
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
কেমন আছেন সবাই, কেমন কাটলো ঈদ, নিশ্চয় সুন্দর সময় কেটেছে?
আপনাদের মনে আছে কি, আমার লেখা “ব্লগ – ব্লগিং – ব্লগার”, মনে না থাকলে এই লেখার শেষে দেওয়া লিংকটি পড়ে নেবেন।
আজ সেই লেখার সূত্র ধরেই আজকের লেখার অবতারণা, আজকের শিরোনাম হলো ” ব্লগে মন্তব্য”।
আজকের এই লেখাটি আপনাদের জানাবে ব্লগে কেমন মন্তব্য দেওয়া উচিত।
মনে করুন, এই লেখাটির কথা দিয়ে শুরু করি, এই লেখাতে অন্য একজন ব্লগার আসলেন, ব্লগার লেখাটি মন্তব্য করলেন, “বাহ দারুণ লেখা”, তারপর বেরিয়ে গেলেন লেখা থেকে, কিন্তু এই তিন শব্দের কমেন্ট বা গৎবাঁধা মন্তব্য কখনোই ব্লগে দেওয়া উচিত না।
আপনাদের মনে রাখতে হবে, ব্লগ কোনো ফেইসবুক নয়, ব্লগে কখনোই ফেইসবুকের মতো গৎবাঁধা মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ আপনি যখন একটি লেখা দিলেন, তখন দেশ বিদেশের পাঠকগণ গুগলের মাধ্যমে আপনার লেখার সাথে সাথে অন্যরা কি মন্তব্য করলেন তাও পড়েন এবং বুঝতে চান লেখাটি এবং মন্তব্য গুলো কেমন উন্নত, যৌক্তিক, যদি উপযুক্ত মন্তব্য থাকে, তাহলে লেখাটির পাঠক প্রিয়তা যেমন হয়, তেমনি যিনি মন্তব্য করেছেন তাকেও মূল্যায়ন করা হয়।
যখন আপনি লেখাটি নিয়ে যখন আলোচনা, সমালোচনা করবেন, তখন আপনি হবেন লেখাটির ক্রিটিক্স, ক্রিটিক্সের মন্তব্য যদি উচ্চমানের হয় তখন পাঠক নিজে উদ্যোগি হয়ে মন্তব্যদাতার লেখা পড়তে যান, কারণ তখন উনারা বুঝে যান যে আপনি যেমন আলোচক, তেমনি একজন লেখকও, এইভাবেই আপনারও পাঠক প্রিয়তা বৃদ্ধি পাই।
এরপর আসি ফিরতি মন্তব্যের বিষয়ে, আপনি মন্তব্য করে গেলেন এরপর আমি আপনাকে ফিরতি রিপ্লাই বা জবাব দিলাম, কিন্তু আপনি আর ফিরে এলেন না আমার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য, এইটা কিন্তু Bad manner ধরা হয় ব্লগে, আপনি যতবার রিপ্লাই পাবেন, ততবার আপনার উচিত মন্তব্যের, ফিরতি মন্তব্যের জবাব দেওয়া, এতে পাঠক বুঝতে পারেন, আপনি একজন প্রতিভাবান মন্তব্যকারীও, এতে যেমন লেখক আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে দেখবে, তেমনি পাঠকও আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে মূল্যায়ন করবে, এতেও আপনারই পাঠক প্রিয়তা বাড়বে, আশা করছি ভবিষ্যতে বিষয়টি মনে রাখবেন।
এখন আসি লেখার ভাব বুঝে মন্তব্য করা নিয়ে বলি, একটা লেখা যখন পড়বেন, লেখাটি যতবড়ই হোক, মন দিয়ে পড়বেন, তাহলে সেটি গল্প, সমসাময়িক, কবিতা, ইতিহাস যায় হোক, তার ভাব আপনি বুঝবেন অবশ্যই, সুতরাং ভাব না বুঝে বা লেখা সম্পূর্ণ না পড়ে কমেন্ট করা সম্পূর্ণ অনুচিত।
আমাদের তৌহিদ ভাই বললেন, “ব্লগে ফেসবুকের মত গতানুগতিক মন্তব্য কাম্য নয়। একজন লেখক মেধা শ্রম ব্যয় করে কষ্ট করে একটি লেখা লিখেন। সেখানে আলোচনা সমালোচনা তার প্রাপ্য। পুরো লেখা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করলে তা পাঠক এবং লেখক উভয়ের জন্যই শিক্ষণীয় এবং সহব্লগারদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। নিজেদের একে অপরকে বুঝতেও সুবিধা হয়।
আশাকরি সবাই বিষয়টি বুঝবেন। একজন ব্লগার হাস্যরসের পাত্র নন কিন্তু এমন করে মন্তব্যকারীরা অন্যদের কাছে নামমাত্র লেখক হিসেবে পরিচিত পান আমরা তা চাইনা”।
অনেকেই বলেন সময়ের অভাবের কারণে লেখা পড়া ও মন্তব্য করতে পারেন না তাদের বলছি, আপনাদের মতো আমরাও সবাই ব্যস্ত মানুষ, আমরা করি কি জানেন?
