
করোনা কালে সবকিছুতেই আমি করোনা খুঁজি। চিন্তার মাঝে কিভাবে যেন করোনা চলে আসে। হয়ত প্রচারের গুনে করোনা ভীতিতে মস্তিস্ক স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। গত কিছুদিনের সোনেলার ব্লগারদের গতিবিধি খুব তীক্ষ্ণ ভাবে পর্যবেক্ষন করেছি। ব্লগারদের কার্যকলাপকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। বেশী কথা না লিখে সরাসরি লেখায় চলে যাই।
১। করোনা নেগেটিভ ব্লগারঃ
এই ক্যাটাগরির ব্লগারদের সংখ্যাই বেশী। উনারা করোনা প্রুফ। করোনা কখনো এই ব্লগারদের স্পর্শ করতে পারবে না। উনাদের দেখেই করোনা পালিয়ে বাঁচে। এই ব্লগারগন কোনো দূরত্ব না মেনে একসাথে বিভিন্ন পোস্টে আড্ডা দেন, স্বপ্ন পোট্টে একই সাথে হইচই করেন, সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাল পল্প করেন, মন্তব্য দেন। করোনা এদেরকে ধরবে কি, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
২। বিদেশ থেকে আগত ব্লগারঃ
উনারা সবে মাত্র বিদেশ থেকে এসেছেন। করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা নেয়া হয়েছে উনাদের। সরকারী নির্দেশনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। নিজের বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। পোষ্ট দিয়ে চলে যান। কেউ পোষ্টে এসে মন্তব্য করলে তার জবাব দিয়ে আবার দরজা বন্ধ করে রাখেন।
৩। করোনা পজেটিভ ব্লগারঃ
উনাদের আচরন খুবই সংযত। সীমিত পরিসরে ব্লগে আসেন। পোষ্ট দিয়ে চলে যান। পজেটিভ হওয়ায় মন খারাপ করে দিনে একবার উঁকি দেন তাঁকে কেউ খুঁজতে ( মন্তব্য করতে ) এসেছিল কিনা?
৪। আইসোলেশন থাকা ব্লগারঃ
কঠিন ভাবে আইসোলেশন এ আছেন উনারা। খাওয়া দাওয়া সব এক রুমের মধ্যে। দিনে একবার বা দুইবার দরজা খুলে খাবার নেন (ব্লগে লগইন হয়ে মন্তব্যের জবাব দেন)। এরপর আবার দরজা বন্ধ করে দেন।
৫। ভেন্টিলেশনে থাকা ব্লগারঃ
উনাদের সংখ্যা খুবই কম। শেষ ধাপে আছেন উনারা। এই ধাপে অবশ্য দেশের খানদানি লোকেরা আছেন। সুতরাং এই পর্যায়ের ব্লগাররা সম্পুর্নই নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। উনারা পোষ্ট দিয়ে চলে যান। কারো পোস্টে যাবার তো প্রশ্নই আসেনা। নিজের পোস্টের মন্তব্যের জবাবও দেন না।
লেখা শেষ। আপনারাই বেঁছে নিন আপনি কোন ক্যাটাগরিতে আছেন।
এটি একটি রম্য পোষ্ট। কেউ কষ্ট নিবেন না প্লিজ লাগে।
২৯টি মন্তব্য
ইঞ্জা
😱 আমার ক্যাটাগরি কোনটা, ধন্দে পড়ে গেলাম। 🤔
পর্তুলিকা
আপনি তো প্রথম ক্যাটাগরিতেই আছেন। প্রমাণ- দূরত্ব না মেনে মন্তব্য দিলেন এখানে। করোনা ভয়ে পালিয়েছে আপনার কাছ থেকে দূরে 🙂
ইঞ্জা
আল্লাহ বাচাইলো, শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ।
নিতাই বাবু
আমি এই প্রাণঘাতী করোনাকালেও সকাল থেকে রাতদুপুর পর্যন্ত বাইরে থাকি। করোনাকে ভয়ও করি। দূরেদূরে থাকি। কিন্তু বেশি হাত ধোয়ার মধ্যে নেই। তো আমি এখন কোন ক্যাটাগরিতে আছি? জানালে উপকৃত হবে।
নিতাই বাবু
কিছু মনে করবেন না! আপনিও কিন্তু করোনা ভয়ে আছেন। কারণ আপনি গত ২১ জুলাই একটা পোস্ট করেই “কোয়ারেন্টাইনে” চলে গেছেন নিজ বাসভবনে। এইযে গেলেন, আর কি ব্লগে উঁকি দিয়েছেন?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভালোই দেখিয়ে দিলেন। 🙄🙄🙄
পর্তুলিকা
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রাখলাম। এতোদিন ভাবতাম এখানে শুধু তোষামোদ প্রাধান্য পায়। আজ দেখা যাচ্ছে সমালোচনা হয়।
দারুন, লাইক দিলাম আপনার কমেন্টে। @ নিতাই বাবু
পর্তুলিকা
শ্রদ্ধেয় দাদা, আমার পোস্ট ব্লগে ব্লগারদের এক্টিভিটি বিবেচনায় নিয়ে লিখেছি। বাইরের চলাচল নিয়ে নয়। আর একবার পড়ুন অনুগ্রহ করে। ব্লগে আপনার এক্টিভিটিতে আপনি প্রথম ক্যাটাগরিতেই আছেন। ধন্যবাদ আপনা।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় দিদি, ক’দিন আগে বাম হাতের মাধ্যমা আঙুলের ব্যথা নিয়ে এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। বিজ্ঞ ডাক্তারের ভিজেট ৮০০/= টাকা। উনি আমার হাতের আঙুল টেনে-টুনে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বললেন, “প্রথমে তিনটে পরীক্ষা করাতে হবে।” তারমধ্যে একটা পরীক্ষা হলো, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। আমি বললাম, ‘বললাম, আমার তো করোনা হয়নি। কাজেই অন্তত আমি বান্দা করোনার নমুনা পরীক্ষা করাবো না। এতো যদি আমার হাতের আঙুল খুঁয়েও পড়ে যায়।’ ডাক্তার বললেন, “সবাই তো করে।” বললাম, ‘সবাই ভোদাই, তাই করে। আমি ভোদাই না। তাই আমি নমুনা পরীক্ষায় যাবো না।’ এই বলে ৮০০/= টাকা ডাক্তারকে দিয়ে আজও আসলাম, কালও আসলাম। আসলাম তো আসলামই, আর গেলাম না–নমুনা পরীক্ষার ভয়ে! এখন সোনেলা ব্লগে আপনি আপনার পোস্টের মন্তব্যে আমাকে যেই ক্যাটাগরিতে রেখেছেন, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম। আমি নিশ্চিত, আমি বান্দা করোনা মুক্ত! জয় হোক আপনার। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
ফয়জুল মহী
বাসা হতে বাহিরে যাই না । খাই আর ঘুমাই ।
পর্তুলিকা
এই পোস্ট ব্লগের এক্টিভিটি বিবেচনায় দেয়া। বাসার কথা বলিনি ভাইয়া। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু সত্যিই অনবদ্য , অসাধারণ। কি সুন্দর করে করোনার সাথে ব্লগারদের মিলিয়ে দিলেন। আপনাকে স্যালুট। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
পর্তুলিকা
আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
রম্য পোস্ট দেখে একটু হাসতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পুরোপুরি হাসতে পারছিনা, চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে, ভ্রু কুঁচকে উঠছে কমেন্ট করতে এসে। ভাবছি আপনাকে কোন ক্যাটাগরিতে রাখা যায় 🤔🤔
পর্তুলিকা
আমাকে ১ এবং ২ তে রাখা যায়৷☺ ধন্যবাদ আপনাকে।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার রম্যকথা সবগুলোতে থাকলে কেমন হয় অনেক শুভ্চেছা রইল আপু————
পর্তুলিকা
সবগুলোতে থাকা কি সম্ভব? আমি কি বুঝাতে পারিনি পোস্টে যা বুঝাতে চেয়েছি! ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
খুব চিন্তায় ফেলে দিলেন! প্রায় পুরো করোনা কালটাইতো আমি আইসোলেসনে আছি দেখছি। খুব সুন্দর।
পর্তুলিকা
ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করবেন
জিসান শা ইকরাম
ব্লগারদের শ্রেনী বিন্যাস চমৎকার ভাবে রম্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করলেন।
ব্লগারদের ব্লগের একটিভিটি বিবেচনায় আপনার এই রম্য পোস্ট সঠিকই আছে বলে মনে করি।
রম্য পোস্ট আরো চাই।
শুভ কামনা।
পর্তুলিকা
ধন্যবাদ ভাইয়া। বিশ্রামে থাকবেন। চোখকে বিশ্রাম দিন।
তৌহিদ
এহ হে! করোনা দেখি সোনেলার ব্লগারদের উপস্থিতিতেও জানান দিয়ে যাচ্ছে আপনার লেখায়! রম্যে রম্যে শ্রেণীবিন্যাস ভালোই করেছেন। এরকম রম্য আরো চাই। তবে সময়াভাবে অনেকেই আসতে পারেননা ঠিকমত, এটি মেনে নিতেই হবে।
ভালো থাকুন সবসময়।
ইসিয়াক
রম্য দারুণ হয়েছে। হাসতে হাসতে শেষ। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
শুভসকাল।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ক্যাটাগরি কোনটি সেটি আগে বলুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
আমার দেখা সেরা রম্য রচনা।
ব্লগারের করোনা বিশ্লষন ধর্মী
রম্য রচনাটা যতার্থ হয়েছে।
সাথে আপনার টা ও ক্লিয়ার করলে ভাল হতো।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ভীষন মাথা ব্যাথা।আপনার লেখা পড়ে ভালো হয়ে গেল।।। ভীষন ভালো লাগলো।।
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা রম্য হলেও পড়ে খুব ভালো লাগলো।
লেখাটার সততা আছে, এমন লেখা বার বার পড়তে চাই।
আমি কোন ক্যাটাগরি সেটা নিয়েই ভাবতেছি,বললে খুশি হতাম।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
আরজু মুক্তা
নিজেরটা বিশ্লেষণ করলেন না?
উর্বশী
সব ব্লগারদের জন্য দারুন মেডিসিন হিসাবে দেখলাম।এবং তা বাধ্যতামূল। কার, যে যেভাবে কাজ করবে তার ক্যাটাগরি সেভাবেই মিলবে। আমি ভাবছি স্পেশাল ক্যাটাগরি মনে হয় করতে হবে আমার মত অধম বান্দার জন্য।আর এই ক্যাটাগরির কোনো ব্যবস্থা দেশে নেই সোজা চীন।তারা যদি উদ্ভাবন করতে পারেন তো ভাল, ফিরে আসার চাঞ্চ থাকবে নয়তো নয়।
সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।হাসলাম কিছুক্ষণ ।