হঠাৎ করে
একদিন বলে ফেললে,
বুদ্ধদেবের উপন্যাসগুলো পড়ে নিতে।
কাজল চোখে নাকি আমার
শব্দের হাজার গাঁথুনি।
কিন্তু
আমি জানি,
এ তোমার কাজল প্রেম, বিলাসী চিন্তা।
অথচ,
তোমার বিলাসী ও বাগানে কেয়া ফোটেনি যতনে।
গভীর কোনো বনজ্যোৎস্নায় সবুজ বনে, একা একেবারে একা
যেখানে শ্রবণ, স্পর্শ, দর্শণ একেবারে অপ্রত্যাশিত।
সেখানে,
মধুগন্ধভরা ভীতসন্ত্রস্ত মনে লুকিয়ে থাকে সুন্দরতর সোনালী কেয়া।
দেবতার পৌরাণিক ভালবাসায় যেখানে নিষিদ্ধ কেয়া
সেখানে তোমার জন্য আমার, আমার জন্য তোমার বিলাসী কাজল প্রেম
বড় বেমানান।
,,রিতু,, কুড়িগ্রাম।
1.12.18.
২১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ব্লগে বিজয় মাসের প্রথম কবিতা।শুভেচ্ছা বিজয়ের।কবিতা আমি তেমন বুঝি না আবার কবিতাগুলো যদি হয় শব্দের খেলা।কবি কোন লাইনে বা শব্দে কি বুঝিয়েছেন আমার মাথায় আসে তবে আপনার কবিতা কিছুটা হলেও বুঝি কিন্তু মন্তব্য করবনা বলবো শুধু দারুণ হয়েছে। -{@
রিতু জাহান
আসলে মনির ভাই দারুন কথা বলেছেন। এখন থেকে কোনো কবিতা লিখলে তার কাহিনী ছোটো করে বলার চেষ্টা করব।
সত্যিই তাই, কোথা কোথা থেকে শব্দের সৃষ্টি হয়!
ভালবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো ভাই। দোয়ায় রাখবেন।
মাহমুদ আল মেহেদী
অনেক ভালো একটা কথা বসেছেন । কবিতা লিখে ছোট করে একটা কাহিনী লিখলে অনেক ভালো হয় আপু।
মাহমুদ আল মেহেদী
অনেক ভালো একটা কথা বলেছেন । কবিতা লিখে ছোট করে একটা কাহিনী লিখলে ভালো হয় আপু।ধন্যবাদ
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্কুলে স্যাররা কবিতার সারমর্ম বুঝাতেন।ব্লগে আপনি হেলাল ভাই নীলাদি,আগুন রঙের শিমুল আরো যারা কবি হচ্ছেন আমাদের স্যার তাই সম্ভব হলে একটু সারমর্মটা ঢেলে দিলে আমরা অধম অবুঝেরা কিছু শব্দও শিখে ফেলতে পারব।ধন্যবাদ ও শুভ কামনা। -{@
রিতু জাহান
এ কবিতার সারমর্ম বুঝিয়েছি ভাই নিচে একটা মন্তব্যে।
কোনো কাহিনীর উপর কবিতা লিখলেই তা ভেঙ্গে দেবার চেষ্টা করব।
ভালো থাকুন সব সময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
দেবতার পৌরাণিক ভালোবাসায় কেয়া নিষিদ্ধ কেন আপু ?গোলাপে যেমন প্রেম থাকে,তেমনি পূজায় থাকে জবা।কেয়ায় তো শুদ্ধতা থাকে তবে ন
রিতু জাহান
ভালবাসা নিও। কাহিনীটা কেমন লাগলো জানাইও।
সাবিনা ইয়াসমিন
কেয়ায় তো শুদ্ধতা থাকে ,তবে নিষিদ্ধ কেন হলো ?
