এই যে শুনছেন, আসুন আসুন, কিছু গল্পের সাথে তাকাতাকি করি, পচা গপ্পো টাইপের কিছু একটা,
এক দেশে ছিল এক রাজা, তার ছিল আধা কুড়ি রানী!! (কেমনে কী),এবং প্রতি বছর এক দু’জন নূতন রানী যোগ হচ্ছেন নিয়ম করে, হাতিশাল ঘোড়াশাল বাঘশাল … সবই শালময়। ভাববেন না যেন আবার চামে
সোয়াজিল্যান্ডের গপ্পো ফেঁদে বসছি।
নাহ্, জুত মত হচ্ছে না, বাদ দিচ্ছি, এবারে অন্য,
আপনারা ইচ্ছে হলে এর সাথে যোগ বিয়োগ দিয়ে নিজেরা চালিয়ে নিতে পারেন, আবার এখানেও জানাতে পারেন।
মনে পড়ছে, দাঁড়ান দাঁড়ান,
কাক-কলসির গল্প, ‘দাড়া কাউয়া পাতি কাউয়ারে করে রে’ তা কিন্তু না। ঐ যে এক তৃষিত কাক পানি পানের নিমিত্তে কী সব করেছিল, কলস ঠোকড়াইয়া ফুটো করার চেষ্টা থেকে প্রস্তর খণ্ড নিক্ষেপ পূর্বক হৃদঠান্ডা প্রযুক্তির প্রবল উদ্ভাবন করত কী কী যেন,
এসব ইতংবিতং বাদ।
ব্যঙ্গ মা ব্যঙ্গ মী, হুস………এসব এখন আর হালে জল পায় না,
এত্তো সোজা না।
আচ্ছা, হালফিলের দহরম-মহরমের গল্প বলি……………
এক ভাইয়ামনি আর আপামনির গপ্পো, খুব ভাব, গলাগলির মাত্রা প্রকট ভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ ও তীব্র সম্মান জনক। ঘটনা হল একদিন খাওয়ার টেবিলে ভাঁজা ইলিশের ডিমের বড় অংশ কে খাবে তা নিয়ে তুমুল বিতণ্ডা শেষে সপ্তম আড়ির আদান-প্রদান হয়ে গেল। তাতে অবশ্য কোন সমস্যা হচ্ছিল না প্রকাশ্যে। ভেতরে ভেতরে সপ্তমার্গিয় আড়ির ভার কেউই বহন করতে পারছিল না,
ব্যাপারটি সূচ্যগ্র মেদিনী ছেড়ে না দেয়ার মত কিছু না। জগদ্দল পাথরটি একটু যেন নড়ে বসল। আপডেট নিয়ে পড়ে আসছি। ধুর আপডেট আবার কী? জানি ই তো, দিন শেষে আমরা আমরা ই তো সিস্টেম।
এটি শেষ।
এবারে নারীস্থানের গপ্পো।
বয়স্ক শিশুরা এবারে গাঁটটি গোল পূর্বক অন্যত্র গমন করা বেহেতের, মুখব্যদন করে বসে থেকে বিশেষ সুবিধা হপে না, ভাগোয়াট দেয়াই দস্তুর বৈকি।
যাক যা বলছিলাম………
গুটি কয়েক পঞ্চদশবর্ষীয় ভুঁড়িওয়ালী এ রাজ্যের প্রবল হর্তাকর্তা। প্রকৃতিই নারীস্থান, নো অন্য প্রজাতি এলাউড। আশঙ্কা জনক ভাবে পণ্ডিত, কবি সাহিত্যিক, গানওয়ালী, নাচনেওয়ালী, আবৃত্তিওয়ালী আরও কত কী(মূলে কিছু না, ভং পাবলিক), ধড়াকে সরাজ্ঞান করে ভাঙ্গা ঠ্যাং নিয়ে দাপিয়ে বেড়াবার বিফল চেষ্টা নেয়। গোস্তাকি মাফ পূর্বক জানতে চেয়েছিলাম—জন্ম সনদ বিধি প্রণয়নের নীতিমালা কেমনে কী? বমনেচ্ছা উদ্রেককারী কুদৃষ্টিপূর্ণ চাহুনিজনিত মনোভাবের জন্য একটু ঢিমে তালে কাজ চালাতে হচ্ছে গুপ্ত স্থানে, এই তথ্য জানাল। উল্লেখ্য একটি জুটিকে বেশ কণ্ঠলগ্ন হয়ে চলতে দেখে, চকিতে সামনে উদ্য় হয়ে বিম্বৌষ্ঠধারীদের সকর্ম ও অকর্ম ক্রিয়ার সংজ্ঞা নির্ণয় পূর্বক বাক্য রচনা করতে বললে যা উত্তর পেলাম তা প্রকাশ বিধির আওতায় পড়ে না। আপাতত দ্রুত পায়ে লম্বা দিলাম।
