অতি কাছের শ্রদ্ধেয় নানি জান হারিয়েছি তখন কান্না করে নি সেটা ও বেশি দিন নয় তখন দেশে ছিলাম,
এবার কিছুদিন আগে হারালাম গভীরতম প্রান প্রিয় বড় চাচা (জ্যাঠা) কে তিনি চলে গেছেন
আমাদের ছেড়ে,
আমি সাধারণত শক্ত একজন মানুস আবেগ নেই
বললেই চলে তার পরেও যতটুকু আছে শক্ত মনেই
দেখে থাকি,
নানি জান যখন যখন মারা যায় তখন একফোটাও কান্না করে নি তবে হে আমার মা এবং মেঝো খালা ও আমার ছোট খালা আমার বুকে মাথা রেখে যখন কান্না করছিল তখন কিছু টা পেয়েছিল
কিন্তু আমি নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম
ভেবেছিলাম আমি ভেংগে পড়লে এদের সামলাবে কে?
সব চেয়ে কাছের হল যে আমার ও ছোট
কিন্তু ছোট খালা কথিত নামে বলে পরিচিত,
যদিও আমি আর ও অনেক টা একই বয়স এর কিন্তু বন্ধুত বেশি কিছু ছিল এবং আছে!
যার রাগ কান্নার অনুভূতি খুশির আমার অনেক
যায় আসে
ওর জীবন এ ছোট কালের দেয়া আমার চিমড়ের দাগ ছাড়া আর কেহ ফুলের টোকাও কেহ দেয় নি,
বড় দুষ্ট ছিলাম আশপাশ এর সবাই মজা করে মনে হয় বলতো।
জীবন এর খারাপ সময় আমি কখন কান্না করেছিলাম বলে মনে পড়ে না,
কিন্তু জীবন এই প্রথম চাপা কান্না অনুভব করলাম বড় চাচা কে হারিয়ে হয়ত এটা দুরত্ত কারন এ হয়েছে।
কিন্তু তাই বলে এত টা দাগ কেটে যাবে তা চিন্তাও
করিনি।
আমি সাধারণত নিজের বেক্তিগত বিষয় নিয়ে লিখা বা বলা পছন্দ করি না কিন্তু এখন মনে হচ্ছে
মাঝেমধ্যে লিখা উচিত মনের হালকা হবার জন্য।
আমার দেওয়া নামে ছোট বোন এর ডাকনাম সেফা পূরো নাম সেফাতূন নাজ সেফা♥♥
তবে তার পারিবারিক নাম ভিন্ন,
অতি আদরের মনের একান্ত জায়গা জুড়ে থাকে বলেও এখন ভয়ে থাকি এটা ও যদি হারিয়ে যায়
কারন ওর অবস্থা ভাল নয়,
শোক কাটিয়ে উঠা অনেক কষ্টের বিষয়।
এই যে হাজার মাইল দূর থেকে খারাপ সপ্ন দেখছি ভয় পাচ্ছি এটাই হয়ত ভালোবাসা।
তবুও এই চোড়কাটা ভালোবাসা নিয়ে জীবন
সাজাতে হয় যা নিয়তি আমাদের শিখিয়ে দিচ্ছে।
আর আমি প্রতিটা হরফে হরফে শিখে নিচ্ছি,
একলা চলার পথে এ ছাড়া পথ আছে বলে মনে হয় না।
জীবন যাই ই শিখাক আমাদের সেইভাবে চলা উচিত যেভাবে তাকে মানিয়ে নেওয়া যায়
নয়ত ভুল গুল উলঙ্গ নাচন করতে দেরী করবে না।
এত কিছু মাঝে যন্ত্রণা দিচ্ছে কিছু মানুষ নামের
জানোয়ার সে এক মানসিক যন্ত্রণা,
কিন্তু আমি টিকে আছি কারন কন কন কুকুর এর জন্য কোন কোন টাইপ এর মুগুর লাগবে
সেটা জানা আছে বলে।
মানুসের সরলতা কে নিয়ে যারা কূটনামি করে
তারা আর কিছু হলেও রাস্তার কিট ছাড়া আর কিছু নয়।
তবে বস্তির বা টোকাই এর কাছ থেকে ভাল
আচরন আশা করা গেলেও সব সময় তা হয় না।
নিতীবান মানুষ এর জীবন সরল হয় না কখনি কিন্তু তাই বলে
এত টা কাটা থাকবে সেটা আশা করি নি!
