তোমার বলার প্রতিটি নিঃশব্দ-ভাষা, প্রতিটি হরফ-যতির অনুপুঙ্খ
সবই জানা, শ্বাস-নিশ্বাসের মত, ঐ-যে শব্দ-চোখ-মুখ-ঠোঁট-চিবুক,
টইটই করা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে রাত জাগা, প্রতিটি লোমকূপের স্বেদ-ঝর্ণা,
গড়গড় করে চোখ-মেলে-বুজে পড়ে যেতে পারি;
শ্রুতি গ্রাহ্য অনুচ্চারতায়ও, প্রকাশের ভাষাটি শুধু শিখতে পারিনি।

মুখের কবর-নিস্তব্ধতা ঝেড়ে ফেলে জ্যোৎস্না-আঁকা শান্তিদূত হয়ে হাসো,
পূষা-বিভূষণা ঊষা, দ্বার খোলো, একবার-ই, হাসি-হাসি-মুখে;
বক-জ্যোৎস্নার-ঝিলমিল সুখে।

“এই শোনো না”
এ’কথাটি কায়দা-সুন্দর করে বলার কথা ভাবি, বলি-না,
বলতে পারিও-না,
তিরতির করে কাঁপা শব্দ-ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে!!

হুজুগে নিন্দামন্দ করিনি, শর্তসাপেক্ষের হাসা, হাসি-ও-নি,
অবদলযোগ্য ইনসাফি হাসি পেতেই পারি, ভালোবাসাকে ধ্রুব সত্য ভেবে,
মহানুভবতা বা অনুকম্পার হলেও, আপত্তি রাখছি না।

ঋতুবতীর রেণুময় হাসিতে বুঁদ হয়ে,
বখে যেতে যেতে হলেও প্রকাশ-ভাষাটি
শিখেই নেব, এবারে;

৪৫৮জন ৪৫৮জন

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