সুবহে সাদিক
১৯৭৫
১৫ আগস্ট
বাঙ্গালির শোকের লজ্জার করুণ ইতিহাসের শুরুর ক্ষণ। হায়েনারা চারিদিক থেকে এগিয়ে আসছে আগুনের পাখিটিকে শেষ করে দিতে , যা পারেনি পাকিস্তান সেনা বাহিনী তাই করতে চলেছে কিছু দেশীয় কুলাঙ্গার। থামিয়ে দেওয়া হয় বাাঙ্গালির স্বপ্নযাত্রা। যার ফলাফল আজও ভোগ করছি আমরা,অন্ধ মৌলবাদ আর দুরবৃত্তায়নের কুফল আরও কতকাল ভোগ করবে বাঙ্গালি জানা নেই।
প্রস্ততি
১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর টু-ফিল্ড রেজিমেন্টের যানবাহনগুলো সচল হয়ে ওঠে। ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণে অবস্থিত ইউনিট থেকে ১০৫এমএম কামানগুলোকে ভারি ট্রাক দিয়ে টেনে নির্মাণাধীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় নিয়মিত নৈশ প্রশিক্ষণের জন্য। রাত ১০টার দিকে সেনানিবাসের উত্তর প্রান্ত থেকে বেঙ্গল ল্যান্সারের টি-৫৪ ট্যাংকগুলো ইউনিট থেকে বেরিয়ে পড়ে। এয়ারপোর্টে ১৮টি কামান ও ২৮টি ট্যাংক একত্রিত হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর শাহরিয়ার, মেজর পাশা, মেজর রাশেদ প্রমুখ সেখানে জড়ো হয় ।
১৫ আগস্ট রাতের প্রথম প্রহরে মেজর ফারুক অফিসারদের নির্দেশ দেয় বিমান বন্দরের কাছে হেড কোয়ার্টারে স্কোয়াড্রন অফিসে মিলিত হতে। অফিসারদের আপারেশনের পরিকল্পনা জানায় মেজর ফারুক।
সে-ই ছিলো এই অপারেশনের দায়িত্বে। প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি সরাসরি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। ওই বাড়িকে ঘিরে দু’টো বৃত্ত তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। আরো সিদ্ধান্ত হয়, ভেতরের বৃত্তের সদস্যরা সরাসরি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করবে। বাইরে থেকে রক্ষীবাহিনী বা ভেতর থেকে সেনাবাহিনীর কোনো আক্রমণ এলে তা ঠেকানোর দায়িত্বে দেওয়া হয় বাইরের বৃত্তের সদস্যদের।
এর দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর নূর ও মেজর হুদাকে। সিদ্ধান্ত হয়- তারা ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর রোড, সোবাহানবাগ মসজিদ এবং ৩২ নম্বর ব্রিজে রোড ব্ল¬ক করবে। প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধুর বাসা আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ধানমণ্ডিতেই শেখ ফজলুল হক মণি এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণেরও সিদ্ধান্ত হয়। ডালিমকে বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণের সময় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন মেজর ফারুক। কিন্তু, পূর্ব সম্পর্কের অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণে উপস্থিত না থেকে স্বেচ্ছায় সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণের দায়িত্ব নেয় ডালিম।
বিষাদলোকের তারা
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির রক্ষীরা বিউগল বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শুরু করা মাত্রই বাড়িটি লক্ষ করে দক্ষিণ দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ শুরু হয়। বাড়িটি আক্রান্ত হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আত্মীয় ও মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে যান। উপর থেকেই বঙ্গবন্ধু নিচতলায় তার ব্যক্তিগত সহকারি এ এফ এম মহিতুল ইসলামকে টেলিফোন করে বলেন, “সেরনিয়াবাতের বাসায় দুষ্কৃতিকারীরা আক্রমণ করেছে। জলদি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন লাগা।”
মহিতুলের জবানীতে,
পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও গণভবন এক্সচেঞ্জে চেষ্টার এক পর্যায়ে রিসিভার নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি …”। বঙ্গবন্ধু তার কথা শেষ করতে পারেননি।