যাই হোক অনেক ধুরে যেতে হবে আমাকে
আশার আলো টা জেলখানায় বন্ধী সপ্ন টা কাঁদছে জীবন সুধু দম নিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আর দেহ
নেকামি করছে।
আর এই সব নিয়ে ই প্রানের হাসি কান্নার মেলা।
লিখায় — সকাল সপ্ন–!
সন্ধ্যা – ৬-৪০
মালয়েশিয়া।
লিখার ভুলগুল ক্ষমা দেখবেন।
১২টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
বানানের প্রতি যত্নবান হবেন,আশা করছি।।
আর স্বগতম সোনেলায়।
জিসান শা ইকরাম
অনেক পুরান সে সোনেলায়, স্বাগতম কিসের? 🙂
সকাল স্বপ্ন
চেষ্টাকরণ থাকবো!! অভিনন্দন রইলো
আরজু মুক্তা
স্বাগতম
শামীম চৌধুরী
সব চিঠিই মনের হয়। মন থেকে লেখা হয়। খুব ভালো লাগলো। বানানগুলির দিকে নজর রাখবেন।
মনির হোসেন মমি
লিখুন আপনার জীবন কাহিনী।আমি লিখেছি আমার চারশ লেখার মাঝে।একদিন এগুলো ইতিহাস হয়ে রবে। সমবেদনা রইল।
শাহরিন
সোনেলায় স্বাগতম। মনের সব কথা সবাইকে বলা যায় না। নিজেই বক্তা ও স্রোতা হওয়া ভাল। কথা এদিক সেদিক বা ভূল বোঝাবুঝি হওয়ার লক্ষ্মণ কম থাকে।
আপনজন হারানোর বেদনায় সান্ত্বনা দেয়ার অবস্থান নেই। দোয়াকরি আল্লাহ উনাদের বেহেশত নসীব করুক। আমীন।
জিসান শা ইকরাম
অনেক পুরান সে সোনেলায়, স্বাগতম কিসের? 🙂
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে লিখছেন,
মনের অব্যাক্ত কথা লিখে ফেলবেন গুছিয়ে।
প্রবাসে ভালো থাকুন।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
সকাল স্বপ্ন, দীর্ঘদিন পর আপনাকে সোনেলায় দেখে ভালো লাগছে। এটি যদি আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে লিখে থাকেন, তবে আপনাকে সমবেদনা জানাচ্ছি।
আমাদের জীবনে কিছু কিছু সময়কে খুব কঠিনভাবে অতিক্রম করতে হয়। তখনকার পরিস্থিতিতে মনে হয়, আমিতো ভিষন কঠিন মনের, তবুও কস্ট পাচ্ছি কেন! আসলে মনতো মনই। মনই ঠিক করে নেয় কোন ঘটনায় কতটুকু কস্ট পাবো, কোন কস্টটা সামলে নিবো। মনকে নিয়ন্ত্রন করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।
সকল বাধা বিপত্তি পাড় করে সুন্দর জীবনে পর্দাপন করুন, ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
* বানান সহ লেখার কিছু কিছু ভুল সম্পাদনা করে নিলে লেখাটি পাঠকদের পড়তে সুবিধা হবে। একটু খেয়াল করবেন প্লিজ।
মোঃ মজিবর রহমান
আমরা কলেজ হোস্টেলে ছিলাম, এক বড় ভাই বলে, ” আমি শক্ত কান্না আসেনা।” এই কথা বলতে হাও মাও করে কান্না জুড়ে দিল। আসলে মানুষ যখন আবেগ ার বুকের মাঝে আটকিয়ে রাখতে পারেনা তখন মনের অজান্তেই কান্না চলে আসেন ভাল লাগ।
নিতাই বাবু
আপনার “মনের চিঠি” শিরোনামের লেখাটি পড়িয়া আমারও একখান চিঠি লিখিবার স্বাদ জাগিতেছে। মনের চিঠি পড়িয়া বহু আগের একজন দুখিনী প্রেমিকার কথা মনে পড়িয়া গেলো হে মহাশয়/মহাশয়া। এখন ভাবিতেছি লিখিব কিনা! ভাবিতেছি এখন ছেক খাওয়া প্রেমের পত্র লিখবার সময় আছে কিনা। মনে হইতেছে আমার টাইল নাই। তাই আর লিখিলাম না, আপনার লেখনীতেই তাকে বারবার সে স্মরণীয়।