দোষ-গুণ, ভালো-খারাপ মিলিয়েই আমরা মানুষ—আমরা কেউই ১০০% ভালো মানুষ না, আবার কেউই ১০০% খারাপও না—আমাদের সবার মাঝেই ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে—সব কাজ যে আমরা করতে পারি তা না, এমন অনেক কাজই আছে যা আমরা করতে পারি না—অথচো আমরা এই না পারাটা কখনো স্বীকার করতে চাই না—আমরা সব সময় আমাদের ভালো দিকটা ফুটিয়ে তুলতে আর অন্যের খারাপ দিকটা খুঁজে বের করতে ব্যস্ত থাকি—নিজের খারাপ দিকটা আমরা সব সময় ঢেকে রাখতে চাই, আর অন্যের ভালো দিকটা তো আমাদের চোখেই পড়ে না…………
এই পোস্টটা মূলত আমার নিজের ভালো দোষ আর খারাপ গুণ খুঁজে বের করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র—এখন থেকে ঠিক করেছি নিজেই নিজের দোষ’গুণগুলো খুঁজে বের করবো আর টুকে রাখবো—তারপর নিজেই নিজেকে মূল্যায়ন করবো যে আমি মানুষ হিসেবে কতোটা ভালো আর কতোটা খারাপ—নিজেকে যে নিজে ভালো বলে দাবি করি, আসলে কতোটা ভালো তা একবার যাচাই করা উচিত………
আসুন একবার দেখে নিই, এ লেখাটা পোস্ট করার পূর্ব পর্যন্ত আমার মাঝে কি কি ভালো দোষ এবং খারাপ গুণ বিদ্যমান রয়েছে—প্রথমে খারাপ গুণগুলো জেনে নিই, তারপর দেখি ভালো কোন দোষ আছে কিনা…..
খারাপ গুণঃ
*আমি আমার আম্মুর কথা খুব কম শুনি—যদিওবা এ নিয়ে আম্মুর কোন অভিযোগ নেই—
*আমি সাঁতার জানি না—সমুদ্রে নেমে ঝাপাঝাপি করলেও পুকুর আর নদীতে এখনো আমার নামায় হয়নি—
*এখনো একা পথ চলতে পারি না—
*মিথ্যে সহ্য করতে পারি না—মিথ্যা সহ্য করতে পারার ক্ষমতাটুকু থাকার প্রয়োজন ছিলো—তাহলে হয়তো অনেক কষ্ট পাওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারতাম—
*তেল মারতে পারি না—অথচো এ তেলীয় যুগে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তেল মারতে পারাটাই হচ্ছে মূল্যবান আবশ্যকীয় গুণ—
*চা খেয়ে সাথে সাথে পানি খাওয়ার মতো বিরাট খারাপ গুণটাও আমার মাঝে আছে—
*কাঁটার ভয়ে ছোট মাছ খাওয়ার গুণ অর্জন করতে পারি নাই আজ পর্যন্ত, আদৌ পারবো কিনা তাতেও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে—
*সুঁই এর মাঝে সুতা আটকাতে পারি না—
*আমি নিজেকে খুব কর্মঠ প্রমাণ করতে চাইলেও সত্যিকার অর্থে আমার আলসে সময় কাটাতেই খুব ভালো লাগে—
*গালি দিতে জানি না—অথচো বর্তমান সভ্য সমাজে যে হারে গালির ব্যবহার+চর্চা হচ্ছে তাতে করে গালি একটা গুণ/শিল্পতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু আমার মাঝে এই গুণ অনুপস্থিত—
*আমি দেখতে কুৎসিত তার উপর আবার সাজতে পারি না—আমার যে কি হবে?—
*আমি খুব চাপা স্বভাবের—সহজে কারো সাথে রাগ দেখায় না, তবে ভিতরে ভিতরে ফুলতে থাকি, যা কিনা পরে মারাত্মক আকার ধারণ করে—
*খুব সহজেই আমি যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি—মানুষজনকে আমি অনেক সম্মান করি—যা একদম ঠিক না—
*যেকোন কিছু আমি খুব কম বুঝি, সহজে বুঝতে পারি না—আর কোনকিছু যদি একবার বুঝতে পারি তবে পরবর্তীতে সেটা আমি কাউকে বুঝাতে পারি না—
*খুব অল্পতেই আমি অনেক কষ্ট পেয়ে যাই, আর সেই কষ্টগুলো আমি পুষেও রাখি—
