
রুদ্র, এই রুদ্র উঠ না বাবা, এতো দেরি করলে চলে, আরেহ এখনো ঘুমায় ছেলেটা?
মম ডিস্টার্ব করোনা, ঘুমাতে দাও।
রুদ্রর মা শায়লা আহমেদ ছেলের পাশে বসে পড়ে ছেলের মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়ে গালে এক চুমু দিতেই রুদ্র মার গলা জড়িয়ে ধরে বললো, আই লাভ ইউ মম।
পাগল ছেলে, আই লাভ ইউ টু, এখন উঠে যা।
রুদ্র উঠে বসে মার হাতটা নিজের মুঠোই নিয়ে বললো, মা আজ না ফ্রাইডে, তুমি সকাল সকাল তুলে দিলে কেন?
আজ না শপিংয়ে যাবো আমরা?
তোমরা যাবে, আমি কেন?
আরেহ, তোর বিয়ে, তোর জন্য শপিং করতে হবেনা?
ধ্যাত বলেই রুদ্র উঠে পড়লো, ড্যাড কি করে, উঠে পড়ছে?
হাঁ, এতক্ষণে নিশ্চয় বাগানে পায়চারি করছে, যা দ্রুত ফ্রেস হয়ে আয়, আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি।
রুদ্র বাথরুমে গেলে ওর মা নিচে চলে গেলেন।
রুদ্ররা তিন ভাই বোন, বড় ভাই নীল আহমেদ বাবার সাথেই ব্যবসা দেখা শুনা করে, রুদ্র মেঝো, মাত্রই অস্ট্রেলিয়া থেকে এমবিএ শেষ করে দেশে ফিরে নিজেদের কোম্পানিতে সিইও হিসাবে জয়েন করেছে, ছোটো বোন রুদ্রর বিয়ের পরেই ত্রিপল ই পড়তে আমেরিকা চলে যাবে, সবকিছুই রুদ্রর বাবা শফিক আহমেদের প্ল্যান মোতাবেক এগুচ্ছে।
শফিক আহমেদ বেটকম গ্রুপের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আর মা শায়লা আহমেদ কোম্পানির কো-চেয়ারপারসন হলেও উনি কোম্পানির কাজে মাথা ঘামান না।
রুদ্রর বড় ভাবীও গৃহীনি, উনার একমাত্র মেয়ে রুহীর বয়স মাত্র পাঁচ, রুহী মা বাবার চাইতে রুদ্রর ন্যাওটা বেশি, রুদ্র চাচু আব্বিই ওর সব, ওর যত আবদার, আদর সবই রুদ্রর জন্য, আবার রুদ্রও জান হলো রুহী, বাসায় থাকলে সারাক্ষণ রুহীকে নিয়ে মেতে থাকে ও।
রুদ্রর বাবাই উনার এক ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী বন্ধুর মেয়ের সাথেই বিয়ে ঠিক করেছেন, অলরেডি এনগেজমেন্টও হয়ে গেছে, উনারা এখন দ্রুতই ছেলের বউ নিয়ে আসতে চান।
রুদ্র মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে দিকে দ্রুত ড্রেস পড়া শুরু করলো, সেলফোনে রিং হচ্ছে শুনে স্ক্রিনে নজর ভুলিয়ে মুচকি হেসে রিসিভ করে স্পিকার অন করে দিতেই অপর পাশ থেকে ওর হবু বউ শেলি বলে উঠলো, জানু কেমন আছো?
হাঁ ভালো।
আচ্ছা শুনোনা, আজ তোমরা শপিংয়ে যাচ্ছো তাহলে আমিও যেতে চাই।
কেন, এতো আমাদের শপিং?