একঝাঁক গুলি জানালার কাচ ভেঙে অফিসের দেয়ালে লাগে। কাচের এক টুকরায় মহিতুলের ডান হাতের কনুই জখম হয়। ওই জানালা দিয়ে গুলি আসতেই থাকে। বঙ্গবন্ধু টেবিলের পাশে শুয়ে পড়েন এবং আমাকে হাত ধরে কাছে টেনে শুইয়ে দেন।
এর মধ্যেই গৃহকর্মী আব্দুলকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তার পাঞ্জাবি ও চশমা পাঠিয়ে দেন বেগম মুজিব। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণ থেমে গেলে বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়িয়ে আব্দুলের হাত থেকে পাঞ্জাবি আর চশমা নিয়ে পরেন। নিচতলার এই ঘর থেকে বারান্দায় বের হয়ে বঙ্গবন্ধু পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বলেন, “এতো গুলি হচ্ছে, তোমরা কী করছো ?” এ কথা বলেই বঙ্গবন্ধু উপরে চলে যান। বঙ্গবন্ধু উপরে উঠতে না উঠতেই শেখ কামাল নিচে নেমে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বলেন, “আর্মি আর পুলিশ ভাইরা, আপনারা আমার সঙ্গে আসেন।” এ সময় শেখ কামালের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান মহিতুল ইসলাম ও পুলিশের ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) নুরুল ইসলাম খান।
কামাল প্রিয়তম পুত্র –
ঠিক তখনই মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) এবং ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা সৈন্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঢোকে। গেটের ভেতর ঢুকেই তারা ‘হ্যান্ডস্ আপ’ বলে চিৎকার করতে থাকে। কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মহিতুলকে বলতে থাকেন, “আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। আপনি ওদেরকে বলেন।” মহিতুল ঘাতকদের বলেন, “উনি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল।”এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামালকে লক্ষ করে বজলুল হুদা তার হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান শেখ কামাল।
নিচে কী হচ্ছে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দোতলায় তার ঘরের দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ফোনে তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিলউদ্দিনকে পান। তিনি তাকে বলেন, “জামিল, তুমি তাড়াতাড়ি আসো। আর্মির লোকরা আমার বাসা অ্যাটাক করেছে। শফিউল্লাহকে ফোর্স পাঠাতে বলো।” তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহকেও ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তাকে বলেন, “শফিউল্লা তোমার ফোর্স আমার বাড়ি অ্যাটাক করেছে, কামালকে (শেখ কামাল) বোধ হয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও।” জবাবে শফিউল্লাহ বলেন, “আই অ্যাম ডুয়িং সামথিং। ক্যান ইউ গেট আউট অফ দ্যা হাউজ?”
দ্যা আনসাং হিরো –
একমাত্র যে সেনাসদস্যটি সেদিন পিতৃদায় শোধকল্পে কোন নির্ভয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি কর্নেল জামিল, তিনি তার ব্যক্তিগত লাল রঙের গাড়িটি নিয়ে ফোন পাওয়ার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সঙ্গে ছিলেন নিজের গাড়িচালক আয়েনউদ্দিন মোল্লা। কিন্তু, পথেই সোবাহানবাগ মসজিদের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। পালিয়ে বেঁচে যান আয়েনউদ্দিন।
পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম –
এরপর ঘাতকরা গুলি করতে করতে ওপরে চলে আসে, বঙ্গবন্ধুর ঘরে তিনি ছাড়াও ছিলেন বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ঘরের বাইরে অবস্থান নেয়। গোলাগুলি থামলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসলেই ঘাতকরা তাকে ঘিরে ধরে। মেজর মহিউদ্দিন ও তার সঙ্গের সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে যেতে থাকে। ঘাতকদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, “তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?”
