গোধূলির হালকা আলোয়
সোনালী রং গায়ে মেখে হেঁটে এসেছিলাম তোমার দুয়ারে,
এক রত্তি সুখ নিব সেই আশায়।
আমি খুঁজেছি মাটির প্রদীপ,
ধিমি আলোয় তোমায় দেখার আশায়।
তোমার সংগ, এ মাটির ঘর, নীরব এক একান্ত প্রাসাদ আমার।
তোমার এ প্রাসাদে আজ আমি রানী।
এ ধিমি মাটির প্রদীপ, এ আলো, এ নীরব প্রাসাদ,
হয়ে উঠেছে প্রেমের তাজমহল।
রক্তে আমার নতুন উদ্যমতার অনুভব।
এ অনুভবে অর্ধ্বনির্মীলিত নয়নে,
অপলোক চেয়ে দেখেছি ও দু নয়ন তোমার।
তোমার ও দু নয়নে শুধু ভালোবাসা,
ঠোটে তোমার কোমল মধুর সুর।
এই ভালোবাসা, এই কোমল সুর হকরাবার আগে
হারাব আমি, ঐ পূব আকাশে সূর্যের রক্তিম আভা পেলে
শিউলী ঝরবে যখন।
লুটাবো না আমি চির অভিমানে, শেফালীর মতো।
শুকতারার পথে পাড়ি দিব।
ডেকে হারাবে তুমি।
কোনো এক গোধুলিতে আবারো মাটির প্রদীপ হাতে দাঁড়াব সম্মুখপানে।
৩১টি মন্তব্য
রুম্পা রুমানা
অনুভূতি প্রকাশে গল্প লিখে ফেলুন , আপু । গল্পকার হয়ে উঠুন।
মৌনতা রিতু
গল্পকার! আগে ভাল করে শিখি।
ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
ক্রিস্টাল শামীম
যদিও কবিতা হয়ে ওঠেনি গল্পহলে ভালহতো। তারপরও খারাপ হয়নি
মৌনতা রিতু
আমি কিন্তু একবারও বলিনি, এটা কবিতা লিখেছি। এটা একান্ত অনুভুতিই লিখেছি। আর এটা গল্প আকারে লেখা শিখে আসবখন।
ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
কবিতা হয়ে উঠেনি কেন তা জানতে চাচ্ছি? কিংবা গল্প হলেই বা কেন ভাল হতো?
শুন্য শুন্যালয়
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাইনা?
চিরদিন পেলে মাঝে মাঝে দেখার এ তীব্র হাহাকার বুঝি আর রইবেনা?
ধিমি আলোর মাটির প্রদীপে লোভ বাড়িয়ে দিলে রিতু আপু। সব হারিয়ে যাবার আগেই মিলিয়ে যাওয়া এরপর ফিরে ফিরে আসা। খুব ভালো লিখেছ আপু, তোমাকে কী তবে মাটির প্রাসাদের রানী বলবো? 🙂
মৌনতা রিতু
হঠাৎ মনে পড়ে গেল কিছু মুহুর্ত। সত্যিই মাটির ঘর তাও দোতালা। মাটির কুপি বাতি। সত্যি অসাধারন।
হুম আমি মাটির প্রাসাদের রানী। তবে একটা ঘর মাটির বানাবো আমি সত্যি। গাছের গুড়ির মোড়া থাকবে।
তোমাকে চা করে খাওয়াব সেই ক্ষনে। (3 -{@
আবু খায়ের আনিছ
আপনি নাকি লিখতে পারেন না, তাহলে এটা কি?
ফিরে আসবেন মাটির প্রদিপ হাতে, কিভাবে? এখন তো বিদুৎ এর যুগ। হা হা হা
মৌনতা রিতু
আনিছ ভাই, সবার মন মতো কিন্তু হয় না। আপনাদের ভাল লেগেছে এজন্য সত্যি আগ্রহ পাই ও সাহস করি লেখার।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
দুনিয়ার সবার মনঃপূত আপনি কখনোই করতে পারবেন না।
শুভেচ্ছা আপু।
মৌনতা রিতু
আনিছ ভাই শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল ।
-{@
ছাইরাছ হেলাল
এবার থেকে মেঠোরানী বলা যায় কীনা ভাবতেই আছি!
