
🇧🇩🌹মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য🇧🇩🌹( নিবন্ধ)
—————–
১৯৭১ সালে এইদিনে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালী জাতি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্জন করে।
এই বাঙালি জাতির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধা তথা সমগ্র জনসমষ্টির সার্থকতা ও গৌরবের মাস এটি। আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবদীপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছে এ মাসেই। তাই ডিসেম্বরে পা দিয়ে সবাই আমরা অনুভব করি শক্ত মাটির স্পর্শ। লাভ করি এক অনির্বচনীয় আত্মবিশ্বাস। এক অনিন্দ্য সুন্দর আত্মমর্যাদা।
নয় মাসের রক্তঝরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই গৌরব দীপ্ত বিজয় ।
সকল মুক্তিযোদ্ধা তিরিশ লক্ষ মা বোন আর বীরাঙ্গনাদেরপ্রতি গভীর শ্রদ্ধা , পুষ্পাঞ্জলী সহ দিবসটি পালন করা হয়।
এবার করোনার সংকটময় মুহূর্তে ঠিক সেই একাত্তরের বিজয় মাস এসেছে।
নিষ্ঠুর নির্যাতনে সারা পূর্ব পাকিস্তান ঐ পাক সেনাদের বর্বরতার শিকার হয়েছে ঘরে ঘরে। আজ অনেকের কাছেই তা যেন রুপকথার গল্প বলে মনে করে।
বোন হারা, ঘর বাড়ি আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছিল সবার চোখের সামনেই।
বাড়ির সব ছেলেরা মুখ ফুটে কিছুই না বলতে পেরেই গোপনে রণক্ষেত্রে চলে যায় অনেকেই জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে …
সব গাঁ যেন আপন গাঁ।
সেই একাত্তর ডিসেম্বর মাসে তীব্র শীত পড়েছিল।
সব শীত বস্ত্র উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঐ সব ছেলে, মেয়ে, আবাল বৃদ্ধ বণিতা কাউকে ওরা বাদ দেয়নি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এই জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। মাত্র কিছুসংখ্যক বিপথগামী ছাড়া সবাই এ জন্য সংগ্রাম করেছেন। সহ্য করেছেন সীমাহীন যন্ত্রণা। কিন্তু লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়সঙ্কল্প ছিলেন সবাই। তাই অতি অল্প সময়ের মধ্যে এতো বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে। বৃহৎ অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ জাতীয় উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।
এমন বৃহৎ অর্জনের পরও কিন্তু জাতি তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। মাত্র চার দশকের মধ্যেই জাতীয় ঐক্য ছিন্ন হয়েছে। জাতীয় লক্ষ্যও অস্পষ্ট হয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতির প্রাণশক্তি আজ ক্ষয়িষ্ণু। দুর্যোগে অনেকটা ম্রিয়মাণ। জাতিশক্তির যে অমিত তেজ বিন্ধ্যাচল টলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল, তা অনেকটা চলৎশক্তিহীন, নিশ্চল। কিন্তু কেন এমন হলো?
সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু কথা প্রচলিত হয়েছে। ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি’ তেমনি একটি বাক্যাংশ। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ তেমনি আরেকটি। জোড়েশোড়ে প্রচারিত হচ্ছে একটি বিশেষ মহল থেকে। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে। ডিসেম্বর মাসে এসবের প্রচার যেন আরেকটু বেশি। সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন ইদানীং অনেকেই দেখেন না। যারা মাঝে মধ্যে খোলেন তাদের কান ঝালাপালা এ ধরনের অপপ্রচারে। কিন্তু কেন এই অপপ্রচার? ‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি’ না হয় এই প্রচারকরাই, কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষে তো কোনো শক্তি ছিল না। তখনো ছিল না, এখনো নেই। তখন কিছুসংখ্যক চিহ্নিত ঘৃণ্য নরাধম মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল বটে, কিন্তু ‘শক্তি’ বলতে যা বোঝায় তা তখনো ছিল না। ওইসব বিভ্রান্ত, স্বার্থপর, পলায়নপর, কাপুরুষদের ‘স্বাধীনতার বিপক্ষে শক্তি’ বলে তখন কেউ তাদের চিহ্নিত করেননি।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ সম্পর্কেও একই কথা। এতো কোনো ব্যক্তির চেতনা নয়, নয় কোনো গোষ্ঠীর চেতনা। নয় কোনো দলের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়েছিল সমগ্র জাতি, ধর্ম-বর্ণ-বিশ্বাস নির্বিশেষে। এই চেতনা আত্মপ্রতিষ্ঠার। আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মবিশ্বাসের। মর্যাদাসম্পন্ন জীবনব্যবস্থার। বলিষ্ঠ জীবনবোধের। ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা’ যা ১০ এপ্রিলে ঘোষিত ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সনদের মূলকথা, যা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণে উদ্বুদ্ধ করে।
এখন সেই চেতনা বিকৃতির কবলে পড়েছে। কোনো কোনো প্রচারক বলে থাকেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না। মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী হতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অধিকারী হতে হলে বিশেষ গোষ্ঠী বা বিশেষ দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হবে। এসব কারণে তাদের মতে, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি, কেননা সেই বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের অন্তর্ভুক্ত তারা হতে পারেননি।
ইতিহাস সচেতনতা আমাদের তেমন প্রখর নয়। স্মৃতির ধারণক্ষমতাও তেমন সুদৃঢ় নয়। এসব কারণে মাঝে মধ্যে ভীতসন্ত্রস্ত হই। সিরাজউদ্দৌলা বিদেশি বেনিয়াদের যতোটুকু ঘৃণা করতেন, মীর কাসেমের ঘৃণাও ছিল তেমনি। কিন্তু ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ যে সম্ভব নয়, তা অনুধাবনে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য ছিল আকাশ-পাতাল। এ জন্য দু’জনকেই পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই নিঃশেষ হতে হয়। কেউ পাননি বিজয়ের আস্বাদ। আমরা কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরকে ধরে রাখতে চাই।
বিজয় দিবসের মূল তাৎপর্য হলো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভাবনাকে ধারণ করা এবং অগ্রগতির শতপথকে নির্বিঘ্নে করে তোলা, যেন কোনো অপরিণামদর্শী চিন্তা বা উচ্চরণ বা কর্মজাতীয় ঐক্যে ভাঙন ধরাতে সক্ষম না হয়। বিজয় দিবসের তাৎপর্য হলো এই ঐতিহাসিক বিজয়কে দেশের বৃহত্তর জনসমষ্টির কাছে অর্থপূর্ণ করে তোলা। প্রতি মুহূর্তে স্মরণ রাখা প্রয়োজন, এই বিজয় সমগ্র জাতির বিজয়।…..🇧🇩
এই বিজয় দিবস আমাদের জন্য অতি আনন্দ আর গৌরবের দিন হলেও এর সাথে জড়িত আছে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের , আর হারিয়ে যাওয়া স্বজনের আর্তনাদ, ও যুদ্ধাহত , ঘরহারা আসল মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ বিউগলের সুরের দীর্ঘশ্বাস।
এই মাস আমাদের বাঙ্গালীদের চেতনার ও দেশ প্রেমের উজ্জীবিত একটি বিশেষ দিন।
তাই এই নব প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই তারা যেন নতুন করে সঠিক পথে ইতিহাস পড়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলে সুন্দর একটি সবুজের সমারোহ কাননের ফুল ফোঁটার সুখের বসতি স্থাপন করতে।