প্রতিদিন কোনো এক সময় ফ্রি হয়ে ব্লগে ঢু মারি, বেশিনা দশ পনেরো মিনিট সময় দিলেই এনাফ, লেখা পড়া ও মন্তব্য দুইটাই সম্ভব শত ব্যস্ততার মাঝেও, কি ঠিক বলেছিনা?
পরিশেষে আবারও বলবো, When you are Rome, do as Romans do, তেমনি ব্লগারদের বলছি, When you are in Blog, do as Bloggers do (ব্লগে ব্লগারের মতোই আচরণ করুন)।
হ্যাপি ব্লগিং।
পূর্ব্ববর্ত্তী লেখাঃ
৩৮টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমি এমন বিষয় নিয়ে অনেকবার ভেবেছি দাদা।
গৎবাঁধা মন্তব্য দেখে। আর ভাবছি ব্লগেও কী ফেইসবুকের ন্যায় গৎবাঁধা মন্তব্য করা হয়।
যাই হোক অবশেষে আপনি বিষয়টি তুলে ধরলেন।
আমরা যেন গৎবাঁধা মন্তব্য থেকে বিরত থাকি।
.
ব্লগে আসা না মানে নিজেকে ফাঁকে দেওয়া।
আমি রোজ ব্লগে সময় দিতে চাই কিন্তু দুর্ভাগ্য নেটের জন্য। ব্লগ থেকে লেখা পড়ে অনেককিছু শেখার আছে আমি মনেকরি।
যথার্থ ব্যক্ত প্রকাশ,দাদা।
ইঞ্জা
দাদা মানুষের সমস্যা থাকে, সমাধানও হয়, যেমন আপনি নিয়মিত লিখে চলেছেন এ বা কম কিসে?
আশা করি এরপর থেকে সকল ব্লগার মন্তব্য দিতে কার্পন্য করবেন না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ব্লগিং নিয়ে আরো একটি সুন্দর পোষ্ট উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সবসময়। ঈদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
অক্লান্ত ধন্যবাদ আপু, আমার লেখা পড়ে ব্লগারদের উপকার হবে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
এটাই হওয়া উচিত। সহমত পোষন করলাম ভাইজান।
অনেকে দেখা যায় হাজিরা দিয়ে যায়। আবার আসব বলে আর দেখা নাই।
আবার অনেকে নিজের লিখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে অন্যের লেখা দেখে মন্তব্য করার ফুরসৎ পায়না।
হ্যাপী ব্লগিং। ঈদ মোবারক !
