
এক ব্যাক্তির এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি দেখে জিঞ্জাসা করলাম।
-কীরে ভাই এভাবে দৌড়াছ কেন?
-কী করব ভাই উপায় নেই
-কেন কী হইছে?
-কেন কী হইছে মানি!তুমি কী কিছুই বুঝতে পারছো না?
লোকটি হাফাতে হাফাতে কথাগুলো বলে হঠাৎ থেমে গিয়ে বললেন।
-অ তুমি!তুমি বুঝবা কেমনে! তুমিতো সোনার চামচ মুখে লইয়া জন্মাইছো।আমাগো মত গরীবের ঘরে জন্ম নিতা তাইলে বুঝতা কত ধানে কত চাইল।
-সবইতো ঠিক আছে বুঝলাম।তা ঘটনা কী কইবাতো?
-লক ডাউন!
-মানে?লক ডাউনতো চলছে,,,সমস্যাটা কোথায়?
-সমস্যা উভয়-ঘরে-বাহিরে।ঘরে গেলে বউ পুলা মাইয়ার ক্ষিধার চিৎকার বাহিরে আইলে পুলিশের দৌড়ান।এহন কওতো আমরা সাধারন মধ্য বিত্ত খেটে খাওয়া মানুষগলো কোথায় যামু?কী ভাবে কোথা হতে ক্ষুধার্থ সন্তানের মুখে অন্ন তুইল্লা দিমু?
-যুদ্ধের সময় কেমনে বাইচ্চা ছিলেন?মনে করেন করোনার সাথে আমরা এখন হেই যুদ্ধই করছি।
-তখনকার কথা আর এখনকার কথা এক নয় বাবা।তখন ক্ষেত ভরা ফসল ছিলো গুলা ভরা ধান ছিলো সবায় আমরা ঘরেটাই খাইতাম।আর এহনতো সব বাজার থেইকা কিন্না আনতে হয়।তোমাগো মত ধনীরা বাজার থেইকা যে দামে চাউল ডাইল কিনো আমার মতন ফকিন্নিরাও ঠিক হেই দামেই চাউল ডাউল কিনতে হয়।এখন এই আগুন ধরা বাজারে তুমি তোমরা টিকে থাকতে পারলেও আমরা এ ভাবে আর কত দিন টিকে থাকতে পারবো বলতে পারো?
-কী আর করা আংকেল!যহন যে পরিস্থিতি তহন সেই ভাবেই সামাল দিবে অইব কিছুই করার নেই।
-হ বাবাজি হগল দোষ নন্দ ঘোষের!কী আর করা।
পুরো বিশ্বের মানব জাতি আবারো করোনার ছোবলে বিষাক্ত।দেশে দেশে বেড়ে চলছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার।সেই দিক দিয়ে আমরাও পিছিয়ে নেই।গতবারের তুলনায় এবার যদিও পরীক্ষার সংখ্যা বেশী সেই হিসাবে সনাক্তের পরিমান বেশী হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।যদি পরীক্ষা সংখ্যা আরো বাড়ানো যায় সনাক্তের হারও বেড়ে যাবে।তবে কথা থেকে যায় মৃত্যুর হার নিয়ে।গতবারের তুলনায় এবার মৃত্যুর হারটা যেন একটু বেশীই বলা চলে।বাংলাদেশে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা-৬ লাখ ৮৫ হাজার ।মৃত্যু ৯,৭৩৯ জন পুরো বিশ্বে আক্রান্ত ১৩কোটি সাত লাখ।মৃত্যু ২৯লাখ ৪০ হাজার।
দেশে করোনায় আক্রান্তের পরিমান হু হু করে বাড়ছে।এদিকে হাসপাতালগুলোতে রোগী জায়গা দেয়ার মত স্থান অপ্রতুল।চিকিৎসা ডাক্তার স্বাস্থ সচেনতার সুযোগ সুবিদার কথা নাইবা বললাম।করোনা চিকিৎসা করানোর মত অর্থনৈতীক ভাবে একশ ভাগ সক্ষম ব্যাক্তিরা আজ চিন্তিত।হাসপাতাল থাকলে আইসিওতে সিট নেই,অক্সিজের অপ্রতুলতা,বেন্টিলেটরের অভাব ইত্যাদি করোনার প্রথম ধাপে যেমন অভাব ছিলো ঠিক তেমনি দ্বিতীয় ধাপে এসে অভাবটা যেন আরো প্রকোট হয়ে দাড়ায়।এদেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে শুধু টাকা থাকলেই জীবন বাচানো যাবেনা,প্রয়োজন চিকিৎসার সকল আয়োজনের পরিপূর্ণতা যা আমাদের দেশে এই মুহুর্তে বড় অভাব।
করোনা এমন নাজুক পরিস্থিতিতে জীবন বাচাতে সরকার আবারো কঠোর লকডাউনে যাচ্ছেন।১৪ এপ্রিল হতে লকডাউন শুরু হবার কথা।বাঙ্গালী খাইতে দিলে শুইতেও দিতে হয় তাই সরকারকে কঠোর হতে হয়।শুধু এক সপ্তাহের জন্য ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সব কিছু বন্ধ থাকবে ।তবে দিনের সংখ্যাটা অবস্থার পরিপেক্ষিত বাড়তেও পারে।