এই তো মোক্ষম সময় তাদের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করার আর তরুণদের মনে প্রাণে মাতৃভূমির সম্মান রক্ষা করার।
— যেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলতে পারে “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” ….🇧🇩
—- এখন এসব স্বপ্ন কথা, দূরের শোনা গল্প,
তখন সত্যি মানুষ ছিলাম এখন আছি অল্প ‘( কবি আসাদ চৌধুরী)( এই দুই লাইন আসাদ স্যারের লেখা)। আরও সহযোগিতা করেছেন কিছুটা আমার একজন সিনিয়র আপা।
বিঃ দ্রঃ–সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সহ সালাম।দীর্ঘ বিরতির পরে হাজির হলাম। মহামারীর এই দোলাচলে কে , কখন, কোথায় কিভাবে চলে যাই কেউই আমরা জানিনা।শুধুই নিয়ম মেনে চলা,সচেতনতার পথ অবল্মবন করা।শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় তিনজন মারা গিয়েছেন।আম্মা এখনো ঠিক হন নি, দুই ভাই হাসপাতালে, ছেলেটিও অসুস্থ।মৃত্যুর মিছিলে আমিও সামিল হতে পারি।দোয়া করা ছাড়া কোনো ভাষাই নেই।মহান আল্লাহ পাক সবাইকে যেন ভাল থাকার তৌফিক দান করেন। — আমীন।
২২টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
বাস্তবতা ও যথার্থ প্রকাশ।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
উর্বশী
ফয়জুল মহী,
বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা রইলো।
ভাল ও সুস্থ থেকো।
আরজু মুক্তা
প্রথমেই আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি। মহান আল্লাহ সবকিছু থেকে রক্ষা করুন।
বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ নিতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের মর্ম বুঝতে হবে।
বিজয়ের লাল সবুজ শুভেচ্ছা।
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
সহমত পোষণ করছি। বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা সহ ভালোবাসা। ভাল থাকু এই শুভ কামনা করছি।
আল্লাহ পাক সকলেরসহায় হোক।—- আমীন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার পুরো পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি আপু। আপনার চমৎকার লেখনীতে মুগ্ধ হলাম। স্বাধীনতার সুফল সবাই পেতে চেয়েছিল কিছু সংখ্যক ছাড়া। যেকোনো কিছুর পক্ষ বিপক্ষ থাকবেই তখনও ছিল। অনেকেই ভাবতে পারেনি বাঙালি শক্তিশালী পাকিস্তানীদের বিপক্ষে বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ জয় করতে পারবে এতো দৃঢ়, সাহসী হয়ে ।
সেটা আমাদের জাতি করে দেখিয়েছিল কিন্তু আজ সেই স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। কেন এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা বিফলে যাবে কারো স্বার্থের জন্য? যুদ্ধ তো ঘরে বাইরে সবাই করেছে তবুও কেন এতো দ্বিধা দ্বন্দ্ব কে যুদ্ধ করেছে , কে করেনি?
উর্বশী
সুপর্না ফাল্গুনী আপু,
সহমত পোষণ করছি। বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা সহ ভালোবাসা। ভাল থাকুন।আল্লাহ পাক সকলের সহায় হোক।— আমীন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
গঠনমূলক লেখনী।
.
আপনার পুরো পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সকলের সুস্থতা কামনা করি। সকলে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
.
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, দিদি ❤️
উর্বশী
প্রদীপ চক্রবর্তী ,
বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা। আল্লাহ পাক সকলের সহায় হোক। —- আমীন। ভাল থাকুন।
তৌহিদ
মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সম্মান আমরা ধরে রাখতে পারিনি। আমরা বিজয় পেয়েছি কিন্তু বিজয়ের হাসি হাসতে পারিনা।এর দায় আসলে সকলের। এই দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি নিপাত যাক।
চমৎকার লিখেছেন আপু। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
উর্বশী
তোহিদ ভাইয়া,
সহমত পোষণ করছি।
বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা সহ সালাম। ভাল থাকুন।আল্লাহ পাক সকলের সহায় হোক। —- আমীন।
জিসান শা ইকরাম
ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
