বৃষ্টির দংশন-
বিপরীত বজ্রনিনাদ গর্জে ওঠার আশংকায় শংকিত হওয়ার কোনো কারন ছিলনা ভেবেই স্নেহ ছিলো নিশ্চিন্তে। নির্ভাবনার খসরায়, দায়হীন মায়ায় শিরিষের পাতায় জোনাকের আলো ছিলো নীলচে;
শেষাবধি বদলে যাওয়াই ধর্ম,- বলে প্রমানিত। তাই….. তরল জলের মতই অনঢ় রয়ে যাওয়াও ধর্ম বলে- না বলেই ছুটিয়ে নেয়াই যায় মায়ার বন্ধন।
যেখানে বৃষ্টিরা বসিয়ে দিতে জানে লোমহর্ষক কামড়! বৈপরিত্তের গাঙ যেখানে স্রোতস্বিনী হয়ে আছে লিখিত চুক্তির আখরে! সেখানে কৈফিয়ত দেবার দায়ই বা থাকবে কোন দাবিতে? মনে পড়াগুলো কঠিন শুকনো কাঠের বাক্সে তুলে রাখা যেতে পারে স্মৃতিসৌধের পাহাড় বানাতে।
সমুদ্র বহুদূর-
আজো আঙুলের অগ্রভাগ বিচলিত তাড়ণায় ছটফট করে। নালিশের আখরা চলে শিয়রের বালিশ কিংবা তক্তপোষের বেছানো চাদরে! জানলার ওইপারে কালো কাঁচের আয়না ঘোলাটে হয়ে গেছে কবে! তবু বৃষ্টির আওয়াজে তড়িৎ সজাগ হয় শ্রবণেন্দ্রিয়ের দরজা জানালা।
আমি রাত গুণে যাই ঘোলা জলের লবন মাপতে মাপতে। একটা সমুদ্র দূরে দাঁড়ায়ে হিসেব গুলো গুণে রাখছে কেবল!
এপাড়ের বালিয়াড়িতে বালি ফুসছে ক’ফোঁটা বৃষ্টির আশায়।
নৈরাজ্যের রাজত্বে হরদম তালিকা বেড়েই চলেছে বন্ধ ঠোঁটের সৈরাচারে।
আর কত নিপাট একচ্ছত্র তাবেদারি আইনের অনুশাান চলবে নিয়মের বাইরে!!
বিশ্বাস-
আমি তোর চোখে দেখি হরেক রকম বীজের উদ্ভীন্ন অঙ্কুরোদগমের আভাস!
ওখানে হাজার প্রশ্নেরা সকল সময় করে জলকেলি।
আমি সাঁতরে যেতে চাই সাঁতার না জানা নাবিকের মত।
মাস্তলে ঝুলে থাকে নিজেরই অস্তিত্বের খন্ডিত শত সহস্র রক্তাক্ত টুকরো।
তোর অবিশ্বাসের দোলনায় আমি এক সদ্যজাত শিশু।
হাঁটতে শেখার আগেই আমায় ভাবলি, ম্যারাথন প্রতিযোগি।
বলতে পারার আগেই ভাবলি,আমি হরবোলা পাখি!
লিখতে শেখার আগেই আমায় ভাবলি কবি!
আমি তো কেবলই খুব সাধারন এক আমি!
১৯টি মন্তব্য
দালান জাহান
“শিরীষের পাতায় জোনাকের আলো ছিলো নীলচে” ক্রান্তীয় বৃষ্টির সাদা সাদা আভাস। স্মৃতিসৌধের পাহাড়ও ভিজে যায়। দারুণ কবিতা।
সমুদ্র বহুদূর আপনার শাণিত ভাষায় প্রকম্পিত!
বিশ্বাস করতে দিন…
বিশ্বাসে সবকিছু মিলে…
তিনটি কবিতাই আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে কবি। অভিনন্দন আপনাকে….
বন্যা লিপি
আমি বরাবরই বলে আসছি…. কবিতা লেখা আমার কম্ম নয়, শব্দবন্ধ বাক্যে আমি জানিয়ে যাই অনিয়মিক যত কেচ্ছা। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করলো।
আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আহা বৃষ্টি
সে তো বাণ ডেকেছে
অঝোর নয়নে, দু’কুল ছাপিয়ে।
কষে কটু কথা বলতে পারলে মণ্ডা শান্তি পাইতো।
বন্যা লিপি
কটু কথা???? হ্যাকা!!! কই ফ্যালান তো,শুনি একটু। কি করলাম বুঝতে তো হবে!!!