সরকারের ঘোষনায় সামাজিক মাধ্যম কিংবা চায়ের আড্ডায় পক্ষে বিপক্ষে তর্কের ঢেউ উঠে।বিশেষ করে শিল্প কারখানাগুলোর কর্মজীবি শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন জীবিকার উৎকণ্ঠা নিয়ে।প্রথম বারের লক ডাউনে দেখেছি আমরা শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন চালাতে সরকার কতটুকু সাহায্য সহযোগীতা করতে পেরেছেন।।প্রনোদনার বিষয়টি ছিলো অপ্রতুল।শুধু মাত্র ইপিজেট ভুক্ত এবং বাহিরে কিছু কমপ্লেইন্স জাতীয় ফ্যাক্টরীগুলিতে প্রনোদনার সুযোগ সুবিদা পেলেও এর বাহিরে ফ্যাক্টরীগুলোতে হাজারো শ্রমিক কর্মচারীদের কপালে প্রনোদনাতো দূরে থাক অভিশপ্ত মধ্যবিত্ত পরিবার বলে তাদের জন্য না রাষ্ট্র না জনপ্রতিনিধিরা কোন সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন।এক্ষেত্রে নিন্ম বিত্তরা অনেকাংশে এগিয়ে।চাকুরী হারিয়ে অনেকে এখনো অনিশ্চিৎ জীবন নিয়ে দিশেহারা।শুধু তাই নয় লক ডাউনের সময় মিল মালিকরা শ্রমিক কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করার মহড়ায় নেমে পড়লেও সরকারের তরফ থেকে মিল মালিকদের এ বিষয়ে চাপে রাখার কোন প্রয়োজনবোধ মনে করেন নাই।সরকার যখনি ব্যাবসায়ীক সরকার হয়ে যায় তখনি জনগনকে অনেকটা মরার উপর খড়ার ঘা এর অস্থায় পড়তে হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও আমাদের মতই করোনার সাথে যুদ্ধ করছেন।আমরাও যুদ্ধ করছি।পার্থক্য শুধু সভ্য- অসভ্যতা আর মানবিকতা-অমানবিকতার বিষটি।বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগন তাদের সরকারের আদেশগুলো মানছেন একশ ভাগ আর আমরা একটু ডন্টকেয়ার ভাবে থাকি।লক ডাউনে তাদের সরকার তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য বস্ত্র নিজ দায়ীত্বে সকলের তরে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন আর আমরা মুখ চেনা সরকারী সাহায্য সহযোগীতাগুলো নিয়ে ধান্দা করে অমানবিকতার সর্বোচ্চ উদাহরণ তৈরী করে অবৈধ অর্থ বিত্তের মালিক হচ্ছি।তাইতো আমরা দেখতে পেয়েছি করোনা টেষ্ট নিয়েও রমরমা ব্যাবসা বানিজ্যের অমানবিক দৃশ্যপট।এ কারনে কেউ শুনে না কারো কথা-কেউ বুঝেনা কারো ব্যাথা।লক ডাউন হরতাল অবরোধের কথা শুনলেই উপচে পড়া ভীর হয় মার্কেটগুলোতে, খাদ্য সরঞ্জামের সর্ট ফেলে উর্ধো মুল্যের সহযোগীতা করছি এই আমরা।
আমাদের সরকার ব্যাবস্থাপনাগুলোও যে ধোয়া তুলসী পাতা তাও কিন্তু নয়।সর্বোত্র ছিলো সিদ্ধান্তে ত্রুটি,সমন্বয়হীনতা আর দূর্নীতির আখড়া।অনেকটা কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হবার ব্যার্থ চেষ্টা ছিলো সরকারের টপ টু বটম।করোনা প্রথম ধাপ হতে দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়ের পরও সরকার দ্বিতীয় ধাপের করোনা মোকাবেলায় তেমন কোন প্রস্তুতিই চোখে পড়ার মত নয় বরং গতবারে যে সব অসমাপ্ত প্রস্তুতিগুলোর সম্পন্ন করার কথা ছিলো তাও গুছিয়ে ফেলা হয়েছে।শুনেছিলাম কত কত আশার বাণী।দুই হাজার বেডের দৃশ্যমান হাসপাতালের যা এখন অস্তিত্বহীন,বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন হাসপাতাল তৈরীর করার সরকারের সমস্ত প্লানগুলোর একটিরও এখন আর অস্তিত্ব নেই।ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা যারা তাদের সুযোগ সুবিদার দিকটিও ছিলো উপেক্ষিত।
