
আমেরিকার আকাশ তখনো অন্ধকার, রুদ্ররা আমেরিকার নিউইয়র্কে ল্যান্ড করেছে, কিছুক্ষন পর ওরা বেরিয়ে এলো লাগেজ নিয়ে, একটা টেক্সি এসে দাঁড়ালে রুদ্র সবার লাগেজ ব্যাক ট্রাংকে রেখে নিজেরা উঠে পড়লো, পূর্বদিকের আকাশে হাল্কা লালচে আভা মাত্র দেখা যাচ্ছে।
রুদ্র সব লাগেজ তোলা হয়েছিলো বাবা, রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন।
হাঁ মম চিন্তা করোনা, সব তুলে রেখেছি।
মা তুমি তো আগেও এসেছো নাকি?
হাঁ মম বেশ কয়েকবার এসেছি, এইখানে প্রচুর আত্মীয়রা আছে, খবর পেলেই হবে, সব উড়ে আসবে, বলেই ফিক করে হাসলো অনিলা।
না এখন নয় অনি, ভাইয়ার অপারেশনটা হয়ে যাক, এছাড়া আমাকে দেশে তাড়াতাড়িই ফিরতে হবে।
ঠিক আছে, ও আমি বুঝতে পেরেছি।
রুদ্ররা যে বাসা ভাড়া নিয়েছে সেইটি এক ব্যাংকারের, উপরে নিচে মিলে পাঁচটি রুম, ভাড়া দুই হাজার ডলার অন্যান্য খরচা সহ।
নীল সুস্থ হয়ে গেলে সুমী হোস্টেলে উঠে যাবে এবং ভাড়া বাসাটি ছেড়ে দেওয়া হবে এমনই প্ল্যান করা আছে।
ওরা যখন ভাড়া বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো তখন সকাল সাড়ে সাতটা, রুদ্র টেক্সি ফেয়ার মিটিয়ে দিয়ে মালামাল নামিয়ে নিয়ে মা আর অনিলাকে নিয়ে বাসার দিকে এগুলো।
সুমি ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য বেরুচ্ছিলো, দরজা খুলে বেরুতে যাবে হটাৎ রুদ্রদের দেখে চিৎকার করে উঠে ভাইকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
কিরে কাঁদছিস কেন?
আমার খুব খুশি লাগছে ভাইয়া, বলেই মাকে জড়িয়ে ধরলো।
কেমন আছিস তোরা, রুদ্রের মা জিজ্ঞেস করলেন।
ভালো আছি মম, তুমি কেমন আছো?
ভালো আছি আমি, দেখ সাথে কে এসেছে।
অনিলার দিকে তাকিয়ে মাকে ছেড়ে অনিলাকে জড়িয়ে ধরে বললো, ভাবী খুব ভালো লাগছে তোমাকে দেখে।
ইতিমধ্যে রেনু রুহি বেরিয়ে এসেছে সুমির চিৎকার শুনে, রেনু এগিয়ে এসে শ্বাশুড়িকে সালাম করে জড়িয়ে ধরলো, ওদিকে রুহি তো খুশিতে আটখানা, দৌড়ে এসে রুদ্রর কোলে উঠে জড়িয়ে ধরলো।
আসসালামু আলাইকুম ভাবী, অনিলা রেনুকে সালাম দিলে রেনু ফিরে তাকিয়ে বললো, ওয়া আলাইকুম আসসালাম, মম ভিতরে আসেন আপনারা।
রুদ্রর মা ও রুদ্র খেয়াল করলো রেনু অনিলাকে এভয়ড করলো।
সবাই ঘরে প্রবেশ করলে রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন, নীল কই?
উপরে আছে ও, আসেন মম বলেই রুদ্রর মাকে নিয়ে উপরে চলে গেলো রেনু।
ভাইয়া, ভাবী খুব ভালো লাগছে তোমাদের দেখে, এখন তোমরা রেস্ট করো, আমার ইউনিভার্সিটির সময় হয়ে গেলো, আমি বিকালেই চলে আসবো।
আচ্ছা যা।
মমকে বলো হাঁ, বলেই সুমি বেরিয়ে গেলো ইউনিভার্সিটির উদেশ্যে।
রুদ্র অনিলাকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসলো, কিছুক্ষণ পর ওর মা আর রেনু নীলকে নিয়ে নিচে নেমে এলো, নীল রুদ্রকে দেখে বললো, রুদ্র তুই এসেছিস, ড্যাড তোকে কি ঘর থেকে বের করে দিয়েছে?
রুদ্র থমকে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে গিয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরলো।
কেমন আছো ভাইয়া?
