হুমায়ূন আহমেদ
কাহিনী সংক্ষেপ :
মনসুর ২৫/২৬ বছরের হত-দরিদ্র যুবক। তার মেন্টাল পাওয়ার আছে। মানুষিক শক্তি ব্যবহার করে সে ছোট খাট জিনিষ নারাতে পারে, বইয়ের পাতা উলটাতে পারে, মোমবাতি নিভাতে পারে। সে এসেছে মিসির আলীকে তার ক্ষমতা দেখাতে। কিন্তু মিসির আলী খুব সহজেই ধরে ফেলেন তার চালাকি বা ম্যাজিক ট্রিক।
মনসুর যাবার আগে মিসির আলীকে বলে যায় যে তার আসলেই মানুষিক ক্ষমতা আছে যা হটাৎ হটাৎ আসে, এর পর সেই ক্ষমতা আসলে সে মিসির আলীকে দেখিয়ে যাবে।
মিসির আলি বর্তমানে যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন তার বাড়িওয়ালা আজমল হোসেনের ভাগ্নি রেবুর মাথায় সামান্য সমস্যা আছে। রেবু এমন একটা ভাব করে যাতে সহজেই মনে হয় যে সে মিসির আলিকে ভালোবাসে বা মিসির আলির প্রতি তার আলাদা আকর্ষণ আছে। রেবু প্রতিদিন সন্ধ্যায় মিসির আলীর বারান্দার সামনে আসে কিন্তু মিসির আলীর সাথে সব সময় দেখা করেনা, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায়।
সেদিন রাতে খুব ঝর হয়, বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ চলে যয়। এমন সময় বাড়িওয়ালা মিসির আলিকে ঢেকে নিয়ে যায়, কেউ একজন জরুরি ফোন করেছে, মিসির আলীকে চায়। ফোন করেছে মনসুর, সে বলল রেবু আসলে এক ভয়ংকর খুনি। রেবু তার স্বামী ও মেয়েকে খুন করেছে। তার মাকেও খুন করেছে, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে নি। এখন এই বাড়ির একজনকে খুন করবে।
মিসির আলি একা একা থাকেন বলে তার কাজে সাহায্য করার জন্য মিসির আলির বাড়িওয়ালা আঁখিতারা নামের ৯/১০ বছরের একটি মেয়েকে নিয়ে এসেছে মিসির আলীর কাজ করার জন্য।
আজমল সাহেব তার পীর-ভাইকে মিসির আলির বাড়িতে নিয়ে আসে। তিন মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ বানী করেন, আর সেগুলি মিলে যায়। যাবার আগে তিনি ভবিষ্যৎ বানী করলেন যে দু দিনের মধ্যে মিসির আলি বড় একটা বিপদে পরবে, জীবন সংশয়কারী বিপদ।
আখিতারার জ্বর আসে, প্রচণ্ড জ্বর ১০৫ ডিগ্রী। মিসির আলি অসহায় বোধ করতে থাকেন, এমন সময় মনসুর এসে হাজির হয়, এবং সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। অনেকক্ষণ মেয়েটির মাথায় পানি ঢালার পর মনসুর এসে বলে মেয়েটির জ্বর কমে নি, মনসুর নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায়, মেয়েটি আর বাঁচবে না। মনসুর আর মিসির আলি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়ে। মেয়েটি পরদিন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসে। মিসির আলিকে সে জানায় রাতে জ্বিন দেখে সে ভয় পেয়েছে, তাই জ্বর হয়েছে। আসলে জ্বিন নয় মনসুর তাকে ভয় দেখায়।
