আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকরা ক্লাসে আসেন একটা মৃত হৃতপিন্ড নিয়ে। তারা যখন ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে পড়ান তখন মনেহয় এটা ক্লাসরুম নয়, একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্ররা কথা বলতে পারবেনা, শব্দ করতে পারবেনা; এসব এখানে নিষিদ্ধ।এখানে কেবল নিষ্প্রাণ গ্রন্থ আর তথ্য-প্রযুক্তির নামে যন্ত্র নিয়ে খেলার প্রতিযোগিতা চলে। এইভাবে কি একটা শিশুর সুস্থ বিকাশ সম্ভব!? অথচ খেলাধুলার মাধ্যমে বিশেষ করে লোকক্রীড়ার মাধ্যমে যে কত দারুণ ভাবে শিক্ষালাভ সম্ভব তা যুগযুগ ধরে প্রমাণিত হয়ে আসছে। তারপরেও ‘খেলার মাধ্যমে শিক্ষা’ এই বিষয়ে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে কখনও ভাবতে দেখিনা। কোন খেলাধুলার আয়োজন করতে দেখিনা। এমন কি দেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে শিক্ষার অংশ হিসেবে বার্ষিক খেলাধুলার আয়োজন করার কথা থাকলেও নূন্যতম তাও আয়োজন করে না।
অথচ আমাদের লোকক্রীড়াগুলো এত বিচিত্র উপাদান সমৃদ্ধ যে ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। এগুলো ব্যয়বহুল তো নয়ই বরং অনায়াসেই যে কোনো স্থানে যখন-তখন আয়োজন করা সম্ভব। তাছাড়া লোকক্রীড়ায় কেবল চিত্তবিনোদন ও শরীরচর্চা নয়, বরং বুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানের চর্চা, ধৈর্যের চর্চা সর্বোপরি শিক্ষার চর্চা অনুষ্ঠিত হয়। এই মুহুর্তে আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাক্রমে লোকক্রীড়াকে অন্তর্ভুক্ত করা। এতে করে আমাদের ঐতিহ্যের যথাযথ সংরক্ষণ যেমন হবে তেমনি বহুমাত্রিক শিক্ষার প্রবেশ পথটিও উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যায়।
(এই লেখাটার আরেকটা অংশ প্রকাশ করব। তাতে, শিশুরা লোকক্রীড়ার মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষা লাভ করে তা দেখানোর চেষ্টা করব।)
চমৎকার লিখেছেন।
সুস্থ মস্তিষ্ক বিকাশে লোকক্রীড়ায় কেবল চিত্তবিনোদন ও শরীরচর্চা নয়, বরং বুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানের চর্চা, ধৈর্যের চর্চা সর্বোপরি শিক্ষার চর্চা অনুষ্ঠিত হয়। এ সবের বিকল্প কিছু নেই
সময়োপযোগী পোস্ট দিলেন। কিছু বছর আগেও বিভিন্ন স্কুল গুলোতে দেখতাম দৈনিক শরীর চর্চার পাশাপাশি বাৎসরিক খেলাধুলা সহ পিকনিকের ব্যাবস্থা করা হতো। কিন্তু এখন সেসব দেখিনা। অনেক স্কুলে বাচ্চাদের খেলার মাঠতো দূরের কথা, মোটামুটি সাইজের বারান্দাও থাকেনা।
আজকাল জাতীয় দিবস পালন হতে দেখি না। যতটা হয় অনেকাংশেই দায়সাড়া ভাবে দায়িত্ব পালন করার মত।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে “অমর একুশে” আয়োজনের মহড়া হতো। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশনায় পালন করা হতো।
আজকাল শুনিনা। প্রভাত ফেরির পর সব শেষ।
কথাটা ভাল লেগেছে-
/////লোকক্রীড়ায় কেবল চিত্তবিনোদন ও শরীরচর্চা নয়, বরং বুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানের চর্চা, ধৈর্যের চর্চা সর্বোপরি শিক্ষার চর্চা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার লিখেছেন।
সুস্থ মস্তিষ্ক বিকাশে লোকক্রীড়ায় কেবল চিত্তবিনোদন ও শরীরচর্চা নয়, বরং বুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানের চর্চা, ধৈর্যের চর্চা সর্বোপরি শিক্ষার চর্চা অনুষ্ঠিত হয়। এ সবের বিকল্প কিছু নেই
আকবর হোসেন রবিন
ধন্যবাদ আপু।
অনন্য অর্ণব
আমাদের ছেলেমেয়েরা তো আজকাল জানেই না যে জাতীয় খেলা হা ডু ডু কিভাবে খেলে?
আকবর হোসেন রবিন
হ্যাঁ, সেটাই।
কামাল উদ্দিন
আপনার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি, শুভ কামনা সব সময়।
আকবর হোসেন রবিন
ধন্যবাদ ভাই।
কামাল উদ্দিন
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
সময়োপযোগী পোস্ট দিলেন। কিছু বছর আগেও বিভিন্ন স্কুল গুলোতে দেখতাম দৈনিক শরীর চর্চার পাশাপাশি বাৎসরিক খেলাধুলা সহ পিকনিকের ব্যাবস্থা করা হতো। কিন্তু এখন সেসব দেখিনা। অনেক স্কুলে বাচ্চাদের খেলার মাঠতো দূরের কথা, মোটামুটি সাইজের বারান্দাও থাকেনা।
২য় পর্বটা লিখুন,
শুভ কামনা রবিন 🌹🌹
আকবর হোসেন রবিন
হ্যাঁ লিখব। তবে তার আগে, একটা গল্প লিখে হেমন্ত বন্দনা উৎসবে যোগ দিতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ, এটাতো ভালো কথা।
আগে তাহলে হেমন্ত-বন্দনার গল্পটি লিখুন 🙂
এস.জেড বাবু
সুন্দর চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।
আজকাল জাতীয় দিবস পালন হতে দেখি না। যতটা হয় অনেকাংশেই দায়সাড়া ভাবে দায়িত্ব পালন করার মত।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে “অমর একুশে” আয়োজনের মহড়া হতো। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশনায় পালন করা হতো।
আজকাল শুনিনা। প্রভাত ফেরির পর সব শেষ।
কথাটা ভাল লেগেছে-
/////লোকক্রীড়ায় কেবল চিত্তবিনোদন ও শরীরচর্চা নয়, বরং বুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানের চর্চা, ধৈর্যের চর্চা সর্বোপরি শিক্ষার চর্চা অনুষ্ঠিত হয়।
আকবর হোসেন রবিন
এতো সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো শিশুদের নাম্বার পাওয়ার মেশিনে পরিনত করেছে। এদের মানসিক বিকাশ শূন্য।
ভালো একটি বিষয়ের অবতারণা করে পোষ্ট লিখেছেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
আকবর হোসেন রবিন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাহবুবুল আলম
ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। ধন্যবাদ!
আকবর হোসেন রবিন
পরে আরেকটা লেখায়, শিশুরা লোকক্রীড়ার মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষা লাভ করে তা দেখানোর চেষ্টা করব।