আমি ফিট আছি, ঐ মেয়েটা কে?
রুদ্রর মা বললেন, নীল ও রুদ্রর বউ।
রুদ্রের বউ, ওতো বিয়ে করে নাই মম?
না করেছে, তুই তখন এইখানে এসেছিলি।
এই মেয়ে তুমি রুদ্রকে বিয়ে করেছো কেন, ড্যাড ওকে মারবে, তোমাকেও মারবে।
মারবেনা বাবা, ড্যাড খুশি হয়েছে।
তাই, আচ্ছা ভালো তো, রুদ্র তোর বউকে বলনা আমার সাথে এংগ্রি বার্ড খেলতে।
অনিলা এগিয়ে এসে বললো, অবশ্যই খেলবো ভাইয়া।
নীল তুমি উপরে যেয়ে খেলো, রেনু বললো, মুখটা থমথমে হয়ে আছে।
নীল বাধ্য ছেলের মতো উপরে চলে গেলে রুদ্র জিজ্ঞেস করলো, ভাবী কোন রুম খালি আছে?
নিচের সব রুম খালি আছে, ব্রেকফাস্ট তো করো নাই নিশ্চয়, ফ্রেস হয়ে নাও, আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি।
রুদ্রর মন খারাপ হয়ে গেলো, রুম একটাতে নিজেদের ব্যাগ রেখে বেডে আধ শোয়া হয়ে শুয়ে থাকলো ও, তা দেখে অনিলা পাশে এসে বসলো।
কি হলো তোমার, মন খারাপ?
না তেমন কিছু না।
আমি বুঝতে পেরেছি ভাবীর অভিমান এখনো যায়নি, তা নিশ্চয় এক সময় চলে যাবে, তুমি এ নিয়ে মন খারাপ করে থেকোনা, আচ্ছা উঠো এখন, যাও ফ্রেস হয়ে এসো।
হুম যাচ্ছি, বলেই রুদ্র উঠে গেলো নিজের ব্রাশ, টুথপেষ্ট আর টাওয়াল নিয়ে।
ওদিকে রুদ্রর মা ফ্রেস হয়ে এসে রেনুকে হেল্প করতে লাগলেন, সাথে কথাও পাড়লেন, রেনু আমি জানি রুদ্রর এইভাবে বিয়ে করাটা তুমি মেনে নিতে পারোনি, তাই বলে ওর সামনেই তা দেখানো কি উচিত, আগে তো এমন ছিলেনা তুমি?
রেনু কান্না করে দিলো, মম ওকে আমি নিজের ছোটো ভাইয়ের মতো মনে করতাম, সে এইভাবে আমাদের ছাড়া বিয়ে করে ফেলবে তা ভাবতেই পারিনি।
রুদ্রর মা রেনুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, পাগলি, তোকে তো সব খুলে বলেছি, রুদ্র আমার কথায় বাধ্য হয়েছে, এছাড়া অনিলাও তো কোনো অংশে কম না, তোর জা হিসাবে বেশ মানায় ওকে, রুদ্র যেমন তোর ছোট ভাই, তেমনি অনিলাও, এরপরেও যদি না হয় তাহলে আর কিছুই বলার নেই।
রেনু হেসে দিলো, মম ঠিক আছে, আমি বুঝতে পেরেছি।
এইতো লক্ষ্মী মা আমার।
ব্রেকফাস্ট করে রুদ্ররা দিলো ঘুম, জ্যাট ল্যাগের কারণে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দেখে রেনু ওদের ঘুমাতেই দিলো, এরপর দুপুর দুইটার সময় ডেকে দিলো লাঞ্চ করার জন্য, রুদ্ররা ফ্রেস হয়ে এসে ডাইনিংয়ে বসলে খাবার দিতে শুরু করলো রেনু।
আজ রেনু পোলাও, মুরগির রোস্ট, বিফ ভুনা, মিক্সড ভেজিটেবল, কাবাব করেছে দেখে অনিলা বললো, ভাবী এতো কিছু করলেন কখন?
এ আর এমন কি, তুমি প্রথম এলে, যা করেছি কমই করেছি, এখন খাওয়া শুরু করো।
ভাবী আপনিও আসুন।
হাঁ আমিও বসছি।
রুহি ইতিমধ্যে রুদ্রর কোলে উঠে বসেছে, অনিলাকে বসতে দেখে দ্রুত নেমে গিয়ে অনিলার কোলে উঠে বসে বললো, তুমি আমাকে খাইয়ে দেবে?
