– শ্বশুর আব্বা? ও শ্বশুর আব্বা?
-দ্যাখো জামাই! আমার মেয়ে এখনো ছোট। নেহায়েৎ তোমার বাবা বন্ধু মানুষ। নাহলে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতাম না। মেয়ে একটু ভয় পাবেই। এত চেঁচামেচির কি আছে….
– আরে ধূর ভাই! থুক্কু শ্বশুর আব্বা! কিসের মধ্যে কি বলেন!
-কেন! হয়েছে কি?
-অনেক কিছুই। রাতে কম্ম শেরে ঘুমাইলাম। হটাৎ কে যেন লাথি মেরে আমাকে খাটের তলায় ফেলে দিলো! আমি উঠে দেখি আপনার মেয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে!
-লাথি কি আমার মেয়েই মেরেছে!
-আব্বা! আপনার মেয়ে ছোট! নিশ্চয়ই সে দুষ্টুমি করেছে।
-হৈতে পারে। তা চেঁচাচ্ছো কেন?
-ইয়ে মানে!
-ইয়ে মানে করছো কেন! বলো কি বলবে?
-খাঁটের নিচে পেঁরেক ছিলো! ঢুকে গেছে রানে।
-বলো কি! বলো কি! কি মুশকিল! পেঁরেক আসলো কোথাথেকে?
-ঐটাই তো সমস্যা! নিশ্চয়ই আপনার মেয়ে এনে রেখেছিলো! দুস্টু মেয়ে!
-হৈতে পারে। তা চেঁচাচ্ছো কেন?
-একটা ম্যাচ বক্স হবে?
-কেন?
-প্রাথমিক চিকিৎসাটা করাতে চাই। রানে নাহলে ইটিএস ইনজেকশন দিতে হবে। আমার আবার ইনজেকশনে ভয়!
-ও! তাই বলো! রান্না ঘরে আছে। নিয়ে যাও। আবার রেখে যেও। সকালে নাস্তা তৈরি করতে আবার লাগবে।
-অবশ্যই বাবা। এক কাঠিতেই হবে।
– সেকি কথা! এক কাঠি! কমপক্ষে তো দুইটা লাগার কথা। একটার বারুদ তোমার পেরেক ঢুকার জায়গায় লাগাবা আরেকটা দিয়া আগুন জ্বালিয়ে শেঁক দিবা।
-হুম। শ্বশুর আব্বা। আসলেই। মুখ ফঁসকে বার হয়ে গেছে।
-মুখ ফঁসকে! সেকি কথা! মুখ ফঁসকে তো সত্য বের হয়। তবে কি তুমি গ্যাসের চুলা ছেঁড়ে আমার বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে চাচ্ছো?
-না! না! একদমই না।
-তবে?
-তবে কিছু না। আপনি ঘুমান।
-না। তোমায় বাপু ভরসা পাচ্ছি না। কৈ তোমার ইয়ে টা দেখাও।
-ছিঃ! শ্বশুর আব্বা! ঐটা গোপন জায়গায়। আপনাকে দেখাবো না।
-মরন! যাও যাও! আমি অপেক্ষা করছি। ম্যাচ নিয়ে লাগিয়ে ফেরত দিয়ে যাও।
– :/ ঠিকাছে।
এক মিনিট পর…
-এই নিন শ্বশুর মশাই…
-উমম! এ কি! ঐ ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে কেন! তুমি কি আমার মেয়ের গায়ে আগুন ধরাইয়া দিছো!
– না! না! 😮
– তাহলে ধোঁয়া কিসের?
-আরে ধোঁয়া না। কুয়াশা!
– গরমকালে কুয়াশা! -_- ইয়ার্কি করো মাঝ রাতে!
-আমি দেখে আসি।
-না না।
– কি আজব! সমস্যা কি?
-আপনার মেয়ের কাপড় ঠিক নেই। ঐখানে যাবেন কেন!
-এহেম! এহেম! তাহলে ধোঁয়া কিসের! ঐটা বলো।
-ধুর্বাল! সিগারেটের ধোঁয়া। ঘুম আসছিলো না। তাই ধরাইছি!
– কি বাল কি কইলা?
– কৈ বাল বলছি! বলছি ধোঁয়া আব্বা! সিগারেটের ধোঁয়া!
-ও তাই বলো! সিগারেট?
-হুম। সিগারেট।
-এটা সিগারেটবাড়ী না। শ্বশুরবাড়ী। এখানে এসব চলবে না।
-ধুর্বাল! :/
– হুম। রাতে ধোঁয়া উড়ানো ভালো না। যাও যেটা জ্বালাইছো ঐটা খেয়ে ঘুমাও।
(-মনে মনে তোমার পটর পটর আলাপে সিগারেট রইছে নাকি এতক্ষন পর্যন্ত ^:^ ) – ঠিকাছে শ্বশুরআব্বা। ঠাডু পড়ুক নাইট।
– হুম। গুড নাইট।
১৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
হা হা একটা সিগারেট ধরানের জন্য এত্ত কিচ্ছু? 😀
ঠাডা পড়ুক নাইট আরিফ ভাই। ঠাডা পড়ুক ঘুমাইন্যা বউ এর উপ্রে। জামাই রে জ্বালায় ফালাইয়া ঘুম দিছে :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হুম।
মাঝে মাঝে একটু বুদ্ধি খাটাইতে হয় বিশেষ কম্মের জন্য।
বিয়ার মাসে নাকি বউদের ঘুম বেশি হয়! সত্যতা জানা নাই।
হাবিব শুভ
😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
;?
ইঞ্জা
ঠাডা পড়ুক। :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
:D) :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
:D) 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
😮
ঠাডা পড়ুক নাইট। :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
😀 :D)
আবু খায়ের আনিছ
:D) :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
:p :p
গাজী বুরহান
সিগারেট পাইয়ালিছি। এহন আর কুচ্ছু লাইগতইন্নায় \|/
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হে হে হে!
কিছু মানুষের এইটা হলেই চলে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চমৎকার -{@
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
ধুমপানে বিষ পান,
সিগ্রেট খাওয়া ভালু না,
অবশ্য লেখা শুধু লেখাই, মজারু হইছে।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হুম।
ধূম্রপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
আমি পান করি না। অনেকেই করে।
ধন্যবাদ জিসান ভাই।