
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমাদের ইসলামিক বক্তাগনের বক্তব্য কেউ ইউটিউবে দেখেছেন? আমিতো দেখিনি। সে কারনেই আমার এলাকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দু’জন বিখ্যাত ইসলামিক বক্তাদের সাথে মোশা ভাইকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম সমাবেশের মূল বক্তা হিসেবে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কিছু বলার জন্য। কারন তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অনেক তৎপর। কিন্তু ইদানিং কালে রোহিঙ্গাদের আচার আচরণে ত্যক্ত বিরক্ত রাগান্বিত হয়ে মোশা ভাই আজ সাথে করে রোহিঙ্গা খেদাও আন্দোলনের প্রতীক স্বরুপ একটি বিশাল রাম দা নিয়ে এসেছিলেন।
আমরা ধর্মপ্রাণ আবেগী জাতি। যেকোনো কিছুতেই ধর্মকে যুক্ত করলেই জনগণ এক হয়ে যায়। সেই মোশা ভাই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অনেক জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেবার মাঝখানে তার কথায় আর কি কি বলেছিলো তারই সারসংক্ষেপ শুনুন-
কি? তৌহিদ ভাই মানুষটা ভালা আছে না?
— হ্যা আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
আমি কি তারে কিছু বলেছি?
— না আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
তারে হুমকী দিয়েছি?
— না আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
সে কি আমারে দেইখ্যা ডরাইসে?
— না আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
আমি কি তারে কোপ দিবাম?
— না আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
আপনারা কোপ খাবেন? একটা কোপ দেই? একটু খান? সাইড দিয়া হালকা কইরা দিয়া দেই কোপটা?
— না আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
রাম দা হাতে নিয়া চোখ বড় কইরা পাকাইয়া মোশা যাই বলে সেটাই ভাইরাল হয়ে যায়, কথা বলেন ঠিক কিনা?(উচ্চস্বরে)
— ঠিই ই ই ই ইক(সমন্বিত স্বরে)
এরপরেও কিছু লোক এসে বলবে তৌহিদ ভাই আমারে দেইখ্যা ডরাইসে, আসলেতো সে ডড়ায়নাই। তিনি সাহসী মানুষ- কি ঠিক কিনা?
— ঠিই ই ইই ইক , ঠিই ই ই ই ইক(সমন্বিত স্বরে)
মাশা আল্লাহ! তৌহিদ ভাই ভালো মানুষ, আজকের এই আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতি। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করবো ইনশাআল্লাহ।
–ইনশাআল্লাহ (সমন্বিত স্বরে)
সবাই বলেন- আমীন।
— আমীইইইন(সমন্বিত স্বরে)
আমিতো ডর দেহাইনা,
ছুড়ি দেইখ্যা ডরাইওনা…..
আমিতো ডর দেহাইনা,
মিছা তুমি ডরাইওনা (গুনগুন সুরে)….
মারহাবা বলেবেন না?
–মারহাবা আ আ আ, মারহাবাবা(সমন্বিত স্বরে)
ওওঅঅঅঅ পর্দার আড়ালের মা বোনেরাআ আ, এই লেখা পড়নেওয়ালা আমার বাবারা ভায়েরা- এতক্ষণ যা কইসি ঠিক কইসি কিনা ?
–ঠিইইইক্ক(সমন্বিত স্বরে)
আরও জোরে বলেন ঠিক না বেঠিক?
