ডিনার শেষে অস্কার আমাদের হোটেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে বলে গেল সকাল নয়টায় পিক করবে, তাকে বিদায় দিয়ে হোটেলের প্রবেশ পথে দেখলাম সকাল বেলার সেই বরিশালের বাঙ্গালি ভদ্রলোক অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্য, হাই হ্যালোর পর উনাকে নিয়ে নিচের ছোট রেস্টুরেন্টে বসলাম।
উনি বললেন, কিছু খান।
আমরা সারেন্ডার হয়ে দুই হাত নাড়িয়ে বললাম, এই মাত্র খেয়ে এসেছি, এখন আর কিছুই খেতে পারবোনা।
উনি নাছোড়বান্দা, দেশি ভাই এসেছে, কিছু খেতে তো হবেই, বলেই উনি ওয়াইট ওয়াইন (স্পার্কল ওয়াইনও বলে) অর্ডার দিলেন, ছোট ভাই বললো, তোমরা খাও আমি রুমে যায়।
তখনি ভদ্রলোক বললেন, আগামীকাল দুপুরের লাঞ্চ আমার বাসায় করবেন।
আমি প্রতি উত্তরে বললাম, কাল আমার প্রচুর কাজ, আগামী পরশু আমরা ফিরে যাচ্ছি।
এতেই ভদ্রলোককে পায় কে, উনি ধরেই বসলেন হয় দুপুরে না হয় রাতে খেতে হবে।
শেষ পর্যন্ত বললাম, ঠিক আছে দুপুরে ভাই খাবে আপনার সাথে, আমি আগামীতে আসলে খাবো।
ভাইকে বললাম, ভাইও রাজি হয়ে গেল।
ভাই রুমে চলে গেলে ভদ্রলোক আর আমি বসে গল্প করছি, উনি বললেন, ভাই আমার দেখা মতে আপনারাই প্রথম বাঙ্গালি যারা ইটালির সাথে ব্যবসা করছেন।
আমি হেসে বললাম, না ভাই, ইটালির সাথে শত শত বাঙ্গালি ব্যবসা করছেন, উনাকে কয়েকটা উদাহরণ দিলাম।
উনি বলতে লাগলেন, এই দেশে যারা চাকরি করতে আসে, তারা বেশির ভাগ মানুষ অনেক কষ্ট ভোগ করে আসে, কখনো সমুদ্র পথে ছোট ছোট বোটে করে আসে, যার মধ্য থেকে অর্ধেক মানুষ মরে যায়, যাদের দেহটি পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, কেউ কেউ আসে গ্রীস, তুর্কি থেকে পায়ে হেটে, গাড়ীতে কিছুদূর, এইভাবে।
পথে প্রচুর ঠান্ডা, বরফ, সাথে হয়ত যা খাবার, পানি এনেছিলো, তা দ্রুত শেষ হয়ে যায়, এরপর অনাহারে, অর্ধাহারে, পিপাসার্ত ধুকে ধুকে আসে, কেউ পথেই মরে পরে থাকে, বাকিরা আধমরা হয়ে এসে ইটালি প্রবেশ করে।
কাজকর্মতেই অনেক কষ্ট, অবৈধরা লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে, বিভিন্ন পন্য ফেরি করে, পোলিজিয়া (পুলিশ) দেখলেই পালিয়ে বাঁচে, ধরা খেলেই জেল হয়।
এই দেশে আবার কিছু ছ্যাঁচড়া কালো চোর আছে, সেই কালোরা বাসে করে আসে, পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ায়, পথে পার্ক করে রাখা দামী মোটর সাইকেল কয়েক মিনিটের মধ্যে পার্ট বাই পার্ট খুলে ফেলে সাথে রাখা বড় লাগেজে পুরে নিয়ে চম্পট দেয় (চোররা কোন একটি দেশ থেকে আসে বললো, এ মূহুর্তে মনে করতে পারছিনা)।
আমি তো চোরদের কায়কারবার শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
অনেক রাত হয়েছে দেখে আমি উনাকে পানিয়র জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিয়ে নিজ রুমে এসে কাপড় চেঞ্জ করে শুয়ে পড়ার পর বুঝলাম গ্রাপ্পা কি?