ভীমরথী কথন,
শিশুরা ঘুম যাও। ইহা অতি অবশ্যই বড়দের,
এক দেশ যেখানে ছিল অনেক পাকা বুড়োর নিবাস। জবরজং ভাবে সবই ভালো চলছিল, হঠাৎ ষাটোর্ধ টেঁকো ফ্যা ফ্যা রকমের অকর্মণ্য কাকভুশণ্ডি কাকধ্বজ পাঁড়নেশারু কবর প্রান্তে দাঁড়িয়ে নবযৌবন প্রাপ্ত হয়ে নাতনী সম নিতান্ত সহজপ্রাণ সরল অষ্টাদশবর্ষীয় এক কন্যার পাণি গ্রহণ করে বসলেন। তক্কে তক্কে থেকে হঠাৎ একদিন সব বন্ধুরা মিলে চ্যাংদোলা করে গ্রাম্য হাটের দিনে ধরে এনে হাটসম্মুখে মাথা ন্যাড়া করত ঘোলের পরিবর্তে কাঁদা মেখে উন্মুক্ত পশ্চাৎ দেশে জালি বেত সহযোগে নলায় বাঁশকল (বাশঁডলা) প্রয়োগে দেশান্তরী হওয়ার মুচলেকায় গ্রাম ছাড়া হলো। আচমকা বছর পাঁচেক পর একটি পাঁচ কী ছ’মাস বয়সী কন্যা সন্তান বগলদাবা করে উল্লম্ব পিঠে গিটার ঝুলিয়ে উলঝুল গতানুশোচনাবিহীন উল্বন ভাবে তাকে আবার উদয় হতে দেখা গেল। ঢোল সহরতে আগাম ঘোষণা দিয়ে হাটের দিনে ধরে আনা হলো এবার, কঠিনতম শাস্তি আসন্ন, দোররা থেকে ইষ্টক নিক্ষেপ সহ (ইষ্টক ঝোলানোর ব্যবস্থাও আছে) অনেক কিছুরই সম্ভাবনা থাকছে,(কিন্তু চিলতা হাসি মেখে গুনগুনাচ্ছে ……আমাকে আমার মত থাকতে দাও………)
কিন্তু নিষ্পাপ শিশুটির দিকে তাকিয়ে বিচার সভা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।
আপনাদের যথা সময়ে বিচারিক কার্যক্রমের আপডেট জানান হপে।
সবাই নিজ দায়িত্বে বহিস্কার কার্যে ব্রতি হন।
৬৪টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
পাঠক হিসেবে বিবেচনা করলে আমি হলাম শিশু শ্রেণীর পাঠক। কারণ আমি কঠিন কথা কম বুঝি 🙂 । তবে আমি ঘুমিয়ে যাই।
আর ওই যে সেদিন আমি রাজকন্যাকে ডিভোর্সি বানিয়েছি বলে আড়ালে আমাকে মুখ ভ্যাঙচানো হয়েছে। কারণ কথা একটাই সময় বদলাবে কিন্তু রূপকথাদের বদল মেনে নেওয়া যাবেনা। এখন আপনিই পারবেন রূপকথা গুলোকে আপডেট করতে,,,,,,
ভাল লেগেছে ভাইয়া 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখন আর শিশু নেই। আপনি খুব পাকা। সে ভাল করেই বুঝতে পারি।
আপনার সাথে মজা করি।
রূপকথা রূপ কথা হয়েই থাকবে, একটুও বদলাবে না। অনেক গুলো গল্প আছে,
যা যে কেউ ইচ্ছা করলে সামনে নিয়ে যেতে পারে, আপনিও পারেন, সাথেই থাকব।