মনসুর আর রেবুর পূর্ব প্রণয় ছিল, কিন্তু রেবুর বিয়ে হয়ে যায় অন্য আরেকজনের সাথে। সেখানে রেবুর একটা মেয়ে হয়। রেবুর স্বামীর ধারনা হয় এই বাচ্চার আসল পিতা সে নয়, অন্যকেউ। এক সময় রেবু তা স্বীকার করে এবং তার স্বামী ও সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে। রেবুর মাথা খারাপ হয়ে যায়। মনসুরের ধারনা মিসির আলি রেবুকে সারিয়ে তুলতে পারবে, কিন্তু রেবু আবার মিসির আলিকে খুন করে ফেলবে এই ভয়ে মুনসুর চেষ্টা করে মিসির আলিকে এই বাড়ি থেকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দিতে।
পর্যবেক্ষণ : ৫৩ পাতায় একটা ত্রুটি চোখে পড়লে। সেখানি মিসির আলি বলেন যে তিনি মেয়েটির নাম বলেন নি, আসলে কিন্তু তার আগে তিনি মেয়েটির নাম বলেছিলেন।
সমাপ্ত
প্রথম প্রকাশ: ঝিঁঝি পোকা
১৬টি মন্তব্য
অলিভার
সামহোয়্যার ইন ব্লগে একটু আগেই পড়ে আসলাম। অনেক বিস্তারিত লিখেছেন, প্রায় সবই মনে করিয়ে দিলেন রিভিউয়ের দিয়েই 🙂
মরুভূমির জলদস্যু
যারা আগে পড়েছেন তারা এই লেখাটা পড়লে পুরো বইয়ের ছবিটাই চোখের সামনে এসে যাবে।
স্বপ্ন নীলা
একটু ভয় পেয়েছিলাম — দুর্বল চিত্ত আমার — তবে রিভিউ ভীষণ ভালো হয়েছে ——-
মরুভূমির জলদস্যু
ভয় পাওয়ার কি আছে??
প্রজন্ম ৭১
প্রিয় লেখকের লেখা নিয়ে লিখছন বলে ভালো লেগেছে । রিভিউ ভালো হয়েছে । আপনার সাইটের বিজ্ঞাপনও ভালো হচ্ছে। যদিও সোনেলার নীতিমালায় পোষ্টে বিজ্ঞাপন প্রচার মানা 🙂 তিনটা ভালো লাগার কাছে একটা ভালো না লাগা ব্যাপারনা ।
মরুভূমির জলদস্যু
খারাপ লাগার জন্য সরি, মানে নিজের ব্লগের (সাইট নয়) লিংক শেয়ার করায়।
আমি সোনেলার নীতিমালা আগেও পড়েছি, এখন আবার পড়লাম।
৭ নাম্বার নীতি মালায় কপিপেস্ট করলে সেটার লিংক বা সূত্র দিতে হবে।
আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার পোস্টের একেবারে শেষে লেখা আছে – “প্রথম প্রকাশ: ঝিঁঝি পোকা“
শুন্য শুন্যালয়
পড়া হয়নি বইটি। যাক অর্ধ তৃপ্তি হলো।
মরুভূমির জলদস্যু
বাকিটাও করে ফেলেন।
মোঃ মজিবর রহমান
বইটি পড়ি নাই , ভালই লাগলো।
ধন্যবাদ।
মরুভূমির জলদস্যু
স্বাগতম আপনাকে।
ব্লগার সজীব
এমন রিভিউ হলে বই আর পড়তে হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
মরুভূমির জলদস্যু
খ্যাক খ্যাক খ্যাক।
জিসান শা ইকরাম
ভালো হয়েছে রিভিউ।
মরুভূমির জলদস্যু
ধন্যবাদ।
ব্লগ সঞ্চালক
এই লেখাটি আজকে আবার প্রকাশ করেছেন বিধায় আজকের লেখাটি মুছে ফেলা হলো।
মরুভূমির জলদস্যু
একই লেখা ভুল বশত দুইবার প্রকাশ করে ফেলার জন্য আমি আন্তিরক ভাবে দুঃখিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ লগ সঞ্চালক কে দ্বিতীয় লেখাটি মুছে ফেলার জন্য।