
হঠাৎই মাথায় ঢুকলো
সৃষ্টির ভ্রুণটা।
এইতো গতরাতেই, শুয়ে আছি হঠাৎ
ভ্রুণটা…
তারপর থেকে ঘুরপাক খাচ্ছে মস্তিষ্কের গুরু অংশে,
এপাশ ওপাশ।
খুব যন্ত্রণা দিচ্ছে সেই নামহীন, পরিচয়হীন ভ্রুণটা।
আর আমি… পুরো রাত, ভোর তারপর আবার রাত
প্রতিটা মুহুর্তে,সময়ে অসময়ে, ব্যস্ততার থেকে কিঞ্চিত দূরে নিজেকে রেখেই ছিলাম পরিচর্যায় মত্ত।
এইতো কিছুক্ষণ আগেও ভাবছিলাম ভ্রুণটাকে নিয়েই।
ভ্রুণটা বেড়ে উঠবে, একটা দুটো পাতা গজাবে ওর।
একটা নামও দিব সুন্দর। কিন্তু,
কী অদ্ভুত আচরণ করছে আমার সাথে!
ভুমিষ্ঠ হবার আপ্রান চেষ্টা ওর মাঝে।
এত অল্প সময়ে!
জন্মটা কতটা স্বাভাবিক হবে?
কিন্তু, ও কেনো সে সুযোগ দিচ্ছেনা?
ভ্রুণটা উপযুক্ত পরিবেশ পাক, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, জলীয়বাষ্প আর কী লাগবে?
সবই আছে সাজানো গোছানো।
তাহলে কি চাচ্ছে ভ্রুণটা!
অঙ্কুরেই বিনাশ নাকি অস্বাভাবিক জন্ম?
অসম্পূর্নতা কতোটা উপভোগ্য ওর কাছে?
অটিস্টিক হয়ে বেঁচে থাকায় কী আনন্দ?
পরিচর্যা, যত্ন, ভালোবাসা কী ওর কাছে অবহেলার নাম?
এই কী তাঁর স্বভাব?
১৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
“অঙ্কুরিত হইনি এখনও,
তবুও মাথার ‘পরে ছাঁদ
প্রস্ফুটিত হবার পরে
কোন বুকে থাকবো আমি?” ————-“আশ্রয়” নাম দিয়ে ১৯৯০ সালে লিখেছিলাম এই চারটি লাইন।
আপনার কবিতা পড়ে মনে পরে গেলো লাইনগুলো। কবিতার ভাবটা মনে ধরলো বেশ।
ইকরাম মাহমুদ
ভাবটা প্রকাশে চেষ্টা করেছি কিন্তু পূর্ণভাবে পেরেছি কিনা জানিনা। ওর তো শুধু তাড়াহুড়ো। ধন্যবাদ আপু।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটি খুবই চমৎকার লেগেছে। শেষে এসে কিছুটা ধন্ধে পড়েছি। বিনাশ কিংবা স্বাভাবিক জন্মের পেছনে প্রতিবন্ধকতা কিসের? তার জন্মের আয়োজন তো সুন্দর সমাপন। তবে কী শুধু সময়ের স্বল্পতা ই কারন? বুঝেও যেন অবোধ্য কিছুটা।
আপনার লেখার হাত খুবই ভালো ভাইয়া, আরো যে লেখা চাই।
ইকরাম মাহমুদ
আয়োজনটা ওর স্বাভাবিকতার জন্যই কিন্তু অসময়ে জন্ম অস্বাভাবিক নয় কি? তাই তো ভয় মনে, এমন তাড়াহুড়োতে আবার বিনাশও তো স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ।
রুম্পা রুমানা
আরেকটু আলোচনা করে লিখুন। ভাবনাটা পুরোপুরি মেলে ধরুন । ভাল হবে লেখাটা ।
ইকরাম মাহমুদ
ভাবনার অস্বাভাবিক জন্ম দিয়েছি বলে মনে হচ্ছে, তাইনা? হয়তো আরেকটু বিস্তৃত করা যেত।
তবু চেষ্টা করেছি, চেষ্টা থাকবে।ধন্যবাদ আপু।
শাওন এরিক
অল্প কথায় খুব সুন্দর একটা লেখা! এর থেকে বড় হলে ভালো লাগতোনা, ছোট হলেও হয়ত না! পারফেক্ট এক কথায়! 🙂
ইকরাম মাহমুদ
যার জন্য যতটুকু।
ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
সুন্দর লেখা।
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, জলীয়বাষ্পের সংমিশ্রনে সে একটা উপযোগী পরিবেশ পাক। এই শুভকামনা থাকলো।
ইকরাম মাহমুদ
গোছানো আছে সব ঠিকঠাক। সে কী তা বুঝে?
ব্লগার সজীব
সঠিক সময়ে সব ভ্রূণ জন্ম নিক। সময়ের আগে যখন এসেই গিয়েছে, লালন পালন হবে অত্যন্ত মায়ায়, আন্তরিকতায়। ভাল লেগেছে ভাইয়া।
ইকরাম মাহমুদ
আপনাদের সবার ভালোবাসা ঠিকই পেল সে। এভাবেই ভালোবাসবেন প্রতিটা পরিপক্ব অথবা অপরিপক্ব সৃষ্টিকে। ভালোবাসা না হোক, একটু আশ্রয়ই তো প্রাপ্তি। এতটুকুতেই যদি সে পূর্ণতার আনন্দ পায় সে তবে ক্ষতি কি? ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্লগার সজীব
ভালোবাসাতেই আশ্রয় মেলে ভাইয়া। আপনাকেও ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
হেলাল ভাই থেকে শুরু করে যত কবি আছে সোনেলার তারা সবাই জানে এ জন্মদানের যন্ত্রনা। লেখা একবার মাথায় এসেছে, কিন্তু লিখনিতে যতক্ষন না আসে ততক্ষণ কি যন্ত্রনা তা কবিরাই ভালো বলতে পারে।
ইকরাম মাহমুদ
সে কী যন্ত্রণা!!
মহাযন্ত্রণা।
মৌনতা রিতু
ভালমত বুঝতে পারিনি। তবে অঙ্কুরেই যেন বেড়ে ওঠে পরিপূর্ণ ভাবে এই কামনা।