আজ আমার মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসার আরো একটি বছর পূর্ণ হল। ভেবেছিলাম জীবনের প্রাপ্তিগুলো সুখগুলো আজ লিখব। দুঃখকে আমি টিকতেই যে দিতে চাই না! তবুও পারলাম না সুখের কথা লিখতে। কেন পারলাম না? আমি হয়ত একটু বিরক্ত! না আমি আসলে অনেকটাই বিরক্ত। বিরক্তের কারণটা আমি অনেকটা জানি।
আসলে আমি নিজের উপর বিরক্ত। এই রক্ত মাংসে গড়া নিষ্প্রাণ শরীরটার উপর বিরক্ত। কিন্তু আমি তো দাবি করি, আমি প্রাণচঞ্চল একটা মানুষ! তবুও তো আমি ভাবি, অন্যের সাথে অন্যায় হলে আমার কি? কেউ অন্য কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে আমার কি? যাক না সব চুলোয়! সব ভাবনা চুলোয় দিয়ে আমি বালিশে মুখ গুজি। ঘুমিয়ে পড়ি ঘুমের কোলে।
হঠাৎ দেখি এক আয়নার ঘরে আমি। এ কেমন ঘর, এ ঘর তো আমার নয়। আয়নায় কে যেন ডাকছে আমায়! না ডাকছে না, ব্যাঙ্গ করে হাসছে যেন! বলছে ধিক্কার তোমাকে তুমি মানুষ নও, মানুষরূপী জড় পদার্থ।
আমি বললাম,”আমি মানুষ,আমার প্রাণ আছে”।
-না,তুমি মানুষ নও তুমি আপাদমস্তক মানুষরূপী এক জড় পদার্থ। নামে মাত্র মানুষ তুমি
আমার বুক ভারী হয়ে যাচ্ছে, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার। তোমার মুখটা চেনা মনে হচ্ছে, তোমাকে অনেকবার দেখেছি কোথাও। হ্যাঁ চিনেছি তোমায়। মুগ্ধ হয়ে তোমার সাবলিল অভিনয় দেখেছি। তুমি মানব জীবনের যাঁতাকলে দিতে চেয়েছ, তোমার প্রতিভার বিনোদন।
এই দেখ আমি গেয়ে উঠছি, একদিন তোমায় না দেখিলে তোমার মুখের কথা না শুনিলে, পরাণ আমার রয়না পরাণে।
তুমি তো জান গানেও জীবনের চাকা ঘোরে। এতো অভিমান নিয়ে যেয়ো না তুমি। এখন আর অভিমান করো না। তুমি তো শিল্পী , বিশাল মনের অধিকারী তুমি। অভিশাপ দিওনা কখনও এই মানুষ জাতিকে। জানি দিবে না, কারণ তুমি শিল্পী, তুমি বিশাল। কিন্তু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ও ছেড়ো না। কোথায় যাচ্ছ? শোন শুনে যাও, আমি আমি আমি মানুঊঊঊঊষ।
দিতি, বাংলা চলচ্চিত্রের এক শিক্ষিত অভিনেত্রী। আসলে সে শিল্পী আমার চোখে। কিন্তু তার বড় পরিচয় সে মানুষ। সে জড় পদার্থ ছিল না, সে ছিল মানুষ। তার অভিমান ছিল, কষ্ট ছিল। সবই এখন স্মৃতি।
যাই হোক আমি আসলে মানুষরূপী কিছু জানোয়ারের জবাব দিব তাই লিখতে বসেছি।
দিতি যখন অসুস্থ ছিল, তখন অনেকবারই এই লেখাটা আমি লিখতে চেয়েছি। কিন্তু তথ্য সংগ্রহ, অনেকটা আলসেমিতে তা হয়ে ওঠেনি। বেঁচে থাকতে সে মরেই গেছিল, যখন সবাই আঙ্গুল তুলত তার দিকে, যে সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর জন্য। কিন্তু বাঙ্গালি ভিড়ের দলে চলে। সত্য না যেন অন্যের দেখাদেখি ঢিল ছুঁড়তে, গুলি ছুঁড়তে, আগুন দিতে পারে। আঙ্গুল তো সামান্য।