অরুনি মায়া
আমি পাকা 😮
মোটেও না।
না মানে মাঝে মাঝে একটু ফাঁকিবাজি খেলা খেলি এই আরকি :p
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকিবাজি চালু থাকুক।
আচ্ছা, আপনি খুব কাচা।
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :D) করতে গিয়ে শেষ দিকে মাথা গুলিয়ে গেলো ঈষৎ মানবিকতার দায়ে 🙁
অনেকদিন পর শব্দের এমন ব্যবহার দেখলাম যার চল বলতে গেলে নাই হয়েই যাচ্ছে 😀
ধন্যবাদ হেলাল ভাইয়া -{@
ছাইরাছ হেলাল
শেষটা সত্যি মানবিক।
একদম বানিয়ে বলা নয় কিন্তু।
আদ্দি কালের মানুষ, সব তো ভুলে যেতে পারি না।
আবার ইচ্ছে করে ও অমন লিখি
নীতেশ বড়ুয়া
একটা অনুরোধ রাখবেন প্লীজ?
এমন করে আদ্যিকালের শব্দগুলোর ব্যবহার প্রায়ই নিয়ে আসবেন। খুব ভাল লাগে। (3 -{@
ছাইরাছ হেলাল
প্রায়ই আনতে পারবো কিনা জানিনা।
তবে মনে থাকবে।
নীতেশ বড়ুয়া
জানি আবার দেখা হবে, শব্দের গভীরে, রুপকথার আঁচলে :p
স্বপ্ন
এই লেখা কতবার পড়ে বুঝতে হবে তাই ভাবছি।হয়ত কিছু অংশ বুঝতেই পারবো না।কিছুটা বুঝে আবার আসছি ভাইয়া 🙂 রূপকথা…..৩ এ ৩ নং মন্তব্যটি বুক করে গেলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কোন কোন জায়গাটি বোঝেননি তা আগে বলুন, সব বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।
স্বপ্ন
নিজের মত করে বুঝেছি ভাইয়া 🙂 আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা অনেক,
ধন্যবাদ নিজে নিজে বুঝে নেয়ার জন্য।
অরুনি মায়া
চিন্তা করোনা স্বপ্ন ভাইয়া। আমিও তোমার দলে,,,,,, :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বলুন কী কী বুঝিয়ে বলতে হবে।
মেহেরী তাজ
আমি ও আছি ইইইইইইইইই…….
আবু খায়ের আনিছ
আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি, তাই আগেরগুলো পড়তে হবে। ভাষার ব্যাবহার দেখার মত। এই রকমের দক্ষ্যতা বর্তমান সাহিত্যিকরা খুব কমই পাড়েন।
দোররার কষ্ট তারাই বুঝেন যারা এর শিকার হয়েছে, আর কিঞ্চিত বুঝেন যারা প্রতক্ষ্য করেছে।
ছাইরাছ হেলাল
প্রতিটি পর্ব ই আলাদা, এ সবেয় তেমন দক্ষতার দরকার পরে না, যে কেউ লিখতে পারে।
আমি কিন্তু কোন সাহিত্যিক না।
দোররা জানেন দেখছি, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
জিসান শা ইকরাম
আপডেট এর আর বাকি আছে কিছু?
এতো ভবিষ্যৎ আপডেট সহই পেলাম।
আপনি পারেনও 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তারপর অ যদি কিছু থাকে বলা তো যায় না।
নাহ,এ আর এমন কী!!
