আজকাল আর তেমন রূপবতী চোখে পরেনা, কি বাস্তবে কি রূপালী পর্দায়।
এদেরকে আবেদনময়ী মনে হয় ঠিকই, কিন্তু ঠিক রূপবতী মনে হয় না।
সবই কেমন যেন 🙁
হতে পারে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে গেছে কিংবা দেখার চোখ।
না হলে একদা যার হাসি দেখে আত্মহত্যার সাধ জেগেছিল আজকাল আর তার হাসি তেমন ভাংচুর লাগেনা কেন?
অথবা হতে পারে
কৈশোরে যাদের দেখে রূপান্ধ হয়ে গেছি তারাই অবচেতনমনে এখনো রাজত্ব করছে, তাই আর কাউকেই চোখে ধরেনা।
#১
শিমুলদি
আমার পিচ্চিকালের টিচার। এলাকার সারা জাগানো রূপসী।
পড়ার সময় যদিও ছিলো সাতটা থেকে আটটা একঘন্টা, কিন্ত সেটা কোনদিনই এক ঘন্টায় শেষ হয়নি।
সাড়ে ছয়টা পার হয়নি কোনদিনই পৌছাতে। উনারা ছিলেন আচার নিষ্ঠ শাক্ত।
প্রতিদিন ভোরে স্নান সেরে কালীপুজো করতেন, এবং সকলের ছোঁয়া বাচিয়েই চলতেন।
কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন একটা মুসলমান পিচ্চির জ্যামিতি বক্স ভরে নিয়া আসা ফুলও প্রবেশাধিকার পেয়ে গেছিলো পুজোর ঘরে 🙂
আমি কোনদিন বাংলায় ৭০ এর নীচে পাইনি, অথচ আহামরি ছাত্র কোনকালেই ছিলাম না।
উনি বাংলা পড়াতেন আমাদের।
এক ভোরে উঠে শুনি উনারা কেউ নেই, ফিরবেন না আর কোনদিনই।
ইন্ডিয়া চলে গেছেন একেবারে।
তারপর কতদিন একা একা উনাদের বাড়িতে ঘুরে এসেছি …… কত দুপুর।
#২
বিথী আপা
কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র আমি নিতান্তই পুলাপাইন।
উনি সেকেন্ড ইয়ারের বড় আপু, কলেজের ভিপি, জিএসরা কথা বলার জন্য উন্মুখ। উনি নির্বিকার।
প্রায় দিনই কলেজে পৌছতেই উনার হাতে পাকরাও 🙂
চল ঘুরে আসি ক্লাশ কর্তে হবেনা। নদীর পার ধরে হাটাহাটি, এই কথা সেই কথা …… উনি বড় আপু আমি ফার্স্ট ইয়ারের পিচ্চি 🙂
বছর দশেক পর লঞ্চ পোস্তগোলা ব্রীজ পার হচ্ছে, হঠাৎ এক ভদ্রলোক এসে বলছেন তোমার নাম এই?
হু
তোমাকে ডাকে
কে?
তোমার বিথী আপা
😮
এবং এক শাড়ি গয়নার শোরুমের সাথে দেখা :/
পিচ্চিকালের ভালোলাগার মানুষদের কাছাকাছি বড় হয়ে যেতে নেই।
#৩
ববিতা
স্ট্যানিং বিউটি।
বিরাজ বৌ কমকরেও ১৫ বার দেখেছিলাম।
লালপেড়ে শাড়ি পরা স্নান সেরে আসতেছে নদী থেকে
…… আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাদ।
#৪
তাজিন
গজদাঁতে হাসি …..
#৫
মাধুরী
হাসি … আহহ ভাংচুর ভাংচুর।
#৫
বিপাশা হায়াত
চোখ বুজলেই লবঙ্গ বেগম……. শাড়ির এড বিপাশা রূপসী শাড়িতে
#৬
ফাহমিদা নবী
আকাশ ও সমুদ্র অপার
বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্য……
……… আজও উনারে দেখলেই মাই হার্ট মেল্টস ডাউন।
এবং
একমাত্র বিদেশী মেয়ে
হেনা
মোস্তফা গেমসের … বাস্টি :p
৩০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
স্মৃতির জাবর কাটা !
লক্ষণ সুবিধের মনে হচ্ছে না ।
আগুন রঙের শিমুল
😀
শুন্য শুন্যালয়
পিচ্চিকালের ভালোলাগার মানুষদের কাছাকাছি বড় হয়ে যেতে নেই। ঠিক ঠিক 🙂
সুন্দরীরা আগের মতোই আছে। নজর একটু তেরছা করলেই হবে, অই যে যাকে বাঁকা চোখ না জানি কি বলে।
ববিতা আর মাধুরীর জন্য আমার অবস্থাও যায় যায় ছিলো। আপনার আত্মহত্যার মতো অবস্থা নয় অবশ্য।
এখন কাওকেই মনে ধরছেনা? ওহে সুন্দুরী সব গেলো কোনে?