একদম বেহুঁশ।
সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম ভাঙ্গলো প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে, বুঝলাম হ্যাংওভারের কুফল পাচ্ছি, উটে গিয়ে প্রচুর পানি খেলাম, এরপর গোসল করে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে এলাম, ব্রেকফাস্ট খাচ্ছি ক্রোসিন আএ ডিম দিয়ে, ভাই এসে দেখেই মুখ বিকৃত করে বললো, এই শক্ত জিনিস দিয়ে কিভাবে ব্রেকফাস্ট করছি?
জবাবে বললাম, খেয়েই দেখ, এমন জিনিশ দেশে পাবিনা।
সে বললো, তুই খা, আমার জন্য ব্রেডই ভালো।
দুজনে খেয়ে বাইরে বেড়িয়ে পাশের শপে গেলাম, এই শপ বরিশালের ভদ্রলোকের, শপটাতে প্রচুর ইমিটেশনের গয়না রাখা, অস্কার আসার আগ পর্যন্ত উনার সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম, অস্কার এলে ভাইকে রেখে আমি কাজে বেড়িয়ে পড়লাম।
বিকেলে হোটেলে ফিরে দেখি ভাই রুমে রেস্ট করছে, কি খবর জিজ্ঞেস করায় জানালো, বরিশালের ভদ্রলোকের বাসায় দুপুরে খেয়েছে।
কি কি খেলে?
মুরগি, মাছ, সব্জি আর ভাত।
তা কেমন দেখলি?
তেমন সুবিধার না, থাকতে হবে বলেই কোনপ্রকার থাকা আর কি।
সন্ধ্যায় অস্কার এলো ডিনারে নিয়ে যেতে, আমরা, রেডি হয়ে গাড়ীতে চেপে বসতেই জিজ্ঞেস করলো, কি খেতে চাও।
ভাই বললো, তোমাদের পিজ্জার সুনাম শুনেছি, আজ তাই খাওয়াও।
অস্কার আমাদের নিয়ে বিখ্যাত এক পিজ্জা এলাকায় নিয়ে এলো, বিশাল সব পিজ্জা ডো আকাশে উড়ছে আর নামছে, পিজ্জার অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছি আমরা, দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে বিশাল পিজ্জা হাজির, টপিং দেওয়া আছে প্রচুর অলিভ, বিফ, টমেটো, চিজ, এদের পিজ্জার সামনে বিশ্বের অন্যান্য পিজ্জা একেবারেই নচ্ছার, যেমন স্বাদ, তেমনি এর সাইজ, তিনজনে মিলে একটা পিজ্জা খেতেই বারোটা, সাথে আলিশান গ্লাস ভর্তি বিয়ার।
খাওয়া শেষে তিনজনই বেরুলাম রাস্তায়, গাড়ী দূরে পার্ক করা, পথেই পেলাম সুন্দরী পুলিশ, কাছে গিয়ে বললাম, তোমাকে নিয়ে ছবি তুলতে চাই।
সুন্দরী দেখি মহা খুশি, ছবি তুলতে তুলতে পারলে কোলেই চেপে বসে, বুঝলাম এরা আমাদের গুলার মতোনা, এরা ফানও করতে পারে, কিছু ছবি তুলে বিদায় নিয়ে এগুলাম গাড়ীর দিকে।
চলবে………
ছবিঃ Google
২১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পিজ্জা আহা কত মজার খাবার তার উপর ভিন দেশী যার স্বাদই অন্য রকম।হ্যা পৃথিবীর বুকে আমরাই এক জাত যারা সব কিছুতেই দোষ ধরি।ওরা যেমন ফ্রি তেমনি ওদের এ সব ক্ষেত্রে অভিযোগও কম।ভাল লাগল লিখে যান আমরা ঘরে বসে ইতালী দেখি। -{@
ইঞ্জা
ইটালির হলো পিজ্জার জম্মস্থান, এদের খাওয়ার একটা বিশেষত্ব হলো, এরা যে কোন ধরণের খাবারে প্রচুর অলিভ ওয়েল খায়।
ঠিক বলেছেন ভাই, আমরাই সব কিছুতে দোষ খুঁজি যা অন্য কোথাও তেমন দেখা যায়না।
মোঃ মজিবর রহমান
পিজ্জা দারুন খাবার। খান ভাই বিদেশীয় খান। মজ্জা মারেন। আপনার ভ্রমণ কাহিনিও দারুন। সঙ্গে আছি।
ইঞ্জা
পিজ্জার জম্মস্থান হলো ইটালি, পিজ্জার ডোটাই তো আরো বেশি মজা।
পাশে থাকুন, শুভেচ্ছা ভাই।
নীহারিকা
পিৎজার ছবি দেখে আর বর্ণনা শুনেইতো লোভ হচ্ছে। আর সুন্দরী পুলিশের সাথে যে ছবি তুললেন সেগুলোকি আমরা দেখবো না?