যাই হোক আমি সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর কারণ যেটুকু জানি লিখব। আমি লিখবোই। আমি একটু মানুষ হব। ২০০১ থেকে ২০০৭ কি ৮ পর্যন্ত ঢাকার ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন ছিল সানজিদুল হক ইমন। তার মা ছিল বিখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ সুলতানা জাহান। নামের অর্থ পৃথিবীর সম্রাজ্ঞি। তাই ছেলে ও হয়ত ভাবত এই তার। ওর বন্ধু ছিল আর এক সন্ত্রাসী উজ্জল। সানজিদুল ইমন ধরা পড়ে ইন্ডিয়াতে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়াতে তাকে আনা হয় বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় তাকে রিমান্ডে আনা হয়। তো রিমান্ডে সে এমন এক অফিসারের সামনে আসে যে আসামির পেটের কথা বিরিয়ানি খাইয়ে বের করে। তো ইমন অপকর্মের বর্ণনার এক পর্যায়ে সে দিতির সাবেক স্বামি সোহেল চৌধুরীর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বর্ণনা দেয়।
-“স্যার, আমি আমার বন্ধু উজ্জল সহ আরো কয়েকজন বন্ধু ঢাকার এক অভিজাত ক্লাবে গিয়ে মদ খাই আর খোশ গল্পে মেতে উঠি। তখন এক পর্যায়ে আমরা ঢাকা ট্রাম ক্লাবে যাবার পরিকল্পনা করি এবং তখনই মটর সাইকেল যোগে রওনা হই। কিন্তু ক্লাবে ঢুকতে গেলে ক্লাবের দারোয়ান বাঁধা দেয়। দারোয়ানের সাথে এই নিয়ে চিল্লাচিল্লি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল চৌধুরী ক্লাবের ভিতর থেকে এসে হৈ চৈ এর কারণ জিজ্ঞেস করে। তখনও আমরা জোর করেই ক্লাবে ঢুকতে চাইলে, আমার বন্ধু উজ্জল কে সোহেল চৌধুরী ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উজ্জলের কোমরে থাকা পিস্তল দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে। সোহেল চৌধুরী একসময় চিত্র জগতে অভিনয় করলেও তাকে আমরা চিনতাম না। ঘটনা বেগতিক দেখে আমরা সেখান থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করি। পরেরদিন পেপারে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডের খবর দেখি এবং তখনই বুঝতে পারি, ঐ ব্যক্তিটি সোহেল চৌধুরী।
এই ছিল দিতির স্বামি সোহেল চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য। যা আমরা পেপারে বহুবার দেখেছি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ধর্ম রক্ষকদের মন্তব্য দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি, বিস্মিত হয়েছি। আমি তাদের আইডি পর্যবেক্ষন করেছি, দেখেছি তারা কতো বড় ধর্ম রক্ষক। তারা সুন্দর একখানা ফেক আইডির মেয়ে মুখ দেখলেই লাইক দিবে, শেয়ারও করবে। একজনকে দেখলাম পরী মনির পেটের ছবি শেয়ার করেছে। বাহ!অতি উৎসাহী জনগন। একজন তো তাসকিনের হাতে কাটা মুণ্ডু ধরিয়ে দিয়ে মহা আনন্দে মেতেছে। আমরা এর প্রভাব ও দেখেছি।
আমি এখন আর লিখতে পারছি না। কলম উঠছে না। লজ্জায় ঘৃণায় আমি -,,,,,,,,,,,,,,,,
২৭টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
হাজারটা মিথ্যের মাঝ থেকে সত্য উজ্জল,তাকে খুজেঁ নিতে হবে। গুজবে কান দিতে উস্তাদ সবাই, এদের এড়িয়ে চলাই উত্তম।
বেশি ফালাফালি করলে হাত-পা ভাঙ্গার সম্ভাবনাই প্রবল। কে যেন আমায় গত কালকেই বলেছিল, তাসকিনের হাতে ধনির কাটা মণ্ডু ধরিয়ে দিবে তোমরা আর তারা কি হা করে তাই দেখে যাবে?
