
শাপলা-শালুক ঢেউয়ের বুক চিড়ে রাতের আঁধারে
কানামাছি খেলে মিঠাপুকুরে নির্ঘুম মীনদের সঙ্গী করে।
আঁধারের প্রদীপ-শিখা তারার ফুলে নীলাম্বরের সেতারে
বিনিদ্র রাগ-রাগিনীর মৃদু ঝংকার ;
উর্বীরুহের শাখা-প্রশাখে ক্লান্ত-শ্রান্ত পাখ-পাখালির গার্হস্থ্য-জীবিকা;
প্রেতাত্মারা উঁকি ঝুঁকি দিয়ে যায় আলো-আঁধারির খাঁজে-ভাঁজে।
ব্যক্ত/অব্যক্ত পংক্তিমালা;
মনের সংকীর্ণতায় সবকিছু প্রকাশিত/অপ্রকাশিত –
গোলকধাঁধার চক্করে ঘূর্ণিপাকে ঘূর্ণায়মান।
মনন-দ্বার লৌহ-শিকলে আবদ্ধ;
নিকৃষ্ট পাখির কা-কা-কা স্বরে ব্যঞ্জন সুর সাধিয়া;
অশনি সংকেতের ধ্রুপদী ছুঁয়ে যায় কর্ণ-গহ্বরে।
চিত্ত হয়ে ওঠে ব্যাকুল-
কিসের দুন্দুভি বেজে যায় নিদ্রালু ভাবনার আকাশে!
ঈশানে ক্ষীণ রক্তিম আভা, আঁকিউঁকি নব-স্বপ্নের ভূষণ।
৩১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন কঠিন কথার আড়াল ফেলে স্বপ্ন-ভূষণের আঁকাআঁকি!
গোলক ধাঁধায় আমরা কিছু মনে নিচ্ছি না।
আজ এ কী লেখা পড়লাম!!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনাকে। কেন ভাইয়া ভালো হয়নি?
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ভাল বলেছি,
ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার এমন কমপ্লিমেন্ট পেলে আর কিছুই লাগেনা ভাইয়া। আনন্দিত বিমোহিত হলাম। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
ইঞ্জা
মনন-দ্বার লৌহ-শিকলে আবদ্ধ;
নিকৃষ্ট পাখির কা-কা-কা স্বরে ব্যঞ্জন সুর সাধিয়া;
অশনি সংকেতের ধ্রুপদী ছুঁয়ে যায় কর্ণ-গহ্বরে।
চিত্ত হয়ে ওঠে ব্যাকুল-
ওরে বাবারে, এতো দেখি আরেক কুবিরাজ @sairas helal ভাই।
এতো কঠিন শব্দে আমি খেয় হারালাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শরম পাইলাম ভাই । কৈ হেলাল ভাই আর কৈ আমি। কি যে কন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। খেই হারানোর কিছু নেই ভাইয়া । 🙄🙄
ইঞ্জা
আপু আমি কঠিন শব্দের কবিতা বুঝার মানুষ না, এ আমার অপারগতা ধরতে পারেন, ভালো থাকবেন আপু।
শামীম চৌধুরী
দিদিভাই, লেখায় প্রতিটি শব্দ মন ছুঁয়ে দিল। খুহ সুন্দর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভাইয়া আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
দিদির লেখায় কিষের ছোয়া
লাগলো এখন গাঁয়
মনটা এখন উড়াল পাড়ে
প্রীতির মায়ায়।
শুভ কামনায়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা নিরন্তর
তৌহিদ
গৃহবন্দী নই তবুও যেন বন্দীত্ব বরণ করে নিতে হয়েছে অযাচিতভাবেই। কিছুই ভালো লাগছেনা, সব বিষাদময় ঠেকছে দিদিভাই।
সুন্দর লিখেছেন, শুভকামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবকিছু বিষাদময়। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
তৌহিদ
অবশ্যই দিদিভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
মনের সংকীর্ণতায় সবকিছু প্রকাশিত/অপ্রকাশিত –
গোলকধাঁধার চক্করে ঘূর্ণিপাকে ঘূর্ণায়মান। এমন ক্ষণে নব-স্বপ্নের ভুষণ গায়ে চড়িয়ে সূচনা হোক নব-দিনের।
জানিনা কি বুঝলাম, মহারাজের দ্বৈত রুপ দেখতে পাচ্ছি। আগেই তিনি আমার অনেক দাঁত নিখোঁজ করে দিয়েছেন। বাকি গুলো শীঘ্রই ভেঙে যাবে এমন লেখা পড়তে পড়তে 🙁
উর্বীরুহ! এর অর্থটা জানালে উপকৃত হতাম 🙂