ইঞ্জা
দাদী, পিজ্জার জম্মস্থানের পিজ্জা অবশ্যই অসাধারণ হবে, তাতে সন্দেহ নেই, সাভাবিক ভাবে লোভ হবেই, আমরা যেসব পিজ্জা খাই, সেইসব পিজ্জা ইটালির পিজ্জার ধারে কাছেও নেই।
২০০০ সালের ছবি তো ডিজিটাল ছিলোনা, এগুলো এখন এতো মলিন হয়ে গেছে যে ব্লগে দেওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে।
জিসান শা ইকরাম
বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ছুটছে উন্নত দেশ সমূহে,
কত মানুষ যে মরে যায় গন্তব্যে পৌছার আগেই,
যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া একটি দেশের মানুষ অন্য দেশে ভাল থাকার জন্য ছুটে যাচ্ছে, এটি ভাবতেই খারাপ লাগে খুব।
বাংগালীর আথিতেয়তা থাকবেই ভীন দেশ হলেও,
পিজ্জার সাইজ দেখে তো আমিই উষ্ঠা খাইলাম,
তা ভাইসাব কোলে বসা পুলিশের ফটো আপনি একা একা দেখবেন কেন? আমরা কি দোষ করলাম?
ভাল লিখছেন।
ইঞ্জা
ভাইজান ইউরোপ ঘুরলে বুঝা যায় প্রবাসীরা কতো কষ্ট করে আর যারা মরে রইল পথের মাঝে তাদের পিতা মাতা, ভাই বোন, সন্তানেরা হয়ত জানেও না ওদের স্বজন আজ কোথায় মরে পড়ে রয়েছে।
পিজ্জা হলো ইটালিয়ান প্রডাক্ট, এর স্বাধ গন্ধ সবই আলাদা, ইটালির বাইরে যে সব পিজ্জা কাওয়া হয়, তা এদের ধারে কাছেও নেই।
সুন্দরী পুলিশ কোলে উঠে নাই কিন্তু এমন ভাব ছিলো :p
২০০০ সালের ছবি, বুঝেন তো এখন কি অবস্থা, কালার ছবি গুলাই আজ দেখার উপযোগী নেই, কালো সাদা এখনো দিব্বি রয়ে গেছে। 🙁
মৌনতা রিতু
জীবন মানেই যুদ্ধ। আমার এক স্কুলের সহপাঠির বাবা মোংলাতে আসা জাহাজের মধ্যে লুকিয়ে ইটালী চলে গেছিল। কিন্তু জাহাজের নাবিকরা ইটালীর জেটিতে নোঙ্গর করার আগেই সে ধরা পড়ে। তীরে পৌছার কিছু দূরে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেয়। কোনোরকম সাতরে তীরে ওঠে। এখন ওদের অবস্থা বেশ ভাল। এখনো সে লোক দেশে আসেনি।
আসলে বিদেশ মানেই সুখকর এটা চিন্তা করাও ভুল। তবে খারাপও বলব না। আসলে দেশ কি বিদেশ কি পরিশ্রম করতেই হয়।
চোর এতো বড় লাগেজ নিয়ে ঘুরতো!