আগুন রঙের শিমুল
নজর তেরছা কইরা লাভনাই শুন্য, ছুটকালে যেইডারে গহিন জলাশয় মুনেয়ইত বড় হইয়া দেখাযায় সেইডা মজা ডোবা । যে বয়সের লোকজনরে বুড়া মুনেইত সেই বয়সে আইসা দেখি মাত্র বড় হইলাম
মোঃ মজিবর রহমান
স্রিতির আয়নায় সব আগলিত হয়ে উঠে নতুন নবদমে।
শ্বরণকালের বালুকা বেলায়।
আর কি এখন ভাল লাগে ততো।
আগুন রঙের শিমুল
সময় বদালায়া দেয় সবকিছু 🙁
বনলতা সেন
অতীত জানলাম । এ সময়টি একটু ছুঁয়ে দিলে মন্দ হয় না ।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাংকস উইল ট্রাই
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বিরাজ বৌয়ের সুটিংয়ে ছিলাম।দেড় লক্ষ টাকা ব্যায়ে বেল গাছকে বিরাট শিকড় যুক্ত বট গাছ বানিয়ে সুটিং হয়েছিল।মেলায় ফারুকের কন্ঠে গান সেখানে আমিও ছিলাম বেশ কষ্ট সাধ্য সুটিং ছিল আর বিপাসা ছিল ১৯৯৩ সালে চারুকলায় তার সাক্ষাতও মনে পড়ে গেল আমিও যে ছিলাম চারুকলায় সে এখন কেবলি অতীত।অনেক অতীতই জানলাম। -{@ (y)
আগুন রঙের শিমুল
ওয়াও আপনে ফাইন আর্টসের পাব্লিক 😀
ছবি নিয়া পোষ্ট টোস্ট দেন আমরাও দেখি , ভাইব্রাদার বঞ্চিত কইরা লাভকি
খসড়া
বাপপুস
আগুন রঙের শিমুল
ঝুপপুস 😀
সীমান্ত উন্মাদ
আমি একবার ববিতারে প্রেম পত্র লিখছিলাম ছোট বেলায় কিন্তু পোস্ট করা হয়নাই :P। আর প্রথম ছবিটা দেখে আমার গ্রামের বাড়ির সামনের ছবিটা ভেসে উঠলো। আপনার পোস্ট এ অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা নিরন্তর।
আগুন রঙের শিমুল
ভালকরছেন পোষ্ট না কৈরা , আমি ভাইব্রাদারের লগে খুনাখুনি করতে চাইনা -_-
মেনি থ্যাংকস
স্বপ্ন নীলা
ওরে বাবরে বাপ !! মনে মনে এত ! শিমুল ফুলের ছবিটা্ কিন্তু আমার মনে ধরেছে
আগুন রঙের শিমুল
😀 😀
এইটা আমার বুবুর তোলা
শিশির কনা
ভালো লেগেছে ভাইয়া, আমিও দেখি সুন্দরদের নিয়ে একটি পোষ্ট দিতে পারি কিনা :p
আগুন রঙের শিমুল
দিয়া ফেলেন 😀
কৃন্তনিকা
আবেদনময়ী লেখা… (y)
আগুন রঙের শিমুল
আবেদময়ী ;? ভাবছিলাম সৌন্দর্য কইবেন 😀
প্রজন্ম ৭১
আমার একমাত্র মাধুরী এবং মাধুরী। আর কেউ নেই 🙂
আগুন রঙের শিমুল
মাধুরী ^_^ (3
প্রিন্স মাহমুদ
(-3
আগুন রঙের শিমুল
😮
বন্দনা কবীর
পোষ্ট ভালো হৈসে। শিমুল ফুলের ফটু কার্টেসী শাহনাজ বু !! আচ্ছা আচ্ছা 🙂
আগুন রঙের শিমুল
কেনু 😮 আপ্নে তুলছিলেন নাকি কাক্কা ;?
এইডা আম্রে শাহনাজ বু দিছিল, আমি ভাবছি সেই তুলছে
জিসান শা ইকরাম
আপুদের পাংখা হবার কাহিনী আমারো আছে জনাব।
ববিতা, মাধুরী, বিপাশা – তুলনা নেই এদের ।
মনে পরে গেলো অনেক কিছু ।
আগুন রঙের শিমুল
লিখে ফেলেন জিসানদা আমরা জানি কিছু গুপন কথা 😀
নুসরাত মৌরিন
বাহ্!!
ভাল লাগলো আপনার আগেকার সব ভাল লাগাদের কথা পড়তে… (y)
🙂
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাংকস 🙂