ইঞ্জা
দাদা, ব্লগিং বিষয়ে না জেনেও অনেকেই ব্লগিং করছেন, এই লেখাটি আশা করছি সবার উপকার করবে, ব্লগাররা জানবেন আসলে ব্লগিং কি।
ধন্যবাদ অশেষ দাদা, সুন্দর মন্তব্য দিলেন।
সুরাইয়া পারভীন
একজন যথার্থ ব্লগারের কি কি গুণ থাকা আবশ্যক তা বরাবর আপনার লেখায় পেয়ে যাই ভাইয়া। উপরোক্ত আলোচনা গুলো মন দিয়ে উপলব্ধি করলেই বোঝা যায়
একজন ব্লগারের দায়িত্ব কর্তব্য গুলো কি
চমৎকার উপস্থাপন ভাইয়া
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ইঞ্জা
অক্লান্ত ধন্যবাদ আপু, আমার লেখা পড়ে যদি সকল ব্লগার নিজেদেরকে ঠিক করে নিলে আনন্দিত হবো।
ভালো থাকবেন আপু।
তৌহিদ
ব্লগে ফেসবুকের মত গতানুগতিক মন্তব্য কাম্য নয়। একজন লেখক মেধা শ্রম ব্যয় করে কষ্ট করে একটি লেখা লিখেন। সেখানে আলোচনা সমালোচনা তার প্রাপ্য। পুরো লেখা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করলে তা পাঠক এবং লেখক উভয়ের জন্যই শিক্ষণীয় এবং সহব্লগারদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। নিজেদের একে অপরকে বুঝতেও সুবিধা হয়।
আশাকরি সবাই বিষয়টি বুঝবেন। একজন ব্লগার হাস্যরসের পাত্র নন কিন্তু এমন করে মন্তব্যকারীরা অন্যদের কাছে নামমাত্র লেখক হিসেবে পরিচিত পান আমরা তা চাইনা।
চমৎকার পোষ্ট লিখেছেন দাদা। শুভকামনা রইলো ভাই।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, আপনার মন্তব্যটি আমার লেখাতে সংযুক্ত করছি ভাই, এ আমার ভালোবাসা জানবেন।
অপরিসীম ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
জেগে ঘুমিয়ে থাকাদের ঘুম ভাঙ্গানো কঠিন।
চেষ্টা চালু থাকুক।
ইঞ্জা
ভাইজান,
আমার মতে যারা যেগেও ঘুমায়, তাদের জন্য এই ব্লগ না।
নিতাই বাবু
আমি মনে করি ব্লগে লেখা যত সহজ, পুরো লেখা পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করা অনেক কঠিন। তাই হয়তো অনেকেই ফেসবুকের মতো দুই-চার শব্দ লিখে প্রকাশ করে চলে যায়। আবার অনেকেই আছেন, নিজের পোস্ট ছাড়া অন্য কারোর পোস্টে মন্তব্য করে না। নিজের পোস্টে মন্তব্যের জবাবও দিতে চান না। তাঁদ্য কাছে মনে হয় মন্তব্য যেমন অনেক ভারি একটা বোজা। আসলে যে মন্তব্যের মাঝেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, তা অনেকেরই অজানা। এসব জানার জন্যই আপনার এই পোস্টখানা না-জানা অনেকের কাজে আসবে এবংং তাঁদের ঘুমও ভাঙবে বলে মনে হয়।
সময়োপযোগী লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ওস্তাদ, মন্তব্য করেই যে সম্পর্ক স্থাপন করা যায় তা অনেকেই বুঝতে পারেনা।
ধন্যবাদ অহর্নিশ।
নিতাই বাবু
আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা, আপনার মন্তব্যে সহমত পোষণ করছি, সাথে ইঞ্জা ভাইকে সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানাচ্ছি।
দুই জনের জন্য শুভ কামনা ও ঈদের শুভেচ্ছা,।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ সঞ্জয় দাদা, আপনাদের উপকার হলে আমার বড় প্রাপ্তি হবে।
নিতাই বাবু
লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন দেখে অত্যন্ত খুশি হলাম, শ্রদ্ধেয় সঞ্জয় দাদা। আপনার জন্যও অফুরন্ত শুভকামনা থাকলো।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ নিতাই দাদা ও ইঞ্জা দাদকে।
ভালো থাকবেন সবসময় দু’জনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
খাদিজাতুল কুবরা
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই এরকম সচেতন মূলক পোস্ট করার জন্যে। অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। আমরা যারা নতুন জয়েন করেছি, আমাদের জন্য শিক্ষনীয় বিষয়।
ব্লগের যেকোনো লেখা থেকে শিক্ষা বিনোদন অনেক কিছু পাওয়ার আছে। আর সেটা পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব।
