
“সোনেলা কাব্য।”
ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন ভালোবাসবো, ফোটা পুষ্পবনের গাঁথায় তোমায় নিয়ে মনের মত লিখবো।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি ওগো প্রিয় সোনেলা,
তোমার দেখা পেয়ে সবার মন জুড়ালো।
মাঝে মধ্যে পেছন ফেরা, ফিরতে ফিরতে এগিয়ে যাওয়া,
জীবন মানে তো সামনের দিকে ছুটে চলা,
মনে হলো নতুন করে স্পর্শ করি জোড়া হাতে,
দুঃসাহসেই এগিয়ে চলি ক্ষতি নেই তো তাতে।
একদিন কোনো এক আনন্দের মাঝেই জন্ম সোনেলার,
সেদিন আমি ছিলাম না রঙিন মুহূর্তের সুষমা দেখার।
সোনালী — রুপালী গল্প জড়ানো সময়,
আবার নতুন করে সবার সাথে আলাপ শুরু হলো,
প্রথম ধাপে পছন্দ,পরে তীব্রতায় কাছে পেতে চাওয়া,
স্বচ্ছলতা ফিরে আসে, ক্রমে ক্রমে পরিপূর্ণ হওয়া।
নিজের স্বপ্নের কাছে এভাবেই জয়ী হয় সোনেলা।
শূন্যতাকে জনস্রোতে ধারণ করে চলে সোনেলা।
তীব্রতা তাড়িত করে কেটে গেছে আট টি বছর।
মনে হয় এই তো কিছু আগে একটি শালিক এসে ঝিলের রঙিন জলে স্নান শেষে রোদ্দুরে মেলেছে ভেজাচুল।
একটি হিজল পাতাও ভেসে যাচ্ছে স্বচ্ছ জলের স্রোতে।
মনের ভিতর থেকে উদ্ভাসিত হলো সোনেলাকে,
এক অদ্ভুত ভালো লাগা, এক অবিশ্বাস্য স্বপ্নভূমি।
নিজের ইচ্ছে ডানার চেতনার বিচরণ এই সোনেলায়।
আবার ফিরে তাকালাম, অজস্র পাখিদের মেলা,
অজস্র পাখিদের কলকাকলীতে কেটে যায় বেলা।
বুঝে নিলাম রঙিন এই মুহূর্ত নতুন সাজানো পৃথিবী,
গলগল জলধারায় বেরিয়ে এলো স্রোতস্বিনী।
সবুজ ঘাসের ডগায় শিশিরের ফোঁটায় স্বচ্ছতায়,
হয়ে ওঠে সবাই অনন্যা এই সোনেলায়।
বিঃ দ্রঃ—– শুভ জন্মদিন সোনেলা।
সোনেলা পরিবারের সবার জন্য আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা সহ সালাম।’
বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ইঞ্জা ভাইয়া ও ফয়জুল মহীকে।এই দুজন ই আমায় সোনেলার ভালোবাসার পরশ পাওয়ার আহবান জানান । প্রথমে ইঞ্জা ভাইয়া আমায় ইনভাইট পাঠান,ভেবেছিলাম হ্যাকার গ্রুপ।ইঞ্জা ভাইয়া পরিচিত তো আগে থেকেই ছিলেন,সেই সময়ে অন লাইন গ্রুপ এসোসিয়েশনে কিছুটা ঝামেলার সমুক্ষীন হয়,এবং হ্যাকারদের বেশ দৌড় ঝাপ শুরু হয়।এসোসিয়েশনে প্রথম সারির একজন হওয়াতে এবং এক মাত্র মেয়ে কিছুটা সাবধানে থাকতে হতো।পরে অবশ্য কমিটিতে আরও সিনিয়র আপারা আসেন। সিনিয়র কবি ভাইয়ারা অবশ্য সহযোগিতা করতেন।ঠিক সেই সময় সোনেলার সাথে আমার হালকা পরিচয়।ইঞ্জা ভাইয়ার মোবাইল নাম্বার না থাকায় যোগাযোগ করার সুযোগ হয়নি।তখনও আমি ভীষণ অসুস্থ ছিলাম।কিছুদিন যাওয়ার পরে মহী একদিন আবার সোনেলার কথা বলেছে।সম্ভবত ইঞ্জা ভাইয়ের কমেন্টে বা ম্যাসেঞ্জারে কথা বলার জন্য সময় চাই। এবং তার সহযোগিতায় আমি সোনেলাকে পেলাম।
সোনেলা ও এই পরিবারের সবাই দীর্ঘ জীবি হোক।
সোনেলার সফলতা কামনা করছি।
৩০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা, সোনেলার জন্মদিনে।
আপনি এখন আমাদের সোনেলার একজন হয়েই আছেন, যা সবার আনন্দের।
কী করে এখানে এলেন তাও জানা হলো।
সুস্থ থেকে নিয়মিত লিখুন।
উর্বশী
ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
আলমগীর সরকার লিটন
সোনেলার জন্য চমৎকার কবিতা উপহার দিলেন কবি আপু অনেক শুভ কামনা
উর্বশী
আলমগীর সরকার লিটন ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। খুব ভাল থাকবেন,শুভ কামনা সব সময়।
ইঞ্জা
