শব্দের বিচ্ছেদ

প্রদীপ চক্রবর্তী ২০ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ০১:২৩:০০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৪ মন্তব্য

অগ্রহায়ণ আসলে গ্রাম জুড়ে ইরিধানের দাম্ভিকতা বেড়ে যায়। সে সুযোগে রাখালিয়া মেয়েটির কাজল চোখে হেমন্তের বাহার বাড়ে।
ইচ্ছামতিও স্রোতহারা হয়ে আপন লাজুকতায় ছুটে চলে। ইরিধানের মাঠ জুড়ে আছে কেবল সুগন্ধিময়।

বিকেল হলে কবির কাব্যপাঠে ডাহুক পাখিরা আসে।
জানালার ফাঁক দিয়ে আলতো রোদে হিমেল বাতাস ঢোকে। ধূপ ধুনার গন্ধে গোধূলিসন্ধ্যা নামে।
আকাশের ধবল মেঘের মতো একঝাঁক মাঠের গরু গোষ্ঠগৃহ ফিরে। সে গোধূলিতে ঘরমুখো পাখিরাও আবাসনে ফিরে।

সন্ধ্যা হলে পাড়ার অলিগলিতে চায়ের কাপের চুমু,
মনে করিয়ে দেয় হেমন্তের গায়ে শীত এসেছে।
জলরাশি ঠাণ্ডা হলে কর্পূরের গন্ধ আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। পাতারাও কুয়াশার নির্যাস মাখে।

ভালোবাসা চাওয়ার তাগিদে, ধুলোময় মিছিলে পড়ে থাকে বিদ্রোহীর চিঠি।
অক্ষরে অক্ষরে বিচ্ছেদ আসে।
বিকিয়ে যায় যৌবন।

কিন্তু আজও আমাদের প্রেমিক হয়ে ওঠা হলো না।
বরং প্রাচীরের শতবর্ষের ক্লান্ততা ঘিরে আছে।
আজও অনেক রাত অগোচরে চলে যায়,
না বলা কথায়। অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়,
শৈবালের গা ঢাকায়।
যে চাঁদের আলো মেখে কবিতা লিখতে বসতাম,
সে কবিতার শব্দরাও হারিয়ে গিয়েছে।

শূন্যতা নিয়ে প্রেমিক হওয়া যায়না, প্রিয়।
তাই প্রতিটি শব্দের অক্ষর জুড়ে কেবল বিচ্ছেদ।

১০৯৭জন ৯০৮জন
0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