‘ক’ তার বান্ধবী ‘খ’ রে ফোন দিছে। ক্রীং ক্রীং!
খঃ হ্যালো, ‘ক’ জানু কেমুন অাছো? কি খবর? উম্মাহ :-*
কঃ জানিস, ঐ পোলাটা অামারে ডাইকা নিয়া টিপ মারছে 🙁
খঃ কস কি! তোর কি অনেক মজা লাগছে :3
কঃ তুই, এ কথা বলতে পারলি! অামি বিশ্বাস করে, বোকামী করে…
খঃ চুপ থাক। ‘চাইপা যা ‘ ‘ধাঁমাচাপা দে ‘।
ধামরী তুই বেক্কলের মতো গেছস কেন
কঃ অামি না হয় বোকার মতো গেছি, কিন্তু সে কেনো এমন করলো! সে তো বোকা না! বুদ্ধিমান।
খঃ ধুররর (-_-) প্যাঁচাল বাদ দে। জীবন অনেক বড়ো। এসব মানুষে শুনলে তুই মুখ দেখাতে পারবি? বেক্কল সব কথা সবখানে বলতে হয়না। সামনে এগিয়ে যা, প্রতিষ্ঠিত হ।
মাথা(হিন্দি চুল) উচু করে চল।
দশ টাকা দিয়া ডেটল সাবান কিনে গোসল করে ফেল। সব ঠিক। কোনো ময়লা থাকবেনা।
অালাপচারিতা এখানেই শেষ হলো।
[[উল্লেখ্য, ক দশ দিনের পরিচয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় পরিচিত এক ছেলের সাথে দেখা করতে গেলে ঐ নপংশুক তাকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করে। জাঁ এখন সে ঐ স্যোশাল মিডিয়াতে প্রকাশ করলে, তার তথা কথিত রোকেয়ার আদর্শে দীক্ষিত নারীবাদী বন্ধুরা ধামাচাপা দিতে বলে। ]]
খ তার স্যোশাল নেটয়ার্ক প্রোফাইলে পোষ্ট দিলোঃ
“কোনো পুরুষকে ছাড় দেয়া হবেনা।!(ধাঁমাচাপা দে)
ধর্ষনের জন্য পোশাক দায়ী না।!(ধাঁমাচাপা দে)
নারী-পুরুষ সমান অধিকার।! (ধাঁমাচাপা দে)
বেহেনারা, তোমরা ঘর থেকে বাইরে বের হও!(ধাঁমাচাপা দে)
অামাদের অধিকার অাদায় করতে রাজপথে
সংগ্রাম করতে হবে।(ধাঁমাচাপা দে)
তোমরা অার চুপ করে থেকো না।(ধাঁমাচাপা দে)
অার মুখ বুঝে ধাঁমাচাপা দিও না।(ধাঁমাচাপা দে)
খুলে দাও অত্যাচারী, প্রতারক পুরুষের মুখোশ।(ধাঁমাচাপা দে)
ভেঙ্গে দাও! গুড়িয়ে দাও! বেহেনা তোমরা এগিয়ে অাসো।(ধাঁমাচাপা দে)
অামি অাছি তোমাদের সাথে।
হাটবো বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে।! “(ধাঁমাচাপা দে)
এটা পড়ে ক অার খ’ র বন্ধু A মনে মনে বলতাছে,
” খোদা, ইহাকেই বুঝি বলে, মাননীয় স্পিকার, অামিতো *** হয়ে গেলাম “।
[[‘সময়’ সবচেয়ে বড়ো বিচারক বন্ধু। যে ডেটল সাবানের কথা বলে তোমরা তাদেরকে অবলা করে রাখতেছ বছরের পর বছর! সেই সময়ই একদিন তোমাকে ডেটল সাবান উপহার দিবে। থুহ! ]]
২২টি মন্তব্য
স্বপ্ন
ধামাচাপা দিতে দিতে একদিন নিজের অস্তিত্বকেই ধামাচাপা দিতে হবে।
ইমন
স্বপ্ন
হুম। কিন্তু আমাদের কি কিছুই করণীয় নাই! সমাজের প্রতি সভ্যতার প্রতি কি আমাদের দায়িত্ব নাই!
খেয়ালী মেয়ে
ধামাচাপা দিয়েই চলছে সব, এ আর নতুন কি?….
