চোখ ছল ছল চোখের জলে
হৃদয় বলে না কথা
স্তব্ধ নীরবতা সখার কারনে
সমাজে আজ ভরা নেতা।
জন্মেছি কন্যা বলে
জন্ম দাতার চক্ষু লাল
সুন্দরী হয়েছি বলে
পিছু নেয় যত শয়তান।
শিশু কিশোর কালে ছিলেম ভালো
অবাক বিষ্ময়ে,
পাড়ায় পাড়ায় ঘুড়ে দেখিছি এ পৃথিবী
প্রারম্ভিক যৌবনে চঞ্চলা হঠাৎ,
যায় যে থেমে।
যাসনে আর তুই ঐ স্কুলে
যাবি না কোথাও মাকে না বলে,
কঠিন নিয়মের যাতা কলে
প্রতিভা যে যাচ্ছে হারিয়ে।
চলছে যখন দূর্গাৎসব
ধর্মের বাণী ধরি ছাড়ি
ঐ যে হিন্দু আমার বন্ধুর বাড়ী
মানুষ আমি মানুষ তুমি
এতো আনন্দ কেমনে ছাড়ি।
প্রেম স্বর্গ প্রেমেই স্রষ্টা
প্রেম হয় না নিজের ইচ্ছাতে
স্রষ্টার সৃষ্টির নিয়মে,বন্ধনের
জোড়া রেখেছেন বেধে
ঐ আরশেতে।
তোমাকে,আমি পাবো না বলে
আর কেউ পাবে না!
এমন জিদ মনে এনোনা
ডাকার মতো ডাকলে তারে
রুখবে কে বলো না আমাকে।
মা বাবার সকল চিন্তা
আমি কন্যা হবে,কবে বিয়া,
জন্ম নাকি,আমাদের হয়েছে
চুলা গুতার রাশি নিয়া।
যতই বুঝাই মাকে আমি
আমিতো জন্মেনি মা কলি কালে
মায়ের ভাবনা,কলি কাল আর ডিজিটাল
হায়নারা মানে না কোন জাত বেজাতে।
যাস না নারী তুই বাড়ীর বাহিরে
শকুন দেখ্ চেয়ে রইছে ঐ পাড়ায়
মোড়ে মোড়ে,
সমাজ পতি রাষ্ট্রপতি
সবাই আছেন অবগতি
হবে না কিছুই এর সমাধান,
যত দিন না এ ঘূণে ধরা
সমাজটাকে বদলান।
দূরে কোথাও যেতে মানা
বিদ্যালয়ে পড়তেও মানা
প্রশ্ন আমার আপনার কাছে
নারীদেরকে কি কেউ
মানুষ ভাবেন?
উৎসর্গ:এক নর পশুর হাতে নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত বোন খাদিজাকে।
“আমি পুরুষ বলে লজ্জিত”
২৪টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
প্রথমে বলব, আপনার লেখাগুলো আমার এমনিতেই ভিষণ ভালো লাগে। সময়ে সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার উপর আপনি খুব সুন্দর করে গদ্য পদ্য লিখতে পারেন, যা অনেকেই পারে না।
বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের এক মেয়ে কিছুদিন আগে আমায় বলছিল, জানেন ভাইয়া আমি খুব ভালো ফুটবল খেলতাম, ক্লাস নাইট পর্যন্ত খেলেছি, বেশ কিছু কাপ ও মেডেল আছে আমার এখনো। কিন্তু নাইনের পর আর আমায় খেলতে দেয় নি, ঐদিন বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা দেখে নিজের অতিতের কথা খুব মনে পড়ছিল। আমরা মেয়ে বলে আমাদের অনেক কিছুই করতে দেওয়া হয় না।
আমি উত্তরে শুধু বলেছিলাম, একটা প্রতিভা শুধু নারী বলে বিকশিত হতে পারল না, আমাদের দেশে এমন আরো হাজারো প্রতিভা সুপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সমাজে আরো অনেক কিছুই ঘটে যা নিজেকে মানিয়ে নিতে বড় কষ্ট হয় কিছুটা কষ্ট এই সোলেনা পরিবারে সেয়ার করে নিজেকে আত্বতৃপ্তিতে রাখার চেষ্টা করি।তবে আমার অবাক লাগে মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে?আমাদের নৈতিক চরিত্রকে বদলাতে আর যেখানেই অন্যায় সেখানেই কোন সেলফি কিংবা ভিডিও করার সময় ব্যায় না করে প্রতিরোধ করতে হবে।দুএকটি প্রতিরোধ করতে পারলেই বাকীরা ভয় পাবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। -{@
আবু খায়ের আনিছ
গ্লোবাইলজেশন আমাদের যতটা উন্নতি করছে ঠিক ততটাই ক্ষতি করছে। প্রযুক্তির যতত্র ব্যবহার খুবই দুঃখজনক।
ছাইরাছ হেলাল
অবহেলায় হারাচ্ছি অসংখ্য রতন,
অবশ্যই আমাদের লজ্জিত হতেই হচ্ছে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আনিছ ভাইয়ের মন্তব্যে যে মেয়েটি তার প্রতিভা প্রকাশ করতে বাধা গ্রহস্থ হন এমন হারানো প্রতিভা আরো অনেক অজানাই রয়ে গেছে এতে দেশের অনেক ক্ষতি বৈকি লাভবান নয়।এমন সব ঘটনার জন্য পুরুষ শাষিত এ ঘূণে ধরা সমাজকে বদলাতে হবে।
সবচেয়ে বড় লক্ষণীয় বিষয় হলো এ সব ঘটনাগুলোর পিছনে দেশের সব রাজনৈতক দলই দায়ী।তাই রাজনৈতিক ভুমি কম্প দরকার।ধন্যবাদ। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কবে বদল হবে এমন ঘৃণ্য মানসিকতার? কবে নারীদেরকে শুধু মানুষ হিসেবে গণ্য করা হবে?
