ঘুম, তুমি ঘুমাও, আমি জেগে থাকি।
রাত্রিময় অঘুম সুনসানের এ দেশে, এ পাশ ও পাশ করে, নিঃশব্দে ঘুমের অমর্ত্য রাগিণীর তান ছুঁয়ে এঘর ওঘর করি, ঘুমানোর চেষ্টায়, স্বপ্নোত্থিত স্বপ্নের শেন্যসম দৃষ্টিভয়ে জেগে থাকি, জেগে জেগে সকাল দেখি, আবার ঘুমিয়ে পড়ি ঘুমহীন ভাবে,
নাকডাকা বিগত যৌবনা স্বপ্নঘোর স্বপ্নভোরের নিকুচি করি, ভয় পেয়ো না ঘুম, ঘুমাও, এসেছি, আসবো আবার আকাশী সিঁড়ি বেয়ে। দুষ্টু ভীষণ কিচিরমিচিরের চড়ুই ঘুম, কতবার দিয়েছি হুস হুস, হয়নি কিছু কাজের কাজ, ফিরে ফিরেই আসে, ঘুম ক্রমাগত মেপে মেপে চলে আপনার একান্তে, দেশ থেকে মহাদেশে, অন্ধ চলাচলের প্রেম বয়ে যায় আমৃত্যু।
বুড়ো হাবড়াদের ভীমরথী কবিতায় ভর করে, যা পারেনি তা পারতে; বেপথু হয়ে আসে ঘুম ভাঙ্গাতে, স্বাপ্নিকের ঘুমের দেশে অজস্র বিকট বিমর্ষ ধুন্ধুমার কাকতাড়ুয়া ঘোরদুপুরের ঔদাস্যে,
হে মধ্যরাতের তামাটে প্রহরের শয্যাশায়ী ঘুম– লেবু পানি, রোদজল বা কমলালেবুর রস চাই? পাবে তো তা অবশ্যই, তবু ঘুমাও নিশ্চিন্তপুরে; কোমল অনল পানে ডুবেও চোখ মেলেই রাখি।
ঈশ্বর প্রকাশ্যে হাসেন, দিনের শেষে রাতের প্রহরে!!
৪৬টি মন্তব্য
লীলাবতী
আপনার লেখায় অনেক দিন পরে প্রথম মন্তব্য করার সুযোগ পেলাম।আহ শান্তি,ওম শান্তি ওম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমার শান্তি শান্তি লাগল প্রথমেই আপনাকে পেয়ে,
ইদানিং আপনার দেখা পাওয়াই ভার!!
লিখুন কিছু একটা। কত দিন পড়ি না আপনাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
এ কি দেখলাম হেলাল ভাইয়া!!! লীলাপু সবার আগে কমেন্ট করলেন!!!
পোস্ট দিয়েছেন উনি আর যা দিয়েছেন তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম হবার দশা (ভয়ে ব্যাপক ইমু হপে)
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, তাইতো, সবার আগেই লিখলেন।
ভয় পাওয়া কিন্তু খারাপ না।
নীতেশ বড়ুয়া
ভয় পাই নাই হেলাল ভাইয়া, তবে ভয় খেয়ে গেছি :p
মেহেরী তাজ
ও তাইলে তো প্রথমে মন্তব্য করা থেকে দূরেই থাকতে হবে…… 🙁
ছাইরাছ হেলাল
দূরে থাকিলেও কেউ কেউ কাছেই থাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
মনের দূরত্বই সব চাইতে বেশী দূরের যা সহজেই কাছে নিয়ে আসে ভালবাসার অনুভবে-ফীলিং সোনেলার টানে কাছে আসার গল্পো 😀 -{@
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, দারুণ বিশ্লেষণ।
নীতেশ বড়ুয়া
😀 (3 (3 (3
লীলাবতী
ঘুম চাইলেই আপনাকে ঘুমুতে কে দিচ্ছে?চড়ুই হয়ে আসবোই আসবো,যতই হুস হুস করুন না কেন 😀
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো দেখছি, চাইলেই পাচ্ছি না ঘুম কে।
