
ছোটবেলা থেকেই সবার পড়া একটি কবিতার লাইন।আমাদের শিক্ষকরা শিখিয়েছেন অনেক করে,কিভাবে প্রানিদের উপর মায়া করতে হয়, ভালোবাসতে হয় , পাশে থাকতে হয়।সভ্যতা আর সভ্য জাতির নামে আমরা অনেক অনেকদুর এগিয়ে যাচ্ছি।সাথে অনেক কিছুই ভুলতে বসেছি। তাই আজ গরুর চোখে মরিচ ঢুকিয়ে নদী পার করছি।খুধার্থ পাহারাদার কুকুরদের,পথরোধ করা হিংস্র কুকুর বানিয়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।যেন বসবাসের যোগ্য শুধু আমরাই।অথচ আল্লাহ মাখলুকের একটিকেও অপ্রয়োজনে বানাননি।
সাল ১৯৭১।দেশে যুদ্ধকালীন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান।পাকিস্তানি সেনাদের সাথে দেশীয় স্বার্থান্বেসী পান্ডারা যোগ দিয়েছে বিভিন্ন ভাবে।তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে নিজের বাড়িতে।খোঁজ দিচ্ছে কোন বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা আছে।কোন বাড়িতে যুবতী সুন্দরী মেয়ে আছে।কোন বাড়িতে সুন্দরী বউ আছে।তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে দিনের পর দিন নির্যাতন করছে।বীরাঙ্গনাদের গল্প পড়লে আজও আমাদের গা শিউরে ওঠে,লোম খাঁড়া হয়ে যায়।কিভাবে তাঁদের বন্দি শিবিরে নির্যাতন করা হয়েছে। এরকমই একটি ঘটনা হয়ত ঘটতে পারত কারও জীবনে।তিনিও খেতাব পেতেন বীরাঙ্গনার। তাঁকে বাঁচিয়েছিল তাঁর ছেলে ‘লাল‘একটি কুকুর।
নুরজাহান খন্দকার। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তখনকার দিনে বারো তের বছর বয়সে বিয়ের নিয়ম থাকায় যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র এিশ বছর।লম্বা,ফর্সা,স্লিম হওয়ায় তা আরো কম লাগত।তিন ছেলেমেয়ে আর স্বামী সহ সুখের সংসার।বড় ছেলেটি সবেমাত্র ম্যাট্রিক পাস করেছে,মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে আর সদ্য জন্ম নেয়া নবজাতক শিশু।আর অন্যতম সদস্য ,লাল‘।কুডিয়ে পেয়েছিলেন রাস্তায়।তাঁকে কুকুর বলতে নারাজ তিনি।ছেলের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন লালকে।
পাশের বাড়িতে আশ্রিত কিছু মানুষ। নিজেদের ‘মুক্তিফৌজ‘ পরিচয় দেয়।আসলে তাঁরা “মুক্তিফৌজ”নামে ডাকাত। তাঁরা দিনের বেলা খোঁজ খবর নেয় কোন বাসায় বড় গরু,ছাগল,ভেড়া আছে।রাতে চলে ডাকাতি।সাথে বাড়ির যুবতী মেয়ে কিংবা মা তাঁদের তুলে নিয়ে যেত।
নুরজাহানের বড় ছেলে ও স্বামী গেছে যুদ্ধে।বাড়িতে মেয়েসহ দিন কাটছে নানা দুশ্চিন্তায়।কখন কোন বিপদ এসে হামলে পড়ে!