অবশ্যই কেন নয়।
না না অনিলা ও নিজেই খাবে, তুমি ওকে নামিয়ে দাও, রুহি নেমে এসো, রেনু ডাক দিলো।
ভাবী কোনো সমস্যা নাই, আমি খাইয়ে দেবো আর নিজেও খাবো।
অনিলা সবার প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে নিজেও খেতে শুরু করলো, অনিলা নিজে এক লোকমা খেলে আরেক লোকমা রুহিকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
সন্ধ্যার পর রুদ্রের রুমেই সব জড়ো হলো, রুদ্র আর অনিলা তাদের ব্যাগ গুলো খুলছে, অনিলা বার্বি ডলের কালেকশনটি নিয়ে রুহিকে দিলে রেনু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, এতো লেটেস্ট কালেকশন, অনেক দামি, তুমি এতো দাম দিয়ে এইটা আনলে কেন?
অনিলা হেসে বললো, ভাবী ও তো আমার মা, ওর জন্য না আনলে কার জন্য আনবো, অবশ্য এ আমার টাকা দিয়ে কিনেছি ভাবী।
রুহি মাম্মিকে থ্যাংক ইউ বলো।
রুহি এসে অনিলাকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে বললো, থ্যাং উ (থ্যাংক ইউ)।
মোস্ট ওয়েলকাম মা।
রুদ্র দুইটা পারফিউম নিয়ে রেনুকে দিয়ে বললো, ভাবী দেখোতো পছন্দ হয় কিনা, আরও দুইটা সুমিকে দিয়ে বললো, এগুলো তোর, আর ভাবী এই নাউ বিভিন্ন ধরণের চকলেট আছে, আমাদের সবাইকেও দিও।
অনিলা নিজের ব্যাগ থেকে দুইটা ক্লাচ (পার্টি ব্যাগ) বের করে একটা রেনু, আরেকটা সুমিকে দিলো।
বাহ খুব সুন্দর তো, তোমার বেশ চয়েজ আছে, রেনু বললো।
রুদ্র রেনুকে দুইটা টি শার্ট দিয়ে বললো, এগুলো ভাইয়ার।
তা ভাবী ডলার গুলো পেয়েছো?
হাঁ পরদিনই আমার একাউন্টে পেয়েছি।
তা অপারেশন কবে?
পরশুদিন, আগামীকাল ভর্তি করাবো।
কোনো কম্পলিকেশন কি আছে,,ডাক্তার কি বললো?
তেমন না, ওরা বললো এমন অপারেশন ওরা প্রতিদিনই করে।
তাহলে তো ঠিক আছে, তা ভাইয়া সুস্থ হওয়ার চান্স কেমন, কি বললো ডাক্তাররা, রুদ্র আবার জিজ্ঞেস করলো।
ডাক্তাররা বলছে খুবই ছোটো একটি ব্লাড ক্লট জমে রয়েছে, তা রিমুভ করে দিলে ছয় মাসের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
রুদ্রর ফোনে রিং হচ্ছে শুনে রুদ্র উঠে গিয়ে বেড টেবিল থেকে ফোন নিয়ে রিসিভ করে হ্যালো বললো।
আসসালামু আলাইকুম স্যার।
জিএম সাহেব ওয়ালাইকুম আসসালাম, বলুন।
স্যার, চেয়ারম্যান স্যারের উকিল সাহেব এসেছেন, আপনার সাথে কথা বলতে চান।
দিন প্লিজ।
ওপাশ থেকে উকিল সাহেব বললেন, রুদ্র আমি তোমার বাবার উকিল কম, বন্ধু বেশি, আমার নাম এডভোকেট রহমান।
সালাম আংকেল, ড্যাডের কাছে আপনার কথা শুনেছিলাম, বলুন আংকেল।
তোমার বাবা একটা উইল করেছিলেন যা উনার ইন্তেকালের ছয় মাস পর তোমাদের সবার উপস্থিতিতে পড়ে শুনানোর এবং ইম্পলিমেন্ট করার কথা বলেছিলেন।
কি বলেন আংকেল।
হাঁ এটাই সত্য, এখন আজ শুনলাম নীল নাকি অসুস্থ।
হাঁ আংকেল আশা করি ভাইয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে, আগামী পরশু ওর অপারেশন হবে।