তা ভাইজু, ছবির কথা ভাবি কি জানে? না কি প্লেনেই তা ডিলেট করেছেন :p কাছে যে নেই এটা শিউর।
বর্ণনা বেশ সুন্দর দিতে পারেন আপনি। ভাল থাকবেন ভাইজু।
ইঞ্জা
আপু, আপনার সহপাঠীরর বাবার মতো, কতো মানুষ যে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিদেশ যায় তা ইউরোপ গেলেই শুধু বুঝা যায়, আর কতজনকে সাগরে ফেলে দেওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছে, তার হিসাবও নেই।
হাঁ আপু, আপনার ভাবী সব দেখেছে, আসলে আপনার ভাবীর কাছে আমি খোলা পাতার মতই, এমন কাজ করিনা যাতে ও মনে কষ্ট পায় আর ওই মহিলা পুলিশ কোলে উঠে নাই, উঠে বসতে চাই বুঝাতে চেয়েছি :p
তখন তো ডিজিটাল ক্যামেরা ছিলোনা, যা ছবি তুলেছি সব এখন ঝাপসা হয়ে গেছে।
ইঞ্জা
আপু, আপনার সহপাঠীরর বাবার মতো, কতো মানুষ যে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিদেশ যায় তা ইউরোপ গেলেই শুধু বুঝা যায়, আর কতজনকে সাগরে ফেলে দেওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছে, তার হিসাবও নেই।
হাঁ আপু, আপনার ভাবী সব দেখেছে, আসলে আপনার ভাবীর কাছে আমি খোলা পাতার মতই, এমন কাজ করিনা যাতে ও মনে কষ্ট পায় আর ওই মহিলা পুলিশ কোলে উঠে নাই, উঠে বসতে চাই বুঝাতে চেয়েছি :p
তখন তো ডিজিটাল ক্যামেরা ছিলোনা, যা ছবি তুলেছি সব এখন ঝাপসা হয়ে গেছে।
মিষ্টি জিন
বিদেশে পাডি জমানোর জন্য বিশেষ করে ইউরোপে কি যে কষ্ট করে বাংলাদেশিরা তা নাইবা বলি। বিদেশ মানেই সোনার হরিন , আকাশে বাতাসে টাকা উডে যা ধরতে কষ্ট মৃত্যুকে পরোয়া করে বাংলাদেশিরা বিদেশে পাডি জমায়। যে কষ্ট আর টাকা খরচ করে তারা বিদেশে যায় সেই টাকা এবং শ্রম দিয়ে দেশে ভালো একটা ব্যাবসা দাড করিয়ে ভালভাবে থাকতে পারে।
আমার খুব অপছন্দের খাবার পিজ্জা। ইটালি পিজ্জা দেশ , শেখার পিজ্জা ভাল হবারই কথা। লেবাননের রাস্তায় রাস্তায় ট্রেডিশনাল ওভেনের পিজ্জার দোকান। আমি ঠেকা পডলে প্লেইন চিজ পিজ্জা খাই নইলে না। অলিভ তো দুই চোখের বিষ। তবে সালাদে অলিভ অয়েল ছাডা আমার চলে না।
পার্টনার তো ভালই ড্রিংস করতে পারেন।
বর্ননা ভাল হয়েছে।
ইঞ্জা
আমেরিকা, ইউরোপ হলো সোনার হরিণ আর তা পেতে দলে দলে মানুষ যায় কিন্তু সবাই কি সোনার হরিণ পাই, কিন্তু বুঝিনা মানুষ কেন নিজ মৃত্যুকেও পরোয়া না করে এইসব দেশে যায়।
ইটালির পিজ্জা আসলেই বেশ, যেমন তার স্বাধ, তেমনি তার টপিং গুলো আর অলিভ ছাড়া পিজ্জা আমি কল্পনায় করতে পারিনা।
পার্টনার, আমি প্রচুর দেশ ঘুরি ব্যবসার কাজে আর কাজ করতে গিয়ে সবার সাথে মিসে যাওয়ার চেষ্টা করি, এতে ড্রিংক হয় আরেক হাতিয়ার, কিন্তু দেশে আমি পারতে ভর ড্রিংক করিনা, যেমন গত এক বছর দেশের বাইরে যাওয়া হয়নি, মানে এক বছরই ড্রিংকস থেকে আমি দূরে।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো পরিবারে অর্থকষ্টে না থাকা মানুষও যখন এইভাবে নৌকা করে বিদেশে পাড়ি দেয় তখন আমার সত্যিই রাগ হয়। দেখেছি কাছেরই এরকম কজন কে। তবে অনেস্টলি বলছি দেশের প্রতি মোহ কাজ করেনা খুব বেশি আর। একই কষ্ট করে বিদেশে একসময় তো ভালো থাকবে তারা।