সীমান্ত উন্মাদ
দারুন লিখেছেন, আমি গত পর্ব পড়ার পর ভাবছিলাম, এই গল্প লিখার ধরনটা বহুকাল আগের,বুঝাই যাচ্ছে আপনি দস্তিদার এবং রাজবংশী, চন্দ্র পুলক ঘোষের সমকালের কারো লিখা পড়েছেন এবং ধরনটা চমৎকার রপ্ত করেছেন, আমি যদি ভুল না করে থাকি তবে বাংলা সংস্কৃত শব্দ থেকে যখন ধীরে ধীরে প্রচলিত বাংলায় শব্দ রুপান্তর চলছিল এই আপনার ব্যাবহৃত শব্দগুলো সেই সময়কার। আমি এক ঘাটাঘাটি করে দেখলাম ১৬৫০ থেকে ১৮৫০ পর্যন্ত যেসব সাহিত্য রচিত হয়েছিল সেই সব সাহিত্যে শব্দের ব্যাবহার ছিল আপনার ব্যাবহৃত শব্দগুলোর মত, কিছু কিছু হুবুহু আবার কিছু কিছু মিশ্রিত। চমৎকার একটি খেয়াল আপনার মনে আসার জন্য এবং সেই খেয়ালটাকে প্রচলিত গল্পের আঙ্গিকে রুপান্তরিত করে লিখার জন্য। বেশ ভাললেগেছে আমার। রূপচাঁদ মোড়লের অনেক কবিতা, গল্প ও উপন্যাসে আমিও এই সব শব্দের ব্যাবহার পেয়েছি। আপনি না লিখলে হয়ত এই শব্দগুলোর ইতিহাস অন্তত আমার কাছে অনেকটাই অজানা থাকতো। আমি আরো বছর দুয়েক আগে ভাগ্যক্রমে রূপচাঁদ মোড়লের চন্দ্র কন্যা নামে একটি গদ্য কাব্যের কিছুটা পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম আমার বাবার বই এর কালেকশন ঘাঁটতে গিয়ে, সংস্কৃত ভাষার ইতিহাস নামের ঐ বইতে রূপচাঁদ ও চন্দ্র পুলক ঘোষের উদাহরন সরুপ তাদের কিছু লিখার পক্তিমালা ছিল। আপনার এই ধরনের লিখা পড়ার পর, সেই সুত্র ধরে এই সব সামান্য কিছু তথ্য পেলাম। তবে দুর্ভাগ্য আমাদের এই সব ভাষা রূপান্তরিত হবার ইতিহাসের যেসব পাণ্ডুলিপি ছিলো তাঁর বেশির ভাগই সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে গেছে, এখন আপনার কাছে অনুরোধ যদি আপনি সেই সময়কার কোন লিখা বা কোন ক্লো পান তবে আমাকে আমার ফেইসবুক আইডিতে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো, আমার প্রচুর আগ্রহ এই সব বিষয়ের উপর জানার।
দুঃখিত অনেক লম্বা মন্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এমন করে পড়িনি। আর যাদের নাম বলেছেন তাও এই প্রথম শুনলাম।
এ বিষয়ে আপনার আগ্রহ দেখে ভাল লাগল। আমরাও আরও কিছু জানতে পারব।
আমার যা মনে হয় তাই লিখি, এই শব্দের ইতিহাস তাও আমার অজানা।
আপনি এ বিষয়ে কিছু লিখলে বা সুত্র উল্লেখ করে দিলে আরও জানার চেষ্টা করব।
মন্তব্য লম্বা না হলে তো অনেক অজানা থেকে যেত।
সীমান্ত উন্মাদ
আসলে মত তেমন কোন তথ্য আমি খুঁজে পাইনি, এসব এতো পুরুন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছর পূর্বের লিখা, আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিওট, বাংলা একাডেমী কোথায় এই সবের পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাইনি, কয়েকটা বই আছে সেই সময়কার লেখকদের যা পরে সংগ্রহ করে লিখা হয়, যারা কবিয়াল গান, কিংবা