হঠাৎ করেই একদল তরুন জড়ো হল শাহবাগে, হাতে প্ল্যাকার্ড, নির্ঘুম রাত, এবং ধীরে ধীরে আরো অনেক মানুষের যোগ দেয়া, মিডিয়া কাভারেজ, স্লোগান ইত্যাদি।
শাহবাগ নিয়ে দুই-একটা আবেগী পোস্ট চোখে পরেছে। নিঃসন্দেহেই এটা আবেগের ব্যাপার, এত বড় আন্দোলন ইতিপূর্বে এ প্রজন্ম আর মনে হয় দেখেনি, আজীবন তারা মনে রাখবে। পাশাপাশি কিছু প্রোপাগান্ডাও চলে আসলো – গাজা, বিরিয়ানি, অশ্লীলতা, নাস্তিকতা, এমন হাজারো কথাই শুনলাম। তবু শাহবাগ তো মন থেকে আস্বীকার করে ঝেড়ে ফেলা না। এক বড় ভাইয়ের কাছে ছাত্রলীগের ইনভোল্ভ্মেন্টের আভাসও পেলাম। তবু বিশ্বাস হারাতে মন চায়নি। যাইহোক, আজ এই সময়ে এসে মনে হয় এখনো কিছু হিসাব মেলানোর বাকি আছে, বোঝার আছে, তারই চেষ্টা করছি।
প্রথমতঃ “যুদ্ধাপরাধ” শব্দটা কিভাবে জনপ্রিয় হল এবং “রাজাকারে”র প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখা দিল, সেটা এখন গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে সময়টা মনে হয় সাবেক ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের আমলের। লীগ সরকার আসার পর অনেকেই আশা করছিল এবার বিচার হবেই। কিন্তু প্রতিনিয়ত মনে হত সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। ভার্সিটিতে প্রায়ই দেখতাম ছাত্রলীগের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চেয়ে প্রোগ্রাম। ভাবতাম, ছাত্রলীগ তো সরকারেরই বি-টিম, এখনকার ছাত্র রাজনীতি যেমন আর কি, ওরা কেন দাবী জানাবে? তারচেয়ে সাধারণ মানুষ কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে এরকম দাবী ঠিক মানাতো।
যাইহোক, বাচ্চু রাজাকার পলাতক হিসেবে ফাসীর রায় পেল, এমনটাই অনেকের ধারণা। বাচ্চু রাজাকার এখন দৃশ্যপটের বাইরে। কিন্তু খুনী কশাই কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড দেয়া হল না। কেন হল না, সেই হতাশা থেকেই শাহবাগের জন্ম, সেই ফাসীর দাবী! স্পষ্ট দাবী এটা, কোন ভেজাল নেই।
কিন্তু শুরু থেকেই একটা বিষয় প্রায় সবাই এড়িয়ে গেছে অথবা এখনো যায় – এই যে ফাসীর দাবীটা, এটা কার কাছে? সরকারের কাছে, নাকি বিচারকের কাছে? বিচার বিভাগ তো এখনো শাসনতন্ত্র থেকে আলাদা হয়নি, তাই দায়টা সরকারের উপর কিছুটা হলেও বর্তায়। কেন সরকারের কাছে দাবী চাওয়া হল না? কারণ বিশিষ্ট ব্লগার যারা আন্দোলনের প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে, তারা আদপে আওয়ামী পন্থী ছিল বলে? সরাসরি সরকারের কাছে দাবী করলে একটা সরকার-বিরোধী গন্ধ এসে যায়? নাকি এ ব্যাপারটা তাদের নজর এড়িয়ে গেছে?
শাহবাগের হঠাৎ জাগরণ দেখে অনেকে নতুন কিছু আশা করেছিল। ভেবেছিল এ থেকে হয়তো একটা পরিবর্তন আসতে পারে। বলা হয়েছিল শুধু ফাসীর দাবীর পাশাপাশি অন্য অনেক বিষয়েও দাবী তোলার কথা, যেহেতু যুব-সমাজ দেশ নিয়ে তাদের সচেতনতার প্রিচয় দিতে পেরেছে। কিন্তু যে কারণেই হোক, এই প্রস্তাবকে স্বাগতম জানানো হল না। বরং “বিচার চাই, তবে…” এরকম কথা চালু করে হাস্যরস চলল, যাকে তাকে ট্যাগ দেয়া হল ইচ্ছামত। এমনকি সরকারের ভিতরকার রাজাকারদেরও বিচার দাবী করা গেল না।
অর্থাৎ, তাদের দাবী একটাই – ফাসী। এর বাইরে কিছু বলা যাবে না। ঠিক আছে মানা গেল, কিন্তু সেই এক দাবীর মধ্যে কি তারা আদপে সীমাবদ্ধ থাকতে পেরেছে? ধীরে ধীরে দফার লিস্ট কি বড় হয়নি? কাদের মোল্লার ফাসী থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী, সেখান থেকে জামাত নিষিদ্ধ করা, সেখান থেকে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করা, তারপর পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা, পণ্য বর্জন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এর ভিতরে সীমান্তে মানুষ হত্যার দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা বা অন্তত একটা স্লোগান দিলে কি এমন অশুদ্ধ হয়ে যেত? দিন শেষে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার প্রশ্নটাই তো মূল, নয় কি?
