
বিদগ্ধ পৃথিবীর এককোণে বসে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার আদিমসত্ত্বায় মগ্ন সৃষ্টির প্রথম মানব আর আমাদের ভাবনার মাঝে খুব একটা তফাৎ নেই। প্রজন্মান্তরবাদের নিয়মে সভ্যতায় বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষ নাটাইছাড়া ঘুরির মতন পতপত করে উড়ে চলেছে মুক্ত আকাশে।
মানুষ পাহাড়ের গুহা থেকে বেরিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত যতগুলো সভ্যতা সৃষ্টি করেছে সবগুলোই একটির পর একটি বিলুপ্ত হয়েছে। পৃথিবীতে সেসবের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র কিছু ধ্বংসাবশেষ।
সভ্যতার বিকাশে প্রস্তরযুগ থেকে আধুনিক সভ্যসমাজে পা রেখেছি আমরা। বেশভূষায় ফ্যাশনের ছোঁয়া লেগেছে। কখন কিভাবে সভ্যতার কাটাকুটি খেলার জালে নিজেরাই নিজেদের আবদ্ধ করেছি, বইয়ের প্রতিটি পাতায় লেখা ইতিহাস তার নীরব সাক্ষী।
তবে কি যুগেযুগে মানুষ আমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছি? এই একটি প্রশ্নের উওর খুঁজতে গেলে প্রতিষ্ঠিত সভ্যতাগুলোর বিলুপ্তির কারনকেও অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের।
খুব সহজ করে বললে এমনটা বলা যায়- সভ্যতাকে আমরা নিজেরাই বিলুপ্তপ্রায় ঘোষণা করেছি নিজেদের স্বার্থে, নতুনত্বের স্বাদ গ্রহণের তীব্র বাসনায়। তবুও সামাজিকীকরণ সূত্রের ভাগশেষে ভগ্নাংশের অবসান ঘটাতে পারিনি।
মানুষ হিসেবে এর দায় আমাদের উপরেই বর্তায় বৈকি!
(চলবে)
সভ্যতায় অস্তিত্বের লড়াইয়ে মানুষ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩টি মন্তব্য
কাওছার হোসাইন
পশু শিকারের সমাজ থেকে ফসল উৎপাদনের সমাজে ঢোকা ছিলো মানুষের জন্য একটা ফাদ।তারপর থেকেই মানুষ একের পর এক শেকলে জরিয়ে যাচ্ছে।
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো শেষ প্যারাটা। এটাই বোধ হয়, সত্য। নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই ধ্বংস করে, নিজেরাই নতুন করে গড়ছি। আবার পরের লাইনটা… পড়ে মনে হলো আমাদের স্বার্থপরতা দায়ী।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
প্রথম হলাম। রসমঞ্জরি কবে খাওয়াবেন?
তৌহিদুল ইসলাম
আমরা সভ্য হতে গিয়ে সভ্যতাকেই বিলুপ্ত করে চলেছি আদি যুগ থেকেই। করোনা কমলে আর আমার টিকা নিয়ে ঝামেলা কমলেই খাওয়াবো আপু।
ভালো থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নিজেরাই গড়ি নিজেরাই ধ্বংস করি । ভাঙ্গা গড়ার ফাঁদে পড়ে কতকিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যাবে! স্বার্থের কারণে , নতুনত্বের স্বাদ পেতে সভ্যতাকেও ভক্ষণ করে দিচ্ছি, বিলুপ্ত করে দিচ্ছি। অবশ্যই এ দায় আমাদের উপর ই বর্তায়। খুব সুন্দর একটা পোস্ট। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি
তৌহিদুল ইসলাম
সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে এর দায় আমাদের সকলের, তা সে হোক কম কিংবা বেশী। ভালো থাকুন সবসময়।
আলমগীর সরকার লিটন
স্বার্থ ছাড়া আছে কি আদ্যবতি চলছে স্বার্থপরতা——————-
তৌহিদুল ইসলাম
এই নিয়েই বেঁচে থাকা, যতদিন যায় যাক না। ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ধ্বসের/ধ্বংসের দায় আমরা এড়াতে পারিনি, পারবো ও না।
চলুক এভাবে লেখা।
তৌহিদুল ইসলাম
পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত এ খেলা চলবেই। পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ভাই।
হালিমা আক্তার
একসময় মানুষ নিজেই সভ্যতার সৃষ্টি করে এগিয়ে যায়। সময়ের প্রয়োজনে সেই সভ্যতা ধ্বংস করে গড়ে তোলে আবার নতুন সভ্যতা। এটা মানুষের চাহিদা, না যুগের চাহিদা। আমরা আমাদের সৃষ্টি ধ্বংস করে, আবার নতুন কিছু সৃষ্টির পথে নামি। শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদুল ইসলাম
যুগের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমরা নিজেদের কৃষ্টিকেই ভুলে বসে আছি কিন্তু। ধন্যবাদ অশেষ।
মনির হোসেন মমি
বিশাল লেখা হবে মনে হচ্ছে। সভ্যতার ক্রমবিন্যাসের সাথে আছি।আমরা কী সভ্যতায় বসবাস করছি জানতে ইচ্ছে করছে।
শুভ কামনা।
রিতু জাহান
মানুষ মাথ্রই ধ্বংসের কারিগর।
মানুষই মৃত্যুকে ভয় করে আবার মানুষই মৃত্যুর কুয়ো খনন করে।
আসলে কি প্রতিটা মানুষ মনে করে যে সে নাটাই ছাড়া ঘুড়ির মতো ঘুরছে?
মানুষ আসলে কিসে তৃপ্ত সে জানে না।
ভালো লিখেছেন।