মৃত্তিকা,
তোমার বিস্তীর্ণ বক্ষ চিরে
সবুজের যে দীপ্ত হাসি উথলে পড়ে
তাতে কি তুমি তুষ্ট হও?
শীতের শুস্কতা
গ্রীষ্মের রুক্ষতার কষ্টকে কি
মুছে দিতে পারে
বর্ষার শীতল, আদ্র অনুভূতি?
তুমি কি কখনো হাসো?
কিংবা বঞ্চিত হয়ে কাদো?
কি করবো বল?
জীবনের রশি ধরে টেনে নেয়ার ব্যস্ততা
আমাকে বেধেছে আস্টেপৃষ্ঠে
তোমার বুকে কান পেতে কখন শুনব
না বলা তোমার সে কথা?
নিঃস্তব্ধ সে অনুভূতি?
তারপরও……
ভেবনা
তোমার বক্ষ পরে দাবড়ে বেড়ানো
অযুত জঞ্ঝা বা অনাচারের মুখোমুখি
শক্ত দাঁড়িয়ে থাকব আমি
তোমারই সন্তান
মামুলী এক ভুমিপুত্র!
৮টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
ভালো লাগলো (y)
শেহজাদ আমান
ধন্যবাদ, খেয়ালী মেয়ে ! 🙂
অনিকেত নন্দিনী
বর্ষার আর্দ্রতা যদি গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে মুছে নাই দিতে পারতো তাহলে এমন সবুজে সাজতো মৃত্তিকা?
মনে হয় মৃত্তিকা কাঁদে, হাসে সবই করে।
জীবনের রশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে না রাখলে আমরা মৃত্তিকার অভ্যন্তরস্থ হয়ে যাই, বেঁধে রাখলেই মুখোমুখি হই ঝঞ্ঝা-অনাচারের।
সুন্দর লেখা।
শুভেচ্ছা রইলো। -{@
শেহজাদ আমান
কবিতার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ হে অনিকেত নন্দিনী ! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
মাটির মতো সহিষ্ণুতা মানুষের হলে আজ অনেক সুন্দর একটা পৃথিবী আমাদের হতো।
লেখায় ভালো লাগা।
শেহজাদ আমান
“মাটির মতো সহিষ্ণুতা মানুষের হলে আজ অনেক সুন্দর একটা পৃথিবী আমাদের হতো।”
দারুণ বলেছেন, নীলা ! (Y)
মরুভূমির জলদস্যু
ভালো হয়েছে।
শেহজাদ আমান
dhonybad, হে জলদস্যু ! 🙂