ভোরের কবিতা হয়ে একটি টুংটাং শব্দে জেগে ওঠা ঘুম
“সুপ্রভাত” লেখা অক্ষর স্ক্রীনে ভেসে ওঠা;
সেই ফোনের পাঁজরে এখনও জমা আছে কথাগুলো।
প্রতিদিন ট্রেনের শব্দের ব্যস্ততার ভেতর ফিসফিসিয়ে কতো কথা!
ফিরতি সন্ধ্যা ফিরে আসতো নীড়ে,
সূর্যের পড়ন্ত আলোয় আবারও সুরেলা শব্দে বেজে ওঠা,
সেলফোন নেচে উঠতো “কি আনন্দ! কি আনন্দ!! কি আনন্দ!!!”
“পাখী, কি করিস?”
ফুলের কাছে রাখা না-বলা শব্দগুলো ঠোঁট না নেড়ে বলতো কতো কি!
“অপেক্ষা! বড়ো অপেক্ষা!!”
একেকটি টেক্সট ম্যাসেজ সেতু-বন্ধন হয়ে দিনের পর দিন,
রাতের পর রাত—
দেখেছে ফুল, দেখেছে পাখী
আলো ছুঁয়েছে আলোকে
শুধু আমার সেই বেইজমেন্টের অন্ধকার কখনোই অন্ধকার দেখেনি।
পাখীর ঠোঁটের সুরে সুর লাগেনি।
কিন্তু তবুও,
ফুলের ঘ্রাণে ম’ ম’ করছে চারিদিক।
এবেলা-ওবেলা আজও পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে এ-প্রান্তে টুংটাং শব্দে নেচে ওঠে মুঠোফোন।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ইং।
**সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী সোনেলা পরিবারের পুরাতন সদস্য, কিন্তু অক্ষরের সমুদ্রে ভাসাচ্ছে কয়েকদিন থেকে। আমার কাছে ও আমার বন্ধু। গল্প-আড্ডা-দুষ্টুমী-আনন্দ-হাসি-অভিমান(শুধু নিতো এবং ধরে রাখতো)। বেলজিয়ামের ব্রাশেলসে যখন ছিলাম, দুজন মানুষ আমার খবর নিতোই, একজন তো জুঁথী, আরেকজন জয়তী। এতো একা ছিলাম তখন, চাকরী ছিলোনা, সময় কাটানো গৃহিনী হয়েই। জুঁথী ওটাকে আমি ফুল বলে ডাকতাম, আর আমায় ও পাখী। রাতে ফোন দিতো, টেক্সট ম্যাসেজ, সকালে ঘুম ভাঙ্গাতো এই পাগলীর কন্ঠ শুনে। বন্ধু ভাগ্য আমার সবসময়ই ভালো। কতো বছর একটা অভিমান নিয়ে সরিয়ে রেখেছিলাম, অদ্ভূত ও একটুও রাগ করেনি। বরং ভেঁজা কন্ঠে বলেছে, “এমন আর করিস না।” ওকে ব্লগে দেখে মনে হলো আমি আরোও ভরে গেলাম। এ ঘরের সদস্যরা, যারা আমায় ভালোবাসে সেই ভালোবাসা আরোও উপচে উঠলো আমার ফুল-এর আগমনীতে। ভালোবাসি ফুল। ভালো থাকিস, ভালো রাখিস।
৩৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অটুট বন্ধনে থাকুক আপনাদের বন্ধুত্ব
এবেলা-ওবেলা আজও পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে এ-প্রান্তে টুংটাং শব্দে নেচে ওঠে মুঠোফোন,ডিজিটালে সবাই ব্যাস্ত ঘোড়া তবুও এরই মাঝে বন্ধনের আবদ্ধে থাকা মানুষগুলোর খোজ নেয়া এ ভাবে কে পারে!
-{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধুত্ত্ব নিঃস্বার্থ হয়। তাই টিকে থাকে আজীবনকাল।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
মরুভূমির জলদস্যু
ফুল আর পাখির জন্য শুভকামনা অহরহ
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
নূরু
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথীর জন্য উৎসর্গকৃত আপনার
চমৎকার কবিতাটি আমার ভালো লেগেছে!
চমৎকার কথামালায় সুন্দর বুনটে দারুন
কাব্য। ভালো লাগতেই হবে।
শুভেচ্ছা আপনাদের
উভয়কে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
একজন বন্ধুর জন্য আবেগ পুর্ন আন্তরিকতায় লেখা কবিতা ভালো লাগলো অনেক
এমনই হওয়া উচিৎ আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক।
শুভেচ্ছা দুজনকেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধুত্ত্ব নিঃস্বার্থপরায়ণ হয় বলেই সহজে সম্পর্ক ভাঙ্গেনা। বন্ধুই বন্ধুকে সঠিক পথ দেখায়। আর তাই ভুল হয়না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। -{@
আমির ইশতিয়াক
আপনার ব্লগবাড়ী ঘুরে গেলাম। ভাল লাগল।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগত জানাচ্ছি এবং অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। 🙂
তানজির খান
বন্ধুত্ব বেঁচে থাক সারাজীবন। কাছে কিবা দূরে থাক মনের পাশাপাশি। শুভ কামনা তোমাদের দুজনের জন্য। -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
তানজির খান
হা হা হা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
অপার্থিব
ফুল পাখির বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকুক। ভাল লাগলো কবিটাটি।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই যেনো থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগার সজীব
বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক। লেখাটি ভালো লেগেছে দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিকারের বন্ধুত্ত্ব ভাঙ্গেনা কোনোদিন।
ভালো থাকুন সজীব।
অরুনি মায়া
ফুল পাখির অপূর্ব মিলন |এবার আর বসন্ত বেশি দূর নেই | শীত ফুরিয়ে এল বলে -{@
মেহেরী তাজ
কবে যে শীত ফুরাবে আপু! অপেক্ষাই আছি!