*আমার রাতজাগা স্বভাব—যার জন্য সকালবেলা উঠতে আমার যতোটা না কষ্ট হয়, তারচেয়ে বেশি কষ্ট হয় আমার আব্বু আম্মুর আমাকে ভোরে উঠিয়ে নামাজ পড়াতে—
*একটা প্রেম করার বড্ড ইচ্ছে ছিলো—প্রেম করে ভালো প্রেমিকার নানা গুণাবলী অর্জন করারও বড্ড ইচ্ছে ছিলো—কিন্তু গুণ কি আর আমার কপালে আছে?—তাই আমার প্রেম করাও হলো না—বছর খানেক আগে আম্মুকে একটা কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম যে, আমার এখনো একটা প্রেম করা বাকী আছে—আর আম্মুও বললো তোমার এখনো মাইর খাওয়াটাও বাকী রয়ে গেছে—আফসোস আমার প্রেম করাও হলো না, মাইর খাওয়াও হলো না—
*এতো বড় হয়ে গেছি অথচো এখনো চুল বাঁধতে জানি না—
*ছোট বাচ্চাদের মতো এখনো আঙুল খাওয়ার বদ অভ্যাসটা আমার যায়নি—এই আঙুল খাওয়া নিয়ে একটা বিরাট ইতিহাস আছে, যা নিয়ে পরবর্তীতে “আঙুল নিয়ে যতো যন্ত্রনা” শিরোনামে একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে আছে—
*হাঁটার ব্যাপারে আমি খুব অলস–বেশিক্ষণ হাঁটতে পারি না, একটু হাঁটলেই আর হাঁটতে ইচ্ছে করে না—
*পড়ালেখায় একেবারে ডাব্বামার্কা স্টুডেন্ট আমি—
*আমি রান্না করতে পারি না—ভাত খেতে আমার খুব কষ্ট হয়—খুব অল্প দিনই হবে যে বকা শোনা ছাড়া আমি ভাতের প্লেট খালি করতে পেরেছি—তবে জাঙ্ক ফুড আমার খুব পছন্দের—
*রান্নাঘর আমার খুব অপছন্দের জায়গা—আম্মু ভাবীকে তো আমি কি করে তারা রান্নাঘরে সারাটা দিন পার করে দেয় এই প্রশ্ন করে করে ক্লান্ত—
*সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় সঠিক কথা আমি কখনোই বলতে পারি না—পরে যখন বলি তখন সেটা অনেকটা চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো ব্যাপার হয়ে যায়—
*এফবিতে আইডি খোলার পর আমি আমার ফ্যামিলির মানুষগুলোর কাছে অনেক কথা লুকিয়েছি, যা তাদের বলা উচিত ছিলো, কিন্তু আমি না বলে তাদের থেকে লুকিয়ে গেছি—এই বলতে না পারাটা/লুকিয়ে যাওয়াটাও বিরাট খারাপ গুণের পর্যায়ে পড়ে—
*আমি খুব আবেগী একটা মেয়ে, আর আমার মায়ের ভাষ্যমতে, এই আবেগই একদিন আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে—
*খুব বেশি স্বপ্ন দেখি আমি—আমার দু’চোখ জুড়ে শুধুই স্বপ্ন—যার সাথে বাস্তবের যোজন যোজন দূরত্ব—যা একদম ঠিক না—আর এটা কখনোই ভালোর পর্যায়ে পড়ে না—
(আপাতত এ পর্যন্ত খুঁজে বের করা এগুলোই আমার খারাপ গুণ—হয়তো আরো আছে কিন্তু এ মুহুর্তে মনে করতে পারছি না—পরে কখনো মনে করতে পারলে এগুলোর সাথে অ্যাড করে দিবো)
ভালো দোষঃ
*আমি ভালোবাসতে পারি—কোন রকম পাওয়ার আশা না করে আমি নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতে পারি—ভালোবাসার কাঙাল আমি, কারো কাছ থেকে বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা পেলেই আমি সন্তুষ্ট হয়ে যাই, আর কিছু চাওয়ার থাকে না—
(আপাতত এই একটি ভালো দোষ ছাড়া, আমি আর কোন ভালো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না আমার)
নিজের দোষ-গুণের তালিকা দেখে নিজেই টাশকি খেলাম—আমি এত্তো খারাপ, আমার এত্তো এত্তো খারাপ গুণ, আমি এত্তো কিছু পারি না, এই তালিকা করার আগ পর্যন্ত জানা ই ছিলো না—যাই হোক এটাই সত্যি, সত্যকে এড়ানো সম্ভব না…….