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কাছে মহিউদ্দিন ঘাবড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু বলেন, “তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি, কী করবি- বেয়াদবি করছিস কেন?” এ সময় নিচতলা ও দোতলায় সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেয় বজলুল হুদা ও নূর। বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে আসার সময় নূর কিছু একটা বললে মহিউদ্দিন সরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা ও নূর তাদের স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। বঙ্গবন্ধুর বুকে ও পেটে ১৮টি গুলি লাগে। নিথর দেহটা সিঁড়ির মধ্যে পড়ে থাকে। সারা সিঁড়ি ভেসে যায় রক্তে। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নিচে নেমে এসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
মাতা পুত্র পরিজন-
এরপর পরই মেজর আজিজ পাশা ও রিসালদার মোসলেউদ্দিন তাদের সৈন্যসহ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আসে। আজিজ পাশা তার সৈন্যদের নিয়ে দোতলায় চলে যায়। তারা বঙ্গবন্ধুর ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দরজায় গুলি করে। তখন বেগম মুজিব দরজা খুলে দেয় এবং ঘরের মধ্যে যারা আছে তাদের না মারার জন্য অনুরোধ করেন। ঘাতকরা বেগম মুজিব, শেখ রাসেল, শেখ নাসের ও গৃহকর্মী রমাকে নিচে নিয়ে আসতে থাকে।
সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখেই বেগম মুজিব কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং চিৎকার দিয়ে বলেন, “আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেলো।”বেগম মুজিব নিচে নামতে অস্বীকৃতি জানান। ঘাতকরা শেখ রাসেল, শেখ নাসের ও রমাকে নিচে নিয়ে যায়। আর, বেগম মুজিবকে তার ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। বেগম মুজিবসহ বঙ্গবন্ধুর ঘরে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া শেখ জামাল, সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে আজিজ পাশা ও রিসালদার মোসলেউদ্দিন।বেগম মুজিবের নিথর দেহটি ঘরের দরজায় পড়ে থাকে। বাঁ’দিকে পড়ে থাকে শেখ জামালের মৃতদেহ। রোজী জামালের মুখে গুলি লাগে। আর রক্তক্ষরণে বিবর্ণ হয়ে যায় সুলতানা কামালের মুখ।
শেখ নাসের, শেখ রাসেল আর রমাকে নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরকে সবাইকে সঙ্গে লাইনে দাঁড় করানো হয়। এ সময় শেখ নাসের ঘাতকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি তো রাজনীতি করি না। কোনো রকম ব্যবসা-বাণিজ্য করে খাই।”ঘাতকরা একে অপরকে বলে, “শেখ মুজিব বেটার দ্যান শেখ নাসের।”এরপর তারা শেখ নাসেরকে বলে, “ঠিক আছে। আপনাকে কিছু বলবো না। আপনি ওই ঘরে গিয়ে বসেন।” এই বলে তাকে অফিসের সঙ্গে লাগোয়া বাথরুমে নিয়ে গুলি করে। এরপর শেখ নাসের ‘পানি পানি’ বলে গোঙাতে থাকেন। তখন শেখ নাসেরের ওপর আরেকবার গুলিবর্ষণ করা হয়।
রাসেল , চ্ছোট্ট রাসেল –
লাইনে দাঁড়িয়ে শেখ রাসেল প্রথমে রমাকে ও পরে মহিতুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে বলে, “ভাইয়া, আমাকে মারবে না তো?”মহিতুল জবাব দেয়, “না ভাইয়া, তোমাকে মারবে না।” এ সময় শেখ রাসেল তার মায়ের কাছে যেতে চাইলে আজিজ পাশা মহিতুলের কাছ থেকে জোর করে তাকে দোতলায় নিয়ে যেতে বলে। আজিজ পাশার কথা মতো এক হাবিলদার শেখ রাসেলকে দোতলায় নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। রাসেলের চোখ বের হয়ে যায়। আর মাথার পেছনের অংশ থেতলে যায়। রাসেলের দেহটি পড়ে থাকে সুলতানা কামালের পাশে।
পুরো ঘরের মেঝেতে মোটা রক্তের আস্তর পড়ে গিয়েছিলো। এর মাঝেই ঘাতকের দল লুটপাট চালায়।
মাটিতে মিশে যাবে সব –
পরের দিন ঢাকার স্টেশন কমান্ডার আব্দুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর লাশ ছাড়া ১৫ আগস্টে নিহতদের লাশ দাফন করেন। আব্দুল হামিদ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে কফিনে নিহতদের লাশ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে শেখ মণি ও আবদুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারের সদস্যদের লাশ সংগ্রহ করে বনানী গোরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করেন।