আরেকটা ব্যাপার ছিল ব্লগার থাবা বাবা’কে শাহবাগ এবং মিডিয়ায় জোর করে আস্তিক বানানোর চেষ্টা এবং ঘটা করে তার জানাজা পড়ানো। কি দরকার ছিল? বরং এটা আরো অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একজন আন্দোলনকারীর খুন হওয়াটা যেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারত, সেটা আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের মধ্যে হারিয়ে গেল, কি অদ্ভূত!
শুরুর দিকে শাহবাগের নিরপেক্ষতা আমরা দেখেছি। লীগের বড় বড় নেতারা সেখানে দাড়ানোর সাহস পায়নি, তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে কি হল? আবুল মাল মুহিতের মত মন্ত্রীও সেখানে আপ্যায়িত হয়ে এল। কিভাবে? শুরুতে তাহলে কি এসব অভিনয় ছিল? নাকি শাহবাগ শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি সরকারের পান্ডাদের দখলে চলে গিয়েছিল? রুমি স্কোয়াড কিংবা বাম সংগঠনগুলোর দাবী তো ভিন্ন কিছু ছিল না, তাদের কেন আলাদা রাখা হইল, এমনকি হাতাহাতিও করা হল তাদের সাথে? সব মিলিয়ে মনে হয় তারা মোটেও ঐক্যবদ্ধ ছিল না, অথবা আরো খারাপ যেটা যে কিছু লোক সরকারের কাছে তাদের মাথা বিক্রি করে এসেছে। এদের সরকার যা বলায়, এরা তাই বলে, যা করায়, তাই করে। সরকারের দেয়া পুলিশী নিরাপত্তা, খাবার পানি এবং টয়লেট, ইত্যাদির কাছে তারা ঋণী হয়ে পরে।
আর এসবের মাঝে হঠাৎ দেখলাম কোটা-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে রেশারেশি, পুলিশী একশন, এবং শেষ পর্যন্ত আন্দোলনরত ছাত্রদের গণহারে “ফকিন্নি পুত” বলে ট্যাগ দেয়া! সব দেখে তখন মনে হয়েছিল– “শাহবাগ, তুমি কার?”
সব মিলিয়ে শাহবাগকে এখন মনে স্থান দেয়াটা বড় কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। জানি না, সেই পাঁচ ফেব্রুয়ারির মত আবার একটা কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব কিনা। যেটা আরো বস্তুনিষ্ঠ হবে, যেখানে কোন সন্দেহ, রেশারেশি থাকবে না, যা স্বপ্ন দেখাবে এক নতুন বাংলাদেশের। আজ এ পর্যন্তই।
২৭টি মন্তব্য
আজিম
হাঁ, আপনার কথা ঠিক; শাহবাগই স্বপ্ন দেখাবে এক নতুন বাংলাদেশের।
আগামীতে বাংলাদেশের শুদ্ধতার শুরুই হবে এখান থেকে।
আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিবেদনটির জন্য।
antar
(y)
নওশিন মিশু
আপনার “নিরপেক্ষ” Observation সত্যিই অসাধারন…..
প্রজন্ম ৭১
নিরপেক্ষ বলা হলেও লেখাটি নিরপেক্ষ নয়।কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে লেখায়।
নওশিন মিশু
সহমত ….