অনেকেই বলবে এটা বাঙ্গালীর আবেগ, আমি বলল আবেগ থাকলেই এমন কিছু করা উচিৎ নয় যা অন্যদের বিড়ম্ভনায় ফেলে।
মৌনতা রিতু
হুমমম।ঠিক।আমি মূলত দিতিকেই শ্রদ্ধা জানাইছি আজ।
আবু খায়ের আনিছ
শ্রদ্ধা রইল বাংলা চলচিত্রের এই সফল নায়িকার প্রতি। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মৌনতা রিতু
আমরাও তাঁর মাগফেরাত কামনা করি।
মেহেরী তাজ
তাহলে তাসকিনের খেলাতে নিষেধাজ্ঞা আসার পেছনে তার হাতে ধনীর কাটা মাথা অনেক অংশেই দ্বায়ী? মানে হাতেই ১৫ ডিগ্রি ভাজের কম বেশি টা কোন বিশেষ বিষয় না??
আপু লেখা টা চলবে শেষ হয়ে গেলো নাকি আরো কিছু অংশ আছে???
মৌনতা রিতু
আমি মূলত আসলে শ্রদ্ধেয় দিতিকে নিয়ে লিখতে চেয়েছি।ক্রিকেট ভালো বুঝঝি না।তবে তাসকিনকে নিয়ে ওরকম পোষ্ট দেওয়া আমি ঘৃণা জানাই।আমরা তো আর কুকুর নই ওদের মতো।আমরা বাঙ্গালি।আমড়া মুচড়ে নোংড়ামিকে তুলে ফেলব।কিন্তু করব না।
খসড়া
খুব সুন্দর লিখেছ। নিজের অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করা খুবই দুঃসাধ্য।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।এই সাহসটা করতে পেরেছি।তবে লজ্জিত।তাকে জীবিত সন্মানটা দিতে পারি নি।
ব্লগার সজীব
শুভ জন্মদিন আপু। জন্মদিনে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা -{@
অভিনেত্রী দিতির আত্মা শান্তি লাভ করুক। আপনার লেখার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানলাম। ঐ সময়ে পত্রিকায় সোহেল চৌধুরী হত্যা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচারিত হয়েছিল। আপনাকে আমার যথেষ্ঠ দায়িত্ববান মনে হয়, দায়িত্ব নিয়ে লিখেছেন যখন, আপনার কথাই সত্য। এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ আপু।
নিজের উপর বিরক্তি কমেছে আপু? হাসবেন সবসময় আমার মত 🙂
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।এটা আরো আগে করতে পারলে ভাল লাগত।
তবুও লিখেছি।অনেক গোপন তথ্য বের করতে হইছে।পেপার ঘাটতে হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
অভিনেত্রী দিতে কে আমাদের ও শ্রদ্ধা।
সোহেল চৌধুরীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপনার লেখা না পড়লে সবটুকু জানা হত না।
মৌনতা রিতু
সেটাই।না জেনে অনেকেই কতো যে মন্তব্য করে।খারাপ লাগে আসলে।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, বাদ দিনতো।
নূতন কিছু লিখতে শুরু করুন।
মৌনতা রিতু
একটা প্রেমের কবিতা হয়ে যাক!
অনিকেত নন্দিনী
শুভ জন্মদিন আপু। -{@
বাঙালি হুজুগে ভর করে চলে এ তো অনেক পুরনো কথা। আজ দেখলাম রুবাপুর ফেসবুক ওয়ালে দিতির অসুস্থতা নিয়ে একটা পোস্ট শেয়ারের পর দেখা গেলো একজন তার পাপ নিয়ে কথা বলেছেন। একটা মানুষ দীর্ঘদিন কষ্টে ভুগে মারা গেছেন, এমতাবস্থায় তার পাপ পূণ্যের বিচার করাটা কি আমাদের জন্য জরুরি? আমরা যারা অন্যদের নিয়ে এত বড় বড় কথা বলি তারাকি একেবারেই নির্দোষ?
তাসকিনের হাতে ধোনির কাটা মুন্ডু দিয়ে বানানো ট্রলটা এক ভারতীয়েরই কাজ, তবে কথা হলো সে যে উদ্দেশ্যেই তা বানিয়ে থাকুক না কেনো ওই ট্রল আমাদের ক্রিকেট দল তথা পুরো জাতির বদনাম করতে পুরোপুরিভাবে সক্ষম হয়েছে। দুঃখের মাঝেও হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, গতসপ্তাহে যারা খুব গর্ব করে তাদের ওয়ালে ওই ট্রল শেয়ার করেছিলো এখন তারাই ওই ট্রলের উৎস নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।
হঠকারিতাপূর্ণ লোকজনে ভরে গেছে চারদিক। 🙁
মৌনতা রিতু
এই ভীড় ভাঙতে হবে।এই ভিড় নিতে হবে ভালো কাজের দিকে।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভজন্মদিন আপু।
-না,তুমি মানুষ নও তুমি আপাদমস্তক মানুষরূপী এক জড় পদার্থ। আসলেও আমরা পারব জেনেও চুপ থাকি এটাও জড় ছাড়া আর কি?