অরুনি মায়া
ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাবে ?
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
আমার বাগানে সারা বছরই বসন্ত। কখনও বসন্তর অভাব অনুভব করলে, দুইশো পৃষ্টার একটা বাগান বসন্তসহ ভালোবাসার লাল খামে ভরে পাঠিয়ে দিব দু’জনের ঠিকানায় @অরুনী মায়া, মেহেরী তাজ 😀 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম বসন্ত আসছে। তাইতো ফুল-পাখীর এতো আনন্দ। 😀
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
অনেক মাথা যন্ত্রনা আর ক্লন্তি নিয়ে অফিস থেকে বাসায় এলাম। নিউরোনের কোষে কোষে যন্ত্রনা জড়িয়ে গিট্টু বাঁধার আগেই ওষুধ খেয়ে বসে ছিলাম। ট্যাব অন! গান চলছে….রবীন্দ্রসংগীত! ‘ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভু’! গান চলছে আর আমি সোফায় বসতে বসতে শুয়ে ঘুম।
বন্ধ চোখের ওপারে, স্বপ্নের দরজায় দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে। খুব হাসছে আর কি জেনো বলছে। শব্দ গুলো আমার কানের কাছে আসার আগেই হারিয়ে যাচ্ছে বাতাসে।খুব চেনা চেনা সহাস্যমুখ কিন্তু কিছুতেই চিনতে পারলাম না।স্বপ্নের ভিতর তুই এত অচেনা হলি কেমন করে, বলত পাখি?
তোর অভিমানে চলে যাওয়া পথে, ফেলে গেলি পদচিনহ। প্রতিটা পায়ের ছাপে লেখা ছিলো তোর নাম ‘নীলা’…..
আমি নীলা আ আ আ আ বলে ডাকতেই হারিয়ে গেলি অজানায়…
চোখ খুলে দেখি, পাতাহীন নগ্ন গাছগুলো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে আমার প্রিয় জানালার কাছে। শীতের প্রহর গুলো ভিষন কাঁদায়। কোথাও গাছে কোন ফুল নেই, প্রজাপতি উড়ে না রঙিন পাখা মেলে। ধীরে ধীরে টেম্পারেচার নামতে থাকে নীচে, প্রকৃতির চোখে
শুধুই সাদা কালো ছবি।
তুষারপাতের সম্ভাবনা থেকে সাদা ঝুরো ঝুরো, সহস্র টুকরাই ঝরে পরে নদী সান্তা ক্লজের দাঁড়িতে। সান্তা ক্লজ… যার অপেক্ষায় সারা বছর পুরা ইউরোপ।আমিও অপেক্ষায় আছি, তবে সান্তা ক্লজের না। আমার পাখি, যে আমাকে অভিন্দন জানাতে…আমার চোখ ভিজিয়ে দেয় বার বার…নীলা, আমার পাখি। তোর সাথে আমার আত্নার সম্পর্ক…..
নীলাঞ্জনা নীলা
পাখীর চোখে ঘুম। প্রতি-মন্তব্য ফুল পাবে, যেমন তার প্রাপ্য। তবে এখন না। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
ফুল মনা রে প্রচন্ড ব্যস্ত আমি। শ্বাস ফেলার সময়টুকুও পাচ্ছিনা। দৌঁড়ের মধ্যে আছি। আর ওভাবেই এখন এলাম। জানিনা কেন জানি সেলফোন থেকে ব্লগে আসতে পারিনা। আসলে নতূন সেলফোন, এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। ২৫ ডিসেম্বর অফ, সেদিন সময় দেবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ফুল আর কখনো যাবোনা। কথা দিলাম। -{@ (3
মেহেরী তাজ
ও আচ্ছা উনি তাইলে আপনার ফ্রেন্ড। বুঝছি তাইলে উনার সাথে আর বাঁদরামো করা যাবে না! 🙁
আপু আমায় ভুলে গেছেন?
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
করেন করেন, দেখতে চাই কতটা বাঁদরামো করতে পারেন? \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তাদেরকেই ভুলি, যারা ক্ষত। আর তাকে মনই মনে রাখে যে মানুষকে কষ্ট দেয়না।
ভুলে যাবার মতো কঠিন কিছু আছে নাকি? বিতৃষ্ণা-ঘৃণাই ভুলিয়ে দেই। আমাদের মধ্যে তো এসব কিছু নেই।
ওহ আপনি করে বলা শুরু করেছি। 😀
মেহেরী তাজ
আপনি ডাকা শুরু করেছেন ভালো!
কষ্ট যারা পেতে চায় তাদের তো কষ্ট দিতেই হয় তাই না আপু। আপনার আমার ভিতর এমন কিছু কোন দিনই ছিলো না!
আমি আপনার পিচ্চি আপু না!??? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু রে অনেক গপ্পো হবে ২৫ ডিসেম্বর তোমাদের রাতে। নাহ আমায় দিয়ে আপনি করে বলা হবেনা। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ এই হার্ট আর ফুলটা মেহরী তাজের প্রাপ্য -{@ (3