বৃষ্টিহত ফাহিম
কে জানে? আমি শুধু আবেগটা চড়াইনি, এই পর্যন্তই জানি। আপনারা ভালো থাকবেন।
নুসরাত মৌরিন
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষন মনে হলো না ঠিক।
শাহবাগ ছিল বাঙ্গালির শুদ্ধতম আবেগের প্রকাশ।
কিন্তু যারাই একে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে তারাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই কিন্তু, তবে…এসব বলেছে।
শাহবাগ ব্যর্থ আন্দোলন বলা যাবে না কিছুতেই,যে দাবীর জন্য ৫ই ফেব্রুয়ারী জনতা সমবেত হয়েছিল,সেই দাবি ঘরে নিয়েই আমরা ফিরেছি।আপিল করার অধিকার।দফার লিস্ট বড় হবেই কারন,এক কাদের মোল্লার ফাঁসিতেই কিন্তু সবটুকু পাওয়া হয় না।শেষ যুদ্ধাপরধীটার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাঙ্গালির দাবি থাকবেই।
শাহবাগ শতধা বিভক্ত হয়ে গেল কেন?সে প্রশ্নের উত্তর ঘাটতে গেলে অনেক প্রশ্ন এসে যাবে।শুধু বলি অদূরদর্শিতাই এর মূল কারন ছিল।নয়ত সারা দেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ “আমরা” যারা সেদিন সেখানে,এখানে,ওখানে জড়ো হয়েছিলাম,আমরা কিন্তু আমাদের চাওয়া থেকে এক চুল সরে আসি নাই।আমাদের প্রানের দাবী ছাড়ি নাই।
বৃষ্টিহত ফাহিম
জ্বী ঠিক ধরেছেন, “অদূরদর্শিতা”। এই এক শব্দেই সবকিছুর জবাব দিয়ে যাচ্ছি।
খসড়া
আমি শাহবাগকে আমার দৃষ্টিতে দেখি। আমি আমার মত প্রতিবাদ করি। এখানে আমি দল মত শ্রেনী খুজি না।
ব্লগার সজীব
‘যুদ্ধাপরাধ’ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। রাজাকার একটি স্থানীয় বিষয়।২য় মহাযুদ্ধে নাৎসিদের বিচার হয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী হিসেবে।নাৎসি হিসেবে নয়।রাজাকারদের অপরাধের বিচার হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী আইনে।যেমনি নাৎসিদের যুদ্ধাপরাধী আইনে বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন কি এ বিষয়ে আপনি একটু পড়াশুনা করুন ভাইয়া। রাজাকার কিভাবে যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলো এই প্রশ্ন করা জেনে শুনে সস্তা বাহবা নেয়ার একটি অপচেষ্টা।
ছাত্রলীগ এই দাবী করলে সমস্যা কি?জনমতের কি প্রয়োজন নেই?বর্তমানে আগুনে পুড়িয়ে মারার সন্ত্রাস চলছে,এটি বন্ধ করার জন্য লীগ কি মাঠে দাবী করছে না? এটি জনমতের জন্য প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না আপনি?
আপনার পুরো লেখার মাঝে বিএনপি অনুপস্থিত,তারা কেন রাজাকারদের বিচার করলো না, বা বিচার চেয়ে শাহাবাগে আসলো না, তা কিন্তু আপনার লেখায় নেই।
বৃষ্টিহত ফাহিম
ভাই, “যুদ্ধাপরাধ” নিয়ে তো আমি কোন আপত্তি করি নাই, শুধু ইতিহাসের অংশ হিসেবে উল্লেখ করলাম।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