না জানু তোমরা আমার ঘাগড়াটা কিনলে হবেনা, আমি নিজেই চুজ করে নেবো।
ওতো আমার মম কিনবেন, নিশ্চয় তোমার ভালো লাগবে।
না না জানু, ওগুলো আমি কিনবো, আমার বিয়ের ড্রেস আর ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড ড্রেস আমিই কিনবো, তুমি এক কাজ করো, তোমার ড্যাডকে বলে বিশ লক্ষ টাকা আমাকে দিয়ে দাও, আমি নিজেরটা নিজেই কিনে নেবো।
হটাৎ রুদ্রর মাথায় যেন আগুন লাগলো, কঠিন স্বরে বললো, আমি আমার ড্যাডকে এইসব বলতে পারবোনা, তুমি তোমার পাপার থেকে চেয়ে নাও, আমি ফোন রাখছি, বলেই ফোন ডিস্কানেক্ট করে ঠান্ডা মাথায় চুলটা আঁচড়ে নিলো, এরপর পারফিউমের বোতলটা নিয়ে দুই কানের নিচে স্প্রে করে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
নাস্তার টেবিলে বসে মাকে ডাক দিলো, মম ড্যাড কি খেয়েছে?
ডেকে নে বাবা, আমি ব্রেকফাস্ট দিচ্ছি।
রুদ্র উঠে গিয়ে বাগানে পায়চারি রত ওর বাবাকে ডাক দিলো, ড্যাড আসো ব্রেকফাস্ট রেডি।
ভাবীকে আসতে দেখে বললো, ভাবী ভাইয়া কই?
মিষ্টি হেসে ভাবী জবাব দিলো, আসছে।
রুহী?
ঐ যে রুমির সাথে আসছে।
রুদ্র মাথা ঘুরিয়ে দেখলো রুহিকে, ডাক দিলো প্রিন্সেস আসো।
রুহি ওর ফুফুর হাত ছেড়ে দিয়ে লাফাতে লাফাতে চলে এলো রুদ্রর কাছে, এসেই হাত বাড়িয়ে দিলে রুদ্র কোলে তুলে নিয়ে চকাম করে এক চুমু দিলো আর বললো, আব্বিরটা কই?
রুহি রুদ্রর দুই গালে চুমু খেয়ে বললো, চাচু আব্বি তুমি আমাকে শপিংয়ে নিয়ে যাবে?
সিউর প্রিন্সেস।
তুমি আমাকে নিউ বার্বি ডল কিনে দেবে?
সিউর হোয়াই নট।
রুহি আবার গালে চুমু খেলো।
চলো আমরা ব্রেকফাস্ট করে নিই, রুহিকে কোলে নিয়েই রুদ্র ডাইনিং টেবিলে বসলো।
মা আজ কি করেছো?
মুগ ডাল আর ভেজিটেবল, নে শুরু কর, তোমাকে কি দেবো, রুদ্রর বাবার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন?
ডাল দাও।
রুদ্রর বড় ভাই এসে বাবার পাশে বসে বললো, ড্যাড তুমিও যাচ্ছো তো?
না আমি আজ রেস্ট করবো, তোরা যা।
ড্যাড তাহলে আমিও থাকছি, এই সুযোগে তোমার সাথে ব্যবসায়িক কিছু আলাপ সারতে পারবো।
রুদ্র ভাবীর দিকে তাকালে ভাবী ঠোঁট উল্টে বললো, অসুবিধা নেই তুই আছিস না, ও গেলে বরঞ্চ বিরক্ত করবে।
রুদ্র হেসে দিয়ে বললো, আসলেই ভাইয়া বোরিং ফিল করবে।
খাওয়া শেষে রুদ্রর বাবা আর বড় ভাই উঠে ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসে আলাপ করতে লাগলো, রুদ্রও কফিটা হাতে নিয়ে উনাদের সাথে জয়েন করলো।
রুদ্র তোকে নাকি শেলি কল করেছিলো কিছু সময় আগে, রুদ্রর বাবা জিজ্ঞেস করলেন।
হাঁ ড্যাড।
ও যা চেয়েছে তা না করে দিলি কেন?
ড্যাড ওর এক্সেস চাওয়া আমার পছন্দ না, মা যা কিনে দেবে তাই পড়বে ও।
শফিক সাহেব হেসে দিয়ে বললেন, এতো কঠিন হলে চলে বাবা?