ছাইরাছ হেলাল
কারন/ প্রতিযোগি/সাধারন/ খন্ডিত / মাস্তলে/ উদ্ভীন্ন /অনুশাান/ সৈরাচারে/ ফুসছে /তক্তপোষের/
তাড়ণায়/ শুকনো/ বৈপরিত্তে/ প্রমানিত/ শিরিষের
এগুলো ঠিক করতে হবে, এখন কথা হতে পারে, আম্নে এট্টু ঠিক কইরা দেলে কী ওইত,
আমি অনেক ঠিক করেছি হেতে অসুখের কোন সুরাহা হয় নি, যার যার চিকিসসা হ্যার হ্যার করতে ওইবে।
কিলিয়ার এবার!!
বন্যা লিপি
কিলিয়ার তো বুজ্জি, কিন্তু তারপরও আমি ভুল কইরাই যামু,,, দেইখেন!! প্রতিযোগী,সাধারণ,খণ্ডিত,স্বৈরাচার,ফুঁসছে,তক্তপোষ( এইটা কী ভুল বানান-তক্তপোষ?)তাড়নায়, বৈপরিত্ব,পৃরমাণিত,শিরিশ—– এখন বলেন আমি কি সঠিক বানাম লিকতে পারেছি?😊😊😊😊
ছাইরাছ হেলাল
তক্তপোষ/তক্তপোশ/তক্তপোস এই তিনটিই ঠিক, আপনার বানান ঠিক আছে, (আমার ভুল হয়েছে) আমাদের এখানে প্রচলিত তক্তপোশ, ঠাকুর এটি ব্যাবহার করেছেন। তাই আমার পক্ষপাত এটিতে।
আরজু মুক্তা
আর একবার পড়ে মন্তব্য করবো।
বন্যা লিপি
পড়েন পড়েন…..যতবার খুশি পড়েন, কিন্ত, মাগার একটা কথা, ব্যাখ্যা বুঝেই মন্তব্য করতে হবে,এমনটা কখনো বলছিনা। আমিও করিনা এমন….. পড়ে ভালোলাগাটাও লেখার সার্থকতা বলে বিবেচিত।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জীবনের কথা ফুটে উঠেছে — “নৈরাজ্যের রাজত্বে হরদম তালিকা বেড়েই চলেছে বন্ধ ঠোঁটের সৈরাচারে।
আর কত নিপাট একচ্ছত্র তাবেদারি আইনের অনুশাান চলবে নিয়মের বাইরে”!!
বন্যা লিপি
আন্তরিক ধব্যবাদ আপনাকে।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনাকেও ধন্যবাদ আপা।
হালিমা আক্তার
সাঁতার না জানা নাবিকও হাল ধরে জাহাজের।পাড়ি দেয় মহাসমুদ্রের অচেনা পথ। শুভ কামনা অবিরাম। ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
ভালো থাকুন আপনিও।শুভ কামনা।
আশরাফুল হক মহিন
কারো চোখে যদি হারিয়ে যেতাম।
তবে পালিয়ে যেতাম।
বন্যা লিপি
আপনার মন্তব্য বুঝিনি আমি, দুঃখিত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বদলে যাওয়া প্রকৃতি আর মানুষের ধর্ম বলে মনে করি তানা হলে সব একঘেয়েমিতে পূর্ণ হয়ে যেতো, বৈচিত্র্যময়তা হারিয়ে যেতো।মায়ার বাঁধন ছুটানো খুব কঠিন মনে হয় সবার কম্ম নয়।
মুখ বন্ধ না রাখলে অস্তিত্ব টিকানো সম্ভব হয় না প্রতিবার, তাঁবেদারি অনুশাসন চলছে, চলবে। স্বৈরাচারীতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বাস না থাকলে সামনে আগানো যায় না, বিশ্বাস আছে বলেই এখনো সবকিছু চলমান, প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালোবাসা বিলিয়ে যাচ্ছে।সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে জীবন ফুরিয়ে যাবে তবুও সব উত্তর পাবেন না।
বন্যা লিপি
ওহ দিদি….. আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছাটা আরো বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। ফ্রি হলেই নক দেবেন ছোটদি।
বন্যা লিপি
কেউই আসলে আসল উত্তর কোথাও পায়না ছোটদি@ সুপর্ণা ফাল্গুনী।
শুভস্য…..