(যারা যারা কষ্ট করে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপনাদের জন্য আজগুবি এই তালিকা শেষ পর্যন্ত পড়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ)
(খেয়ালী মেয়ের যতো দোষ’গুণ)
৬০টি মন্তব্য
লীলাবতী
বছর খানেক আগে আম্মুকে একটা কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম যে, আমার এখনো একটা প্রেম করা বাকী আছে—আর আম্মুও বললো তোমার এখনো মাইর খাওয়াটাও বাকী রয়ে গেছে :D)
—আফসোস আমার প্রেম করাও হলো না, মাইর খাওয়াও হলো না— আহারে কত কষ্ট 🙁
নিজের দোষ’গুণগুলো খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
আবার আসতেছি তোমার পোষ্টে।অনেক অনেক অনেক ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছ পরী আপু।
খেয়ালী মেয়ে
সত্যি লীলাবতী আপু নিজের জন্য নিজেরই অনেক কষ্ট লাগে যে একটা প্রেম করা হলো না ;(
লীলাবতী
আমারও প্রেম করা হলো না আপু 🙁 শুনেছি যে প্রেমের মরা জলে ডোবেনা’ -আমরা তো ডুবে যাবো তাহলে,আমাদের তো প্রেমই করা হলো না 🙁
পরী আপু নতুন লেখা দাও,আমি দিয়েছি 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হায় আল্লাহ!!!!আমিতো সাঁতারও জানি না…আমাদের বুঝি শেষ পর্যন্ত ডুবেই মরতে হবে ^:^
হুমমম তোমার লেখা আমি পড়েছি আপু, সবসময় ভালো লিখো, হিংসে হয় 😛
শীঘ্রই একটা নতুন লেখা নিয়ে আসছি আপু 🙂
মেহেরী তাজ
আপু আমার ও ইচ্ছা ছিলো একটা মাত্র একটা প্রেম করার হলো না।।।।।
আমি ভাবছি আমার দোষ+ গুন গুলো ও খুজে বের করবো। যদিও সে খুব কঠিন হওয়ার কথা। কিন্তু চেষ্টা করে দেখবো………
খেয়ালী মেয়ে
প্রেম করতে না পারার দুখখে আসো দুজন গলা মিলিয়ে কাঁদি ;(
খুঁজে বের করে ফেলো নিজের দোষ গুণগুলো–একটু কঠিন, তারপরও চেষ্টা করে দেখো ঠিকই পারবা..
অলিভার
হা হা হা হা
মজা পেয়েছি আপনার লেখাটা পড়ে।
তবে এখানে কিছু বিষয় আপনি মার্ক করেছেন নিজের ব্যাপারে যা এখনো চাইলেই আপনি পরিবর্তন করতে পারেন। আবার কিছু বিষয় আছে যা পরিবর্তন করার সঠিক সময়টা এখনো হয়নি, কিংবা সুযোগ আসেনি। আর কিছু বিষয় যা পরিস্থিতির সাথে শিখে যাবেন।
তবে “তেল মারতে পারি না”, “মিথ্যে সহ্য করতে পারি না”, “খুব সহজেই আমি যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি” এইগুলো কখনোই খারাপ গুন হতে পারে না। এগুলি সরল সাধারণ মানুষের প্রকৃত গুন বলেই বিবেচনা করি কিংবা করা হয়। হয়তো একটা সময় না চাইলেও পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এইসব সবাই করে, কিন্তু মন থেকে সেই করা কাজ গুলির জন্যে অবশ্যই অনুতপ্ত হয়।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যে.. 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম ঠিক বলেছেন আপনি…
দেখা যাক জীবনের শেষ অব্দি কি হয়…….