শাহবাগ নিয়ে আমার ব্যলতিগত কোন মোহ নাই। প্রথম কিছুদিন আনন্দ হইছিল। এরপর মনে হইলো তামাশার মত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে ঘাদানিকের কর্মসুচীগুলো কোন আমলের মিডিয়াই হাইলাইট করেনাই। কিন্তু উনারাই পথিকৃত ছিলেন। শাহবাগীদের একমাত্র যেই কথাটার সাথে আমি একমত না, সেইটা হইলো ফাসি চাই। কোন যদি বা কিন্তু নাই। কেন নাই? এইটা একটা স্বাধীন দেশ। সব মানুষের নিজের মত প্রকাধের স্বাধীনতা আছে। বিচারে যেটা হবার ঠিক সেটাই হবে। দরকার হইলে সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার দিয়ে হবে। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক নিয়মেই হবে। শাস্তির মাত্রা বাড়াইতে সরকার আইন ও করে দিতে পারে। যদিও আমি ফাসির পক্ষে না। ফাসি মানেই তো কাহিনী শেষ। এরচেয়ে কনডেম সেলে সারাজীবন পুতে রাখাটাতো বেশি কস্টের হইতো। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শাস্তি হইতো।
আমার বড় চাচার কাছে কাহিনী শুনছিলাম। ফটিক নামে এক রাজাকার ছিলো, যার কারনে আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে যাবার পরেও যখন পাকি আর্মি আমার দাদার বাড়ি ঘেরাও দেয়, তখন সেই ফটিক রাজাকার নাকি কোনভসবে রক্ষা করছিল আমার ছোট চাচা আর দাদীকে। আর কয়জনরেও নাকি বাচাইছিল। বড় চাচা লন্ডনে ছিলো পিএইচডির জন্য। দেশে এসে শুনছে। এরপর যুদ্ধ শেষে ওই রাজাকারকে নাকি ধইরা খুব কস্ট দিয়ে মারছিলো। চাচা কস্ট নিয়েই বলতেছিল এসব। এর মানে ওই রাজাকারের জন্যও চাচার মনে মায়া ছিলো। এইটাকে কি আমি দেশদ্রোহিতা হিসেবে ধরবো? যেই ধরুক, আমি ধরিনা। আমার বাবাও আমারে এই শিক্ষা দেয়নাই।
আরো কিছু কথা বলার ছিলো। মোবাইলে টাইপ করি দেখে থেমে যাচ্ছি।
বৃষ্টিহত ফাহিম
খুবই ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনার দাদার ঘটনাটাও পড়লাম। আসলে অনেক ব্যাপারই আছে যেগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। অনেক দিক বিবেচনা করেই কিনতু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে ফাসি নিয়ে আপনার মতের সাথে একমত না। কারণ জনগনের টাকায় ওদের ভরণপোষণ আর কত? তবে এটাও ঠিক যে যার যে শাস্তি প্রাপ্য তা-ই দিতে হবে। নয়তো অন্যায় হয়ে যায়।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট নিয়া ভিন্নমত থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু খাওয়া সরকার না দিয়া সম্পত্তি ক্রোক করে ওইটা দিয়েও চালাইতে পারে।
আর আমিতো রাজাকারের ফাসি চাইনা শুধু। যুদ্ধাপরাধীর ফাসি চাই। ওইটা বাঙ্গালি হত্যার জন্যই হোক অথবা বাঙ্গালী দিয়া বিহারী হত্যার জন্যই হোক। এইটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই যে ওই সময় ৩-৪ লাখ অবাঙ্গালীও মারা পড়ছিল। ওইখানেও যদি কোন বাঙ্গালী অপরাধ করে, তারও বিচার হবে। সাধারন ক্ষমা মানে এই ছিলনা যে সব দায়মুক্তি। যে কোন অন্যায়ের বিচার চাওয়ার অধিকার এরপরেও সবারই ছিলো। কিন্তু দেশটা ভাগ হয়ে গেছিলো। বিশ্বের প্রায় সব সদ্য স্বাধীন দেশে যেরকম বিবাদ লাগে আরকি…
বৃষ্টিহত ফাহিম
অবাঙ্গালী মারা যাবার কথাটা তো পাকিস্তানি প্রোপাগান্ডা বলে জানতাম। অবশ্য ২৫ মার্চের আগে এমন একটা দাঙ্গার কথা কোথায় যেন শুনেছিলাম। তবে সেটা তো যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পরে না। যাইহোক, হয়তো আমার সঠিক জানা নাই। তারপরও কথা থেকে যায়, বিহারীরা আদৌ বাংলাদেশকে স্বীকার করে কি? যদি দেশের উপর তাদের আস্থা না থাকে তাহলে বিচারের প্রশ্ন বৃথা। আর তারা চাইলে আদালতের কাছে বিচার তো চাইতে পারত, কে বাধা দিচ্ছে?