সরি ড্যাড, এসব বিষয়ে কেন কম্প্রোমাইজ করতে হবে, আই ডোন্ট লাইক দিস, শী ইজ আস্কিং ফর টয়েন্টি লাখ, ইটস নট আ জোক।
আহ তুমি এতো সিরিয়াস কেন যে হও, সে আবদার করে চেয়েছে, নীল তুমি টাকাটা পাঠিয়ে দিও।
রুদ্র এসির ঠান্ডাটা বাড়িয়ে দে তো, গরম লাগছে, বলেই উনি পাঞ্জাবির কলার টানলেন।
রুদ্র রিমোট নিয়ে চেক করে বললো, ড্যাড এসির টেম্পারেচার অলরেডি হাই পয়েন্টে, বলেই তাকালো ওর বাবার দিকে, খেয়াল করলো ওর বাবা বুক চেপে ধরে রেখেছেন।
রুদ্র দ্রুত বাবাকে ধরে বললো, ড্যাড কি হয়েছে?
বুকটাতে চাপ লাগছে, বলতে বলতেই উনি ঢলে পড়লেন, রুদ্র ড্যাড ড্যাড বলে দ্রুত উনাকে শোয়ায়ে দিয়ে পাঞ্জাবির বোতাম খুলে দিলো, ঘরের সবাই দৌড়ে এলো।
ভাইয়া তুমি হাস্পাতালে ফোন করো, বলো ড্যাডকে নিয়ে আসছি, ড্যাড তোমার কেমন লাগছে?
রুদ্রর বাবা তখন বাতাসের জন্য হাসফাস করছেন দেখে রুদ্র আর দেরি করলোনা, উনাকে পাজাকোলা করে নিয়ে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে সিপিআর দেওয়া শুরু করলো, বুকের বাম পাশে হার্ট বরাবর জোড়ে জোরে চাপ দিতে লাগলো, আবার মুখটা হা করিয়ে মুখে বাতাস দিতে লাগলো, এইভাবেই কিছুক্ষণ সিপিআর দিতেই থাকলো, হটাৎ খেয়াল করলো ওর বাবা চোখ উল্টিয়ে রয়েছেন, শ্বাসপ্রশ্বাস নেই।
রুদ্র ড্যাড ড্যাড বলে চিৎকার করে উঠলো, ওর মা বোন দুজনেই শফিক সাহেবের উপর আঁচড়ে পড়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো।
রুদ্র এই রুদ্র, ড্যাডের কি হয়েছে, রুদ্রের বড় ভাই নীল জিজ্ঞেস করছে।
রুদ্র শূন্য চোখে তাকালো বড় ভাইয়ের দিকে, মাথা নাড়লো এদিক ওদিক।
না না না চিৎকার করে উঠে নীল সেন্স হারালো, রুদ্রর ভাবী কাঁদতে কাঁদতে স্বামীকে জড়িয়ে ধরলো।
রুদ্র মাথায় হাত দিয়ে বাবার মৃতদেহের দিকে শূন্য চোখে চেয়ে রইলো, চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে দুই গাল দিয়ে।
ওর মা উঠে এসে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন, বোন বাবার বুকে পড়ে কাঁদছে।
ছোটো রুহী দাদার পাশে গিয়ে বসে পড়ে দাদু উঠো না বলছে, ছোট রুহী জানেনা ওর দাদু আর ফিরে আসবেনা কোনদিন।
…… চলবে।
ছবিঃ গুগল।
৩৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি প্রত্থম ☺☺
ছাইরাছ হেলাল
এমন ফালাফালি প্রথম যে কেউ ইচ্ছে করলেই হতে পারে!