ভালো লেখককে নিখুঁত পাঠক হওয়া আবশ্যক।
মন্তব্য হচ্ছে লেখাটির মূল্যায়ন। মন্তব্য লেখককে শানিত করে সেই সাথে দেশ বিদেশের সকল পাঠকের কাছে লেখাটিকে ব্যাখ্যা করে, এবং সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে।
তাই মন্তব্য হওয়া উচিত বিশ্লেষণ মূলক।
এটা আমার ধারণা।
ইঞ্জা
লেখাটি পড়ে সকল ব্লগারের অনুধাবন করবে এই আমার একান্ত কামনা, এতে অবশ্য ব্লগারদেরই উন্নয়ন হবে।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
রেহানা বীথি
সুন্দর পোস্ট ভাইয়া। যে কোনও লেখকের জন্য একটি লেখা তৈরি করে পোস্ট দেয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেই লেখার যদি সঠিক মূল্যায়ন না হয়, লেখকের উৎসাহে ভাটা পড়ে। কোনও লেখা ভালো লাগলো না খারাপ লাগলো এবং কেন, যদি দু’চারটি কথায় পাঠক তার প্রতিক্রিয়া জানান, লেখক উপকৃত হন নিঃসন্দেহে। তবে ফিরতি মন্তব্যের ক্ষেত্রে আমার একটি জিজ্ঞাসা আছে, ব্লগে কি নোটিফিকেশনের কোনও ব্যবস্থা করা যায় না? নোটিফিকেশন না পাওয়ার জন্য অনেকসময় মন্তব্যকারীর নজরে আসে না। যদি সেরকম কিছু করা যায়, তাহলে বোধহয় সবাই উপকৃত হবেন।
ইঞ্জা
আপু আপনি যতবারই কমেন্ট, ফিরতি কমেন্ট করবেন, ততবারই যাকে মন্তব্য করেছেন সেই পাবে নোটিফিকেশন, যা অদেখা মন্তব্যের ঘরেই নোটিফিকেশন পাবেন, কিন্তু নোটিফিকেশন ঘরেরও একটা লিমিট থাকে, এ জন্য কমছে কম দুই চারদিনের মধ্যেই অদেখা মন্তব্যের রিপ্লাই দেওয়া উচিত।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
যথাপোযুক্ত একটি গুরুত্বপুর্ন পোষ্ট। হ্যা ভাইজান ১০, ১৫ বা ২০ মিনিটে একটি পোষট পড়ে যথাপযুক্ত মন্তব্য করা আমার মত নগন্য মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়, অসম্ভব।
হ্যা আমি ব্যাক্তিগতভাবে অনেক পোষ্ট পড়েও যখন মনের মত মন্তব্য লেখা অসম্ভব মন্তব্য থেকে বিরত থাকি। আবার অনেক মন্তব্য করেও নিজেকে খুব খারাপ লাগে যখন মন্তব্য পড়ে নিজের ভাললাগেনা।
আর অনেকে সময়ের অভাব বলে কিন্তু এর মাঝে আরোও প্রবলেম লুকায়িত থাকে। আর সকল সমস্যা মাথায় নিয়ে সব আর পক্ষে লিখা সম্ভব নয়।
আপনার এই পোষ্টি সবাই পড়ুক, বুঝুক, ব্লগের উদ্যেশ্য কি, ব্লগের লিখা ও মন্তব্য একের পর এক হতেই থাকে তা জানেনা।
একটি পোষ্টে মনের মিল ও অমিল থাকে কেউ সেটা আলাদা করেনা বা লিখে জানান দেয়না।
বিশেষ করে লিখার সমালোচনা হইই না। যেটা ব্লগে খুবই প্রয়জোন।
অনেক লিখলাম। জানিনা কে কিভাবে নিবে।
ইঞ্জা
মানুষের সমস্যা থাকবে, তার সমাধানও হবে ভাই, ইনশা আল্লাহ আপনার সমস্যারও সমাধান নিশ্চয় হবে।
ব্লগের মন্তব্য যেকোনো লেখকের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়,চেতে তার যেমন লে
ইঞ্জা
মানুষের সমস্যা থাকবে, তার সমাধানও হবে ভাই, ইনশা আল্লাহ আপনার সমস্যারও সমাধান নিশ্চয় হবে।
ব্লগের মন্তব্য যেকোনো লেখকের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়,চেতে তার যেমন লেখার মূল্যায়ন হয়, তেমনি কমেন্ট দাতারও উচিত লেখাটি পড়ে উপযুক্ত মন্তব্য করা, এতে কিন্তু উভয়েরই লাভ।
আপনি দেখেছেন, আগের ব্লগারদের কমেন্ট যেমন ক্ষুরধার ছিলো, তেমনি উনারা তুখোড় লেখিয়েও ছিলেন আর এখনকার ব্লগারদের তেমন মন্তব্য করা শেখা উচিত।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা ভাই, অনেক ব্লগারের একটি মন্তব্যের উত্তর একেক্টই পোষ্টের মতই কঠিন ছিল কিন্তু গঠন্মুলক ও কলাকৌশল দিয়েই। একেক্টি মন্তব্য সাজান থাকত।
লেখার উপর মিন করেই একিটি পোষ্টের জন্ম হতো।
ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