বনানী কবরস্থানে সারিবদ্ধ কবরের মধ্যে প্রথমটি বেগম মুজিবের, দ্বিতীয়টি শেখ নাসেরের, এরপর শেখ কামাল, সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, শেখ রাসেল, ১৩ নম্বরটি শেখ মণির, ১৪ নম্বরটি আরজু মণির, ১৭ নম্বরটি সেরনিয়াবাতের আর বাকি কবরগুলো সেদিন এই তিন বাড়িতে যারা মারা গেয়েছিলেন তাদের। ১৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় টুঙ্গীপাড়ায়। সেখানে তাকে দাফন করা হয় তার বাবার কবরের পাশে।
আজ শোকের দিন , শোক কে শক্তিতে পরিণত করে জ্বলে উঠবার দিন। ঘাতকের বুলেট ব্যাক্তি মুজিবকে থামাতে পেরেছিল কিন্ত মুজিবের চেতনা অবিনাশী, তার মৃত্যু নেই। শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
সূত্র: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দেওয়া এ এফ এম মহিতুল ইসলাম, আব্দুর রহমান শেখ (রমা), মো. সেলিম (আব্দুল), অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মো. কুদ্দুস শিকদার, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ, আয়েনউদ্দিন মোল্লা (সোবহানবাগে নিহত বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিলউদ্দিনের গাড়িচালক) এর সাক্ষ্য
৩৬টি মন্তব্য
আজিম
পৃথিবীতে এরকম জঘন্য হত্যাকান্ড সম্ভবতঃ আর হয়নি। ক্ষমা করো হে পিতা, ক্ষমা করো তোমার অক্ষম এই সন্তানদের।
অনেক ঘৃনা করি জঘন্য এই ঘাতকদের।
আগুন রঙের শিমুল
ঘাতকের জন্য ঘৃণা আর শোককে শক্তিতে পরিণত করার দৃপ্ত শপথ
বন্দনা কবীর
বর্ননা পড়তে পড়তে চোখ পানিতে ভিজে গেলো। কিভাবে হত্যা করা হলো জাতির পিতাকে, একটি দেশকে। পরিবারের সবাইকে এমন ভাবে হত্যা করার ইতিহাস আর নেই। স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশের চেতনাকেই পাল্টে ফেলা হলো।
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ পড়ার জন্য কাক্কা 🙂
মুজিববাদ চেতনার ফিনিক্স , মুজিবের চেতনার ধংস নেই
জিসান শা ইকরাম
মানুষ এত বেঈমান, নেমকহারাম, পিচাশ হয় তা জানা ছিলোনা। যিনি সারাজীবন টা ভেবেছেন এ দেশের মাটি ও মানুষের কথা, যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছেন, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সবাইকে যেভাবে হত্যা করা হয়, তা ভাবলে এই সব বেঈমান, নেমকহারামের দল এবং তাদের পরিবারকে খুন করতে ইচ্ছে করে।
জাতির পিতাকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যাবেনা।
শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতা আর তাঁর পরিবারের সবার প্রতি।
আগুন রঙের শিমুল
কথা এটাই দাদা
জাতির পিতাকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যাবেনা।
মুজিবের চেতনা অবিনাশী
স্বপ্ন
ঘাতকদের বুলেট কাউকে বাঁচতে দেয়নি।
এমনভাবে লেখা এই প্রথম পড়লাম।
মুজিব আছেন আমাদের চেতনায়। শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতাকে।
আগুন রঙের শিমুল
মুজিব আমার চেতনা
মুজিব আমার বিশ্বাস
মর্তুজা হাসান সৈকত
শেখ মুজিবের মৃত্যু নেই তিনি অক্ষয়, চিরঞ্জীব।
আগুন রঙের শিমুল
মুজিবের মৃত্যু নেই
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
শুন্য শুন্যালয়
এমন করে এ বর্ননা আজ আমি প্রথম পড়লাম। চোখ ভিজে গেলো।ঘৃনা জানাবার ভাষা নেই এই সব জঘন্য হত্যাকারিদের প্রতি। শেখ মুজিবের আসন চীরজীবনের জন্য পোক্ত করে দিয়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ শিমুল এমন একটি পোস্টের জন্য।
আগুন রঙের শিমুল
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শূন্য
চোখের জলের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে
ছাইরাছ হেলাল
আমি এ বর্ণনা পড়তে পারছি না । পড়তে গিয়ে যে ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠে তা সহ্য করার
সামর্থ আমার নেই । দুঃখিত , আমার পক্ষে পুরো লেখা পড়া সম্ভব হবে না ।
এ কলঙ্কের দায় কী দিয়ে কখন শোধ হবে আমারা জানি না ।