ঐ যে, বিধাতার হাসি জারি আছে।
অরুনি মায়া
রাত গভীর হলেই যে কিনা ঘুম তাড়াবার সুব্যবস্থা করে নিয়ে বসে, অনুভূতি ঘরের তালা খুলে দেয়, সে যদি ঘুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তা কি মেনে নেয়া যায়,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
মেনে নেয়া যায় না তা ঠিক, কিন্তু তার পরেও কিছু না বলা কথা থেকেই যাচ্ছে।
বেশ বলেন আপনি।
অরুনি মায়া
জি চোখের নিচে কালি, খিটখিটে মেজাজ, ভোরের হাওয়া থেকে বঞ্চিত ঘুমহীন এক ঘুম কাতুরে মানুষ ঘুমের খোঁজে কাব্যিক আহবান জানাচ্ছেন ঘুমকে দরজার বাহিরে অপেক্ষারত অবস্থায় রেখে। কথা তো অবশ্যই কিছু বাকি থেকে যায়,,,, ,
ছাইরাছ হেলাল
থাক না গুপন কিছু কথা, এই অবসরে।
জিসান শা ইকরাম
আধুনিক রূপকথা পড়তে ভালোই লাগে—
ছাইরাছ হেলাল
ভালো লাগলেই ভালো।
সিকদার
তবু আসেনা ঘুম আমার দুই চোখে,
তরুনী মেঘল চুলের বেনী বাধা ভাজে,
জুই বেলী গন্ধরাজের কানন ভাগে
শরতের মেঘ হয়ে পালিয়ে বেড়ায়
ঘুম ভাংগা হৃদয়ের স্বপ্ন বয়ে ।
তবু আসেনা ঘুম আমার দুই চোখে,
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, নিঘুম আপনাকেও খুঁজে নিয়েছে!! খুব সাবধান।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘুম কি অবশেষে এলো? আদৌ কি ঘুমায় আমাদের মানবীয় সত্ত্বা? জেগে থাকে অবচেতন মনে। ওই অবচেতনে স্বস্তি-সুখ জড়িয়ে রাখে। ভুল বললাম? আজকাল আবার শেকড়েই চলে গেছেন। কবিতায় মুগ্ধতা। -{@
ফিরে ফিরে যায় যতোই দূরে থাকুক ঘর
ডাকে, হাতছানি দেয় শেকড়
শেকড়চ্যুত হতে নেই। সে রাই কিংবা দেবী কিংবা আর যে-ই হোক না কেন :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও আজকাল খুব কঠিন মন্তব্য করেন।
শেকড়ের ডাক উপেক্ষার উপায় নেই, আর সেখানে রাইয়েরাও থাকে পরম যত্নে একান্ত
আপনজন হয়ে আপনের ই মতন।
নীলাঞ্জনা নীলা
বলেন কি! আমি কঠিন!!!
বাপু কি যে হয়েছে ভগবানই জানেন!
আপনি বলেন কঠিন, আর জানেন আমার একটা বন্ধু ও বলে আমি নাকি ঝগড়ুটে হয়ে গেছি।
কি যে জ্বালা।
রাই গো তুমি কই গো!
কবি ভাইরে আগলে রাইখো গো। 😀 দাঁত লাগিয়েছি নতূন করে :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি মহা ইয়ে হয়ে যাচ্ছেন,
রাই এর দিকে তাকাবেন না যেন, আপনাদের পাল্লায় পড়লে সে আর সে থাকবে না।
দাঁতের যত্ন নিন।
নীতেশ বড়ুয়া
মুক্তগদ্য!!!!!!!
আহ!! অনেক সহজ করে লিখছেন অনেক দিন পরে :p এইজন্য ডাবল (3 (3 -{@ -{@ আপনাকে হেলাল ভাইয়া 😀
ছাইরাছ হেলাল
খুবই সহজ, তবে এখনই ডাবল দিয়ে ফললে তো হবে না।
এরপর তো আরও আছে। তখন কী হবে!