বাউল গান লিখেছিলেন, তাদের লিখা, কিন্তু খুবই অল্প, সেগুলোর অবস্থাও ভিষন নাজুক, এবং আমার যেহেতু ভাষা জ্ঞ্যান খুবই কম, তাই বুঝতেই পারিনি অনেক কিছু। এখন কলকাতার এক সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছি যে কলকাতার কোন সংগ্রহশালায় খোঁজ নিতে, তবে ও একটা ইন্টারেষ্টিং তথ্য দিল, মোটামুটি ১০০ বছর আগের যেসব পুঞ্জিকা এবং পত্রিকা বের হত সে সব জায়গায় সঙ্কৃত ভাষার কয়েজন লেখক নাকি লিখতেন, কিন্তু অত আগের কপি সংগ্রহ করাও মুশকিল কারন তখনকার অনেক পত্রিকাই এখন বন্ধ। আর একটা তথ্য পেয়েছি যে আনন্দবাজার পত্রিকার শুরুর দিকেও কিছু সংস্কৃত ভাষার লেখক এই ধরনের শব্দ ব্যাবহার করে বিশেষ সংখ্যায় লিখা দিতেন, এটাই ভরসা যে খুঁজে দেখতে হবে আসলে আছে কিনা, এবং আনন্দবাজার পত্রিকার আর্কাইভে ঐ সময়কার সংখ্যাগুলো আছে কিনা। পেলে কপি পাঠাতে বলেছি বন্ধুকে। আরো অনেক ঘাটাঘাটি করলে হয়ত খুঁজে বের করা যাবে, কিন্তু ভাষা নিয়ে গবেষণা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, আর আমার যেই প্রফেশন তাতে সংবাদ নিয়ে গবেষনা করেই সময় পার। তবুও ধীরে ধীরে দেখি কিছু পাই কিনা, আপনিও চেষ্টা করে দেখুন, দেখি আমরা মিলে কিছু পাই কিনা। আরেকটা ব্যাপার আমার মাথায় আসলো, আপনি বলছেন আপনি এমন কিছু পড়েননি তাহলে আপনার মনে এগুলো আসল কিভাবে, অদ্ভুত ব্যাপার!! আমি যতটুকু জানি মানুষের জ্ঞ্যান বিকশিত হয় জানার মাধ্যমে আর অবচেতন মনে যা আসে তাই যদি আপনার জীনে না থাকে তবে তা মস্তিষ্ক হয়ে লেখনিতে পরিনত হবার কথা না। এটা জানাও এখন অসম্ভর প্রায় যে আপনার পূর্বপুরুষদের কেউ সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী ছিলেন কিনা। কারন এসব বিষয় যে সময়কালের তখন ফ্যামিলি তৈরি করার ব্যাপার কল্পনাতীত। যাইহোক, হয়ত কিছু ব্যাপার আমাদের অজানা থাকলো, তাতে কি চলেন আমরা এই বিষয়টা নিয়ে ধীরে ধীরে গবেষণা চালিয়ে যাই। দেখা যাক রেজাল্ট কি হয়। আশাকরি সফল হব, না হলে সর্বচ্চ ব্যর্থই হবো, তবুও চেষ্টা করতে দোষ কি, কিছুতো অন্তত জানা যাবে। নাকি বলেন।
সীমান্ত উন্মাদ
ফ্যামিলি তৈরি বলতে আমি ফ্যামিলি ট্রী বুঝাতে চেয়েছি।
ছাইরাছ হেলাল
সে আমি বুঝতে পেরেছি।
না সেখান থেকে তেমন কিছু পাইনি।
কিছু পুরোন ডাক্তারি বি পেয়েছি ইংরেজিতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সীমান্ত ভাইয়া আমি একটা বই খুঁজছি। নামটা ভুলে গেছি, শুধু মনে আছে “পরিভাষা”। এখন সাহিত্যের পরিভাষা নাকি আর কিছু! বইটি পাওয়া যায়না। আমি কলকাতার কলেজ স্ট্রীট থেকে অনেক কাহিনীর জন্ম দিয়ে বইটি সংগ্রহ করেছিলাম। বইটি একজন নিয়ে আর দেয়নি। চাওয়ার পর বলে আমায় নাকি দিয়ে দিয়েছিলো। যাক তুমি কি একটু খবর নেবে? দেখবে পাওয়া যায় কিনা?