দ্বিতীয় ধাপে করোনা রোগীগুলো হাসপাতালে চিকিৎসার করার স্থান না পেয়ে জীবন বাচানো নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন জনগন আর সরকার পড়ে আছেন কঠোর লক ডাউন নিয়ে।যদি খাল কেটে নিজেরাই কুমির আনি তবে একদিন সেই কুমিরের খাদ্যে পরিনত হব আমরা নিজেরাই এ ভাবনা আগেই ভাবা উচিত ছিলো-আমাদের উচিত ছিলো প্রথমে বর্ডার কিংবা বিমানে আসা প্রবাসী যাত্রীদের একশ ভাগ নিশ্চিৎ কঠোর কোয়ারেন্টেনে রাখা।সেখানে আমাদের উদাসীনতা দেখিয়েছি যা আজ আমরা করোনা আক্রান্তে দ্বিতীয় ধাপে পুরোপুরি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি।
তাদের এহেন কার্যকলাপে সাধারন খেটে খাওয়া পাবলিক সরকারের প্রতি অনেকটা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন।তাইতো সর্বোত্র লকডাউন যেন অনেকটা বিলীন হয়ে যাওয়া হরতাল অবরোধ ধর্মঘট এর জাতীয় স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার ক্রমশত গুরুত্বহীনতার দিকে ধাপিত হচ্ছে।
সরকারের উদাসীনতা এবং সুনিষ্ট কর্মপ্লান না থাকায় জনগন এখন দৌড়ের উপরে আছেন।একবার দৌড় দেন জীবন বাচাতে নাড়ীর দিকে আবার ফিরে আসেন কর্মস্থানে।এখন দেখার বিষয় ১৪ তারিখ থেকে লক ডাউন কী ভাবে কতটা কার্যকর হয়।তবে যাই হোক করোনার যে নাজুক পরিস্থিতি তাতে এক দিকে যেমন কঠোর একটি লক ডাউনের প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন মানুষের বেচে থাকার জীবিকার নিশ্চয়তা।নতুবা যত কঠোর আর কঠিন লক ডাউনই হোক না কেন একটা সময়ে গতবারের মত এবারো ঝিমিয়ে পড়বে-জীবিকার তাগিদে জনস্রোতের তান্ডবে সরকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে যা আমাদের কাম্য নয়।
ছবি ও ভিডিওঃ অনলাইন
১২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই কঠিন সময়ের মধ্য আমরা বেঁচে আছি, কীভাবে? তা আমরা নিজেরাও জানি না, বুঝিনা।
আর উত্তরণ, সে তো এখন বিধাতার হাতে।
মনির হোসেন মমি
জ্বী ভাইজান।খুব কঠিন অবস্থার মাঝে আমরা আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
লকডাউন কোন নির্দিষ্ট সমাধান হতে পারে না। লকডাউন দিয়ে দিলেই সংক্রমণ কমানো যাবে এই যুক্তিটাই অযৌক্তিক মনে হয়। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে যদি লকডাউন দেয়া হয় তাহলে বলবো এটা আরও হাস্যকর। যদি রাস্তাঘাটে খেটে খাওয়া মানুষের কারনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতো তাহলে রাস্তাঘাটেই তার অজস্র প্রমাণ মিলতো। অন্তত বহু মানুষের লাশের সংখ্যাই বলে দিতো সংক্রমণের পেছনে কারা দায়ী।
দুই পাঁচ সপ্তাহের লকডাউনের ফলাফলে আক্রান্তের সংখ্যা কম হবে এটাতো জানা কথা! মানুষ যদি ঘর হতে বেরই না হতে পারে তাহলে করোনা টেস্ট করতে যাবে ক’জন!? করোনা সংক্রমণ রোধে যদি কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতেই হয় তাহলে এই লকডাউনের খেলা আগে বন্ধ করতে হবে, এরপর নিতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা। মানুষকে ঘরবন্দী রেখে আর যাইহোক মানুষের জীবনব্যবস্থার উন্নয়ন করা যাবে না।
মনির হোসেন মমি
গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আসলে আমিও তাই মনে করছি।লকডাউন করোনা প্রতিরোধে স্থায়ী কোন সমাধন নয়।বরং যাদের আয় রোজগার হয় পথে ঘাটে তাদের জন্য এ লক ডাউন এক অভিশাপ।করোনা প্রথম ধাপের লক ডাউনে অনেকে অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।অনেকের জীবন ব্যাবস্থাই পাল্টে গেছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এখনো অনেকে হিমসিম খাচ্ছে।আবার এমন লক ডাউন শুধু ক্ষতিই নয় দীর্ঘায়িতু হলে অনেকের জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষৎ।