কোন এক সকালে পাশের বাড়ির “মুক্তি ফৌজ”এল চাঁদা চাইতে।তিনি সাধ্যমতোই দিলেন।তাতে তাঁদের মন ভরল না,চেয়ে বসল একটা গরু আর একটা খাসি।
নুরজাহান বললেন,বাবা আমার স্বামী ছেলে তো কেউ বাসায় নেই আমি কেমন করে দেই।
অনেক অনুরোধেও তেমন কোন কাজ হললা। তাঁরা মনমতো গরু খাসি ধরে নিয়ে গেল। সন্ধ্যা থেকে চলছে গান বাজনা আর রান্নার মৌ মৌ গন্ধ।খাওয়া দাওয়া শেষ হলে শুরু হয় সুরাপান।তারপর যাঁদের ধরে আনা হয়েছে চলবে তাদের উপর অত্যাচার।
আকাশ বাতাস ভারী হবে তাঁদের আত্মচিৎকারে।দেশীয় দালাল আর পাকিস্তানী হানাদাররা উল্লসিত হবে আদিম নেশায়।
লাল বিকেল থেকেই ভীষন অস্হির।পুকুর পাড়ে যায় আর ঘেউ ঘেউ করে জোরে জোরে। শত্রুদের সাবধান করে ফিরে এসে মায়ের আঁচল টেনে বোঝাতে চায়-
মা আজ আমাদের সমুহ বিপদ।তুমি সাবধান হও,আমার বোনকেও সাবধানে রাখ। আমি তোমার ছেলে বড় অসহায়!কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা।শত্রুরা অনেক শক্তিশালী।তাঁরা তৈরি হচ্ছে রাতের জন্য।
নুরজাহান আজ অনেক অস্হির!কি করবেন ভেবে পাচ্ছেননা। হঠাৎ মাথায় এল বুদ্ধিটা।যেই ভাবা সেই কাজ।ছোট বাচ্চা ও মেয়েসহ শিফট হলেন বাঁশের বেড়া দেয়া ভাঙ্গা চোরা গোলা ঘরটাতে।কারন দুটো।এক,সবাই জানে তিনি কোন ঘরে রাতে ঘুমান।রাতে সেই ঘরটাতেই হামলা হবে।দরজা ভেঙ্গে ভেতরে হায়েনারা ঢুকলে মা-মেয়ে বের হতে পারবেননা।ইটের তৈরি বিল্ডিং থেকে বের হওয়ার উপায় নেই।
দুই, বাঁশের বেড়া দেয়া ঘরের বেড়া ভেঙে তাঁরা সহজেই বেড়িয়ে যেতে পারবে॥
এখন মধ্যরাত।কারো চোখেই ঘুম নেই।দুইসন্তানকে বুকে আঁকড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন কবে এ দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি মিলবে।লাল পুরো বাড়ি পায়চারী করে চিৎকার করে শত্রুকে ভীত করবার চেষ্টা করছে।এখন সে দরজার সামনে কড়া প্রহরায় তাঁর চোখ রক্তলাল,ঘুম নেই।কান খাঁড়া, কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
তিনটে শব্দ হল বাড়ির বাইরের কোন এক গাছে।মা-মেয়ে একে অপরকে আঁকড়ে ধরল।লাল উচ্চস্বরে ঘেউ ঘেউ করে উঠলো।খটখট করে হেঁটে আসার শব্দ হল।দরজার কাছে আসতেই মনে হল কারও উপর হামলে পড়লো সে। তাঁকে দমনের চেষ্টা করছে কেউ। কিন্তু সে কিছুতেই থামছেনা।দরজা আগলে চিৎকার করেই যাচ্ছে আর শক্ত পোক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।তার মা বোনের সম্ভ্রম বাঁচাতে সে আজ বদ্ধপরিকর।
কেউ বলছে-সর,সর,সরে যা কুকুর।
অন্য কেউ বলছে-দুর মেরে দে।
ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে শব্দ হল। নুরজাহান বুঝতে পারলেন তাঁর লালকে বল্লম দিয়ে হানছে।তিনি মেয়েকে নিয়ে গোলার তলায় ঢুকে পড়লেন।চলে গেলেন ভাঙ্গা বেড়ার কাছে।লাল শত্রুদের সাথে যুদ্ধরত।দু একজনকে কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে।তারা কাউমাউ করে চিল্লাচিল্লি করছে।
এই ফাঁকে বেড়া ভেঙে মা – মেয়ে বেড়িয়ে পড়লেন।দৌড়,দৌড়,দৌড় যেদিকে যাওয়া যায় সেদিকে। তাঁরা দুরে কবরস্থানে সারারাত অঝোর বৃষ্টিতে ঠকঠক করে কেঁপে রাত কাটালেন। বাড়িতে ছোট্ট শিশু।
লাল একসময় পরাস্ত হল।দরজা খুলে হায়েনারা ভেতরে ঢুকল।কাউকেই পেলনা। ডাকাতি করে বাড়িতে যা ছিল সব নিয়ে গেল।
সকাল বেলা মা- মেয়ে বাড়িতে ফিরে এল।লাল মরে পড়ে আছে।পাশে ছোট্ট শিশু এমন ভাবে ঢেকে আছে কেউ বুঝতেই পারবে না ।লাল তাঁকে আগলেই মরে পড়ে আছে।
হাউমাউ করে এক মায়ের ছেলে হারানোর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেল।লালকে মাটি চাপা দিয়ে তিনি মেয়ে আর শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বাবার বাড়ি গেলেন।
বেঁচে থাকার অধিকার জন্মগত। আমাদের উচিত নয় নিজের স্বার্থ আর সুবিধার জন্য কারওটা হরন করা।
ছবি-সংগৃহিত
৩১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
কুকুরেরা অসম্ভব রকমের প্রভুভক্ত হয় যার উদাহরণ লাল, আমার ছিলো মায়া।