ছাইরাছ হেলাল
সুঁই এর মাঝে সুতা আটকাতে পারি না—
সুঁই এর মাঝে সুতো আটকানোর ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়!!!!!!!
এত্ত তাড়াতাড়ি লিস্ট কমপ্লিট করে দিলে তো হবে না।
বেশ ভালই লিখেছেন।
খেয়ালী মেয়ে
সুঁই/সুতা যা দিয়ে নকশী কাঁথা সেলাই করা হয়….আরো নানা ধরনের নকশা করা হয় বিভিন্ন ধরনের কাপড়ে….আমি সেলাই তো দূরে থাক, এখনো পর্যন্ত সুঁই এর মাঝে সুতাই আটকাতে পারি না :(…………জানি না এবার আপনি বুঝতে পারছেন কিনা, অবশ্যই এর চেয়ে আরো ভালোভাবে আমি কাউকে কোনকিছু বোঝাতেও পারি না 🙁
আপাতত লিস্ট এতোটুকুই, পরে যদি আরো কিছু মনে আসে সেটা অ্যাড করে দিবো…….
জিসান শা ইকরাম
গুন আর দোষ এর পোষ্ট দেখে অবাক হয়ে গেলাম।
এক কথায় অসাধারন এক পোষ্ট হয়েছে।
উপস্থাপনা, খুঁজে বের করা এবং লেখা সব কিছুই ভালো হয়েছে
এমন করে নিজেও তো ভাবিনি কখনো।
আমার মতে এর একটাও খারাপ না
সবই ভালো গুন।
সব কিছু মিলিয়ে আপনি একজন ভালো মানুষ।
খেয়ালী মেয়ে
জিসান ভাইয়া বুঝা গেলো আপনি মন দিয়ে পড়েন নাই 🙁
সবই আমার খারাপ গুণ ভালো নয় 🙁
মানুষ হিসেবে আমি কেমন তা আর কি বলবো?-কিচ্ছু বলার নাই ;(
জিসান শা ইকরাম
*তেল মারতে পারি না—অথচো এ তেলীয় যুগে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তেল মারতে পারাটাই হচ্ছে মূল্যবান আবশ্যকীয় গুণ—
ঠিক ঠিক 🙂
খেয়ালী মেয়ে
🙂
স্বপ্ন নীলা
আমি তো আপনার পোস্ট দেখে টাসকি খেলাম, কোথায় আপনার খারাপ গুণ আছে বলুন তো — যে মানুষকে এমন করে ভালবাসাতে পারে তার কি খারাপ গুণ থাকতে পারে !!!
খুব খুবই ভাল থাকুন আমার আপুনি
খেয়ালী মেয়ে
আপুরে সবই তো আমার খারাপ গুণ, মাত্র একটাই আছে ভালো দোষ…..
আপনিও অনেক ভালো থাকুন 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আত্মজিজ্ঞাসা!!!
জীবন গঠনে নিজেকে জানতে চেষ্টা করার মতো বড় গুন আর নেই। পরিশুদ্ধ এবং সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য এটি একটি উত্তম উপায়।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম ঠিক বলেছেন আপু, আগে নিজেকে জানতে হবে/চিনতে হবে…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
একটা প্রেম করার বড্ড ইচ্ছে ছিলো—প্রেম করে ভালো প্রেমিকার নানা গুণাবলী অর্জন করারও বড্ড ইচ্ছে ছিলো—কিন্তু গুণ কি আর আমার কপালে আছে?—তাই আমার প্রেম করাও হলো না—বছর খানেক আগে আম্মুকে একটা কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম যে, আমার এখনো একটা প্রেম করা বাকী আছে—আর আম্মুও বললো তোমার এখনো মাইর খাওয়াটাও বাকী রয়ে গেছে—আফসোস আমার প্রেম করাও হলো না, মাইর খাওয়াও হলো না—
এখানে একটু সন্দেহ আছে মনে মনে হলেও জীবনে একবার কাউকে না কাউকে ভাল লাগে ভালবাসতে ইচ্ছে জাগে।দোষগুণের পাল্লায় আপনি সফল কেননা যে নিজেকে চিনতে পারে সেতো মহান।
খেয়ালী মেয়ে
ইশশশশশশশশশশশশ সন্দেহ কেনো ভাইয়া?…………ড্যামিশ আছে না মন জুড়ে, শুধু বাস্তবে নেই এতোটুকুই………..