সব খোলা রেখে করোনা মোকাবেলা সম্ভব।এক শ্রেনী লোক যাদের টাকার অভাব নেই তারা কেবলি গার্মেন্টস/কলকরখনা সেক্টর খোলার বিপক্ষে বলছেন।কিন্তু একবারও তারা ভাবলেন না এদেশের গার্মেন্টস বা কলকারখনা মালিকদের স্বভাব কতটা নির্মম।যেখানে সারা বছর কাজ করেও বেতন ভাতা ঠিক মত পায়না সেখানে এই ঈদ মৌসমে মিল বন্ধ থাকলে খেটে খাওয়া মানুষের উপায় কী হবে বলেন।আর সরকারের রূপতো আমরা জানিই।বরং সরকার পারেন প্রতিটি কলকারখানায় সরকারে প্রশাসনি লোক দিয়ে স্বাস্থ বিধি মানাতে বাধ্য করা।
তৌহিদুল ইসলাম
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একমাত্র উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া। তাছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
কিন্তু লকডাউন আমাদের দেশে যেভাবে হচ্ছে এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয় বলেই মনে করি। অন্যান্য অনেক দেশে লকডাউন হচ্ছে কিন্তু সেখানকার জনগণকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার-দাবারের চিন্তা করতে হচ্ছে না যা আমাদের দেশে অসম্ভব একটি বিষয়। এই লকডাউনে গত দেড় বছরে অনেক মানুষ চাকরিহারা হয়েছেন যেমন তেমনি করোনা আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষকে চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করতে নিঃস্ব হতে হয়েছেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। ভাল থাকুন ভাই।
মনির হোসেন মমি
হুম দুঃখজনক হলেও সবই আমাদের কপাল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
লকডাউন সমাধান নয়। গরীবরা দিন আনে দিন খায়। এর থেকে সবাই যেনো স্বাস্থ্য বিধি কঠোর ভাবে মানে সেই দিকে সরকার মনোযোগি হলে ভালো হতো।
মনির হোসেন মমি
জ্বি ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লকডাউন হলো আমাদের জন্য অভিশাপ। সবাই ছুটি কাটাতে ছোটাছুটি শুরু করে তাতে এর প্রকোপ আরো বেড়ে যায়, আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, জীবন চালানো কঠিন হয়ে যায়, একদল বাড়তি ইনকামের সুবিধা পেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। লকডাউন লকডাউন খেলা আর ভালো লাগছেনা। শুভ নববর্ষের অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
মনির হোসেন মমি
জ্বি আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
বাংলাদেশ থেকে করোনা কখনো দূর হবে না।
জনতা নিজেরাই সচেতন না।
জনতা সচেতন হলে সরকার তাদের সহায়তা করতে পারে। সরকার লক ডাউন দেয় জনতার জন্য, জনতা তা মানবে না। কি করার আছে সরকারের?
দূর হয়ে যাক করোনা।
মনির হোসেন মমি
সরকারের নিশ্চয় জানা আছে এ জাতি ডান্ডা না খেলে নড়ে চড়ে না।বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকার আইনে যে ভাবে জনগনের উপর প্রয়োগ করেছেন বা করছে এ দেশে তার সিকি অংশও দেখিনি।যাই হোক যেমন জনগন তেমনি তার সরকার হবে এটাই স্বাভাবিক। তবুও দুর হয়ে যাক করোনা।
কেমন আছেন এখন?
ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।