শিকড়ে ফিরে যাওয়া দেখতে পাচ্ছি,
বেশি বেশি করে লিখুন,
মৌনতা রিতু
এই মেঠোরানী বলার জন্য ধন্যবাদ। এই শব্দটা নিয়ে শব্দ সাজিয়ে ফেলেছি।
কালই পোষ্ট দিব।
ধন্যবাদ কুবি ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখতে পাচ্ছি প্রদীপের নিভু নিভু আলোয় মায়াবী এক জোড়া চোখ, যেখানে স্বপ্নেরা ঝিলিক দিচ্ছে আনত লজ্জ্বায়।
বিরহীনী এক মানবী যেনো আলো জ্বালিয়ে অপেক্ষা করছে।
ও আপু এভাবে লিখলে তো আমি আর লিখতেই পারবো না। শুধু ভাবতেই থাকবো গাঁয়ের এই বঁধূটির কথা। 🙂 -{@
মৌনতা রিতু
নীলা আপু তোমার কথা শুনে আমার আটপৌরে করে শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে।
এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য এতো এতো এতোগুলো ভালবাসা রইল।
ভাল থেকো। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু একপ্যাঁচে শাড়ী আমার খুব প্রিয়। ঘটিহাতা ব্লাউজের সাথে একপ্যাঁচ দিয়ে পড়া তাঁতের শাড়ী।
কপালে লাল টিপ, পায়ে নূপুর, উফ!
ভালো থেকো তুমিও গো শান্তসুন্দরী। (3
মৌনতা রিতু
নীলা আপু এত্তোগুলো এত্তোগুলো এত্তোগুলো ভালবাসা নিও। আমি শান্ত সুন্দরী ! 🙂
\|/ \|/ \|/ ননদিনী দেখছো , গুরুর উপাধি (3
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নামের মধ্যেই শান্তভাব। আর মুখখানা তো মিষ্টি।
শান্ত সুন্দরী শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা। সামনের সপ্তাহে পূজো। যাবে তো পূজো দেখতে? -{@
প্রহেলিকা
সুন্দর একটি মায়াময় লেখা, অব্যক্ত কথনের শব্দঝুড়ি। ভাল লেগেছে।
মৌনতা রিতু
আপনাদের এই মন্তব্যের ভালোবাসায় সব সময়ই আমি সিক্ত হই। সাহস পাই দু কলম লেখার। অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
মিষ্টি জিন
এত সুন্দর করে অনুভুতির প্রকাশ..
অসাধারন আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ মিষ্টি আপু। অনেক ভালবাসা নিও।
মোঃ মজিবর রহমান
উজ্জ্বলতম প্রদীপ আলোয় থাকবে তুমি চেয়ে ভরে উঠবে আকুল করা হৃদয় আসবে যখন সে আবেগে করব আলিঙ্গন। মনের কথা লিখে ভালই করলে আপু। আপু কবিতা লিখতে কিছু ছন্দ শিখে ফেলুন্ত তাহলে দারুন হবে।
মৌনতা রিতু
দেখি গুরু যদি শিখায় ! ;?
নীলাপু দেখছো ?
হা হা হা মজিবর ভাই, আসলেই ছন্দতেই শব্দরাও কিন্তু সত্যি নেচে ওঠে।
শুভেচ্ছা রইল ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
অভি কোথায় গেল ?
ইঞ্জা
আজ দিয়েছি আপু, ২৮ তম লেখাটি অর্ধেধেক করে লিখে দুই দুই বার অনলি মি করে নিজের টাইমলাইনে পোষ্ট করে রেখেছিলাম বাকিটা লিখে পোষ্ট করবো কিন্তু দুইবারই লেখাগুলি গায়েব হয়ে যাওয়াই নতুন করে লিখতে হয়েছে আর এই কারণেই দেরি হলো। ;( ;(
অনিকেত নন্দিনী
ঢিমে আলোর মাটির প্রদীপ হাতে রাণী। ভাবতেই অদ্ভুত লাগছে। প্রেম উপচে পড়ুক এমন করেই। 🙂
মৌনতা রিতু
প্রেম উপচে এক্কেবারেই উৎলাইয়া পইড়া গেছে আপু। এহন আর ধরেই না পাত্রে :p
এই খাতাতেই যা ধরে।
অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল আপু। -{@ (3
অনিকেত নন্দিনী
বেশি উপচাইতে দিয়েননা। তা না হলে পরে আঁচ কমলে দেখবেন হাঁড়ি খালি হইয়া গেছে। :p
মৌনতা রিতু
তাই তো কইলাম আপু, উপচাইয়া পাতিলই খালি হইয়া গেছে। :p (-3 এই হল আমার অবস্থা।
ভাল থেকো।শুভেচ্ছা নিও।