নতজানু শ্রদ্ধা শুধু তাঁকে ।
আগুন রঙের শিমুল
🙁 🙁 এ শোক সহ্য করা আসলেই অসম্ভব
মা মাটি দেশ
মন্তব্যের ভাষা নেই এমন করুন হৃদয় বিদারক জগন্য কর্ম পৃথিবীতে আর নেই।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । -{@ (y) বঙ্গবন্ধু সহ সব শহীদের আত্ত্বার মাগফরাত কামনা করছি।
আগুন রঙের শিমুল
এমন করুন হৃদয় বিদারক জগন্য কর্ম পৃথিবীতে আর নেই।
আসলেই নেই , মানুষের ইতিহাসে কোন রাষ্ট্র নায়ককেই এই রকম সম্পূর্ণ শিকড় সহ সমুলে ধংস করা হয়নি 🙁
সঞ্জয় কুমার
সামনের স্কিন টা ক্রমশ আবছা হয়ে আসছে । আমরা অকৃতজ্ঞ আমরা বাঙালী ।
আগুন রঙের শিমুল
আমরা পিতৃহন্তা 🙁
বনলতা সেন
এই রক্ত ,এত রক্ত বৃথা যেতে পারে না । মর্মস্পর্শী উপস্থাপনে যন্ত্রণাকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন ।
বীরের প্রতি সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা ।
আগুন রঙের শিমুল
মুজিবের বাংলা মুজিবকে বুকে ধরে রেখেছে , সোনার বাংলা গড়ে পিতৃদায় শোধ করার দায়িত্ব আমাদেরই
প্রজন্ম ৭১
উপস্থাপনায় যেনো ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ কে চোখের সামনে দেখতে পেলাম। ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা হলেও মুজিব আদর্শকে হত্যা করতে পারবেনা কেউ।
জয়বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।
আগুন রঙের শিমুল
ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা হলেও মুজিব আদর্শকে হত্যা করতে পারবেনা কেউ।
জয়বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু । (y) (y)
প্রহেলিকা
এই পৃথিবীতে এর চেয়ে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড আর হতে পারে না। যে পিতা এনে দিল স্বাধীনতা তার সাথেই করা হল বিশ্বাসঘাতকতা। মহান এই পিতার প্রতি রইল শ্রদ্ধা আর প্রার্থনা যে আমাদের ক্ষমা করে দিও। সেই রাতের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে চোখের সামনে আপনার এমন স্বচ্ছ বর্ণনায়। কৃতজ্ঞতা রইল পোষ্টের জন্য।
আগুন রঙের শিমুল
ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা হলেও মুজিব আদর্শকে হত্যা করতে পারবেনা কেউ।
জয়বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
লেখাটি পড়ে কেমন উদভ্রান্ত হয়ে গেলাম। এভাবে ভাবিনি বা জানিনা আমি । একটি জাতির পিতাকে এভাবে খুন করলো হায়েনারা 🙁
আগুন রঙের শিমুল
আমাদের মতো বাঙ্গালীরাই হত্যা করেছে পিতাকে 🙁
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
মুজিবের চেতনা অবিনাশী, তার মৃত্যু নেই। (y) পড়লাম ভাইয়া বেশ সময় নিয়ে। সময় যেন স্থির হয়ে আছে ১৫ আগষ্টের কালো রাতে ।
আগুন রঙের শিমুল
মুজিবের চেতনা অবিনাশী, তার মৃত্যু নেই (y) (y)
স্বপ্ন নীলা
’’রাত পোহালে যদি শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’’ —– এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধা জানাই, তার আত্মার শান্তি কামনা করছি —
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য ——
আগুন রঙের শিমুল
আপ্নাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য
লীলাবতী
লেখা পড়ে মনটা বিষন্ন হয়ে গেলো ভাইয়া। রাসেল , চ্ছোট্ট রাসেল, সহ্য করার মত নয় 🙁
মুজিবের চেতনা অবিনাশী, তার মৃত্যু নেই।
আগুন রঙের শিমুল
রাসেল বিষাদলোকের ছোট্ট তারা 🙁
নুসরাত মৌরিন
যতবার এই বর্ননা পড়ি…কুন্ঠিত হয়ে যাই…লজ্জিত হয়ে যাই…বিপন্ন বোধ করি…।
ঘাতকের বুলেট কখনো পারবে না তাঁকে,তাঁর চেতনা এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে…।কারন বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু সমার্থক।
আগুন রঙের শিমুল
ঘাতকের বুলেট কখনো পারবে না তাঁকে,তাঁর চেতনা এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে…।কারন বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু সমার্থক।
(y) (y)
প্রজন্ম ৭১
গতকালকেই পোষ্ট পড়েছি। নিষ্ঠুরতার সব সীমা এরা অতিক্রম করে গিয়েছিলো। ভালো ভাবেই তুলে এনেছেন সব ।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাংকস পড়ার জন্য