ইমন
আর আমরাও ডেটল সাবানের যোগান দিয়েই যাচ্ছি এ আর নতুন কি। দু চার কলম ব্লগে, অনলাইনে লিখে দিচ্ছি, দু একটা মানব বন্ধন করতেছি এ আর নতুন কি!
হাজার বছর ধরে চলে আসতেছে এইগুলা এ আর নতুন কি।
কিছুদিন আগে এক বান্ধবী আমার লেখা ফেসবুকে পড়ে ফোন দিয়ে বলতেছে দুস্ত আমাকে আমার হাজবেন্ড প্রায়ি ধর্ষন করেরে। তবুও দাঁত মুখ খিচে সামাজিক আর পারিবারিক দায়বধ্বতার কারণে সংসার করে যাচ্ছি। শুনে চোখ ফেটে পানি আসলো এ আর নতুন কি। চলুক এভাবেই।
জিসান শা ইকরাম
বেশী দিন না
ইমন
আশায় থাকলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক।
যার ফলে নিয়মগুলোও পুরুষদের ফেভারে।
আপনার কাছেই জানতে চাইছি ইমন সাহেব, বলুন তো এবারের ১লা বৈশাখে যে ঘটনাটি ঘটে গেলো তারপরে আক্রমনকারী এবং আক্রান্ত এই দুই পক্ষের লোকের সমাজে বর্তমানে বিচরণটা কেমন বা আমরা সমাজবদ্ধভাবে কাকে কিভাবে ট্রিট করছি।
আইন তো পরের কথা। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারনে দুই পক্ষের মানসিক অবস্থা কি?
দৃষ্টিভঙ্গীর কারনে অবস্থা এই
আক্রমণকারী বুক ফুলিয়ে হাটছে।
আর আক্রান্ত যে সে মুখ লুকিয়ে হাটছে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তবুও আমি চাই সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই মেয়েদের চেপে না গিয়ে প্রতিবাদের আওয়াজে মুখর হতে হবে।
উঠুক না বাঁকা আঙুল! তাতে কি?
হু কেয়ার! এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই দাঁড়াতে হবে।
তবে গভীরভাবে দুরদৃষ্টি দিয়ে দেখলে দেখবেন, মেয়েরা যেদিন এমনি করে মুখর হবে সেদিন সমাজ-পরিবার-বিধিব্যবস্থা কেবল ভাঙবে আর ভাঙবে।
মেয়েরা সহনশীল বলেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হয়েও সমাজটা এখনো এতো সুন্দর। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়ানোই যে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে।
ইমন
রুবা আপু
প্রীতিলতা আর রোকেয়া বেশিদিন আগের না কিন্তু। উনারা ভেঙ্গেছেন বিধায় আজ অনেক দুর্গম মেঠু পথে আমাদের বোনেরা বই হাতে হেলে দুলে স্কুলে যায়।
খুব বেশি অসহনশীল কিন্তু হয়নি সমাজ তাদের ভাঙ্গার ফলে। এখন তোমাদের দায়িত্ব। কিভাবে এই আধুনিক যুগে তোমরা সম্মান আর শালীনতার সাথে এগিয়ে যাবে।
তোমার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, প্রীতিলতা আর রোকেয়া কি ভেঙেছেন? প্রথা, তাইতো! প্রথা ভেঙে দেশের জন্য সংগ্রামে নেমেছিলেন, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে ঘরের বাইরে পা রেখেছিলেন। সেটা ছিলো দেশের জন্য কর্তব্য, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
আর পোষ্টে যে বিষয়টার উপর আলোকপাত করা হয়েছে, সেটা কিন্তু প্রথা ভাঙা নয়, প্রতিবাদ। আর প্রতিবাদ থেকেই প্রতিরোধ, জবাব। সেটার বিরুদ্ধে যখন একজন-দুজন দাঁড়াবে তখন একদিকে নিন্দিত হবে, অন্যদিকে নন্দিত হবে ঠিক। রুবেল-হ্যাপী কাহিনী তো আমরা কমবেশি সকলেই জানি। কিন্তু একজন দুজন সেরকম তাঁরাই মোকাবেলা করতে দাঁড়াবে যাদের মানসিক শক্তি অনেক স্ট্রং। কিন্তু যখন গড় হিসাবে বেশির ভাগ জবাব দিতে শুরু করবে তখন কিন্তু সময়টা অন্যরকম হবে।
আবার শুধু প্রতিবাদ-প্রতিরোধই নয়, প্রতিহিংসাও দেখা দিতে পারে।