শুভ কামনা অনেক অনেক 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বুঝেছেন। 🤣🤣😋😋 আমি তো ভেবেছিলাম দাঁত আরো শক্ত আছে, আগেই যেহেতু পড়ার অভ্যাস আছে। উর্বীরুহ হচ্ছে গাছ। অসংখ্য ধন্যবাদ দাঁত ভাঙ্গার ভয় নিয়েও লেখাটি পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো অবিরাম
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বী, আমিও ভালো থাকতে চাই
যদি এমন দাঁত-ভাঙচুর লেখার সাথে একখানা অভিধান পাই 😇😇
রুমন আশরাফ
এতো সুন্দর সুন্দর শব্দভাণ্ডার এই কবিতাটিতে! ভালো লাগলো বেশ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো লাগলো মন্তব্য। নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
আরজু মুক্তা
এই বিষাদময় জীবনে কিছুই ভালো লাগেনা।
কবিতা ভালো লাগলো
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এই বিষাদের সময় ও যে কিছু টা ভালো লাগা দিতে পারলাম। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
নিতাই বাবু
করোনাকালে কঠিন সময়ে কঠিন শব্দের এক কবিতা পড়ে কবিতার ভেতরেই যেন ডুবে মরলাম। তবে হ্যাঁ, দিদি। কাককে নৃকিষ্ট পাখি বললেন কেন? কাকও কিন্তু আমাদের অনেকিছু বুঝিয়ে দেয়। যেমন: ঘর থেকে বের হবার সংগে সংগে কাক যদি কা-কা-কা করে ডাকে, তাহলে বুঝে নিতে হয় যে, পথে বিপদ আছে। কাক আমাদের জীবন চলার মাঝে আরও অনেককিছুর সাক্ষী হয়ে থাকে। তবু্ও কাক আমাদের চোখে নৃকিষ্ট পাখি!
যাইহোক, আমরা এখন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছি। আপনার কবিতায় তা-ই বলে দিচ্ছে।
আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা কাক আমাদের চারপাশের সব খারাপ জিনিস খায়, মৃত্যু সংবাদ পাই প্রিয়জনের তার স্বরে তাই তাকে এভাবে বলেছি। শুনেছি শেষপ্রহরে কাকের ডাক অমঙ্গলের বার্তা জানায়। পরিবেশের বান্ধব অনেক দিক দিয়েই তবুও সে নিকৃষ্ট পাখি। সুন্দর মতামতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভ কামনা
তৌহিদ
সোনেলায় আপনার ১০০ তম পোষ্ট এটি। এত তাড়াতাড়ি! মনে হয় এইতো এলেন সেদিন। এভাবেই এগিয়ে চলুন দিদিভাই।
শুভকামনা সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম সেটাই ভাইয়া। আমিও ভাবিনি এতোটা আগাতে পারবো। কিভাবে যে কি হয়ে গেল। এভাবে কখন ই লিখিনি শুধুমাত্র আপনাদের অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসায় পেরেছি এতোটা পথ আসতে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়। অবিরাম শুভ কামনা আপনার জন্য ও রইলো
পার্থ সারথি পোদ্দার
ভালো লাগল কবিতাটি।মনে রাখার মত একটি কবিতা।লিখতে থাকুন,দিদি।আর শততম মাইলফলক অর্জনে আপনাকে জানাই অভিনন্দন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দাদা। খুব ভালো লাগলো আপনার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আপনাদের অনুপ্রেরণা ও আশীর্বাদ আমার আগামীর পথচলা সুস্থ ও সুন্দর হোক এই কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
ভিন্ন ধরনের কবিতা,
ভালো লেগেছে খুব।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা ভাই। আপনাদের শুভ কামনা ও অনুপ্রেরণা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
শান্ত চৌধুরী
কিসের দুন্দুভি বেজে যায় নিদ্রালু ভাবনার আকাশে!
ঈশানে ক্ষীণ রক্তিম আভা, আঁকিউঁকি নব-স্বপ্নের ভূষণ।
অসাধারণ কথামালা।
শুভ কামনা সতত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। সাবধানে থাকবেন সবসময়। শুভ কামনা রইলো