধি কামনা করি।
মৌনতা রিতু
শুভকামনা রইল কুবি ভাই।
লীলাবতী
মৌনতা আপু, আপনি তো কিস্তি মাত করে দিলেন 🙂 এত আবেগ দিয়ে সোনেলাকে চিঠি লিখলেন যে আমার মনের কথাই আপনার চিঠিতে প্রকাশ করে দিলেন। সোনেলা একটি আস্থার নাম আপু, এখানে লিখতে পেরে নিজের মাঝে আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অন্য একটি ব্লগে পোষ্ট করে ভয়ে ভয়ে থাকতাম, কখন কে কি উল্টা পাল্টা বলে বসে। সোনেলায় সে ভয় নেই, মনের আনন্দে লেখি এখানে। শুভ জন্মদিন সোনেলা -{@
মৌনতা রিতু
কাঁকন কন্যা, তোমাকেও অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।
ভাল থেকো পাশে থেকো। (3 -{@
মিষ্টি জিন
সবাই লিখছে সোনেলা নিয়ে.. আমি নতুন তো তাই এখন ও ভাবসাব কিঁছু বুঝে উঠতে পারিনি বলে লিখতে পারছি না।
অনেক আবেগি লেখা আপু ।
শুভ জন্মদিন প্রিয় সোনেলা।
মিষ্টি জিন
অনেক অনেক ভালবাসা রীতু সোনা। (3
মৌনতা রিতু
-{@ (3
মৌনতা রিতু
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল আপু। (3 -{@
নাসির সারওয়ার
খালি আফাগো নাম দিলেন! আমরার কি দোষ, কইয়া ফালান।
আমিও বেশ নতুন। সবার পরিচ্ছন্ন সুস্থ আন্তরিকতা বেশ সন্মানজনক।
মৌনতা রিতু
ভাইয়াগো কথাও তো কইছি। কার থুইয়া কার নাম লই ;? তাই এক লগেই কইছি।
শুভকামনা রইল ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
আহ্ বুড়ো বয়সেও কপালে টিপ পরা কিশোরী হয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে!! আমার ভাবীজানের পরম আদরের ননদিনী হবার সৌভাগ্য হয়েছে সেই-ই বা কম কী। এতো আবেগ লেখায় তোমার! শুরুতে দু একটি লেখায় কিছুটা এলোমেলো লাগলেও তুমি কিন্তু প্রথম থেকেই অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর রেখেছ, লেখাটা তোমার ভেতরেই ছিলো, এখন সোনেলার কারনে সেগুলো হয়তো একটু গোছাও এটুকুই পার্থক্য, তুমি যেমন যেমন লেখা দাও, তা দেবার লোভ আমার সবসময়ই কিন্তু পারিনা।
ও বলিনি, শিরোনাম দেখে কিন্তু আমি চমকেছি কারন এই কথাটা আমার। আমি সবসময়ই বলি সোনেলা আমার আরেক জন্ম। কতো রাগ, অভিমান কতকিছুর পরেও সোনেলা ছাড়তে পারিনি, পারবোও না। আর এখন তো সোনেলায় এক মিষ্টি ভাবী আছে। খুব টাচি করে লিখেছ, দেখতে হবেনা কোন বাড়ির বউ? (3
মৌনতা রিতু
তাই তো ! দদেখতে হবে না কোন বাড়ির বৌ ! তয় মাঝে মাঝে ননদিনী নখ দেখায় এইটাও ঝাতি জানে ;( এইজন্য ভাবী তার শিখছেও কিছু। আর গুরু তো একজন আছেই। নীলা আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
আবেগীউদ্দগারন মনের ভাষার প্রতিচ্ছবি, যার কেউ নায় তাঁর বই আছে লেখার জায়গা নায় সোনেলা আছে। আপনার উপল্ধ্বির মত আমি কেও জাগ্রত হতে পারলাম না জানিনা হয়ত আমি ামার মাঝে নিজেকে খুজিনি কোন দিন আপু এই ব্লগে আমার কোন ভাই বন্ধু বা আত্বার আত্বীয় নায় কিন্তু মনের অনেক ব্যাক্তিদ্বয় আছে। কারো সাথে আজ পর্যন্ত স্বাক্ষাত নায় কিন্তু অন্তরে জায়গা রয়ে গেছে অনেকের। ব্লগ কি জানিনা কিন্তু এখানে থাকি পড়া জিন্য। আপনি আরও আরও জ্বলন্ত বারদ লেখার মাধ্যমে দেন সেই কামনায়। শুভজন্মদিন
আমার সোনেলার।
মৌনতা রিতু
অনেক শুভকামনা রইল ভাই। দোয়া করবেন পাশে থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এতো মায়া দিয়ে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানালেন আর জানােনই না কেনো সোনেলার জন্ম না হলে হয়তো এ আমাদের পরিচয় হতো।শুভকামনা -{@আপনার জন্য।
মৌনতা রিতু
আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ভাই। ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই।
ইলিয়াস মাসুদ
প্রান কে জীবন্ত রাখতে সোনেলার বিকল্প কি?
খুব সুন্দর লিখেছেন আপু
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা জানবেন ভাই।
অপার্থিব
বিশাল আবেগীয় চিঠি। ভাল লিখেছেন।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভকামনা জানবেন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ব্লগ এমনই, যেন সংসারী মায়ের মত। শুধুই শেখায়। যাদের আগ্রহ ও আন্তরিকতা আছে তারা ঠিকই আদায় করে নেয়। আমি দেখেছি আন্ডার মেট্রিক পাশ করা ব্লগাররাও ব্লগে লিখতে লিখতে দক্ষ লেখক হয়ে গেছেন। বই লিখেছেন, নিয়মিত পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে, সাহিত্য পাতায় লিখেন, অপরের লেখার সমালোচনা করেন। ব্লগে যদি পরিবেশ থাকে এবং পারস্পপরিক হৃদ্যতা থাকে তাহলে ব্লগ থেকে নিজের জন্য, দেশ ও সমাজের জন্য অনেক কিছুই করা যায়। আগেও বলেছি আমি ব্লগ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, পেয়েছিও আশাতিরিক্ত। দেশ ও সমাজের জন্য কিঞ্চিত কিছু করেছিও, আলহামদুলিল্লাহ।
ভাল থাকুন, শুভ হোক হৃদী ব্লগিং।