দিন ফুরোলেই রাত,
পেরুবো সন্ধ্যাসাঁকো ধীর লয়ে, ধীরে ধীরে
সুগন্ধিস্নান শেষে;
অপেক্ষায় রাত্রি।
সেবারে যখন এসেছিলাম
এই সাঁকোটিই পেরিয়েছিলাম।
নড়বড়ে হলেও দিব্বি হাসি হাসি মুখ করেই
ঘাড় বাড়িয়েও দিয়েছিল,
সহসা আয়নাজলে চোখ আঁটকে গেলে
থমকে দাঁড়িয়েছিলাম;
অভয়সাঁকো সাহস দিয়েছিল, ও কিছু না,
এইতো পার হলে বলে।
বড্ড ভয় পেয়েছিলাম,
রাতের ছবি আঁকা কালোমুখ দেখে।
১৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
কয়েকটি শব্দ খুবই ভালো লেগেছে। সন্ধ্যাসাঁকো, অভয়সাঁকো, আয়নাজল শব্দ তিনটির মানে বুঝতে পারছি, আবার নাও। দিন অস্ত গেলে রাত্রি আসে। এ রাত্রি কি থেমে যাওয়া জীবন?
তবে ভালো লেগেছে। আমার স্যার একদিন বলেছিলেন কবি যে কবিতা লেখেন তাঁর ভাব একরকম থাকে। আর পাঠকরা সেই কবিতার মর্মকথা নিজের মতো করে তৈরী করে নেয়।
কুবিরাজ ভাই বুঝলেন কিছু? 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার স্যার একদিন বলেছিলেন, কবি যে কবিতা লেখেন, তার ভাব একরকম থাকে।**
ছাইরাছ হেলাল
স্যার ঠিকই বলেন,
তবে ল্যাক্তেই তো পারলাম না,
ছাইরাছ হেলাল
দিন ও রাত্রির সেতুবন্ধন হলো সন্ধ্যা,
সেই সেতু পার হতে গিয়ে জলের আয়নায় সে কিছু দেখে অনেক কিছু ভাবছে,
আপনার স্যার জ্ঞানী মানুষ,
তিনি যা জানেন বা বলেন তা ঠিক-ঠাক ই বলেন,
আমি নাদান পাবলিক, শুধু শিখতেই আছি,
সব বুঝে ফেলা ঠিক না, তাই সে চেষ্টাও করি না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই আপনিও জ্ঞানী, স্যারও জ্ঞানী। তাইতো সমস্যা। আমার মতো মেধাহীন পাবলিক কিভাবে বুঝবেন আপনার কবিতা, বলেন? 🙁 বুঝাইয়া দিলে বুঝি। কবে যে মেধাবী হবো, কিছুই তো শেখালেন না। ;(
তবে আপনার বলার পরে বুঝলাম কবিতার মানে। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
**কিভাবে বুঝবে**
ছাইরাছ হেলাল
আমি না, আপনার স্যার প্রকৃত জ্ঞানী।
আপনি-ই মেধাহীন হলে আমরা তো নাই-ই হয়ে গেলাম।
আমাদের স্যার নেই তাই কিছুই শেখা হল না,
আপনি ভাগ্যবতী বলেই শিক্ষক পেয়েছেন।
মিষ্টি জিন
এবার সাকো নিয়ে পড়লেন !!! নাহ,, কিছুই বাদ দিচ্ছেন না দেখি।
নীলা আপুর মত আমারও সন্ধ্যা সাকো, অভয় সাকো শব্দ ভালো লেগেছে।
আপনার কবিতা ভাল না হয়ে পারে না।
ছাইরাছ হেলাল
টুকে-ফুকে মন্তব্য করা ঠিক না।
ভাল না লেগে উপায় আছে!!
বেরাট ল্যাখক আমি যে!!
জিসান শা ইকরাম
সাঁকো পার কোন ব্যাপারই না, অভয় পেলে
রাত্রিকে সাঁকো পার হতেই হবে যে,
ছাইরাছ হেলাল
অভয় আছে বলেই পার হতে পারবই,
রাত্রির এবার রক্ষা রবে না।
ইঞ্জা
খুব ভালো লিখলেন ভাই, মুগ্ধ তো হই প্রতিবারেই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
(y)
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা
শুন্য শুন্যালয়
কেন আপনার কবিতা সব বুঝেও কিছু না বোঝা থেকে যায়? কেন আপনি নিজের জন্য কবিতার প্রাণটুকু রেখে দেন? 🙁
রাত্রির সাথে দেখা করতেই তো যাচ্ছিলো, তবে আয়নাজলে কেন রাতের কালোমুখ দেখলো? তার কী অনেককিছু মনে পড়েছে?
আয়নাজলে কিন্তু নিজের মুখই দেখার কথা।
ছাইরাছ হেলাল
সবই তো উজার করে দিচ্ছি,
প্রাণ-প্রুণ আছে কি না সে আপনাদের ভাবার বিষয়!!
ঠিক বলেছেন, আয়নাজলে নিজের মুখই দেখার কথা, তাই দেখা যায়,
তবে সে মুখের ছবিতেও অন্য কোন মুখ ভেসে ওঠা অস্বাভাবিক না,