ইমন
রুবা আপু
আপনাকে আমার বোঝানোর সাধ্য নাই। আমি মন্তব্য গুলাতে বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে আমাদের মধ্যে সামাজিকীকরণে গলদ আছে। সামাজিকিকরণ ব্যাপারটা বুঝলে মন্তব্য বুঝা সহজ হয়ে যাবে আপু।
আপনি হেপি রুবেলের কথা বলেছেন, আমিত তাই বলতেছি বোন। রুবেলের যে নৈতিক অবক্ষয় হয়েছিল তা তো স্পষ্ট। এখন এই নৈতিকতা জিনিসটাও কিন্তু সামাজিকি করনের অংশ। তাই বলে হেপি চুপ করে থাকবে! আমার বোন রেপ হয়েছে বলে কি চুপ করে থাকবে? বিচার পাওয়া কি তার অধিকারের মধ্যে পরে না! যারা রেপ হচ্ছে তাদের বিয়ে হচ্ছে না , এটা খুরা যুক্তি। তাদের হিল্লে হচ্ছে কিন্তু হয়তো ভাল কোনো জায়গায় হচ্ছেনা।
প্রতি রাতে স্বামীর দাঁড়া স্ত্রী ধর্শন হচ্ছে। সেসব হিসাব বাদ দিলাম। যাদের কে জুড় করে তুলে নিয়ে গিয়ে , বা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করতেছে, তাদের কি বিচার চাওয়াটা অন্যায়! যদি বিচার না পায় তবে কি প্রতিবাদ করা অন্যায়! রাস্তায় নামা অন্যায়! অনশন করতে চাওয়া অন্যায়! মানব বন্ধন করতে চাওয়া অন্যায়!
পৃথিবীর কোন মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সংঘাত হয়নি!
ইসলাম ধর্ম কায়েম করতে গিয়ে সংঘাত, যুদ্ধ, হয়নি!
গনতন্ত্র উদ্ধার করতে এখনোও সংঘাত হয়না! ইসলামি শাসন কায়েম করার জন্য এখন কি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আই এস আই সংঘাত কর্তেছেনা!
যে কোনো মতবাদ বা অধিকার আদায় করতে গেলে প্রাথমিক বাঁধা আসবেই। এটার প্রমাণ গুলা দিলাম
এখন সিদ্ধান্ত তোমাদের। তোমরা কি ঘরে বসে থাকবা, নাকি সমাজে স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে বাঁচার জন্য আওয়াজ তুলবা।
ধন্যবাদ আপু 🙂
ইমন
অহ মাই গড!
আপনি আমার কথার টুন্টা ধরতে পেরেছেন। আমি ঠিক এটাই বুঝাইতে চাচ্ছি যে, ধামাচাপার মুখোশ পড়ে আর কতদিন অবলা করে রাখা হবে! সামাজিকীকরণে নারী বিশাল অবধান রেখে যাচ্ছে। আমাদের মোট জনসঙ্কহার অর্ধেক নারী।
আমরা ছুটো পরিসর যেমন , ঐ দুষ্কৃতিকারীদের কি বন্ধু মহল নেই! আছে, কিন্তু তাদেরকে ঐ বন্ধু গুলা শেল্টার দিচ্ছে। তাদের কি পরিবার নেই! আছে শেল্টার দিচ্ছে। তারা কি সমাজে বাস করেনা! করে, সমাজ শেল্টার দিচ্ছে।
এই যে বন্ধু মহল, পরিবার, সমাজ , প্রতিটা স্টেজেই কিন্তু মানুষ আছে। কিন্তু বিধি বাম! আমরা দায়িত্ব পালনে ভুল রাস্তা অবলম্বন করি।
শুন্য শুন্যালয়
সঠিক রাস্তা কোনটা, কিভাবে সেটা আসবে এখনো জানার বাইরেই আছে। সেদিন এক সেলিব্রিটি পুরুষের বিপক্ষে এক মেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। মন্তব্য সব পড়ার রুচি হয়নি আর। শেল্টার কারা দিচ্ছে? আগে কেন দিচ্ছে এর উত্তর যদি একটুও বুঝতে পারি।
ইমন
আগে পরে কে বা কারা দিচ্ছে বা দিয়েছে , সেটা বাপার না। আমরা প্রতিবাদ করিনা কেনো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা তাদের উদ্দেশ হাসিলের জন্য গাড়ি পুড়ায় ,বাড়ি পুড়ায়, মানুষ পুড়ায়, অনশন করে। নিয়মিত মিছিল করে, সভা করে।
আমরা কেনো করছিনা! আমরা তা না করি। অন্তত যেখানে কেউ একটা মেয়েকে অ্যাটাক করতেছে সেখানে অন্তত তাকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা টা করবোনা!