খাওয়া, পান করা। এতো বেশি বেশি কেনু? পিজ্জা আমার পছন্দের খুব। তবে যেটা দেখলাম খাবার জব্য নাকি দেখার জন্য, বুঝতেছিনা 🙂
সবকিছু উঠে আসছে বর্নণায়। বেশ ভালো লাগছে এই সিরিজ। ভ্রমণকাহিনী আমার অনেক পছন্দের এক টপিক্স। চালু রাখতে হবে এটা ভাইয়া।
আচ্ছা ইতালি গেলে গ্রাপ্পা খাবো 🙂
ইঞ্জা
বিদেশ হলো সোনার হরিণ, আপু সবাই কি বিদেশ গিয়ে ভালো থাকে, আমার মনে হয়না, আমি অনেককে দেখেছি ফেলিউর হতে।
আপু, খাওয়া, পান করাটাই যে এই ব্যবসায়ীকক জীবনের অঙ্গ, ভ্রমন কাহিনী লিখতে গিয়ে নানা ভাবে এইসব চলে আসে।
ইটালির পিজ্জা এমনই আপু, খেলে অস্ট্রেলিয় পিজ্জা ভুলে যাবেন।
অবশ্যই গ্রাপ্পা
\|/ চেকে দেখবেন, পিউর সবুজ আঙুর থেকে তৈরি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর বর্ণনায় আমাদের অভিবাসীদের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে এটি সত্য,
তবে চাইলেই এখানে সব কিছু করা সম্ভব তা-ও কিন্তু মনে করি না। কিছু একটা করতে যেয়ে এখানে সব হারানো
মানুষের সংখ্যাও একদম কম না, বিদেশ থেকে দেশের টানে দেশে এসে সব খুইয়ে আবার বিদেশে ফিরে গেছে এমন সংখ্যাও কম না।
পিজ্জা কিন্তু আম্মার পছন্দের খাবার!!
তবে লেখায় ইটালী দেখতে পাচ্ছি না গিয়ে এটি-ই অনেক পাওয়া।
ইঞ্জা
ভাইজান, আপনার কমেন্টের উপরের অংশের সাথে শতভাগ সহমত পোষণ করছি।
পিজ্জা আম্মার পছন্দ শুনে বলি, আম্মার মতো আমিও পিজ্জার ভক্ত, ইটালির পিজ্জা তার জম্মস্থানেই সেরা, যারা খেয়েছেন, তারাই এই কথাটিতে একমত হবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিজ্জা আমার মোটেও পছন্দের নয়। সে ইটালিয়ানই হোক না কেন! তবে আপনার ভাগ্নে এতোটাই পছন্দ করে যে কি বলবো! ওকে যদি তিনবেলাও পিজ্জা এনে দেয়া যায় খাবে। আমি পিজ্জা খাই খুব ঠেকায়। যখন রান্না থাকেনা বাসায় অর্ডার করি দিয়ে যায়। আর অলিভ থাকবেই। অলিভ আর রেডপিপার ছাড়া পিজ্জা খাইনা। তবে ইটালিয়ান পিজ্জা খেয়েছি। কিন্তু ওই যে! পিজ্জাপ্রেমিকা নই আমি যে!
ইঞ্জা
আপু সবার চয়েজ কি এক হয়, হয়না।
তেমনি পিজ্জা প্রেমিক যেমন আছে, তেমনি পিজ্জা অপছন্দের মানুষও কমনা, আসল কথা হলো পিজ্জার জম্মস্থানে পিজ্জা অনন্য। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
পিজ্জা কিনে আপনার ভাগ্নেকে খাওয়াবেন। খুশীতে নাচবে। অবশ্য প্রকাশভঙ্গীটা আমার মতো হবেনা। 😀
ইঞ্জা
অবশ্যই আপু, ও আরেকটু বড় হোক, ওকে নিয়ে ইটালি যাবো, তারপর দেখবো কে কার কম্পিটিশন হয়। 😀
\|/