একদম তাই, এখনকার ব্লগারদের শেখা উচিত ব্লগে মন্তব্যের গুরুত্ব কত।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি মনে করি দ্বায়সারা কমেন্ট করার চাইতে না করাই ভালো। একটা কমেন্ট পড়ে লেখক যদি বুঝতে না পারে পাঠক লেখাটি পড়েছে কিনা, তাহলে কি দরকার কমেন্ট করে। আর ফিরতি কমেন্ট নির্ভর করে লেখকের জবাবের উপর। জবাবে যদি শুধু ধন্যবাদ / শুভেচ্ছা দেয়া হয়, সেখানে ফিরতি কমেন্ট দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। ব্লগিংয়ের ব্যাপারে যারা আসলেই আগ্রহী তাদের উপকার হবে। ভালো থাকুন ভাইজান।
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু আপনার মতো গুণী মানুষই বুঝতে পারেন আমার লেখার মহত্ত্ব কি, আজকালকার ব্লগারগণের দায় সারা মন্তব্য আমাকে ব্যথিত করে, মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগ থেকে পালাই।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু, সাথে অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা।
মোঃ মজিবর রহমান
সাবিনা পু আপনার উপরের লাইন্টি যথার্থ। ১০০% সহমত।
তাই আমি পিড়ি অনেক মন্তব্য করতেই ব্যার্থ হয়ার সম্ভাবনা থাকলে আমি মন্তব্য করিনা।
অনেক সময় মন্তব্য করে আমি মানসিক ভাবে খুব অসুস্থবোধ করি, কারণ পড়ে মন্তব্যটি আমারই ভাল লাগেনা।
দুখের বিষয় মন্তব্য এডিট করা যায়না।
ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
শিখিনীয় বিষয় দাদা এরকমী হওয়া উচিত——-
অনেক অনেক ঈদ মোবারক
নিশ্চিয় ভাল ও সুস্থ আছেন——
ইঞ্জা
ভাই, আমার মতে আপনি যখন লেখা নিয়ে আলোচনা না করেই মন্তব্য করবেন তা একজন ব্লগারের সম্মানহানি হয়, এ জন্যই মন্তব্য হতে হবে আলোচনা সমৃদ্ধ।
ধন্যবাদ ভাই।
উর্বশী
গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট । আর এটি কম বেশী সবার জন্য প্রযোজ্য । আমার জন্য বেশী। কারণ আমার উপস্থিতি ই কম। লেখা নিয়ে আলোচন, সমালোচনা হলে লেখার গতি বা পরিধি বেড়ে যায়। ভুল গুলো তখন সঠিক ফোকাসে আসে। যা কিনা সব সময় লেখকের চোখে ধরা পড়েনা। কিন্তু অন্য জনের দৃষ্টিতে উঠে আসে নিরদ্বিধায়। দেয়া এবং নেয়ার এই দোলাচলে অবশ্যই লাভজনক। যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত করা যায়। তার প্রমান, এক এক্ টি লেখার পড়ুয়াদের উপস্থিতি৷।
জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি জানা ও শেখার শেষ নেই। সোনেলা পরিবার একটি প্রি স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি গড়ার ক্ষমতা রাখে। আর এই পরিবারের একজন অতি সাধারণ সদস্য হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করতেই পারি। তবে আমি কিন্তু প্রি স্কুলেই আছি আপাতত। আস্তে আস্তে নতুন ক্লাশে উঠবো। ডাহা ফেল না করে পাশ করেই ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাব আশা করি। সোনেলার ডাইরিতে ” ফেল” নামক কোনো শব্দ নেই মনে হয়।
ভাইয়া, অনেক সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন,যা আমাদের নতুন দের জন্য বেশী ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
সুস্থ ও ভাল থাকুন। অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
।
ইঞ্জা
আপু আপনি গুণী মানুষ তা আমরা অনেকেই জানি এই ব্লগের, জানি আপনি সোনেলায় এসেছেন স্থান গাড়ার জন্য, আপনার মন্তব্যই বলে দেয় আপনি উচভমানের লেখক, আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যই বলে আপনি এই ব্লগের অসাধারণ একজন ব্লগার হয়ে উঠবেন খুবই দ্রুত।
কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু।
আরজু মুক্তা
ভালো লিখতে চাইলে, পড়তে হবে। শেখার বিকল্প নাই।
হ্যাপি ব্লগিং
ইঞ্জা
সত্যি তাই, শেখাটা মূখ্য, যে শেখে সে সব কিছুই পারে।
ধন্যবাদ আপু।