তাহলে এক কাজ করো, আমি জিএম সাহেবের কাছে ফোন নাম্বার দিয়ে রাখছি, নীল সুস্থ হয়ে উঠলে কল করো আমাকে, আমি আসবো।
জি আংকেল, সালাম।
…….. চলবে।
ছবিঃঃ কালেক্টেড।
৩৩টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
নীলের অসুস্থতায় পুরো পরিবার এক সঙ্গে হলো। এটা যে কি আনন্দ তা বুঝা যাবে না।
রেনু রুদ্রকে এতটাই ভালোবাসতো যে ওর বিয়েটা সে মেনে নিতে পারেনি। কাছের ও ভালোবাসার লোকদের থেকে এমন আচরন পেলে মনে কষ্ট বাড়ে। রেনু বুদ্ধিমতি মেয়ে তাই মমের এক কথাতেই সেই সহজ হয়েছে। যে কোন শিশু বা বাচ্চারা আপনজনদের থেকে উপহার পেলে দারুন আনন্দিত হয়। রুদ্রর বাবা উইলে কি লিখে গেছেন সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
পর্বটা ভাল লাগলো ভাই।
ইঞ্জা
রেনুর অভিমানটা অন্যদিকে ভাই, সে চেয়েছিলো তার ছোটো বোনকে রুদ্রকে বিয়ে করাবে যা আগের গল্প গুলোতে বিস্তারিত ছিলো, যদিও রুদ্রর মায়ের কথাতে সে ঠিক হয়ে গেছে, জানিনা ভবিষ্যতে কোন দিকে মোর নেয় এই অভিমান।
উপহার পেতে সবাই পছন্দ করে, শিশু বা বড় সবাই উপহার পেকে খুশি হয়।
নীল সুস্থ হয়ে উঠলে বুঝা যাবে উইলে কি আছে, যা আমিও জানতে চাই।
ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
আমি কাভার ছবিটির দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে থাকতে থাকতে লেখা পড়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম ☺
অনিলা আসলেই লক্ষি একটা মেয়ে। সবকিছু বুঝেও ম্যানেজ করে নিলো। রুদ্র সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই প্রার্থণা। রুদ্রর ভাবী তার বোনের সাথে রুদ্রর বিয়েটা দিতে চেয়েও পারেননি বলেই একটু অভিমান করেছেন। সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।
উইল নিয়ে তো চিন্তায় ফেলে দিলেন ভাই। কি যে লেখা আছে লে জানে!!
শুভকামনা রইলো।
তৌহিদ
কে জানে!!
ইঞ্জা
আমার লেখার প্রতিটি ফিচার ছবিই গল্পের এক একটা দিক পর্যালোচনা করে, গল্পের এই ছবিটিও গল্পের আগামী রূপ বুঝিয়ে দিয়ে গেলো।
রেনু বুদ্ধিমতী মেয়ে, রুদ্রর মায়ের কথায় ঠিক হয়ে গেলেও, মেয়েরা কিন্তু রেশারেশিতে বেশ ওস্তাদ।
উইল নিয়েই গল্পের মোর ঘুরবে, যা ফিচার ছবিটিই বলে দেয়, মনে রাখতে হবে গল্পের নাম “রঙধনু আকাশ”।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
রাইট দাদা, গল্পের সাথে ছবির অন্তমিল রয়েছে।
ইঞ্জা
হাঁ গল্পের সাথেই মিল রাখার চেষ্টা করি আমি।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
বন্যা লিপি
পরিপাটি উঠোনবাড়ি। ধুলোঝড়ের আভাস এবার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দলিল। রেনুভাবির অনিলাকে নিয়ে এই যে মনোপীড়া! খুব স্বাভাবিক বাঙালি নারী চরিত্র।পরিবার অনেকদিন পরে একত্রিত হওয়ার আনন্দই আলাদা। দেখা যাক সামনে কি আছে।চলুক…….