আজকের লেখাটি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে, পড়ে আমি সত্যি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার অনেক বারের শোনা ঘটনা।মা বললেই কাঁদেন।
আমার মা আর বড় বোনের সত্যি ঘটনা।আমার বড় ভাই ফিরে লালের জন্য প্রায় পাগল ছিল।
এরকম অহরহ বেদনাদায়ক ঘটনা রয়েছে একাত্তরের ইতিহাসে যা পড়লে শুধু কান্নাই পায়।
দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
ইঞ্জা
😢 আহা কি মর্মান্তিক ঘটনা ছিলো।
ফয়জুল মহী
দারুণ অনুভূতির সৃষ্টিশীল প্রকাশ। চমৎকার l
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ মহী ভাইয়া।
ভালো থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লাগল গল্পটা অনেক শ্রদ্ধা জানাই ————
রোকসানা খন্দকার রুকু
পাশে থাকবেন ভাই।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরলেন এবং আপনার মা-বোনের বেঁচে যাওয়ার ঘটনা জেনে শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো। আপনি ও লাল এর জন্য বেঁচে আছেন তা সত্যিই আনন্দের। কুকুর সবসময় প্রভুভক্ত হয় ওরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে হলেও মনিবের জীবন রক্ষা করতে চায়। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শুভ সকাল
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমার জন্ম স্বাধীনতার অনেক পরে। আমার ভাইয়া।মজার ব্যাপার হলো যে বাড়িতে ডাকাত ছিল তাঁরাও এখন মুক্তিযোদ্ধা।
আপনার জন্যও শুভ কামনা। ভালো থাকবেন দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এটাই হয় । স্বাধীনতার পর সবাই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে স্বার্থের কারণে। ও ছোট বাচ্চাটা আপনি ছিলেন না! আচ্ছা।ভুল হয়ে গেছে আপু। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
পোষা প্রাণীরা নিজেদের জীবন দিয়ে তার প্রিয়জনকে রক্ষা করেছে এমন বহু ঘটনা আছে।
আমরা আর একটি এমন করুণ ঘটনা জানলাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন ভাইয়া।
শুভ কামনা রইলো।
শামীম চৌধুরী
আপনার লেখাটা শুরু করেছেন এই মহান বানী দিয়ে
“জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ইশ্বর”।
কবি সঠিকই বলেছেন। এটা আধ্যাত্মিক কথা।
যে কোন জীবকে ভালোবাসলে সে তার সর্বচ্চো দিয়ে তার প্রভুর জন্য বা ভালোবাসার মানুষের জন্য জীবন বিপন্ন করতে দ্বিধা করে না। যেমনটি লাল তার মা ও বোনের জন্য নিজের জীবর উৎস্বর্গ করে দিয়েছে।
আপনার লেখা পড়ে চলে গেলাম সেই দিনে। তখন আমার বয়স ছিলো ১২ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সব কাহিনী ও স্মৃতি এখনো আমার চোখে চোখে জ্বলজ্বল করে ভাসে।
কি যে বিভিষিকাময় দিনগুলি কেটেছে যে ঘরে যুবতী স্ত্রী ও মেয়ে আছে তাদের।
নুরজাহান বেগম তার ও মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু হাজার হাজার নুরজাহানরা ইজ্জ্বত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে সেই হাজার হাজার নুরজাহান রূপী বিরঙ্গনাদের স্যালুট জানাই
লেখাটি পড়তে পড়তে নিজের অজান্তে চোখে জল চলে আসলো।
এত ইজ্জ্বত ও জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তাকে ধরা রাখা ও মূল্যায়ন করা আমাদের সকলে উচিত।
চোট বাটপাড়দের কবল থেকে দেশটাকে রক্ষা করলেই সেই সকল নুরজহানদের আত্মা শান্তি পাবে।
এমন লেখা আরো পড়তে চাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এত ইজ্জ্বত ও জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি তাকে ধরা রাখা ও মূল্যায়ন করা আমাদের সকলে উচিত।
চোট বাটপাড়দের কবল থেকে দেশটাকে রক্ষা করলেই সেই সকল নুরজহানদের আত্মা শান্তি পাবে।****
অতি মূল্যবান কথা বলেছেন ভাইয়া। আমাদের সবার তাই করা উচিত কিন্তু আমরা করছি না।
আপনার মন্তব্যে প্রান ভরে গেল।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
লেখাটি পড়ে গা শিরশির করে উঠলো।
কতো কাহিনী এখনও অজানা!