সাবিনা ইয়াসমিন
তাই নাকি মহারাজ!! একটা লাফ দিয়ে দেখানতো, আপনার লাফালাফি দেখে দুচোখ ধন্য করি 😜😜
ইঞ্জা
মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ছাইরাছ হেলাল
এবার আমরা নুতন গল্প শুরু করছি ভাবতেই ভাল লাগা শুরু হয়ে গেল ,
আনন্দ ও মৃত্যু দু’এর সম্মিলনে শুরুতে ই চমক সৃষ্টি হয়েছে।
ইঞ্জা
হটাৎ মাথায় প্লটটা এলো, তাই লিখে ফেললাম ভাইজান।
দোয়া রাখবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথম পর্বেই বিয়ের আনন্দ শুরু হতে না হতেই এমন মৃত্যু না দিলেও পারতেন । তবুও সূচনা ভালো লাগলো । নতুন গল্প পাচ্ছি এটা অনেক আনন্দের। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
গল্পের প্লটটাই যে এমন আপু, ঘরের মেইন মানুষটার মৃত্যু একটা পরিবারকে কি করতে পারে তা নিয়ে এই গল্প।
পাশে থাকবেন আপু, ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
গল্পের প্লটটাই যে এমন আপু, ঘরের মেইন মানুষটার মৃত্যু একটা পরিবারকে কি করতে পারে তা নিয়ে এই গল্প।
পাশে থাকবেন আপু, ভালো থাকবেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নতুন গল্পের ভাবনাপট দারুণ লাগলো কিন্তু মৃত্যু শোকাহত করে তুলেছে!
আর এ মৃত্যু পরিবারের কর্ণদ্বারের!
চলুক লেখা দাদা।
পরের পর্বের অপেক্ষায়…..
ইঞ্জা
গল্পের প্লট দূর্দান্ত দাদা, কিন্তু কতটুকু এগিয়ে নিতে পারবো তাই ভাবছি, প্রার্থনায় রাখার অনুরোধ রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
প্রথম পর্বটা পড়া হলো খুব ভালো লাগছে, আশা করি সব গুলো পর্ব পড়তে পারবো।
ইঞ্জা
দোয়া করবেন আপু, নিশ্চয় আপনাদেরকে পাশে পেলে এগিয়ে যেতে পারবো।
বন্যা লিপি
নতুন গল্প, চিরচেনা বড়লোকি দিনলিপি।
দেখি সামনে কি রেখেছেন লেখক।
প্রথমেই শোক দিয়ে শুরু হলো গল্পের শুরু।
চলুক……
ইঞ্জা
আঁ হা, বড়লোকির দিনলিপিটায় যে এই গল্পের সাস্পেন্স আপু, কেন বললাম তা নিশ্চয় আগামীতে বুঝতে পারবেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
হায়াত মউত বিয়ে নাকি আল্লহার হাতে। বিয়ে আর মৃত্যু নিয়ে শুরু দেখা যাক কোথায় গিয়ে ঠেকে। ধন্যবাদ ।
ইঞ্জা
জ্বি ভাই, সবকিছুর মালিকই যে আল্লাহ।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
নতুন একটি ভীন্নধারার ধারাবাহিক হতে যাচ্ছে এটি! বাহ! খুব ভালো লাগলো দাদা। আপনার গল্প মানেই দারুন সব ট্যুইস্টে ভরপুর। শেলির আচরন মোটেই স্বাভাবিক লাগলোনা। বিয়ের আগেই কেউ এরকম নির্লজ্জতা করতে পারে!
রুদ্রর বাবার জন্য শুভকামনা রইলো। চলুক গল্প। ধারাবাহিকটির নামটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে দাদা।
শুভকামনা সবসময়।
ইঞ্জা
আপনাদেরকে টুইস্টে ভরা গল্প দিয়ে আনন্দ পাই, রুদ্রর হবু বউ শেলি কোটিপতির মেয়ে, এদের নকরামী একটু বেশিই থাকে, এদের কাছে নির্লজ্জতাই ভূষ, লজ্জা নয়।
রুদ্রর বাবার মৃত্যুতেই গল্প এগিয়ে যাবে, বাকিটা আগামীতে বুঝতে পারবেন ভাই, গল্পের নামটি গল্পের প্রতি পদেই স্বার্থকতা পাবে বলেই এই নামকরণ, যেমন গল্পের ফিচার ছবি ঝড়ের আগ মুহূর্, এরপর রঙধনুর রঙ ছড়াবে, যেমন জীবনেও রঙধনুর রঙের খেলা হয়, লাল নীল গোলাপি হলুদ ইত্যাদি রঙ আসবে আর যাবে এই গল্পে।
পাশে থাকার অনুরোধ রইলো ভাই।
তৌহিদ
আপনার গল্প পড়ার স্বার্থকতা এখানেই। যখন লেখক নিজেই পাঠকের কাছে লেখার প্লট ব্যাখ্যা করে দেন একজন পাঠক হিসেবে এটি আমার পরম পাওয়া।
শুভকামনা রইলো দাদা।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাই, এইবারের গল্পটা আমার আগের গল্পগুলো থেকে ডিফারেন্ট আঙ্গিকে হবে, দোয়া রাখবেন ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
পর্বের শুরুতেই পরিবারে নতুনের আগমন আর শেষ হলো পরিবারের প্রধান সদস্যের মৃত্যুগমন দিয়ে!