নীতেশ বড়ুয়া
ইমুর অভাব হবে না 😀
আর আপনার এই মুক্তগদ্য উপলক্ষে এই গানঃ
খালিদের গাওয়া ‘ঘুমাও তুমি ঘুমাও গো জান- https://youtu.be/YbRFzwnW25Y
ফাহমিদা নবীর কন্ঠে একই গানঃ https://youtu.be/C47jBurAzGM
ছাইরাছ হেলাল
দুটোই শুনলাম।
নীতেশ বড়ুয়া
ইমুর অভাব হবে না 😀
আর আপনার এই মুক্তগদ্য উপলক্ষে এই গানঃ
খালিদের গাওয়া ‘ঘুমাও তুমি ঘুমাও গো জান- https://youtu.be/YbRFzwnW25Y
নীতেশ বড়ুয়া
একই গান এইবার ফাহমিদা নবীর কন্ঠেঃ https://youtu.be/C47jBurAzGM
ছাইরাছ হেলাল
ফাহমিদারটি বেশি ভাল লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
খুব সুন্দর গান। শুনলাম।
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার জন্য এই গান ডেডিকেট করা হলো তবে। আর জান বলার মানুষ আপনার আছেই :p
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই দুষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবাই।
নীতেশ বড়ুয়া
স্পর্শে লজ্জাবতীও সাড়া দেয় :p
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই অভিজ্ঞ দেখছি।
নীতেশ বড়ুয়া
একেবারে সিঁড়ি ছাড়া নামার ট্র্যাপে ফেলে দিলেন দেখছি ;?
ছাইরাছ হেলাল
যারা পারে তারা পারে,
মরুভূমির জলদস্যু
-{@ রাত্রিময় অঘুম সুনসানের এ দেশে, এ পাশ ও পাশ করে, নিঃশব্দে ঘুমের অমর্ত্য রাগিণীর তান ছুঁয়ে এঘর ওঘর করি -{@
চমৎকার লিখনি
ছাইরাছ হেলাল
চমৎকার কিনা জানিনা, তবে ভাবনার প্রকাশনা মাত্র।
মেহেরী তাজ
ঘুমের জন্য এতো কিছু?
পাহারাদার পেয়ে ঘুম কি ঘুমিয়েই পড়েছে,নাকি জেগে আছে?
ছাইরাছ হেলাল
ঘুম কোন হেলাফেলার বিষয় নয়,
সে তো কঠিন প্রশ্ন কে ঘুমায় আর কেই পাহারা দেয়।
ব্লগার সজীব
ঘুমদের ঘুমেরা পাহারা দিক
আচ্ছা ঘুম হলে কি রূপকথা থেমে যাবে?
ছাইরাছ হেলাল
পাহারা চলছে চলবে।
ঘুমালে থেমে যেতেই পারে, তাই অঘুমের আয়োজন।
শুন্য শুন্যালয়
অঘুমপায়ীরা অনেক কিছু পারে, চাইলে ঘুম কে পাহারা দিতে পারে, চাইলে বেপথু হয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিতে পারে। রুপকথার রাজ্যে সোনা আর রুপোর কাঠি নেই? তবে রূপকথার সেই ব্যাকগ্রাউন্ড সুর পুরোটাই আছে লেখাতে।
ঈশ্বরের সাথে দেখা হবার জন্যে হলেও আমার রাত জাগা উচিৎ, কিন্তু হায় ঘুম, মরার ঘুম ছাড়িস না ক্যান?
অনেক ভালো লেগেছে ভাউ। লেখার জন্য বিনামূল্যে টিপস কিন্তু দেয়া উচিৎ।
ছাইরাছ হেলাল
চাইলেও সবাই সব কিছু পায় না, অবশ্য যা পাওয়া যায় স্বতস্ফূর্ত ভাবে তাও অনেক।
আমতা তা নিয়েই আনন্দে থাকি। বাহ্ ব্যাকগ্রাউন্ডে তা আছে, আপনার কাছে ধরাই ধরা।
আপনার জন্য ঘুম ই উত্তম।
আপনি টিপস্ চাইছেন!! চাইলে টিপস্ কেন পুড়ো লেখাই দিতে পারি, অনুমতির অপেক্ষা মাত্র।