সীমান্ত উন্মাদ
ঠিক আছে আপু আমি খুঁজে দেখবো, তবে একটু ডিফিকাল্ট কারন বইয়ের পুরু নামটা অন্তত পেলে ভাল হতো, তবুও চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি। কি বলো?
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া কষ্ট হবে অনেক জানি, তাও যে বলেছো সেটাই অনেক। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার আগ্রহ দেখে আমার ভাল লাগল।
কিছু পেলে আমাদের জানাবেন।
নিজের প্রয়োজনে বেশ কিছু পুরোন বই পড়েছি, পড়ছি ও।
শব্দানুসন্ধানের জন্য নয়, সেখান থেকে হয়ত কিছু এসে গেছে।
আর এও জানি আপনি চাইলে বিভিন্ন উৎস থেকে আমাদের এ বিষয়ে সাহায্য করতেই পারেন
সীমান্ত উন্মাদ
খুঁজবো তো অবশ্যই। পাই বা না পাই। চেষ্টা করবো সর্বচ্চ, বেশি না পাইলেও কিছু না কিছু তো প্রাপ্তি ঘটবেই কপালে।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করব।
শুন্য শুন্যালয়
এইটা রূপকথা? 🙁
কি ভেবেছেন, যা লিখবেন তাইই পড়বো?
পড়তে তো হবেই, না পড়ে আর যামু কই? ভাংগা ঠ্যাং নিয়ে বেশিদূর তো যাওয়াও যায়না। ইলিশ মাছের ডিম খাইনা ভাগ্যিস, খেলে এইসব আউলাঝাউলা লেখা বের হতো!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পড়বেন নাতো আপনার ভূত পড়বে, লেখা অনেক কঠিন কাজ, আপনার মত নাকি!!
বসেই লিখে ফেললাম।
রূপকথার ভং ধরে আউল-ফাউল চালাচ্ছি, ভাবে ধরে ফেললে চলপে না।
পদ্মার ইলিশ জগৎ বিখ্যাত, ডিম ট্রাই করুণ ভাল করে ভেজে, মন্দ লাগবে না।
অবশ্য আউলাঝাউলার চান্স থেকেই যাবে।
শুন্য শুন্যালয়
আমি যদি বসলেই লিখতে পারতাম, তবে ২ বছরে কত পোস্ট হতো ভাউ? লেখা যে কত কঠিন তা আমি ছাড়া আর কে বোঝে? 🙁
নামেই রূপকথা, তাই তার রূপের শেষ হবেনা, যা খুশি লিখতে থাকুন। আমরা পড়ছি, এখন আবার মরার পরে ভূতের ঘাড় ধরে এনেও পড়ানোর প্ল্যান করছেন? 🙁
ছাইরাছ হেলাল
লেখা আপনার কাছে কোন কঠিন বিষয় হতেই পারে না, আমাদের শুধুই
বিমুখ রাখছেন, কোন ন্যায় শাস্ত্র বলে তা জানি না।
রূপকথার নামে সামান্য আউলাজাউলা চালাচ্ছি তা বুঝেও পড়ছেন সে তো
আদ্দিকালের পূণ্যের ফল।
জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য দেখে যাক দুর্বৃত্ত। পড়তে তো আপনাকে হবেই।
সেই সাথে লিখতেও হবে।
লীলাবতী
ইলিশের ডিম আমি খাই।শুন্য আপু,বাসায় যত ইলিশ রান্না করবেন,এখন হত সব ডিম আমার জন্য রেখে দিবেন।
সব শেষ,আর আপডেট দরকার নেই,সামান্য ডিম নিয়ে ঝগড়াই তো,আমি হলে কবে ভুলে যেতাম।দিন শেষে তো আমরা আমরাই।
ছাইরাছ হেলাল
সে তো আপনাদের ব্যাপার ডিমের ভাগাভাগির বিষয়।
তবে ‘আমরা তো আমরাই’ সিস্টেম চালু হয়ে গেছে।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা ডিম আপনার জন্য রেখে দেব, আর মাছ আমার জন্য রাখতে হবে। হয়ে গেলো। ঝগড়াঝাটির কিচ্ছু নেই। মারামারি কাটাকাটি বন্ধুতে হয়, তাই দিন শেষে আমরা আমরাই। ঝগড়াঝাটির আপডেট না থাকলেও তোমার আপডেট আছে, লীলাবতী। অপেক্ষা করো।
ছাইরাছ হেলাল
‘আমরা তো আমরাই’ সিস্টেমে ডিমমাছ কোন ব্যাপারই না।
আর অন্যদের এদিকে চোখ পাতার ও কিছু নেই।
ভত্তাবতী বেশ আছে দেখতে পাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
সত্যি বলতে পিছপা হইনি। কিচ্ছু বুঝিনি লেখা। ^:^
এটা যদি হয় রূপকথা, তাহলে ঠাকুরমার ঝুলি কোন কথা কে জানে! ;?