আমাদের সমাজে বিয়ের তাৎক্ষণিক আগে/পরে এমন ঘটনা সুনজরে দেখা হয় না। নানারকম কুসংস্কারে হেস্তনেস্ত হতে হয়, বিশেষ করে মেয়ের/ মেয়েদের পরিবারের উপর এর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। কখনো সারাজীবনের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
গল্পে চমক রেখেছেন ভাইজান। আপনার অন্যান্য ধারাবাহিক গল্প গুলোর মতো এটাও উপভোগ্য হবে মনে করছি।
গল্প চলুক, সাথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
শুভ কামনা রইলো ভাইজান 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু এই গল্পটি ভিন্ন ধারার গল্প হবে এইবার, জীবনের গল্প রঙধনু আকাশের মতো রঙ বদলাবে এই গল্পে, ঘরে মুরুব্বির মৃত্য শুধু নারী কেন, প্রত্যেকের জীবনটাই যে ভেঙ্গেচুরে যায় তার প্রতিফলন হবে এই গল্পে।
পাশে থাকার অনুরোধ রইলো আপু।
জিসান শা ইকরাম
কত সুন্দর ভাবে তরতরিয়ে গল্পের শুরুটা হলো। থমকে গেলাম মৃত্যুতে এসে। আচমকা এমন মৃত্যু একটি পরিবারকে স্তব্দ করে দেয়।
সুচনা পর্ব খুবই ভালো হয়েছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এমন মৃত্যু আমার জীবনেও এসেছে ভাইজান, যখন সবকিছু তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন ছন্দপতন ঘটে আমার আব্বার মৃত্যুতে, যা আমাদের সম্পূর্ণ পরিবারকে স্তব্ধ করে দেয়।
ধন্যবাদ ভাইজান, দোয়া করবেন যেন শুরুর মতোই করে সব এগিয়ে যায়।
সুপায়ন বড়ুয়া
বিয়োগান্তক দিয়ে শুরু
২০ লাখ টাকাতেই কুপোকাত। এই লক্ষীর ঢেকিটা
আর কত জন খায়। অপেক্ষায় আছি।
ভালই হলো। চালিয়ে যান।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এ গল্পের প্রথমের কিয়দংশ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, আমার বাবার মৃত্যু আমাদের জীবনের মোর ঘুরিয়ে দেয়, এমনই গল্প নিয়ে এবারের আয়োজন।
পাশে থাকার অনুরোধ রইলো দাদা।
আরজু মুক্তা
বিরহ ট্রাজেডি একসাথেই শুরু।
ভালোই লাগলো
ইঞ্জা
এইবারের গল্পটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরছি আপু, পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়ার অনুরোধ রইলো।
ইসিয়াক
শেষটা বিষাদে ভরা। চমৎকার সাবলীল কথামালা। ভালো লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়……………
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই, আনন্দিত হলাম মন্তব্য পেয়ে।
হালিম নজরুল
“একমুঠো ভালবাসা” শেষে আবার আমরা নতুন গল্প পেলাম। শুভকামনা রইল ভাই।
ইঞ্জা
অনিঃশেষ ধন্যবাদ ভাই, দোয়া রাখবেন।
সঞ্জয় মালাকার
পড়ে বেশ ভালো লাগলো শ্রদ্ধেয় দাদা,
মন্তব্য করার মেধা আমার তেমন একটা নাই।
ভালো থাকুন সব সময় শুভ কামনা।
পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষা রইলাম।