শ্রবন,স্পর্শ,দর্শন যদি অপ্রত্যাশিত হয়
তবে কাজল প্রেম বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই নয়।মন ছুঁয়ে গেলো আজকের এই কবিতায়।❤❤
রিতু জাহান
এটা একটা পৌরাণিক কাহিনী। কাহিনীটা হলো,
সমতলে কেয়া ফোটার পাশাপাশি হিমালয়েও ফোটে। একবার শিব হিমালয়ের পাদদেশে ঋষিপল্লীর পাশ দিয়ে যাবার সময় ঋষিপত্নীগণ নগ্নদেহে থাকা শিবকে দেখে অনুসরণ করতেছিলো। তা দেখে ঋষিগণ শিবকে অভিষাপ দেন তার লিঙ্গ খসে পড়ার। বহ্মা ও বিষ্ণু উভয়ে স্বর্গ ও পাতাল কোথাও খুঁজে স্খলিত শিবরিঙ্হের দেখা পেলেন না। ব্যর্থতা লুকাতে ভ্রহ্মা কেতকীকে অর্থাৎ কেয়াকে অনুরোধ করলেন সে যেনো বলে, শিবলিঙ্গের উর্ধ্বভাগের দেখা পেয়েছেন ভ্রহ্মা।
দেবতাদের পারষ্পারিক রেশারেশির ফল হলো এই যে, চতুর বিষ্ণুর জেরার মুখে ধরা পড়ে গেলো কেতকী। মিথ্যা বলতে প্রোরোচিত করার জন্য ঋসিরা ভ্রহ্মাকে অভিশাপ দিলেন, যে মুখে তিনি (ভ্রহ্মা মিথ্যা বলেছেন সে মুখের পূজা হবে না। আর মিথ্যাচারের জন্য সুগন্ধি কেতকী শিবপূজায় নিষিদ্ধ হলো।
এখানে সোনালী কেতকী মানে তোমার মেয়ে কেয়া বলে বোঝানো হয়েছে। পুরুষ কেয়ার রং হয় সাদা।
বুঝেছো সোনা। তথ্যসূত্রঃ আমিরুল আলম খান শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক। কোলকাতার একটি পত্রিকা।
মজার না কাহিনীটা? এরকম অনেক পৌরাণিক কাহিনী আছে। আমি বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনী পড়েছি। বেশ লাগে আমার।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ রিতু আপু,,এগুলো আমার একেবারেই জানা ছিলো না।কাহিনীটা যে মজার এতে কোনো সন্দেহ নেই।আমি চেষ্টা করবো এই ব্যপারে আরো পড়তে।পৌরাণিক কাহিনীর মধ্যে আমি গ্রীক গুলো একটু আধটু পড়েছি। নিরন্তর ভালোবাসা নিবেন। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্তসুন্দরী আপু আমার এই উপকথা জানা ছিলোনা। কেয়া ফুলের গুণাগুণ জানতাম।
রিতু জাহান
নীলা আপু, আমি এরকম অনেক পৌরাণিক কাহিনী জানি। বেশ লাগে আমার। ঠিক আছে রিয়ানের পরীক্ষা শেষ হলে তোমাকে ব্লগের মাধ্যমেই লিখে জানাব।
রিতু জাহান
পৌরাণিক গ্রিক কাহিনী আমার অোতটা ভালো লাগে না। আমি আসলে অতোটা বুঝে উঠতে পারি না। আমার এশিয়ান পৌরাণিক কাহিনী বেশ লাগে। পরিচিত পরিচিত মনে হয়।
ধারাবাহিক দেবার চেষ্টা করব।
জিসান শা ইকরাম
শব্দের বুননে কবিতাটি অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে,
খুব ভাল লেগেছে কবিতা।
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ভাইয়া। সেদিন হঠাৎ করে এ কাহিনীটা সামনে চলে এলো। সেখান থেকেই লেখা চেষ্টা করেছি।
পুরোটাই আপনার প্রেরণা।
নীলাঞ্জনা নীলা
বড় বেমানান এ প্রেম!
আচমকা এসে পথ আটকে দাঁড়ায়, যেতে দেবেনা কোথাও—
আধফোঁটা স্বপ্নবোধকে বিরহের কাজল পরাবো,
এ অসম্ভব!
ফুলেল শয্যায় আগুন কি মানায়?
আগুন পোড়ায়। আবাহনে এবং বিসর্জনে ;
===============================
অর্ধপ্রাসঙ্গিক কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। পূর্ণাঙ্গরূপ তুমি দিও।
রিতু জাহান
কি দারুন লিখলে আপু। দারুন হয়েছে।
সাজানোর চেষ্টা করব।
ভালবাসা নিও আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
💖💖🌹🌹
ভালো থেকো আমার শান্তসুন্দরী আপু।
ছাইরাছ হেলাল
এ কী দেখছি!!
কবিতার ফরমায়েশ দেয়া নেয়া হচ্ছে!! দারণ সব ব্যাপার-স্যাপার হচ্ছে!!
পাঠকদের আনন্দ-ই আসল আনন্দ!!
আপনি কাহিনীটি বলে না দিলে অন্য ভাবে ভেবে নিতে হতো।
তাই একটু সামান্য নোট জুড়ে দিলে আমাদের জন্য ভালই হবে!!
কাহিনীটি পড়ে এবং না পড়ে দু ধরণের উত্তর মনে আসে।
কাহিনী পড়ে যা তাৎক্ষণিক মনে হয়েছে সেটি বাদ।
কাজল-চোখের হাজার-ছল-চাহুনি
সে তো অনেক অনেক দেখেছি
খৈ হারাইনি, হারাবো-না তাও বলেছি
প্রত্যাশিত অ-প্রত্যাশায় কাটাবো সময়
বনজ্যোৎস্নার পথে পথে
নিষিদ্ধতার বেড়াজাল টপকে!!
রিতু জাহান
পরীক্ষা টরীক্ষা শেষ হোক আসতেছি পুরোদমে। কাহিনী সাথে কবিতা। দেখি কেমন সখ্যতা হয়!
বনজ্যোৎস্না বড় ফাঁকিবাজ সময়মতো সে আলো দেয় না।