তার চেয়ে ঢের ভালো চুপকথা হয়ে থাকা। -:-
ভাবছি আমি ভূতকথা লিখবো। ;?
**লেখাটা সম্পর্কে একটু বুঝিয়ে দিলে কৃতার্থ হতাম। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে দু’টো গল্পের কথা বলছি এ যাত্রায়।
প্রথম নারীস্থান।
এখানে যেহেতু সব নারী তাই নুতন শিশু জন্মের প্রক্রিয়া কি?
উত্তর হলো… যেহেতু পুরুষ সমাজ নারীদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকায় তাই ও বিষয়টি প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।
ভীমরথী…
ষাটোর্ধ বুড়ো নাত্নীর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করায় গ্রাম্য সালিশে নানাবিধ শাস্তি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়।
বছর পাঁচেক পর আবার ফিরে আসে তার তিন/চার বয়সী কন্যা সন্তান নিয়ে, এটা দেখে আবার ধরে আনা হলো
কিন্তু শিশুর মুখ দেখে আর বিচার করা গেল না।
জীবনের জয় গান, এই তো। এবার আবার একটু কষ্ট করে পড়ুন,গুরুভাই
নীলাঞ্জনা নীলা
কষ্ট করে পড়লাম আবার, নতূন একটি দাঁত নড়ছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দাঁত ই নেই আবার নড়বে কী!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই আলাদা দাঁতেরই একটা নড়ছে। :p
ছাইরাছ হেলাল
ফোকলা থাকাই উত্তম।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই বুঝি? একটু সাবধানে থাকবেন, বয়স জানি কতো হলো এই জন্মদিনে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
মাত্র দেড় কুড়ি!!!
সাবধান আছি ভাই।
মেহেরী তাজ
এক, দুই তিন, চার,পাঁচ, ছয়,……. পঁচিশ, ছাব্বিশ, সাতাইশ, আঠাশ
এই লেখা পড়তে গিয়ে আমার চার চারটা দাঁত নাই হয়ে গেছে…. ^:^
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া, উপরের মন্তব্য পড়ুন, দাঁত আবার গজিয়ে যাবে।
মেহেরী তাজ
আপনার কি ধারনা এই মন্তব্য আমি একবার পড়ে/ অন্যদের মন্তব্য গুলো না পড়েই করছি।
চেষ্টা চালয়ে যাচ্ছি ভাইয়া। না বলতে কোন শব্দ নাই। 🙂
জন্মদিনের শুভেচ্ছা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
চলুক চেষ্টা, সাহায্য লাগলে আওয়াজ দিয়েন ভাই।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
রিমি রুম্মান
শব্দের জটিলতম ব্যবহার…
পড়তে হবে আবার… আবার… 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সময় পেলে আবার দেখবেন, অবশ্যই।
লীলাবতী
আপনি লুক ভালু না।কথা এত পেঁচিয়ে বলেন কিলা?মস্তিস্কের উপরে এত চাপ পড়ে আপনার লেখাইয়।আমি শেষ 🙁
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিক বলেছেন, লুক হিসাবে একটি দিস্টাব আছে, তয় মন্তব্য পড়লে কিন্তু সব কিলিয়ার।
ব্লগার সজীব
মন্তব্য পড়ে বুঝলাম, এত সহজ লেখা 🙂 রূপকথা ভালো হচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই সহজ, কেউ ই বুঝতে চাইলো না।