উত্তর জানা নেই। আবার আরেক খাদিজা, হা ঈশ্বর! হায় মানুষ!!
মনির ভাই বাস্তব সমাজের রূপ খুঁজে পাই আপনার লেখায়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
উত্তর জনা নেই কবে তা সম্ভব তবে আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে নারীদেরকেই প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।যখন মেয়েটিকে যখম করে অবশ্যই তখন তার সাথে বান্ধবীরা ছিল আরো ছিল ভিডিও ম্যানরা।অন্তত তারাও যদি না পালিয়ে প্রতিরোধ করত তবে এঘটনা ঘটত না। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের সমাজটাই তো এমন। যার ঘর থেকে চোর সকলের চোখের সামনে দিয়ে নিয়ে যায়, সবাই চেয়ে চেয়ে দেখে।
এরা ভাবেনা একদিন তাদের নিজেদের ঘরেও চুরী হতে পারে, সকলেই তখন চেয়ে চেয়ে দেখবে।
রুম্পা রুমানা
বদরুলদের মানসিক সুস্থতা খুবই জরুরী।না হলে নার্গিসদের জীবনের নিরাপত্তা নাই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ সব তথাকথিত বদরুলদের সৃষ্টি রাজনৈতিক দল থেকে।আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন এ দেশে যতগুলো অপরাধ হয়েছে কিংবা অপরাধী আছে সব সালা ঘূণে ধরা রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায়।সুতরাং এ পট পরিবর্তনে অবশ্যই দেশে দেশপ্রেমিক মানবপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর প্রয়োজন।ধন্যবাদ। -{@
মিষ্টি জিন
আপনার কবিতা খুব ভালো লাগে আমার।
অবহেলায় কত প্রতিভা যে ঝড়ে যায় তার খবর কেউ রাখেনা।
কোন কোন নারীর তো ঘরেও মুক্তি নাই।
ঘষে মেজে যদি নোংরা মানুষগুলিক মন পরিস্কার করা যেত।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনেক কষ্ট যন্ত্রণা ভোগ করে খাদিজা মেয়েটি অবশেষে পরপারেই চলে গেলো।আমরা তার বিদেহী আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি।আর এর সুষ্ঠু বিচার আশা করছি।ধন্যবাদ ।
মিষ্টি জিন
না ভাইঁয়া এখন ও মৃত্যুর সাথে লড়ছে। সুষ্ট বিচার চাই
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ সঠিক তথ্যের জন্য।
নাসির সারওয়ার
এই আমরা কোথায় যাচ্ছি।
এই লজ্জা কোথায় রাখি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
উত্তর জানা নেই
হয়তো সময়ই বলে দিবে -{@
মৌনতা রিতু
আমি একসময় খুব ভাল দাবা খেলতাম, সাঁতারে ছিলাম খুবই পারদর্শি। বিতর্কে ভাল ছিলাম। একসময় স্কাউট থেকে আমার নাম কেটে আনা হল। কবিতা লিখতাম বলে বকাও খাইছি। কারণ আমার দাদা ও নানা বাড়ি ছিল অতিরিক্ত রক্ষনশীল। গোয়ার টাইপের। সেই ক্ষোভ এখনো আছে আমার। আমাদের বাড়ির মেয়েগুলোকে গরুর মতো ইন্টারে পড়তেই বিয়ে দেওয়া হয়। যাকে বলে কোনোরকম “আইতং যাইতং বিবাহের কারো নং” পড়া আমাদের। কিন্তু আমি পারিনি বিদ্রহ করে উঠেও । যাইহোক, সেসব অতীত। তবে আমার মেয়ে হলে তাকে আমি বলতাম ,”মা চিৎকার কর যতোদূর তোর গলার আওয়াজ যায়।”
সুন্দর লিখলেন ভাই। শুভকামনা রইল। তবে জুলি আমার সব স্বপ্ন পূরণ করে। গান শোনা, ব ই পড়া, লেখা সবটাতেই তার উৎসাহ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আপনার সূখী পরিবারের সদস্যগুলোর জন্য রইল শুভ কামনা।“আইতং যাইতং বিবাহের কারো নং” চমৎকার বাক্য।সে সময় শুধু আপনার গ্রামে বা পরিবার একাই নয় প্রায় সর্বত্রই ছিল এ রেওয়াজ…মেয়েরা “কুড়িঁতে বুড়ি”।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মৌনতা রিতু আপুকে।
ইঞ্জা
মাঝে মাঝে এতো মেজাজ খারাপ হয় মানুষ নামের এই পশুদের করহা শুনে, আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম তাহলে আমি এমন আইন বানাতাম যে এইসব পশুকে চার রাস্তার মাথায় ঝুলিয়ে নিচ থেকে আগুন লাগিয়ে দিতাম, যেন তারা ধুকে ধুকে জ্বলে মরে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সে জন্যতো হতে পারবেন না কারন মানুষ বর্তমানে ভালো কি তা নিজেরাই জানেন না।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ইঞ্জা
(y)
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমার বুক ফেটে কান্না আসে এই জবরদস্তিমুলক অনাচার দেখে। রিশা, খাদিজা দুজনই জবরদস্তির বলি।
খাদিজা মেয়েটা ফিরে আসবে কি না জানিনা! ফিরলে চলৎশক্তি আর চিন্তাশক্তি নিয়ে ফিরুক নতুবা অপারেই চলে যাক, এটুকুই প্রার্থনা তার জন্য।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আশা আছে সে হয়তো বেচে থাকবে অসার ভাবে।শুভ বুদ্ধি হউক সবার।ধন্যবাদ।