ব্লগার সজীব
*এখনো একা পথ চলতে পারি না— :D) এটা কোন কথা হলো?
খেয়ালী মেয়ে
এটাই সত্যি–আমি এখনো পর্যন্ত কোথাও একা যাইনি 🙁
ব্লগার সজীব
এর ভালো এবং মন্দ দুটো দিকই আছে আপু।
খেয়ালী মেয়ে
ভালো দিকটা কি?…
ব্লগার সজীব
ভালো দিকটা হচ্ছে সিনিয়ররা কেউ থাকুক না মাথার উপরে ছায়া হয়ে।
খেয়ালী মেয়ে
ভালো দিকটা আমিও ঠিক এভাবেই ভেবেছি, মিলে গেছে আপনার সাথে 🙂
রিমি রুম্মান
নিজের দোষ কেউ কিন্তু দেখে না আদতে। দেখলে, সংশোধন হয়ে যেত সবাই। সব কিছু সন্দর হয়ে উঠত। ব্যতিক্রম ধর্মী পোষ্ট। ভাল লাগলো পরে। মজাও পেলাম। ভাল থাকুন।
খেয়ালী মেয়ে
ঠিক, নিজের দোষগুলো সংশোধন করলেই অনেক কিছু অনেক সুন্দর হয়ে যেতো…
ভালো থাকুন আপনিও……
নীলাঞ্জনা নীলা
এ দোষ কোথায়? আপনি দেখছি গুনের খনি।আপনার ক্রিয়েটিভিটির তারিফ করছি।অসাধারন।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম পুরাই গুণের খনি, তবে সব যে খারাপ গুণ 🙁
অরণ্য
বেশ আত্মসমালোচনা! গুড।
“… ও মেম সাব!
ছিঃ, ছিঃ, ছিহ
তুমি এত খারাপ!”
…
কিপ গোয়িং।
খেয়ালী মেয়ে
তাইতো দেখছি, আমি এত্তো খারাপ!!!! ছিঃ ছিঃ ছিহহহহহহহহহ ;(
আশা জাগানিয়া
ছোট বাচ্চাদের মতো এখনো আঙুল খাওয়ার বদ অভ্যাসটা আমার যায়নি—আপু এটি আমারও 🙂 “আঙুল নিয়ে যতো যন্ত্রনা” পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি 🙂 খুবই মজা পেয়েছি লেখা পড়ে।
খেয়ালী মেয়ে
আঙুল খাওয়ার মতো খারাপ আর কিছুই হতে পারে না, এজন্য আপনার প্রতি আমার সমবেদনা রইলো 🙁
লেখা পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো 🙂
নুসরাত মৌরিন
হিহিহি। খুবই দারুন একটা পোস্ট দিয়েছেন।এর মধ্যে কিছু কিছু আমার সাথে মিলে। যেমন আমারও খুব প্রেম করার শখ ছিল,যে শখ আর মিটলো না।স্বপ্ন দেখার প্রবল অসুখ আমারো আছে।
তবে সব মিলিয়ে আপু আপনি একটা লক্ষী এবং অসম্ভব সুইট একটা মেয়ে।খারাপ তো মোটেই নন।
খেয়ালী মেয়ে
ইশশশশশশশশশশ প্রেম করার কথা আর বইলো না আপু কষ্ট লাগে….
আপনিও অনেক সুইট লক্ষী একটা মেয়ে 🙂
নুসরাত মৌরিন
আরো মিল আছে, যেমন আমিও চুল বাঁধতে পারি না।একসময় অনেক আবেগী ছিলাম।রান্নাঘর আমারো খুব অপছন্দের তবে ইদানীং টুকটাক চা নাস্তা বানাতে পারি- এই যা!
খেয়ালী মেয়ে
মৌরিন আপুমনি তোমার সাথে দেখি আমার অনেক মিল 🙂
আরো দুইটা অ্যাড করছি দেখো মিলে কিনা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
তুমি দেখছি এত্তো পঁচা একটা মেয়ে!! পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে তোমার গুনের বিশ্লেষণ করতে হবে। এহহে, গুন কই তোমার দেখছি সবই দোষ। মা’র কথা শোননা?ধরে মাইর দিলেই ঠিক হয়ে যাবে, ব্যপারনা।
এখনো আঙ্গুল চোষ? হি হি। কি যেন একটা চকলেটের বিজ্ঞাপন ছিল, লাগে রাহো? অইটা লাগবে তোমার 🙂 রান্নার গুনের জন্য বিশাল একটা ঠেলা লাগবে, তাহলেই কাজ হবে। হুম আমিও অইরকম একটা ঠেলা খেয়েই শিখে ফেলেছি। আবার আসতেছি পরে।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম আমি কত্তো পঁচা দেখছো, সবই আমার খারাপ গুণ–আমিও মাঝে মাঝে ভাবি একটা মাইর খেলে বোধ হয় সব ঠিক হয়ে যেতো, কিন্তু মাইরটা দিবে কে?…
চকলেট?……………ঠিক ধরেছো চকলেট লাগবে আমার, দেরি না করে তাড়াতাড়ি আমার জন্য চকলেট পাঠিয়ে দাও….. 🙂
হুমমম রান্নার গুণটা তো অর্জন করতেই হবে…আর সেজন্য এখন থেকেই ওয়েটিং ফর বিশাল একটা ঠেলা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সাঁতার কাটতে পারোনা, সুইয়ে সুতা লাগাতে, কাউকে তেল দিতে, মিথ্যা সহ্য করতে পারোনা, আবার দেখি প্রেমও করতে পারোনা। এতো ভালোবাসতে পেরে তবে লাভ টা কি হইলো? এইটাই আমার কাছে বড় দোষের মনে হইলো। তুমি যে এত্তো লক্ষি টাইপের একটা মেয়ে এই পোস্টে সেটাই আরো বোঝা গেলো।
আমি আমার নিজের দোষ কাউরে বলুমই না, কারন আমি পঁচা।
খেয়ালী মেয়ে
সত্যিই তো এতো ভালোবেসে লাভ কি ;?
তুমিতো দেখছি আপু আমার ঘরের মানুষগুলোর মতোই বলছো, এতো এতো খারাপ গুণ থাকা সত্ত্বেও আমার ঘরের মানুষগুলোর কাছেও আমি খুব লক্ষী একটা মেয়ে, আর সেজন্যই তো পারছি না নিজেকে শোধরাতে 🙁
জানি জানি তোমার বলার কিছু নাই–তুমি তো সত্যি সত্যিই অনেক লক্ষী, পঁচা জংলী একটা মেয়ে 🙂
সোনিয়া হক
আপনার মত করে কোনদিন ভাবিনি আপু।ভাবনার নতুন জগত চিনিয়ে দিলেন।এর তো কয়েকটা আমারো আছে।পোষ্ট খুবই ভালো লেগেছে।
খেয়ালী মেয়ে
আগে ভাবেননি তো কি হয়েছে, এখন থেকে ভাবুন–কয়েকটা মিল আছে জেনে ভালো লাগলো 🙂
সোনিয়া হক
ভাবনা শুরু করিয়ে দিলেন আপনি,সারাক্ষন হিসেব করতে থাকবো কি কি আছে আমার মাঝে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম এবার তাহলে নিজেকে আর একটু ভালোভাবে জানতে পারবেন…
ইমন
**”আমি দেখতে কুৎসিত তার উপর আবার সাজতে পারি না—আমার যে কি হবে?”**—
এটা কি হল! আমি হতাশ হলাম এই কথা টা শুনে। একটা স্ব শিক্ষিত মেয়ে যদি নিজেকে এমন ভাবে ছো্ট করে তবে কিভাবে আমাদের সমাজ থেকে চেহারা নয়, গুন ই আসল। এই ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠিত হবে?
**খুব সহজেই আমি যে কাউকে বিশ্বাস করে ফেলি—মানুষজনকে আমি অনেক সম্মান করি—যা একদম ঠিক না**—
নামের সাথে সামঞ্জস্যও রেখে এই কথাটা বলা। তাইনা ? খেয়ালি মেয়ের খেয়ালি কথা। বিশ্বাসের উল্টা পিঠে অবিশ্বাস থাকবেই, তাই বলে কি বিশ্বাস না করলে চলবে?
আর সম্মান করলে আজকাল মানুষ ঘাড়ে চেপে বসে জানি, কিন্তু তাই বলে কি প্রাপ্যটা দিবো না। এত অভিমান করলে চলবে? হুমমম
খেয়ালী মেয়ে
আমি দেখতে কুৎসিত তার উপর আবার সাজতে পারি না—আমার যে কি হবে?——–এখানে নিজেকে কিভাবে ছোট করা হলো বুঝলাম না……….একটা মানুষ সুন্দর করে সাজতে পারাটাও এক ধরনের শিল্প/গুণের পর্যায়ে পড়ে, যে গুণটা আমার মাঝে নেই, আর এটা হচ্ছে আমার সহজ সরল স্বীকারোক্তি…….
ইমন
সুন্দর না হলে কি ক্ষতি হবে! আমি ইঙ্গিত করেছিলাম দৃষ্টিকোণের ব্যাপারে। সুন্দর না হলে কি হবে কি হবে জিনিসটা পরিবর্তন করা উচিত না !
যাই হোক, শুভেচছা আপনার জন্য। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
সুন্দর না হলে কোন ক্ষতি নেই–
সুন্দরটা এখানে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণও নয়–
এখানে একটা গুণের কথা ছিলো যা আমার মাঝে নেই, আর এই পোস্টটা মূলত আমার দোষ/গুণ নিয়ে…
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও রইলো–ভালো থাকবেন…
রাইসুল জজ্
কমন কিছু দোষ গুন যা সবাই স্বীকার করে । আমি আজ আমার একটা আন কমন দোষের কথা বলে যাই । রাস্তা ঘাটে জ্যামে আটকে থাকতে আমার তেমন বিরক্ত লাগে না । এসময় আমি গাড়ির নাম্বার প্লেট পড়তে পারি । অনেক সময় দেখেছি একটা গাড়ির নাম্বার প্লেট পড়তে যেয়ে আমার যেখানে নামার কথা সেটা পার হয়ে চলে গেছি । এটাকে অবশ্য দোষ না বলে বদ অভ্যাস বলা ভালো । 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম এতো দেখছি বিরাট টাইপের বদঅভ্যাস আপনার 🙂
স্বদেশী যোদ্ধা
” আমি দেখতে কুৎসিত তার উপর আবার সাজতে পারি না—আমার যে কি হবে?— ”
হুম ! আপনি যদি কুৎসিত হয়ে থাকেন আমি বলবো সেটা আপনার মন্দ গুন নয় । কারণ , বিধাতাই আপনাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছেন ।
কিন্তু সাজগোজীয় যুগে সাজুগুজু করতে না জানাটা পুরোপুরি মন্দগুন নয় । আমি বলবো সেটা আপনার চর্চার অভাব । কারণ , চর্চায় কি না হয় ! পারলে মাসিমার কাছ থেকে সাজগোজের একটা শর্ট কোর্স করে নিবেন । তারপর শুধু চর্চা আর চর্চা , শুধু রুপচর্চা করে যাবেন তবে বাদবাকি কাজগুলো বাদ দিয়ে নয় । তারপর দেখবেন আপনি কেমন হয়ে গেছেন , দেখবেন আপ;অনি আর আগের মত কুৎসিত নেই । এইটা আমার পরামর্শ খেয়ালী দিদি ।
খেয়ালী মেয়ে
দেখতে কুৎসিত সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই, তবে সাজতে পারি না তা নিয়ে মাঝে মাঝে আফসোস জাগে, বিশেষ করে যখন কাউকে খুব সুন্দর করে সাজতে দেখি…
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, তবে সাজগোজে আমার বিরাট অনীহা রয়েছে যার জন্য গুণটা কখনো আমার রপ্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে 🙂
আশা জাগানিয়া
নতুন লেখা চাই আপু 🙂 -{@
খেয়ালী মেয়ে
আমি লিখতে পারি না, তারপরও খুব শীঘ্রই আর একটা নতুন লেখা নিয়ে আসছি আপু………
আশা জাগানিয়া
খুব শীঘ্রটা কবে আসবে আপু? 🙁
খেয়ালী মেয়ে
আসবো, খুব শীঘ্রই…….
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করছি সুন্দর লেখার।
খেয়ালী মেয়ে
লিখতে তো চাই, কিন্তু লিখতে যে পারি না 🙁