মৌনতা রিতু
সত্যি কখনো মানুষ হয়েও জড় পদার্থ হয়ে যাই আমরা।
জিসান শা ইকরাম
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপনাকে -{@
দিতি আমার খুব প্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন
ওনার আত্মা শান্তি পাক,
সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের আসল তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
ভালো পোষ্ট।
মৌনতা রিতু
হুমমম।ধন্যবাদ আপনাকেও।
ইলিয়াস মাসুদ
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
না জেনে না বুঝে কারো সম্পর্কে কিছু না বলা উচিৎ।
জানা ছিল না প্রিয় নায়কের মৃত্যুর রহস্য, ধন্যবাদ আপনাকে
মৌনতা রিতু
তবুও সাইকো যারা তারা তো করেই।
এদের দল ভেঙে দিতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।
অরুনি মায়া
প্রতমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই আপু -{@ ।
সত্য কখনো চাপা থাকেনা আপু। একটু দেরি হলেও প্রকাশিত হবেই। একজন মানুষের পক্ষে সব অন্যায়ের মোকাবেলা করা হয়ত সম্ভব নয়, তবে প্রতিবাদের ভাষা টাকে পুরোপুরি মেরে না ফেলাই ভাল।
মনটা জড় পদার্থ হয়ে গেলেও হৃদয়টা কিন্তু ধুক ধুক করে জানান দেয়, মানুষ তুমি এখেনো বেঁচে আছো।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ সোনা।এই প্রতিবাদের ভাষাটা কেড়ে নিলে হয়ত মরেই যাব।অথবা বেঁচেও জড় পদার্থ হয়ে থাকব।
তবে তবুও বলে যাব।আমার প্রকাশ ও আমার সন্তানের মতো ওকে আমি আগলে রাখব।
শুন্য শুন্যালয়
আপু এইসব কীটদের কথা ভেবে একদম মন খারাপ করবেন না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও আমার ঘৃনা হয়।
যারা অন্যের মৃত্যুর পরেও নোংরা কথা বলে, তারা নিজের মৃত্যুর কথা ভুলে যায়, আমাদের প্রানপ্রিয় ধর্মরক্ষকরা কিভাবে মৃত্যুকে ভুলে যায় তারাই জানে।
শিল্পির সম্মান শুধু মানুষই দিতে পারবে, পেটের ছবি শেয়ার করারা পারবেনা।
অনেক ভাল লাগলো লেখাটা।
মৌনতা রিতু
না ঘৃণা করে মুখ ফিরালে হবে না।বোলতেছ হবে।জানাতে হবে,বলতে হবে,”এই কীট তোর যায়গা ঐ নর্দমায়।”
চুপ করে গেলে ওরা ভাববে ওদের জয় হয়েছে।
আমি কিন্তু খুবই প্রতিবাদি।কেউ রাস্তায় আমাকে ইচ্ছা করে কেনু দিয়ে গুতা মারলে ফিরে গিয়ে তার পা হিল দিয়ে এমন চাপ মারি।ব্যাটা বেঁচে থাকলে জীবনে আর কোনো মেয়েকে গুতা মারবে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
জন্মদিনের শুভেচ্ছা। যদিও জানাতে দেরী হয়ে গেলো।
দিতির কোনো সিনেমা দেখা হয়নি। তবে ওর নাটক, তারপর বিভিন্ন উপস্থাপনা, খুবই ভালো লাগতো।
সুন্দর গান গাইতো। কন্ঠটা বেশ। আমাদের দেশের একজন ব্যক্তিত্ত্বময়ী অভিনেত্রী হিসেবেই দেখেছি তাঁর আচার-আচরণে, কথা-বার্তায়।
আপনার লেখায় সোহেল চৌধুরীর মৃত্যু সম্পর্কে জানলাম। কতো কিছুই যে মিডিয়া বলেছিলো তখন।