ভালোলাগা ভালই লাগল।
ইমন
প্রমথ চৌধুরী বেচে থাকলে আপনার বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দলন গড়ে তুলতেন মনে করি। পাঠোক ও বিদ্রোহ করতে পারে যেকোনো সময়। তাই, বলি কি হেলাল ভাইয়া, সাবধান। আপনার এই দাত-ভাংগা শব্দ চয়ন পাঠক যদি নিতে না পারে ,মানে বুঝতে না পারে তবে তারা আস্তাকূড়ে ছুড়ে ফেলতে একটুও দ্বিধা করবেনা। আপনার শুভাকাংখী , ছোটো ভাই, গূনমুগ্ধ পাঠক হিসাবে কথা কটা বলা। আশা করি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর ভুলেও বলবেননা যে, আপনি পাঠকের জন্য সৃষ্টি করেননা বা নিজের আনন্দের জন্য কিখেন। প্রতিটা স্রষ্টা তার সৃষ্টির প্রশংসা চায়। স্ব্যং, বিধাতা কান পেতে থাকে তার প্রশংসা শুনার জন্য।
শুভেচ্ছা নিবেন -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা এমন সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য।
নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে। সে আমাদের অমূল্য সম্পদ। যদিও বুড়োদের ভয়-ডর কম
তবু মনে রাখার চেষ্টা চালি থাকবে।
শুন্য শুন্যালয়
ইমন ভাইয়া, শ্রদ্ধা সহকারে আপনার এই মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। যে লেখায় নিজের আত্মতৃপ্তি আসেনা, সে লেখা পাঠক পর্যন্ত পৌঁছায় না, এটা আমার অভিমত। লেখকের নিজের একটা ধরন থাকে লেখায়। পাঠক পর্যন্ত পৌঁছেছে বলেই কতোযে বই পড়েছি হুমায়ুন আহমেদের, কিন্তু নাম জিজ্ঞেস করলে আমি হাতেগুনে হয়তো কয়েকটা বলতে পারবো। সেসব বই আজ পর্যন্ত মনের মধ্যে ঘোরে যেগুলো কঠিন বলে প্রথম কিংবা দ্বিতীয়বার রেখেই দিয়েছিলাম। রবীন্দ্রনাথের লেখা বেশিরভাগ আমি প্রথমবারে বুঝতে পারিনি। আমি আসলে ছাইরাছ ভাইয়াকে এমন লেখাতেই মানিয়ে পাই। আমাদের দাঁত চুলের মায়া নাহয় পরিত্যাগ করেই দিলাম। আর এখন তো আরো ভয় নেই, আমাদের তাজ আপু সময়ের ক্লোন করে ফেলেছে, সো এক, দুই, তিনবার। তিনবারের বেশি হইলে কিন্তু আমিই খবর নেব পন্ডিত ভাই। হুম্মম্মম্মম্মম :@
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমি আবার ইমন ভাইয়ার সাথে একমত। আমরা লিখি কেন? কেউ যদি আনন্দই না পেলো, বুঝতে গিয়ে বুঝতেই পারলোনা। বুড়ো আর আনন্দর সব লেখাই কি আমাদের প্রিয় হয়? মনে রাখি? না। যা বুঝি, তা-ই কিন্তু প্রিয় হয়ে যায় আর মনের ভেতর থেকে যায়। কেন আমরা লেখা নিয়ে সমালোচনা করি? কেন বলি এসব কি লেখা? কবিভাই ভালো লেখেন তা ঠিক। কিন্তু মন ছুঁয়েছে সবার সে কয়টিরই যা বোঝা গেছে। আমি তোমাকে কিংবা কবি ভাইকে সম্মান করি, তাই বললাম কথাগুলো। যদি বুঝতেই পারলাম না, তখন কিভাবে মানুষের মনে আনন্দ জাগবে?
ছাইরাছ হেলাল
বেশ কঠঠিন ভাবের আদান-প্রদান চলছে,
চালু থাকুক।