মনে আছে,ভুল জোছনায় দিয়েছিলে একটি চারা?
বৃষ্টি ভেবে পুড়েছিলাম সুখ আগুনে।
তোমার দেয়া সেই চারাটি বৃক্ষ এখন
বিস্তৃত তার ছায়া, পাতা, ছাল ও বাঁকল।
প্রথম দেয়া সেই নুড়িটা পাহাড় এখন,
কিয়ে গেছে রুক্ষ নদী, নোনা সাগর।
শূণ্য করে ছেড়ে দেয়া হাত দুটো সেই
আগের মত শূণ্য আছে আজ অবধি।
তোমার মত যত্ন করে কেউ পারেনি দুঃখ দিতে
সঙ্গোপনে পুষছি তো তাই;
ভাগ দেবোনা অন্য জনে।
সত্যি জানো, সেই চারাটি বৃক্ষ এখন;
বৃক্ষ এখন পরম সুখের।
———————0 0——————–
১৪টি মন্তব্য
কামাল উদ্দিন
“তোমার মত যত্ন করে কেউ পারেনি দুঃখ দিতে”
…….দারুণ লিখেছেন ভাই, আসলে প্রতিদিনই এমন নতুন কিছু শিখছি আমরা। সকলের তরে সকলে আমরা. প্রত্যেকে আমরা পরের তরে, শুভ রাত্রি।
হালিম নজরুল
একবুক ভালবাসা ভাই।
কামাল উদ্দিন
আপনার প্রতিও রইলো সব সময়ের জন্য শুভ কামনা
ফয়জুল মহী
মার্জিত ভাষায় লেখা। ভালোবাসা ও শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখ-বিলাস! আগে পড়েছি আপনার লেখায় তা তো মনে করতে পারছি-না।
ভুলো মনের কাজ হতে পারে।
চারাটি এখন দুঃখের মহীরূহ!
হালিম নজরুল
মাঝে মাঝে দুঃখ না পেলে সুখানুভূতিই তো হারিয়ে যাবে কবি!
প্রদীপ চক্রবর্তী
সত্যি জানো, সেই চারাটি বৃক্ষ এখন;
বৃক্ষ এখন পরম সুখের।
এ সুখ কবি ও কবিতার গায়ে লাগুক।
এ সুখ লাগুক সবার মনেপ্রাণে।
.
বেশ ভালো লেখনী দাদা।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।
আরজু মুক্তা
বৃক্ষ হলে আর দুঃখ দপয়া যায়না। বৃক্ষ তো ছায়া দেয় মায়া দেয়। সবসময় প্রশান্তি দেয়।
ভালো লাগলো
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান চারায় পেলেন বিশাল বৃক্ষ, নুড়িতে পেলেন পাহাড়। ভালোবাসায় কি পেলেন জানতে বড়ই মন চায়। বরাবরের মতন ভাল লাগার কবিতা।
হালিম নজরুল
হা হা হা পাহাড়, বৃক্ষ আর নদী এইসব নিয়েই তো জীবন পার করতে হয় ভাই। সবই পেলাম। হিসাবের খাতায় কেবল শূন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যত্ন করে সবাই দুঃখ দিতে পারে সুখ নয়। চারাটি সযতনে লালন পালন করে আজ বিশাল বৃক্ষ পেলেন, কিন্তু ফলাফল শূণ্য। শূণ্য হাত শূণ্য ই রয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে