ভালোবাসি তোমায় (৩১তম খন্ড)

ইঞ্জা ১৮ অক্টোবর ২০১৬, মঙ্গলবার, ০৩:৪৫:০৯অপরাহ্ন গল্প ২২ মন্তব্য

 

images (4)

 

মা, ওমা কই তুমি, অভি রেডি হয়ে এসে ডাইনিং টেবিলে বসে হাক ছাড়লো।
আসছি, কিচেন থেকে মা জবাব দিলেন আর একটু পর বেড়িয়ে এলেন আর জিজ্ঞেস করলেন, কিরে আজ তুই এতো তাড়াতাড়ি, কোথাও যাবি নাকি?
না মা, এমনিই তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেল তাই।
কেন আজ জিম করিসনি?
না, ছোট করে জবাব দিলো অভি?
কেন কি হয়েছে, অসুখ বিশুখ করলো নাকি বলেই অভির মা কপালে হাত দিয়ে দেখে বললেন, কই জ্বর তো দেখছিনা?
অভি ওর মার হাত ধরে টেনে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়ে বললো, মা এতো অধৈর্য্য হচ্ছো কেন, আমার কিছুই হয়নি, তুমি বসো।
হারুণ, এই হারুণ ব্রেকফাস্ট গুলো নিয়ে আয়, অভির মা হাক দিলেন কাজের লোকের প্রতি, এরপর অভির দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করলেন, কখনো তো তুই এতো তাড়াতাড়ি রেডি হোসনা তাই জিজ্ঞেস করছিলাম।
মা মনটা আজ কেমন যেন হয়ে রয়েছে, কিছুই ভালো লাগছেনা।
কেন কি হয়েছে, দুঃসপ্ন দেখেছিস নাকি?
না মা, দুঃসপ্ন দেখিনি।
যায় হোক আমি সুরা পড়ে ফুঁক দিয়ে দিচ্ছি, আল্লাহর রহমতে মন ঠিক হয়ে যাবে, তুই তথক্ষণে ব্রেকফাস্ট কর, বলেই অভির মা উঠে দাঁড়িয়ে সুরা পড়ে পড়ে অভির মাথায় ফুঁ দিতে লাগলেন।

অভি ব্রেকফাস্ট করে কফির মগটা নিয়ে উঠে গেল, ড্রয়িং রুমে এসে সোফাতে এসে বসলো আর পিছে পিছে অভির মাও এসে বসলেন।
তোর কি হয়েছে বলবি, তুই এমন কেন হয়ে রয়েছিস?
জানিনা মা, তা তোমার রাজকুমারী কই আজ?
ওর তো আজ পরীক্ষা নেই তাই হয়তো ঘুমাচ্ছে?
সেলফোনে রিং বেজে উঠাই অভি পকেট থেকে সেলফোন বের করে, ডায়ালে দেখলো আমেরিকা থেকে জর্জ কল দিচ্ছে, অভি রিসিভ করতেই জর্জ বললো, হ্যালো মি. অভি স্যার।
ইয়েস জর্জ, বলো কি খবর, অভি ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলো।
স্যার আপনার পাঠানো সিভিটার ব্যাপারে খবর নিয়েছি, স্যার এভরি থিং ওকে, এবসুলেইটলি পারফেক্ট দিস জেন্টেলম্যান ফর ইউর সিস্টার।
ইজ ইট, ধন্যবাদ তোমাকে এই সুখবর দেওয়ার জন্য, অভি খুশি হয়ে বললো, ঠিক আছে তোমার সাথে পড়ে কথা হবে, ধন্যবাদ আবারো, ফোন কেটে দিয়ে অভি সুখবরটা মাকে জানালো।
আলহামদুলিল্লাহ্‌, তা হলে আমরা ওদের একদিন ডিনারে আমন্ত্রণ করি, কি বলিস?
তা মা তুমি যা বলো কিন্তু তার আগে প্রিয়র সাথে কথা বলো, ঐ যে আসছে তোমার মেয়ে, প্রিয়ন্তীকে নিচে নেমে আসতে দেখে অভি ওর মাকে বললো।
তুই বুঝা ওকে আমি কিচেনে যাচ্ছি বলেই অভির মা কিচেনের উদ্দেশ্যে চলে গেলেন আর প্রিয়ন্তী এসে অভির পাশে বসলে অভি বললো, কিরে তোর এতক্ষণে ঘুম ভাঙ্গলো?
অনেক রাত পর্যন্ত পড়েছি ভাইয়া।
হুম, আচ্ছা শুন, তোর জন্য যে প্রপোজালটা এসেছিলো তার খবর নিয়ে দেখলাম সব ঠিক আছে, এখন তুই একটু ভেবে দেখ তারপর জবাব দিস।
ভাইয়া রেজাল্টটা হোক তারপর না হয় হবে।
আরে দূর বোকা মেয়ে, আমরা তোকে বিয়ে দিলেও তা তোর পরীক্ষার পর, এখন না, তুই ভেবে দেখ আর হাঁ ছেলেটার ফেইসবুকে একাউন্ট আছে, তুই ফেইসবুকে ঘুরে দেখ তাহলে বুঝতে পারবি, আমি সিভিতে দেখেছি লিংক দিয়ে রেখেছে, আমি উঠছি, মা আমি আসছি।
প্রিয়ন্তী চুপ করে রইল।

অফিসে পোঁছেই অভি ফাইলপত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো, দরজায় নক শুনে কাম ইন বলে আবার ফাইলে ডুবে গেলো, জিএম সাহেব প্রবেশ করে সালাম জানালে অভি সালামের জবাব দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি খবর বলুন?
অভি স্যার, নিউজ পেপারে আর অন্যান্য সাইটে এড দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুড।
স্যার হক স্যার রিং দিয়েছিলেন, আপনি আসলেই যেন উনাকে রিং দেন এই অনুরোধ করেছেন।
তাই বলে অভি রিসেপশনে রিং দিয়ে হক সাহেবকে রিং দিতে বললো এরপর জিএমকে জিজ্ঞেস করলো, আপনাকে কিছু বলেছেন উনি?
না স্যার।
রিসেপশনিস্ট রিং দিয়ে বললো, অভি স্যার হক স্যার লাইনে আছেন বলেই লাইন কানেক্ট করে দিলে অভি সালাম দিলো আর অপর প্রান্ত থেকে হক সাহেব সালামের জবাব দিয়ে বললেন, অভি আমি আসলে কল দিয়েছিলাম জানার জন্য যে তোমার শীপগুলোর প্রপেলার কোনটা লাগাতে চাও, মানে আমাদেরটা নাকি আমেরিকানটা?
আনকেল আমি কিন্তু এই বিষয়ে তেমন কোনো আইডিয়া রাখিনা, আপনিই এডভাইস করুন প্লিজ।
দেখো আমাদেরটা অবশ্যই ভালো, আমেরিকান টেকনোলোজি ব্যবহার করছি আমরা আর আমাদের এই প্রপেলার নেদারল্যান্ডের শীপগুলোতেও ইউজ হচ্ছে, মানে আমেরিকানদের চাইতে কম না দামও কম কিন্তু তোমার শীপ, তোমাকেই ডিশিসনটা নিতে হবে।
অভি হেসে বললো, আনকেল আপনিই আমার মুরুব্বি, আপনিই ভালো বুঝেন, আপনার যেটা ভালো মনে হয় আপনি করেন, আমি জানি আপনি ভালোটাই করবেন।
ঠিক আছে তাহলে, আমি আমাদেরটাই দিচ্ছি পাঁচ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে।
জি আনকেল, আমি কি রাখবো?
ঠিক আছে, ভালো থাকো বলেই হক সাহেব ফোন কেটে দিলেন।

জিএম চলে গেলে অভি আবার ফাইলপত্রে ডুবে গেলো, পিয়ন এসে কফি দিয়ে গেলে অভি কফি খেতে খেতে ডানহিলের প্যাকেটটা য়েনে নিয়ে সিগারেট ধরিয়ে টান দিতে লাগলো, সেলফোন বেজে উঠাতে অভি রিসিভ করে হ্যালো বললো।
তোমার হ্যালো বলাটা অন্য ধরণের, অপর প্রান্ত থেকে মোনালিসা বলে উঠলো।
তাই?
হাঁ বেশ স্মার্টলি হ্যালো বলো তুমি, তা কেমন আছো, আব্বুর সাথে কথা হয়েছে তোমার?
হুম ভালো আছি আর আনকেলের সাথে কথা হয়েছে।
তা কি করছো?
কফি আর সিগারেট খাচ্ছি।
দুটোই পান করা হয় মিস্টার।
তা হয় কিন্তু এইদেশে আমরা খাই, অভি হেসে বললো।
তা ঠিক, তা শুনলাম তুমি নাকি চট্টগ্রাম আসবে?
কে বললো?
আমার মন বলছে।
তোমার মনকে বলো, আমি চট্টগ্রাম আসছিনা, হেসে জবাব দিলো অভি।
এই কেন আসবেনা, আমাদেরকে কি দেখার ইচ্ছে হয়না?
অভি কথা ঘুরায়ে বললো, আমি মনে হয় ইটালি যাবো।
কেন ইটালিতে কি?
ভাবছি ইটালির ব্যবসাটা ধরা উচিত।
তা কবে যাবে ঠিক করেছো কিছু?
না, কিন্তু গেলে আগামী সপ্তাহে।
আমাকে সাথে নিয়ে যাবে, আমার কিন্তু ইটালি যাওয়া হয়নি কখনো।
তোমার ইচ্ছে হলে তুমি যাও কিন্তু আমি সাথে নিতে পারবোনা।
কেন কেন নিতে পারবেনা, আমাকে নিয়ে গেলে কি আমি তোমাকে খেয়ে ফেলবো?
খেয়েও ফেলতে পারো, অভি হাসতে হাসতে জবাব দিয়ে বললো, বাই।
এই এই ফোন রাখবেনা, তুমি নিতে চাইলেও আমি আর যাবোনা, বাই, বলেই ফোন কেটে দিলো মোনালিসা।
পাগল, হেসে অভি স্বগতোক্তি করলো।

অভি ঘড়ি দেখে উঠে পড়লো লাঞ্চে যাওয়ার জন্য, নিজ চেম্বার থেকে বেড়িয়ে ধির পদক্ষেপে লিফটের পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলো নিজেদের ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে, ক্যান্টিনে পোঁছে বুফেতে রাখা খাওয়ারের দিকে এগিয়ে গেল, একটা প্লেট নিয়ে খাবারের ডিস গুলো থেকে প্লেইন রাইস, মিক্সড ভেজিটেবেল আর মাটন গোস আলু নিলো এরপর ধিরে সুস্থে নিজ টেবিলে গিয়ে বসলো, পাশের টেবিলেই ওর কিছু স্টাফ বসা, অভি তাদের উদ্দেশ্যে বললো, তোমরা কেমন আছো?
সবাই এক যোগে বলে উঠলো, জি অভি স্যার আমরা ভালো, আপনি কেমন আছেন?
অভি হেসে বললো, হাঁ আমিও ভালো, এই তোমার নাম নীরা না?
জি অভি স্যার, নীরা মেয়েটা জবাব দিলো।
তোমার নাকি কাজে সমস্যা হচ্ছে?
জি স্যার, একটু, মাথা নিচু করে নীরা জবাব দিলো।
ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই, তুমি কাল আমার সাথে দেখা করো, সব সমস্যার সমাধান করে দেবো, ওকে?
নীরা হেসে দিয়ে বললো, ওকে স্যার, থ্যাংক ইউ স্যার।
ওকে এখন খাও, মজা নিয়ে খাবে বলেই অভি খেতে শুরু করলো, খাওয়ার এক পর্যায়ে অভি ওর ফরক দিয়ে ধরে যখন মাটন গোস কাটছিলো তখন হঠাৎ মনে পড়লো, অবণীর সাথে যেদিন লাস্ট লাঞ্চ করছিলো তখনো তো মনে হয় এমন লাঞ্চ ছিলো, অভি চিন্তা করছিলো সেদিনের কথা, সেদিন খেতে বসে অবণী লাঞ্চ শুরু করার মুহুর্তে জিজ্ঞেস করেছিলো, “অভি স্যার, আপনার গালে কিসের দাগ যেন”? তখন অভি জিজ্ঞেস করেছিলো, কিসের দাগ? অবণী তখন দাগটা ভালো করে দেখে বলেছিলো, লিপস্টিকের দাগ, তখন অভি হেসে বলেছিলো, আমার এক বান্ধবীর কাজ, এরপর অবণী আর না খেয়েই চলে যায় নিজ কেবিনে। অভি যেন একটা ধাক্কা খেল, পানি খাচ্ছিলো তখন এই সময়েই বিষম খেলো, চোখ দিয়ে পানি চলে এলো, অভি খাওয়া ছেড়ে উঠে গিয়ে হাত ধুয়ে টিসু দিয়ে হাত মুছতে মুছতে দ্রুত পায়ে ক্যান্টিন থেকে বেড়িয়ে গেলো।