–ঠিইইইক্ক(সমন্বিত স্বরে)
এবার সুরেলা কন্ঠে মোশা ভাই বলতে লাগলো-
ও মিয়ানমারের দাঙ্গাবাজ দল শোন শোন, তোমাদের বিপদে আশ্রয় দিয়েছি, নিজেদের জমিনে থাকতে দিয়েছি। আল্লাহ্ রিজিক দিয়েছেন তোমাদের খাওয়াচ্ছি। আর তোমরা এখন পল্টি দিয়েছো। চলে যাও ফিরে যাও। আমাদের শান্তিতে থাকতে দাও। নিজেদের দেশে গিয়ে আন্দোলন করো। আমরা তোমাদের পাশে আছি, পাশেই থাকবো। ( টিস্যু দিয়ে মুখ মুছলো মোশা)
— আহ্ হা (কিছু মানুষ সমন্বিত মোলায়েম স্বরে)
এবার বুক টান করে জোর আওয়াজে –
কিন্তু তোমরা যদি চলে না যাও মনে রেখো- এই বাংলার জমিনে রাম দা হাতে নিয়া মোশা ভাই একাই রোহিঙ্গাদের নেংটি খিইচ্যা ধাওয়া শুরু করবে। যতক্ষণ আমরা তোমাগো কোপা শুরু করি নাই ততক্ষণ তোমরা রোহিঙ্গারা এই দেশ ছাইড়া যাইতন ন। তোমরা নিমকহারাম, বেঈমান,খুনীই থেকে গিয়েছো। রোহিঙ্গারা তোগো যাইতে হপে, যাইতে হপে, যাইতে হপে। আমরা থাকতে এই স্বাধীন বাংলায় তোদের জায়গা হবে এ এ?(চিৎকারিত স্বরে)
–না আ আ (সমন্বিত স্বরে)
হবে এ এ?
–না আ আ আ আ আ (সমন্বিত স্বরে)
আরও জোরে চিৎকার দিয়ে বলেন- ঠিইইইইক কিনা?
– ঠিই ই ই ই ই ই ই ই ই ই ই ইক্ক (সমন্বিত স্বরে)
আল্লাহ্ তুমি সাক্ষী- অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সবাই এক হয়েছি। তুমি আমাদের কবুল করে নিও। আমীন।
আল্লাহ আমাদের সে তৌফিক দান করুণ। সবাই বলেন আমীন।
-আমীই ই ই ইই ইন(সমন্বিত স্বরে)
আরও আস্তে বলেন মিয়ারা!!
— আ আ আ আ মী ই ই ইন(চিৎকার করে সমন্বিত স্বরে)
আশা করি দেশের যত ইসলামিক বক্তা আছেন সবারই এরকম জোর আওয়াজ ইউটিউবে দেখতে পাবো আমরা।
(ছবিটি প্রতীকী, অভিনেতা মোশারফ ভাইয়ের সাথে আমাদের বক্তা মোশা ভাইয়ের কোন সংযোগ নেই। বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে… তেজপাতা)
২৭টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
হা হা হা চমৎকার রসিকতায় তুলে ধরলেন রোহিঙ্গা ত্রাস।হটাও রোহিঙ্গা বাচাও দেশ। যারা লেখাটি ওয়াজের হুজুরদের মত সূর করে পড়তে পারবেন তাদের কাছে লেখাটি অনন্য মনে হবে।পড়ার শেষে দেখবেন আপনার সব রোগ শোক কেটে গেছে।আমীন।
তৌহিদ
হ্যা ভাইজান, ওয়াজের সুরে পড়তে হবে। বাহ! আপনি আসলেই সুপাঠক ভাই। ধন্য ধন্য।
মোহাম্মদ দিদার
দাদা
যা করলেন
যা বললেন।
বলার ভষাই হারিয়েছি।
তৌহিদ
চুপচাপ আমিন আমিন পড়েন ভাই। আখেরাতে কামে লাগবে ☺☺
মোঃ মজিবর রহমান
মারশাল্লা কোন হুজুর, ইস্লামিক বক্তা আওয়াজ জ আসবে যতই হোক মুসল্মান ভাই ভাই। মরব তবুও ভাই ভাই কইব। তাদের কথায় মনে হই এক কবরে যাবেনে।
তৌহিদ
এই ভাইরাইতো আজাব ডেকে আনছে। কবরেও দুইভাই একসাথে যাবে ☺☺