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ আপুনি। শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
হায়েনাদের বিষাক্ত ছোবল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই বাংলায়।
লালরা অকাতরে বিলিয়ে দিছে তাদের জীবন।
আপনি সাহসের সাথে তুলে ধরতে পেরেছেন।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
একাওরে সব শেষ হয়ে যায়নি আজও রয়ে গেছে। মানুষরা এখন পশুর থেকেও অধমই রয়ে গেছে।
শুভ কামনা দাদা। ভালো থাকবেন।
শবনম মোস্তারী
শিক্ষামূলক এবং সাহসী গল্প পড়লাম আপু। আপনি কিন্তু খুবই সুন্দর গল্প লিখেন।
শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি খুবই সুন্দর গল্প লিখি আপনার এমন মন্তব্য পেয়ে মনটা ভরে গেল।লেখার স্বার্থকতা কারও ভালো লাগা।
আপনিও ভালো লিখেন।নিয়মিত লিখুন। পড়ে পড়ে কিছু শিখি। শুভ কামনা আপু।
তৌহিদ
আমাদের পোষা একটা কুকুরকেও এরকমভাবে কেউ হত্যা করেছিলো। আম্মা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। আপনার গল্পেও সেই কস্টের ছোঁয়া খুঁজে পেলাম।
চমৎকার একটি অনুভাবী লেখা পড়লাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কষ্ট পাওয়ারই কথা। মানুষ রুপি হায়েনা শিকারে নেমেছিল আর যার শিকারী হবার কথা সেই রক্ষা করল॥ আমরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে কোথায় চলে গেছি।কোনকালেই পরিবর্তন হয়না।
শুভ কামনা ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
রুকু আপু সেসময়কার ভীবৎস ঘটনার বর্ণনা করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি ও আম্মার কাছে এরকম গল্প শুনেছি। বর্তমান প্রজন্মের জানার প্রয়োজন আছে সঠিক ঘটনা।পোষা প্রাণী পরিবারেরই একজন হয়।
জীবন দিয়ে কুকুর প্রভুভক্তির প্রমাণ দেয়। আমাদের বাড়িতে সবসময় একটি বিড়াল একটি কুকুর থাকতো।
কত মায়া কতো স্মৃতি ওদেরকে জড়িয়ে। এখনও মনে পড়ে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
পোষা প্রাণী আসলেই মানুষের চেয়েও বিশ্বস্ত হয়॥ উন্নত দেশের মানুষের তো সহযোগী হিসেবে কাজ করে।আমরা তাদের জন্যই ভালো থাকি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
হালিম নজরুল
আমার ছেলেবেলার “কালু”র কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। চমৎকার সাজিয়েছেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার ভালোলাগা আমার জন্য আশির্বাদ।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ভালো থাকবেন।
রেজওয়ানা কবির
যত দিন যাচ্ছে নতুন করে তোমার লেখা আবিষ্কার করছি।স্বীকার করতেই হচ্ছে তুমি গদ্যাকারের গল্প অনেক ভালো লেখ,আরও অনেক দুর এগিয়ে যাও,পাশে আছি আমার প্রিয় টুকটুকি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ইকরি। তুমিও ভালো লেখ।
শুভ কামনা রইলো।
Jasim uddin
১৫ বছর আগে কথা আমার দাদার এক টি পালিত কুকুর ছিল।সেই কুকুর টি আমার বন্ধুরা মেরে ফেলছিল। দাদা খবর টা শুনে সে কি ভীষন রাগ ।যারা কুকুর টি হত্যা করছিল তাদের হা পাও ভেংগে দিতে সোজা হুকুম দিয়ে দিলেন। কিন্তূ বন্ধুত্বের খাতিরে কিছুই করতে পারি নাই। দাদা এত টা রাগী ছিলেন মামলা করতে থানায় গেছিলেন কিন্তূ পুলিশ মামলা না নিয়ে দাদা কে মাথা ডান্ডা করে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে দিয়ে গেছেন।দুই দিন বাড়িতে থাকতে পারি নাই কুকুর হত্যা কারি বন্ধু দের কে না মারার কারনে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনার গল্পটা অনেক ভালো লাগল।
শুভ কামনা ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনার গল্পটা অনেক ভালো লাগল।
শুভ কামনা ভালো থাকবেন।