আবার ফিরে তাকালাম, অজস্র পাখিদের মেলা,
অজস্র পাখিদের কলকাকলীতে কেটে যায় বেলা।
বুঝে নিলাম রঙিন এই মুহূর্ত নতুন সাজানো পৃথিবী,
গলগল জলধারায় বেরিয়ে এলো স্রোতস্বিনী।
সবুজ ঘাসের ডগায় শিশিরের ফোঁটায় স্বচ্ছতায়,
হয়ে ওঠে সবাই অনন্যা এই সোনেলায়।
আপু সত্য বলতে কি সোনেলায় এসে সোনেলাকে না ভালোবেসে কেউ পারেনা, যেমন আপনিও ভালোবাসতে শুরু করেছেন সোনেলাকে, আমি এই ব্লগে শুরুর লগ্ন থেকে হলেও আমার লেখালেখি শুরু করি অনেক পরে, তেমনি ভাবে আপনাকে নিয়ে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
আমার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানবেন আপু।
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালোবাসার জিনিস কে ভালো তো বাসতেই হয়। আর আমিও ভাল একটি জায়গায় আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।যেখানে নতুন কিছু শেখা যায়। সেজন্য আবারও আপনাকে ধন্যবাদ সহ সালাম জানাই। ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু, ভালো থাকবেন।
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া।
শুকরিয়া। আপনিও ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা
উর্বশী
ইঞ্জা ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম। পুরোপুরি সুস্থ হইনি তবুও ফিরে এলাম একটু ভাল থাকার চেষ্টা মাত্র। পাশেই পাবো আশা করি ভাইয়া,ভাল থাকুন,অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
রেজওয়ানা কবির
অনেক অনেক শুভকামনা আপু।
উর্বশী
রেজওয়ানা কবির আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
শামীম চৌধুরী
অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
উর্বশী
শামীম চৌধুরী ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
খুব ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
খুব ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক সুন্দর করে মিষ্টি কাব্য, শব্দচয়নে সোনেলাকে নিয়ে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানালেন। খুব ভালো লেগেছে কবিতা। সোনেলায় আপনার পথ চলা দীর্ঘায়িত হোক। আপনার লেখা খুব ভালো লাগে। শুভ কামনা রইলো
উর্বশী
সুপর্না ফাল্গুনী আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমার লেখা ভাল লাগে আপনার সেটা জেনে বেশ খুশি হলাম।অনেক ভালোবাসা রইলো। অসুস্থতা আমায় ছাড়ছেই না, বেঁচে থাকাটা মনে হয় আমার বোনাস। দোয়া করবেন।শুভ কামনা সব সময়।
খাদিজাতুল কুবরা
“মনের ভিতর থেকে উদ্ভাসিত হলো সোনেলাকে,
এক অদ্ভুত ভালো লাগা, এক অবিশ্বাস্য স্বপ্নভূমি।
নিজের ইচ্ছে ডানার চেতনার বিচরণ এই সোনেলায়।”
আপনার অনুভূতিতে নিজের অনুভুতির মিল খুঁজে পেলাম। ভীষণ সুন্দর করে ছন্দে ছন্দে সোনেলা বন্দনা লিখেছেন।
কিভাবে এসেছেন তাও জানলাম।
আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা।
জয়তু সোনেলা
উর্বশী
খাদিজাতুল কুবরা আপু,
আপনি আমার মিতা তাইনা? হয়তো সেজন্যই অনুভূতির মিল খুঁজে পেয়েছেন।হ্যা,প্রাথমিকভাবে একটু জানিয়ে দিলাম কিভাবে এলাম সোনেলায়।তার আগে আরও মজার কাহিনী আছে আমার পরিবারের এই সোনেলায় আসা নিয়ে। পরের লেখায় জানাব ভাবছি।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা অবিরাম।
খাদিজাতুল কুবরা
তবে তো জানতেই হবে। অপেক্ষায় রইলাম।