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের দেশের হুজুরদের বাক্য বানে তাই মনে হয়।
তৌহিদ
হ্যা ভাইজান। এদের গলায় গলায় পিরিত। ভালো মন্দ বিচার খুব কমজনাই করে।
মোস্তাফিজুর খাঁন
তৌহিদ ভাই ভালা মানুষ । অফিসের বসকেও বলে ” এই বসেন, বসেন, বিইস্যা যান ।”
আর, মশাররফ ভাই তো আরো ভালা মানুষ, যা বলে হেইড্যায় মার্কেট পায় ।
তৌহিদ
বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে ত্যাজপাতা। কি ঠিক কইসি না? খাবেন? ঢেলে দেই?☺☺
নিতাই বাবু
রোহিঙ্গা এদেশ থেকে আর যাইতো না দাদা। ওঁরা এখন মোশা ভাইয়ের রামদাকে ভয়ও পায় না। মোশা ভাইকে বলেন, রামদা থুইয়া ফেটাগান হাতে লইতে। তয় যদি রোহিঙ্গারা একটু ভয় পায়! নাহয় আর ভায়ের কারণ নেই। ওঁদের হাতেই এখন বিশাল বিশাল রামদা থাকে।
তৌহিদ
ফোটাগান ভালোই হবে। ঠুস ঠাস করলেই হেতেরা নেংটি খিইছ্যা দৌড় দেবেনে দাদা 😃😃
রাম দা থাকলেই হলোনা। চালানোর কৌশল মোশা ভাই ভালো জানে। ☺☺
নিতাই বাবু
আরে দাদা, এসব রামদা আর বগাদা রোহিঙ্গারাই বানাইতাছে। হেগো লাগবো ফেটাগান।
তৌহিদ
হ্যা ফেটাগান। লন দুই ভাই দুইডা লমু লগে। তাগো ক্যাম্পে গিয়া ধনচন মাতায় আসি।
সাবিনা ইয়াসমিন
চিল্লাইয়া মার্কেট পাওয়া যাইতনা, তাই দাঁ এর ভয়ে জোরে হা হা দিতে পারছিনা। 😀😀
রম্য সেইইইই রকম হয়েছে তৌহিদ ভাই 🙂
তৌহিদ
আমি কি কাউকে গালি দিয়েচি? কাহারও উপ্রে রাগ করেচি? ☺☺
কি লেখা পড়ে শরীরে একটু জোস আইছেনা? বলেন- মারহাবা 😃😃
সাবিনা ইয়াসমিন
মার হাবাকে ডাকতে হইবে?
জোসে যদি বেহুশ হয়ে যাই, পরে একদল লোক এসে বলবে……..
আমিও বলতে চাই, আমিতো ভালা না, ভালা লইয়া থাকো 😜😜
তৌহিদ
আমিন আমিন ছুম্মামিন ☺☺
ইঞ্জা
হো হো হো হো হি হি হি হা হা হা হা, কই যায়বাম? 😀😀😁😁
তৌহিদ
হা হা হা হা হি হি হি হো হো হো হাহা হা 😜😜😜
মাহফিলে যোগ দেন মিয়াভাই। অশেষ সওয়াব পাইবেন।☺☺
ইঞ্জা
😄😄😄😄😄😄😄😄
আরজু মুক্তা
দারুণ ওয়াজ। যা মার্কেট পাবে! রম্য কথনের চোটে যদি রোহিঙ্গা না পালায় তো আমি মুক্তা আর এই দেশেই থাকতামনা! কি বলেন তৌহিদ ভাই? ঠি ঠি ক্ক!
বলেন, আ আ আ মী মী ন ন!
তৌহিদ
ঠিক ঠিক। মারহাবা মারহাবা 😃😃
আমীন ছুম্মামীন ☺
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক না বেঠিক তা কিন্তু জিগান নাই!
আরও আছে! থাকলে দিয়া দেন।
তৌহিদ
এই লেখা পড়ে তবুও কিছু লোক বলবে আমিতো ভালা না। আমি কই আমিতো ভালানা ভালা লইয়াই থাইকো ☺☺
বলেন -ঠিক কিনা?
আরো মেলা আছে। মাহফিলের পাঠকদের হাসাইতে হাসাইতে কান্দায় ফালামু ভাইজান। 😭😭
হিমু ভাই
এত হাসি কোথায় রাখি😪
তৌহিদ
কোথায় রাখবেন তা জানিনা তবে ঢেলে দিয়েননা। বহুত সমস্যা আছে।