
কেকা বোঝে কি করে, কেমন করে বুঝে চলতে হয়। অদ্রি বোঝেনা। কেকা বুঝে সবটা বুঝিয়ে বলেনা, কেন এভাবে অদ্রি’কে বললো, তমা’র ব্যাপারে ? বন্ধুত্বের হিংসুটেপনা নয়, অদূরবর্তী অনাকাঙ্খিত বাজে পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্কতায় কেকা বন্ধু’র মতোই আচরন করার চেষ্টা করেছিলো। অদ্রি’কে ভালো বোঝে কেকা।ভালো চেনে /জানে। স্কুলের অবকাঠামো গত কারনে বর্ষাকালে প্রায়ই স্যার, ম্যাডামরা টিচার্স রুম থেকে ক্লাশ পর্যন্ত পৌঁছুতে আধা ভেজা হয়ে যেতেন। গুরুত্বপূর্ণ ক্লাশ না থাকলে ক্লাশ নিতে আসতেন না। মহাভোগে মেয়েরা জমিয়ে দিতো আড্ডা, গান, কৌতুক, অথবা গসিপিং। কে কেমন, কোন মেয়েটার পেছনে কোন ছেলেটা ক্রাশ খেলো, কোন মেয়েটা কার সাথে কেমন ব্যাবহার করলো। অদ্রি কেকা মঞ্জু বেবি গিতা বেলা প্রায়ই গলা ছেড়ে গান ধরতো, নয়তো শিরীনকে চেপে ধরতো গান ধরার জন্য। তমা বেশ কিছুদিন ধরে বেনু, রেনু নামে দুজনের সাথে বেশ ভাব জমিয়ে ফেলেছে।
অদ্রি প্রায়ই লক্ষ করে দুরে দুরে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেলো। কেকার চিন্তা অমূলক ছিলোনা। আচমকা একদিন প্রচন্ড চমকে দিয়ে প্রশ্ন করে বসলো কেকা…… তোর এমন কি প্রয়োজনে তমা’র কাছে টাকা ধার করতে যেতে হলো? গলায় কাঁটা আটকে যাবার মতো ভয়ানক বিষম খেলো অদ্রি…. বলে কি? ছোট ছোট চোখদুটো আচানক প্রশ্নে ঠিকরে বেরিয়ে আসতে উপক্রম হলো। হঠাৎ কোনো কথার খেই খুঁজে পেলোনা অদ্রি। কেকা আবারো খেঁকিয়ে উঠলো….”কি হইলো কথা কসনা যে?? তোতলাতে শুরু করলো অদ্রি —-” আ আ আমি? টাকা ধার চাইছি? তমার কাছে? কিসের টাকা? কবে চাইলাম? কেনইবা চাইবো? কেকাঃ তুই নাকি ওর কাছে চাইছো টাকা? কি করবি তুই টাকা দিয়া যে ওর কাছে চাইতে হইলো?
আত্মসম্মান কি জিনিস…. ও বয়সে হয়তো আভিধানিক ভাবে কেউ বুঝতো না। বুঝতো শুধু সত্য/মিথ্যা’র শয়তানী শব্দের ব্যাপক ব্যাবহার। হঠাৎ করে কেন তমা এমনটা করবে ভেবে পেলোনা অদ্রি। মনে পড়লো কয়েকদিন আগেই তমা নেওয়াজ স্যারের নোট, ভুলে বাসায় ফেলে এসেছে, আনতে যেতে সঙ্গে যাবার অনুরোধ করেছিলো তমাদের বাসায়। কাছেই বলে টিফিন পিরিয়ড শেষ হবার আগেই ফিরে আসা যাবে ভেবে, গিয়েছিলো সাথে। ফেরার দু’দিন পরেই জানিয়েছিল…… ওর বড় ভাই অদ্রি’কে দেখে খুব প্রশংসা করছিলেন। ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু বলার ইঙ্গিতও করেছিলো। আমলে তো নেয়ই নি বরং নিরুৎসাহিত করেছিলো। তারপর থেকেই একটু একটু করে বেনু রেনু’র সাথে গিয়ে ভিরেছিলো।
চলবে……
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কেকা এমন মিথ্যে প্রশ্নের মাধ্যমে সত্যিটা জানতে চেয়েছিল?
দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
পরের পর্বেই জানা যাবে সত্যমিথ্যার আসল সত্য।আপনাকে কৃতজ্ঞতা।
শাহরিন
আছি পাশে।
বন্যা লিপি
গল্প কতটুকু কি পড়লেন বোঝা গেলোনা। ধন্যবাদ পাশে আছেন বলে।
শাহরিন
আপু গল্প খুবই ধীরে এগুচ্ছে, তাই নতুন কোন চমক না আসা পর্যন্ত এভাবেই কমেন্ট করতে হবে।
আরজু মুক্তা
পরের পর্ব…..
অপেক্ষায়!
বন্যা লিপি
এভাবে মন্তব্য করলে বোঝা বা লেখার উৎসাহ থাকেনা। বুঝতে হয় বোঝাতে হয়। লেখার খুটিনাটি বিষয় নিয়ে কিছু বলতে তো হয়! দায়সার্ মন্তব্য করলে চলবে কেন?
তবু ধন্যবাদ মন্তব্য করেছেন।
শামীম চৌধুরী
ভালই লাগলো। পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পড়ার ইচ্ছে জাগলো।
বন্যা লিপি
ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো শামীম ভাই।চেষ্টায় আছি পরের পর্ব তারাতারি লেখার। শুভেচ্ছা জানবেন। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
আপনার জন্যও রইলো শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করছি কেকা কী করে দেখার জন্য।
বন্যা লিপি
আমিও অপেক্ষায় আছি কেকা’র বন্ধুত্ব বোঝার জন্য। ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা।
শিরিন হক
ভালোবাসা থেকে হিংসে, সার্থপরতার সৃষ্টি। ভালোবাসি বলতে না পরলেও সে যেনো আমার একার এই বোধটুকু থেকে অন্যের কাছে যেতে না দেয়ার সার্থপরতা চলে আসে।
টাকা ধার কেনো কারো দিকে তাকালেও সহৃদয় কেঁপে ওঠে হারানোর ভয়।
ভালোবাসার অনুভুতিটুকু ঠিকঠাক ছুড়ে মেরেছো লেখায়
পরের লেখায় নিরাশ করোনা প্লিজ নায়িকাকে।কঠিন মন নরম করো লেখায়।
ভালোথেকো মিতা।
বন্যা লিপি
পারছিনা বেশ কিছুদিন ধরে লিখতে কোনোকিছুই। তবে জোড় চেষ্টায় আছি মিতা। লিখবো খুব তারাতারি। ভালোবাসা তোমাকে নিরন্তর ❤❤