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
http://en.m.wikipedia.org/wiki/1971_Bangladesh_genocide
এই লিঙ্কটা পইড়েন। পড়লে মনে হবে যে কিছুই বুঝেননাই। যুদ্ধের একদম সঠিক পরিসংলহ্যান কখনোই সম্ভব না। বিহারী কিলিং হইছিলো, রায়টের মত। ২৫ মার্চের আগে, আবার বিজয়ের পরে। আপনেরে মারবে আর আপনি ছাইড়া দিবেন এইটা হয় নাকি। কিন্তু আমার কাছে যুদ্ধাপরাফহ যেই করুক, তারই বিচার হোয়া উচিত। কিন্তু ফাসির পক্ষে না। তবে ধর্ষনের জন্য পুরুষাঙ্গ কর্তনের পক্ষে।
উইকি ভালো সুত্র না, কিন্তু নানা মতের ধারনা পাবেন।
জিসান শা ইকরাম
লীগের বড় বড় নেতারা সেখানে দাড়াতে পারেনি,
তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে,
বোতল ছুড়ে মারা হয়েছে তাঁদের দিকে
— এটা কেন হবে? সমস্যাটা কি? আপনার ব্যখ্যাটি একটু জানার ইচ্ছে থাকলো।
বৃষ্টিহত ফাহিম
ব্রাদার, আমি মাহাবুব-উল আলম হানিফের কথা বলছিলাম। সাথে সাজেদা, সাহারা খাতুন, ইনারাও আছেন। লিঙ্ক দেয়ার পাচ্ছি না।
আমি আসলে পরিবর্তিত অবস্থা বুঝানোর জন্য এর উল্লেখ করেছি। যদি ভুল কিছু বুঝে থাকেন তবে ক্ষমা প্রার্থি।
হৃদয়ের স্পন্দন
হা হা হা
সকলের মন্তব্য পরে একটা পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা জাগলো আসছি আজ রাতেই
বৃষ্টিহত ফাহিম
একটু রয়ে-সয়ে…
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
http://www.mediafire.com/?ffz9hec7c0ccpp0
U may check this one. I tried to write something about our and subcontinental historical events years back.
বৃষ্টিহত ফাহিম
ভাই, বলতে কি…এদেশে সঙখ্যালঘুদের উপর হামলার সঠিক বিচার হয় না, পাহাড়ি আদিবাসীদের উপর হামলার খবর হিটলিস্টে আসে না। রহিঙ্গাদের কথা নতুন করে কিছু বলার নাই। আর বিহারী, সে তো বহু দূরের ব্যাপার!
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ঠিক তাই। চাপা পড়তে বাধ্য। হিলসে কম অত্যাচার করেনাই আমাদের সেনারাও। কিন্তু তখন তো মিডিয়া ছিলনা। এখন সম্ভব না। সময়ের সাথে অনেক কিছুই কমে গেছে। পাহাড় এখন শান্তই।
যতটুকু জানি জিয়া পাহারে ম্যাসাকার শুরু করছিল। এরশাদ চালাইয়া গেছিল।
মাহামুদ
সবাই কেনো সোজা ভাবে সোজা জিনিসটা বলতে পারেনা?
এই রায়ে সবাই ক্ষুব্ধ হয় আর কিছু কিছু তরুণ আর কিছু বামপন্থী ছাত্রসংগঠন এই আন্দোলন শুরু করে এবং চালিয়ে যায়। আর এই দাবীতে সম্পূর্ণ দেশের মানুষের অকৃত্রিম সমর্থন পায়। ভালোবাসা তো আর অস্বীকার করা যায়না!
কিন্তু পরবর্তীতে কেনো জনগণ সরে যায়??
কারণ পরবর্তীতে এই আন্দোলন বামরা দখল করে এবং নিজেদের দাবীদাওয়াই পেশ করে। এমনকি বহু প্রতিষ্ঠান তারা বন্ধ করতে বলে যাদের সাথে জামায়াতের কোন সম্পৃক্ততা ছিলেনা। বরং সেই সব প্রতিষ্ঠান এতে বিব্রত বোধ করে এবং পত্রিকা মারফত এর প্রতিবাদ জানায়.। স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় রাজাকার এর বিচার এর দাবীতে আর পরে মঞ্চ একে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবীতে পরিণত করে। এ কেমন হলো???
আরো যেসব দাবী মঞ্চ করে তার কোনোটিই আর যাই হোক জনগণের দাবী ছিলোনা, শুধুমাত্র রাজাকারদের বিচার ব্যাতিত। ব্যাস।
মোঃ মজিবর রহমান
এই শাহবাগকে নিয়ে
বিএনপি তো ভন্ডামী করল
আবার আওয়ামীলিগ রাজনীতি কল্ল।
এই শাহবাগের জন্য পায়ের তলায় মাটিহীন সরকার
ঘুরে দাড়াল আবার এই সরকার প্রয়জনে বিভাজন কল্ল।
হায় ! সেলুকাস!
মোঃ মজিবর রহমান
এই শাহবাগ নয় আমরা বিডিব্লগের কয়েকজন কাদের মোল্লার
ফাসির জন্য আলুব্দিগ্রামে প্রতিকি ফাসি দিতে গিয়ে মবাইলে হত্যার হুমকি, এমন কি কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের কাজ করেনি।
মাঝে অনেকে অনেক বেদনাহত হয়েছে।
আর এব্যাপারে বলে কোন মনকষ্ট পেতেও ইচ্ছে করেনা।
মোঃ মজিবর রহমান
এই শাহবাগ নিয়ে হবে।