দুনিয়াটা নোংরামিতে শুরু থেকেই ভরা ছিল, এটা আমাদের মত মানুষেরাই মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে , এখনো দেয়। ঐখানে নোংরামি হচ্ছে বলে আপনি নাক সিটকে চলে আসলেন কেনো!
আমি একটা মুভমেন্ট খর্ব ভাবছিলাম। সে জন্য প্রতিটা বিভাগীয় শহরে অনশন করতে এচ্ছুক কিছু মেয়ে খুঁজছিলাম। কেউ রাজি না। কেউ ভয় পায় পুলিশ মারবে। কেউ ভয় পায় পরিবার দিবেনা। অথচ তারা আমার একটা পুষ্ট আটশত বার শেয়ার করেছে!
আবার কোনো একটা মেয়ে রাস্তায় ধর্ষন হলে ,আবার আমি একটা লেখা লেখব, আবার কয়েকশ বার শেয়ার হবে, আমাকে বাহ বা দেয়া হবে, থানায় চুড়ি নিয়ে জাঅয়া হবে, দু এক দিন মানব বন্ধন হবে, তো পরে যেই লাউ সে কদু।
যাই হক আপু, আজকে প্রীতিলতা অয়াদ্দাদার এর ১০৫ তম জন্মদিন।
শুভেচছা আপনাকে।
কৃন্তনিকা
আমি রুবা আপুর সাথে সহমত।
কোন কিছু নিয়ে বলা বা লেখালেখি করা অনেক সোজা। কিন্তু বাস্তবতা কঠিন…
একজন ধর্ষিতার বিয়ে কেবল সিরিয়ালেই দেখেছি, বাস্তবে নয়…
আমিও ধামাচাপার পক্ষে নই। কিন্তু ধামাচাপা না দিলে অস্তিত্ব মেয়েটিরই বিলীন হয়, পুরুষের না। আমরা এমন সমাজে বাস করি যে সমাজ ধর্ষিতাকে ধর্মহীন করে ছেড়ে দেয় আর ধর্ষক ধর্মের বুলি আওড়ায় ‘পর্দা কর’। এই সমাজে ধামাচাপাই বাস্তবতা…
যেদিন ধর্ষিতারা সমাজে গৃহীত হবে, সেদিন ধামাচাপা বন্ধ হয়ে যাবে।
ভাইয়া, একবার চিন্তা করে দেখুন, আপনার পরিবারে বা বন্ধুমহলে বা পরিচিত কোন পুরুষ কি ধর্ষিতা(যার দুর্ঘটনা সবাই জানে) বা এসিড ভিক্টিমকে বিয়ে করেছে? যদি করেও থাকে তাঁর সংখ্যা কোটিতে হয়ত একজন হবে… প্রতিদিন ধর্ষণ হয় গড়ে হাজার বা শ’এর মত…
আমাদের সমাজে ধর্ষণ নারীর জন্য লজ্জা। নইলে একাত্তরে ৬লাখ ধামাচাপা পড়ে ২লাখ হত না…বীরাঙ্গনাদের জাতির গৌরব ধরা হয় না, ধরা হলেও সেটা মিডিয়া বা ব্লগেই সীমাবদ্ধ…
আপনার লেখাকে সাধুবাদ জানাই। এট বলছি- বাস্তবতা ভিন্ন…
ইমন
কৃন্তনিকা
আর বাস্তবের চিন্তা করে সময় নষ্ট করার দরকার নাই আপু। আপিল বিভাগ রায় দিছে ধর্ষকের মৃত্যদণ্ড দেয়া যাবেনা। আগে যাও একটু ভয় ছিল এখন তাও থাকল না।
তারা তাদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে, নিচ্ছে। লিখে দিলাম এর প্রতিবাদে তোমরা ,আমরা যদি মাঠে না নামি তবে ধর্ষন , নির্যাতন প্রতি ঘরে ঘরে ঘটবে।
আর সামাজিক স্বীকৃতির যে কথা বলতেছ, সে জন্য তো আমাদের পরিবারে, সমাজে নৈতিক শিক্ষাটা চালো করতে হবে নাকি! সেই সাথে সমাজে সহ অবস্থানের জন্য তো আঅয়াজ তুলতে হবে নাকি!
