আমার হাতে আইফোন ১৫, আমি ফোনটা হাতে নিয়ে বসে আছি, যাকে আমি ৩১০ টাকা দামের পিঙ্ক কালারের একটা পুতুল গিফট করেছি, শুধু ক্ষনিকের ভালো লাগা কিংবা আমাকে মনে রাখার জন্য, সে আমাকে একটা আইফোন উপহার করেছে, শুধু উপহার টা মনে রাখার জন্য না, তার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য। আইফোন টা দেয়ার নাটকিয়তা টা ছিলো খুব সুন্দর, দেখ আমি একটা নতুন ফোন কিনেছি, বাহ সুন্দর তো, হাতে নিয়ে দেখবে? নাও দেখ, অতঃপর ফোন টা হাতেই ছিলো, বিদায় বেলা বলল ফোন টা তোমার জন্য, আজ থেকে আমার কথা মনে পড়লেই ভাইবারে নক দিবা, আমি অবাক হয়ে গেলাম, মুখে থ্যাঙ্কস বলার ভাষা টুকু ও ছিলোনা, আমার একটা স্মার্ট ফোন দরকার ছিলো, শুধু শারমীনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য, স্বল্প আয়ের বাবা, নিজের খরচ আর আমার খরচ চালাতেই যার হিমশীম খেতে হয় সেখানে ৭৫০০০ টাকার ফোন শুধু স্বপ্নেই মানায়, বাস্তবে না, তবে আমি কিছুটা চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লাম, যার ফোন এটা, যিনি গিফট করেছে সে আমার থেকে ৫ বছড়ের বড়, আর তাছাড়া আমি তার অফিস বেতনভুক্ত কর্মচারী, এ সম্পর্ক কোনদিকে গড়াচ্ছে তা নিজের ই অজানা, বাবার রিটায়ার্ড এর সময় ও হয়ে এসেছে, অন্যদিকে বাবার শরীর, তা ছাড়া বাবা আজ বাদে কাল চলে গেলেই আমার ব্রত, খুন আত্বহত্যা, নিজেই নিজের প্রতি একধরনের মায়া অনুভব করছি, এটা মায়া না করুন আমি জানিনা, কনফিডেন্স লেভেল দিন দিন শুন্যের কোথায় নেমে আসছে তাও না, অফিসে দিন দিন ভালোই সুনাম পাচ্ছি, শারমীনের কেউ হিসেবে নয় বরং নিজের কাজের জন্য, আমার কি করা উচিত সেটা ভেবে পাচ্ছিনা আমি, নাহ তবে একটু গাজা খাওয়া যাক, স্বিদ্বি খেয়ে একটু বুদ্বির গোড়ায় ধার দেওয়া যাক, আচ্ছা শারমীন কে অফা করলে কেমন হয়? একটা মেয়ের সাথে বসে গাজা খাওয়া, বাহ কি অদ্ভুত আনন্দ
আমি কি তবে শারমীনে কে নেশার পার্টনার হিসেবে দেখতে শুরু করেছি? নাকি আমার খুনের বলি? নাকি আমার অফিসের মালিক অথবা জীবন্সঙ্গিনি? যাকে পরপর দু রাত স্বপ্নে বউ হিসেবে দেখেছি………
নাহ আমার থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছি হয়তো আমি, এভাবে কতদিন চলবে আমি জানিনা, সব কিছুই কেমন যেনো গুলিয়ে যাচ্ছে, তবে কি আমি মানষিক ভারসাম্য হাড়াচ্ছি? কি জানি এর উত্তর আমার নিজের ই অজানা, আমি জানিনা এভাবে কতদিন চলতে থাকবে, কিন্তু আমার এর থেকে মুক্তি দরকার।দিন পেরিয়ে গেলো এর মাঝে, জীবন থেকে হাড়িয়ে গেলো আরো ৭ টি দিন, শারমীনের সাথে যোগাযোগ টাও বেশ ভালোই , কাজের ফাকে ফাকে হাই হ্যালো চলছেই।
এর মাঝেই শারমীন দেখা করতে চাইলো আমার সাথে, আমি দেখা করতে রাজীও হলাম, আসলে দেখা করতে রাজী বলতে আমি এ পর্যন্ত শারমীন এর সাথে যে কদিন দেখা করেছি তার সব কয়টা তে আমি ই চেয়েছিলাম প্রথমে, তাই এবার অপেক্ষা করছিলাম তার মুখ থেকে শোনার জন্য, নির্দিষ্ট দিনে আমাদের দেখা হয়, সেই লেক রোদ, সেই জারুল গাছের নিচে, সেদিন খুব চুপচাপ ছিলো শারমীন, আমারো টেনশান কাজ করছিলো মনে, গত সপ্তাহে আমার একটি ভুলের জন্য কোম্পানি লস গুনেছে প্রায় সতেরো লাখ টাকা, হয়তো আজ শারমীন বলেই বসবে তোমার আর অফিসে আসার দরকার নাই, কিন্তু না শারমীন খুব ষ্ট্রেইটলি আমাকে তার ভালো লাগার কথা বললো, শারমীন আমাকে ভালোবাসে, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তবে এ কথা যে আমি শুনবো সেটা আমার জানা ছিলো তবে এতো দ্রুততার সহিত প্রত্যাশা করিনি, আমি আবারো কনফিউশনে পড়ে গেলাম তার সাথে একধরনের লোভ কাজ করলো আমার মনে, একদিকে জীবনসঙ্গিনি সাথে এতো টাকা এতো গাড়ি আর বাড়ি অন্যদিকে আমার হত্যা আর আত্বহত্যা
সেদিনের মত কোনো উত্তর না দিয়েই বাসায় ফিরেছিলাম আমি, কি মনে করে শারমীনের থেকে বিদায় নিয়ে ফোনের সুইচড অফ করে দিলাম, কাল শুক্রবার সে হিসেবে কাল অফিস যেতে হবেনা, এই চব্বিশ ঘন্টার মাঝেই আমাকে ডিসিশন নিতে হবে, বাসায় ফিরার সময় ৩০০ টাকার গাজা কিনে নিয়ে এলাম, যা থেকে ভাংপাতা বেছে সিগেরেটের শোকা ছাড়া মাত্র ৩ টা গাজার ষ্টিক বানালাম আমি, উদ্দেশ্য র খাবো, বেশ কয়েকদিন যাবত ই বুদ্বির গোড়ায় ধার দিবো দিবো করেও দেওয়া হচ্ছেনা আমার, আজ আর দেরী করে লাভ নাই।
১৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যাযাবরের ডায়রীর যেন ধীরে ধীরে এগুচ্ছে।ভালই লাগছে বেশ খোলা মেলা কথা।
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য, সাথে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
দিন দিন, ভাল করে ধোয়া দিন, ধোয়া থেকে ইচ্ছে পুরনের দৈত্য দেখা দিতে পারে।
হৃদয়ের স্পন্দন
কাজ কি হয়/ কি জানি হয়তো ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য
শুন্য শুন্যালয়
গাজা খেলে বুদ্ধি বাড়ে, যাযাবরের পাল্লায় পরে সবার মতিগতি খারাপ হয়ে গেলে সমস্যা।
দেখি তার বুদ্ধি কেমন খোলে, কোথায় নিয়ে যায়। 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
নাহ আমার অন্তত না, আর কই যাবে, আমি নিজেই জানিনা কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে………
আবির
মেয়ের সাথে বসে গাজা খাওয়া! ওমাগো সত্যি নাকি শুধুই গল্পের কল্পনা? এতো সুন্দর কইরা ডায়েরী লিখতে পারেন আপনি?
হৃদয়ের স্পন্দন
কোনো ছেলের সাথে বসে খেতে পারলেও ভাল লাগত 😛 ধন্যবাদ মন্তব্যটি সুন্দর হয়েছে
মামুন
ভালো হচ্ছে পর্বগুলো।
সাথেই আছি।
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
গাঁজা 🙂
ভালো হচ্ছে পর্ব
হৃদয়ের স্পন্দন
অনেক দূর এসেছেন যাযাবরের সাথে, অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা নিবেন।
স্বপ্ন নীলা
গাঁজা পর্ব ——–সমাজ হতে নেশার বিলুপ্ত হোক
সুন্দর লেখনী আপনার
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ আপনাকে, নেশা মুক্ত হোক এ চাওয়া টা আমারো।
লীলাবতী
ডায়রী লেখা ভালোই হচ্ছে (y) -{@
ব্লগার সজীব
যাযাবর তো দায়রী ভালোই লেখে।
কৃষ্ণমানব
ফেব্রুয়ারীতে একসাথে বসে খাবো ঠিক আছে ? :v
ভালোবাসায় ভরপুর জীবনের স্পন্দন :p
ট্রাই টো কিপ ইট আপ 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
মোবাইলে থাকায় জবাব টা এভাবেই দিচ্ছি, নিশ্চয়ই বইমেলায় দেখা হবে, আড্ডা হবে আর এক কপি সৌজন্যে কপি অবধারিত কবি শুধুই আপনার জন্য…….. <3