ইঞ্জা
খুব অনুসন্ধিৎসু চোখ এবং মন আপনার, অনেক কিছুই বুঝে গেলেন এই অল্পতেই, এমন পাঠকই আসলে দরকার আমার, যিনি পুঙ্কানুপুঙ্ক ভাবে লেখা পর্যালোচনা করতে পারেন।
ধন্যবাদ অনিঃশেষ আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
অনীলা আসলে সত্যি একটা লক্ষী মেয়ে
রুদ্রর যোগ্য বউ। সকল পরিস্থতি মেনে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। নীল সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই কামনা।
ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
অনিলা আসলেই লক্ষ্মী মেয়ে দাদা, কিন্তু আগামীতে ঝড়ের লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে, সাথে থাকুন।
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা, ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
এখন অব্দি সুস্থ সুন্দর সুখি পরিবার। দেবরের একা বিয়েতে বড় ভাবী ক্ষনিক অভিমান হয়েছিল। দেখা যাক সম্পত্তির উইল নিয়ে উকিল এলে কী হয়।
ইঞ্জা
বড় ভাবীর অভিমানটা কি গেলো, নাকি রয়ে গেলো তা ভবিষ্যত বলতে পারবে, উইল নিয়ে ক্যাচাল হতেই পারে।
অনেকদিন পর মন্তব্য পেলাম আপু, ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
পারিবারিক গল্প। ভালোই জমছে। আর আপনার লেখায় তা আরও প্রাণবন্ত।
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম আপু, সত্যি আপনি আমার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক যা আমি সবসময় মনে রাখবো।
আমার সালাম এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আরজু মুক্তা
আমি তো আপনাদেরটা পড়ি আর শিখি।
শুভেচ্ছা অফুরান
ইঞ্জা
আপু সত্যি শেখার শেষ নেই, সবার লেখা পাঠ করলে নিজের লেখক স্বত্বা জাগবেই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সামনে বোধহয় একটু ঝামেলা বাধানোর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সংসার মানেই সমস্যা।
চলতে থাকুক অনীলার গল্প। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
Life is not a bed of rose, জীবনটা কণ্টকময় আপু, ঝড় আসবেই।
সাথে থাকুন, আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্য যোগ।
ছাইরাছ হেলাল
দুই জা এর প্যাঁচ আপাতত আলগা হয়ে গেল, দেখাযাক কোথায় দাঁড়ায়।
সাসপেন্স অপেক্ষা করছে উইলে!!
চলুক।
ইঞ্জা
দুই জার প্যাঁচ আলগা হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হবে কিনা সন্দেহ আছে ভাইজান, এখন অপেক্ষা ঘুর্ণিঝড়ের।
ধন্যবাদ অবিরত ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
অনিলা হেসে বললো, ভাবী ও তো আমার মা, ওর জন্য না আনলে কার জন্য আনবো, অবশ্য এ আমার টাকা দিয়ে কিনেছি ভাবী। মনের গহীন গেঁথে গেল ডায়ালগটি।
আল্লাহ নীলকে দ্রত সুস্থ করে দাও। হ্যাপি ফ্যামিলি হয়ে থআক কোন কালো মেঘের ছায়া যেন না পড়ে।
সব ঠিক করে দিলেন, শ্রদ্ধেয় শাশুড়ি মা। বাড়ির কর্তা ঠিক হলে অনেক কিছুই মানিয়ে যায়।
ইঞ্জা
সুন্দর মন্তব্য দিলেন ভাই, সত্যি বলতে কি, ঝড়ের আগে সবকিছুই থেমে যায়, এই পরিবারের সব ঠিক হয়ে যাওয়া কোনো ঝড়ের আভাস নয়তো?।
সাথে থাকুন ভাই, ভালোবাসা জানবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
জানিনা কোন ঝড় কোন দিকে যায়। কারণ জমিজায়গার দলিল রেডি। উকিল বাবুর কাছে।
আগামি আসুক দেখি।
ইঞ্জা
এখন শুধু সময়ই বলে দেবে আগামীতে কি হবে, অপেক্ষায় থাকি ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লাগতেছে প্রিয় ইঞ্জা দা
ইঞ্জা
ধন্য যোগ ভাই, আরও ভালো লাগতো যদি গল্পটা নিয়ে আলোচনা করতেন, তবে আপনি আমার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক, এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। 😊
রেজওয়ানা কবির
অনীলা এত লক্ষী মেয়ে
রুদ্রর জন্য যোগ্য বউ।সংসারে ভালো মন্দ লেগেই থাকবে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।ভাল থাকবেন ভাইয়া। শুভকামনা।
ইঞ্জা
অসংখ্য ধন্যবাস আপু, ঘরের বউ যদি লক্ষ্মী না হয় তাহলে সত্যি ঘর অশান্ত হয়ে যায়।
শুভকামনা জানবেন। 😊
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যাক শেষপর্যন্ত রেনু কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সবকিছু মোটামুটি ভালোর দিকে এগোচ্ছে। গিফটগুলো সবার পছন্দ হয়েছে। নীলের অপারেশন টা ঠিকঠাক হলেই অনেক টা ভালো লাগবে। ভালো থাকুন শুভ কামনা অবিরাম
ইঞ্জা
রেনুর ঠিক হয়ে যাওয়াটাই আমাকে ভাবাচ্ছে আপু, ঝড়ের পূর্বাভাস নয়তো?
নীল দ্রুত ঠিক হবে কিনা তা জানতে নতুন পর্ব পড়ুন যা,আজ দিয়েছি।
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
হালিম নজরুল
এই পর্বে আমরা চাঁদের হাট দেখলাম। চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন ভাই। আগামীর জন্য শুভকামনা রইল।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই, অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম। 😊