অভি নিজ রুমে প্রবেশ করে ভাবতে লাগলো, অবণী লিপস্টিকের দাগ দেখেই তাহলে রিয়েক্ট করেছে, কিন্তু কেনো রিয়েক্ট করবে, এতো সাভাবিক, আরেহ না এ সাভাবিক এই দেশে নয়, তাহলে আসলেই কি অবণী আমাকে ভালোবাসে নাকি ভালোবাসতো?
অভি ডিশিসন নিলো ও ফাল্গুনীকে আবার ভালো করে জিজ্ঞেস করবে, অভি সেলফোনটা নিয়ে রিং দিলো ফাল্গুনীকে, অপর প্রান্ত থেকে রিংয়ের শব্দ হতে লাগলো, এক সময় ফাল্গুনী রিসিভ করে সালাম দিলে অভি বললো, ফাল্গুনী তুমি কি ব্যস্ত?
না ভাইয়া, এই কিছুক্ষণ আগে ইউনিভারসিটি থেকে আসলাম।
আসলে আমি তোমার গতকালকের কথা গুলো ভাবছিলাম।
তা কিছু খুঁজে পেয়েছেন?
কি পাবো বলো, আসলে কিছুই বুঝতে পারছিনা, তুমি বলেছিলে তোমার আপু আমাকে ভালোবাসতো, ঠিক?
জি ভাইয়া।
তাহলে তোমার আপু আমাকে বললোনা কেন আর এই ভাবে চলেই গেলো কেন?
কেন আপনি বুখতে পারছেন না?
নাহ, আমার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা, সব যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে, তুমি যদি খুলে বলো তাহলে আমি বুঝতাম।
তার আগে আপনি বলেন আপনি কি আপুকে ভালোবাসেন?
জানিনা, কিন্তু জানতে চাই, প্রতিটি মুহুর্তে কেন অবণীকে মনে করি, কেন ওকে নিয়ে সপ্ন দেখি আমি বুঝতে পারিনা কিন্তু বুঝতে চাই, প্লিজ আমাকে বলো কেন সে এইভাবে চলে গেলো।
আপনার মনে আছে কি ভাইয়া চট্টগ্রামে আপনাকে কি প্রশ্ন করেছিলাম?
হাঁ যার সাথে দেখেছো সে আমার গার্লফ্রেন্ড কিনা আর জবাবে আমি বলেছিলাম না আর আমার কোনো গার্লফ্রেন্ডই নেয়।
আপু আপনার গালে লিপস্টিকের দাগ দেখেছিলো আর আপনাকে জিজ্ঞেস করায় আপনি আপুকে বলেছিলেন আপনার বান্ধবীর কাজ।
হাঁ বলেছি, কিন্তু সে আমার আমেরিকার ইউনিভারসিটিতে আমার সাথে পড়তো আর দেশে এসেছিলো ওর কাজে আর ওই এই কান্ডটা করে যা পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সাভাবিক।
ওহ এখন বুঝেছি ভাইয়া ওই মেয়েটি অফিসে এসেছিলো আর আপনার সাথে এমন করে কথা বলছিলো যা আপুর পছন্দ হয়নি বা আপু আপনাকে ভুল বুঝেছিলো।
ওহ গড, একি হলো, আমি একি করলাম, অভি ভেঙ্গে পড়লো, চোখ দিয়ে পানি টপ টপ করে পড়তে লাগলো।

অভি আর বেশি কিছু ভাবতে পারছেনা, অপর প্রান্ত থেকে ফাল্গুনী ভাইয়া ভাইয়া আপনি ঠিক আছেন, ভাইয়া ভাইয়া করে চিৎকার করছে কিন্তু অভি আর তা শুনছেনা, কি ভাবে পারবে ফোনটা যে কোন মুহুর্তে হাত থেকে পড়ে গেছে অভি জানেনা, অভি তো আর ওর মাঝে নেই, সে তো অবণীকে হারিয়ে ফেলেছে, নাহ নাহ আর হারানো নয়, অভি উঠে দাঁড়ালো আজই মাকে জানাতে হবে ওর ভালোবাসার কথা, অবণীর কথা, মাকে বলে অবণীকে আনিয়ে নিতে হবে, অভি গাড়ীর চাবি হাতে নিলো, সেলফোন এদিক ওদিক খুঁজলো, সেলফোনটা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে নিলো, পকেটে পুরে অফিস থেকে বেড়িয়ে গেল বাসায় ফিরার উদ্দেশ্যে, লিফটে করে আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্কিংয়ে এসে নিজ গাড়ীতে চেপে বসে গাড়ী স্টার্ট দিয়ে বেড়িয়ে এলো, অবণী একটু যদি অপেক্ষা করতো তাহলে নিশ্চয় সে বুঝতে পারতো যে তার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই, পাগলটা এতো কাছে ছিলো কিন্তু আমি নিজেও তো বুঝতে পারিনি যে আমি ওকে ভালোবাসি, আহ ভুল হয়ে গেলো যে, ওর নাম্বারটা তো ফাল্গুনীর কাছ থেকে নিতে পারতাম, একটু কথা বলতাম, খুলে বলতাম আমার মনের কথা, ইশ ফোনটা কই, নিজের কোটের পকেটে হাত দিলো ফোন নেওয়ার জন্য, পকেট থেকে ফোনটা নিয়ে সামনের দিকে তাকালো অভি কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, সামনে দাঁড়ানো ট্রাকের পিছে সজোরে আছড়ে পড়লো অভির গাড়ী, অভির সিট বেল্ট লাগানো ছিলোনা বিধায় অভি ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে উড়ে বেড়িয়ে এসে আছড়ে পড়লো ট্রাকের পিছন ডালায় এরপর গড়িয়ে পড়ে গেলো রাস্তার উপরে, অভির আসে পাশে রক্তের স্রোত।

_________ চলবে।
ছবিঃ Google

৬৪১জন ৬৪০জন
0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