দুই মাস উনত্রিশ দিন পর …….
কবির সাহেব তাঁর পারসোনাল গুপ্তচর রতনের কাছে ফোন দিয়েছেন । তিনি এখন রতনের মাধ্যমে তিশার সব খবর নেন । তিশার গোপনীয় চিরকুট টা তিনি রতনের জন্যেই পেয়েছিলেন । রতন তিশাদের বাড়িতে অনেকদিন যাবত কাজ করে সেই সুত্রে সে তিশার খুব বিশ্বত্য । যদিও রতন প্রথমে কবির সাহেব কে সাহায্য করতে রাজি হয়নি । কিন্তু তাঁর আসল পরিচয় শুনে ভয়ে রাজি হয়েছে ।
হ্যালো রতন
জি স্যার বলেন ।
তিশা এখন কেমন আছে ?
বুঝতে পারছি না , কাল রাতে উনারা দুইজন মনে হয় খুব ঝগড়া করেছিলেন । আপামনি রে তো দেখছি না । ঘরের দরজা জানলা বন্ধ । দুলাভাইকে খুব সকালে বাসা থেকে বের হতে দেখছি ।
গুড । তুমি বাসাটার উপর ঠিকমত নজর রাখ । যাই হোক না কেন আমাকে জানাবে । ঠিকআছে?
জি আছা ।
এক ঘন্টা পর ……
হ্যালো স্যার এই মাত্র আপামনি বাসা থেকে বের হয়ে একটা ঔষধের দোকানে গেলেন কি যেন একটা কিনে দ্রুত আবার বাসায় ঢুকে গেলেন । দেখে অসুস্থ মনে হল ।
কি কিনেছে দেখেছ ?
না ।
দ্রুত ঐ দোকানে যাও এবং খবর নাও সে কি কিনেছে । দোকানদার বলতে না চাইলে আমার কার্ডটা দেখাবে । বুঝছ ?
জি স্যার ।
দ্রুত যাও ।
হ্যালো স্যার , আপামনি এখান থেকে ঘুমের ঔষধ কিনেছিলেন ।
বলো কি !! দ্রুত তোমার আপামনির বাসায় নক কর, দরজা না খুললে ভাঙ্গতে হবে । আমি আসছি ।
তিশার অবস্থা খুববেশী ভাল না । অনেক গুলো হাইপাওয়ার ঘুমের ঔষধ একবারে খেয়েছে । স্টমাক ওয়াস করা হয়েছে । এখনো জ্ঞান ফেরেনি । কবির সাহেব দ্রুত দরজা ভেঙ্গে হাসপাতালে না নিলে হয়ত বাঁচানো একেবারেই সম্ভব হত না । সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তিশার গর্ভস্থ বাচ্চা টাকে নিয়ে । মা এবং শিশু দুজনের জীবনই সঙ্কটে ।
চলবে ………..
৭টি মন্তব্য
কৃষ্ণমানব
প্রথম দুটো তো পড়েনি !
আর এতো ছোট পর্ব ভাইয়া !
একটু বড় লেখলে আকর্ষনিয়তা বাড়ে
সঞ্জয় কুমার
১নং https://sonelablog.com/archives/21485#comment-47861
২নং https://sonelablog.com/archives/2156
ধন্যবাদ । ।
মিজভী বাপ্পা
পড়ে ভালো লাগল 🙂
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ আপনাকে
বন্য
দেখি পরের পর্বে কি হয়!
সঞ্জয় কুমার
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ সঞ্জয় দা।