তা না হলে, এইভাবেই আইন পাশ হবে . লিখে দিয়ে গেলাম, এই দেশে এক সময় আরবি লেখা বোরকা পড়তে হবে যাতে করে কেউ মেয়েদের গায়ে হাত না দিতে পারে। বেবসায় ধর্মের বেবহার্ত আগেই ছিল (হালাল সাবান, পানীয় ).
একসময় আরবিতে বিজ্ঞাপন হবে, পণ্যের গায়ে আরবিতে লেখা থাকবে, ব্লেক্মেয়ল হতেই থাকবা ধর্মের আর পবিত্রতার দোহায় দিয়ে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেকদিন আগে একটি খবর পড়েছিলাম। হুবহু তুলে দিলাম-
কেনিয়ার কাবারাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উনিশ বছরের কিশোরীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জেরে ৩২৪ জন এইচ আই ভি আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি শেষে মাদকাসক্ত অবস্থায় জনৈক সিনিয়র ছাত্র তাঁর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এর ফলে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে যান ওই কিশোরী। এরপরেই ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতে পাল্টে যান কিশোরী। তাঁর দাবি, যৌন সম্পর্কের জেরে ইতিমধ্যে ৩২৪ জন পুরুষকে তিনি এইডস আক্রান্ত করেছেন। তাদের মধ্যে ১৫৬ জন ছাত্র। বাকিরা বিবাহিত। কিশোরী জানিয়েছেন, এটাই তাঁর প্রতিবাদের ধরন। আরও অনেক জনকে তিনি ‘শিকার’ বানাতে চান। নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
আমরা চাই না এমন হোক। কিন্তু ১লা বৈশাখের ঘটনাটির মতো অস্বাভাবিক ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে কি হতে পারে?
কোনদিকে যাচ্ছি আমরা???
ইমন
হেঃ , প্রতিবাদের ধরন তার সেডিস্ট পর্যায়ের। চিন্তা করে দেখো, কেনো একজন ছেলে ধর্ষন করে! এটা যে পাপ , অন্যায়, এটা তার পরিবার ,সমাজ কি তাকে শিক্ষা দিচ্ছেনা! দিচ্ছে ,তাহলে সমস্যা কোথায়! সমস্যা শিক্ষার ধরনে। যেটা কে আমি বার বার বলি সামাজিকীকরণ।
ভাবত, মেয়েটা কেনো এমন একটা পথ বেছে নিলো ! কেনো সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠলো!
কারণ কি এটা যে, সে প্রথাগত আইনের ম্যাধ্যমে বিচার পাচ্ছিল না !
বা কারণ কি এটা যে, সে বিচার চাচ্ছিল কিন্তু তার পরিবার, বন্ধু বান্ধব তাকে ধামা চাপা দিতে বাধ্য করেছে?
এক সময় সে প্রচন্ড গ্লানিতে পরে এমন উপায় বেছে নিলো। আমাদের মেয়েরাও হয়ত এমনই কোনো উপায় বেছে নিবে ,কারণ বিচার যেহেতু পাবেনা, সবাই আগে পিছে ভাববে, তাহলে তারা কি করবে? দিন শেষে যার যায় সেই বুজে হারানোর ব্যাথা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা ধামাচাপাকে ধামাচাপা দেয়া যায় না?
ইমন
নীলাঞ্জনা নীলা আপু
ধামা চাপা কে ধামা চাপা দিতে হলে মুখ খুলতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে যে জটিলতা, তাতে বুধ করি ধামা চাপাই চলবে।
আশা জাগানিয়া
এটি চলমান।ধর্ম ( যা দেশে পরিচালিত করে কিছু স্বার্থপর গোষ্ঠি ) একটি বিশাল প্রাচীর এসব বিষয়ে।একে অতিক্রম করা সহজ নয়।
ইমন
সহজ নয় কিন্তু চেষ্টা করতে কি দোষ আছে ?