আমরা মিতা। মিতাদের মিল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
ভালো থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
উর্বশী
খাদিজাতুল কুবরা আপু,
শুকরিয়া।
ভাল থাকুন।শুভ কামনা রইল।
উর্বশী
খাদিজাতুল কুবরা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ ভালোবাসা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
কবিতাটি কয়েকবার পড়লাম। কতটা ভালোবাসার পর এমন করে উপলব্ধ ভাবনার প্রকাশ হয় হৃদয় দিয়ে তাই অনুভব করলাম। সত্যি বলতে আমরা কে আগে/ পরে সোনেলায় এসেছি সেটা বড় কথা নয়। কে কতটুকু আপন করেছি, ধারণ করতে পেরেছি সেটাই আসল। আপনি আমাদেরই একজন হয়ে আছেন রুবি আপু। আপনার লেখায়, কমেন্টে, জবাবে আপনার মার্জিত মনের ছায়া দেখতে পাই। তেমনি আপনার আন্তরিকতা আর মমতা আমাদেরকেও অভিভূত করে প্রতিনিয়ত।
ইঞ্জা ভাইজান আর মহী ভাইকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মতো একজন গুণী লেখককে আমাদের মাঝে এনে দেয়ার জন্যে।
আপনার সাথে সাথেই বলছি,
“ মনে হলো নতুন করে স্পর্শ করি জোড়া হাতে,
দুঃসাহসেই এগিয়ে চলি ক্ষতি নেই তো তাতে”
হ্যা, আমরা এগিয়ে যাবো হাতে হাত রেখে, লাভ ক্ষতির হিসেব না কষে 🙂
অসুস্থতা আপনার কাছ থেকে দূর-বহুদূরে ভেগে যাক, দোয়া করি। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয় আপু। সোনেলার জন্মোৎসবের শুভেচ্ছা আপনাকে ❤❤
উর্বশী
সাবিনা ইয়াসমিন আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
বেশ বড় করেই মন্তব্য করেছেন,সময় ব্যয় করেছেন সেজন্য অফুরান ভালোবাসা রইলো। ভালো লাগা থেকেই তো ভালোবাসা জন্ম নেয়। হ্যা,সোনেলায় একজন হয়ে থাকার জন্যই আসা। যেখান থেকে জানা ও শেখা যাবে। সোনেলা পরিবারের সবাই অত্যন্ত ভাল মনের অধিকারী, গুনীজন তো বটেই। যদিও সবাইকে মনে হয় এখনো চিনে উঠতে পারিনি। অনুপস্থিতিতে থাকি বেশী সময় ধরে।যার জন্য সবার সাথে সখ্যতা হয়ে উঠেনি। সময় কম দেয়ার জন্য। সুস্থতা কাটিয়ে উঠে আশা করি নিয়মিত হবো।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক আলোচনা ও মন্তব্য আমার চলার
পথ প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে আপু। ভাল থাকুন শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
সোনেলায় আপনার আগমন সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আপনিও সোনেলার একজন যোগ্য ব্লগার
আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়
উর্বশী
সুরাইয়া পারভীন আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমি এখনো শিখছি। তেমন যোগ্যতা হয়নি। সোনেলার গুনীজনের বিশাল সমাহার। সেখানে অবস্থান করলে সঠিক যোগ্যতার মালা গেঁথে সুনিপুণ ভাবে উপস্থাপন করা যাবে।
ভাল থাকুন, শুভ কামনা সব সময়।
তৌহিদ
সোনেলার জন্মদিনে এমন চমৎকার কবিতা পড়ে আপ্লুত হলাম। কেবলমাত্র সোনেলাকে ভালোবাসলেই এরকম লেখা লেখা যায়। অবশ্যই আপনি সোনেলার ই একজন।
সোনেলার উঠোনে আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই কাম্য। আপনাকেও সোনেলার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন সবসময়।
উর্বশী
তৌহিদ ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালোবাসবো বলেই তো সোনেলায় এলাম।দোয়া ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ভাল থাকুন,সব সময় শুভ কামনা।