আসলে বিভক্তিটা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পরেই। নিজের চোখেই দেখেছি পরিবর্তন। ১৫ আগষ্টের পরেই রাস্তায় মিছিল করেছে পালিয়ে থাকা রাজাকার, আলবদর, শান্তি কমিটির লোকজন। যারা ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের পরে তাদের কৃত কর্মের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিল। ১৫ আগষ্টের পরে এদের রাষ্ট্রীয় ভাবেই পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ৭১ এর ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের যে স্থানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান শিশু পার্কের টয়লেট ঠিক সে স্থানেই নির্মান করেছেন। পাকিস্থানী সেনাবাহিনী রেসকোর্সের যে স্থানে আত্মসমর্পন করেছিল, সে স্থানেই নির্মান করেছেন শিশু পার্ক।
আটশত সাজাপ্রাপ্ত রজাকার, আলবদরকে কোনো অধ্যাদেশ ব্যতীতই মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন। সারাদেশের বিরংগনাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। এমনি ভাবে ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি গুলোকে নিজের ক্ষমতার জন্য প্রশ্রয় দিয়েছেন। ১৯৭৫ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত এই সব দেশ বিরোধীরা আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়েছে। ২১ বছরে তাদের শিকড় মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে তারা শক্তি অর্জন করেছে। এরাই মুলত এখনো দেশের শত্রু। এই দেশকে এখনো মেনে নিতে পারেনি।
ভালো লেগেছে লেখা।
বিজয়ের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
শুভ কামনা।
উর্বশী
জিসান শা ইকরাম ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অনেক কিছু আরও জানা হলো।মুক্তিযুদ্ধের কথা তেমন কিছুই মনে পড়েনা।আম্মা, আব্বা,বড় ভাই,সিনেমা,নাটক,বই, বিভিন্ন পত্রিকা, বিশেষ করে বংগবন্ধুর ভাষণ শুনে সব ধারন করা। সুযোগ হলেই সত্যি ঘটনাবলীর কথা শুনতাম। সঠিক ইতিহাস মুছে না যাওয়া ই উচিৎ। নিজেদের জাহির করার প্রবনতাটাই সবকিছু অর্থহীন করে তোলার চেষ্টা। এই জিনিস কে ঠেকানোর জন্য যে মহত্ত্ব দরকার সেটা দেখা যায়না।
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। স্বাধীন দেশ হলেও রেশারেশির বেড়াজালে পড়ে স্বতঃস্ফূর্ত তা নেই তেমন কোনো কাজে।যারা মহত্ত্ব দেখানোর মানষিকতা রাখেন, তারা কখনোই সুযোগ পান না। আর যারা সুযোগ পেয়ে আসেন,তারা নিজেরা ব্যাক্তিগত আখের গুছিয়েই সময় পার করেন। আপনি ও অনেক ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
ভাল ও সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।অফুরান শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
সামওয়্যার বগ্লে নুরুল ইসলাম নামে একজন বগ্লার লিখেছেন রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারে পালিয়ে যে দেশ ছেড়েছেন আর দেশে আসার ইচ্ছাই হয়নি । এই লোক একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র ইউনিয়েনের তখনকার কুষ্টিয়া জেলার সাঃ সম্পাদক। বর্তমানে কানাডায় আছেন।
উর্বশী
ফয়জুল মহী,
খুবঅই দুঃ খ জনক ঘটনা। দেশেই আসতে পারলেন না।
পদ এবং পদবী যে সব সময় সঠিক কাজ এলো মেলো করে দেয়, তার প্রমান তিনি নিজেই।
ভাল ও সুস্থ থেকো।
সাবিনা ইয়াসমিন
খুব বেশি কিছু বলার নেই আসলে, আপনার লেখাটিতে বিজয়ের তাৎপর্য সম্পূর্ণ ভাবেই উপস্থাপিত হয়েছে। স্বাধীনতার মাত্র ৪৯ বছরের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এতবার পরিবর্তন এসেছে যে, যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জন্মেছি তারা প্রকৃত ইতিহাস জানতে চাইলে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। নিজের কথা যদি বলি, আমি ছোটবেলা থেকে পাঠ্যবই পড়ে জেনে এসেছি স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান। কিন্তু এখন পড়ছি ভিন্ন ইতিহাস। একটি জাতি কীভাবে নিজ রাষ্ট্রের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে দেয় ভেবে পাই না। স্বাধীনতা, যুদ্ধ, ত্যাগ এসব কোন একক দলীয় বা ধর্মীয় বিশ্বাসে আবদ্ধ হয়ে থাকার জিনিস নয়। দল মত বর্ণ ধর্ম সব কিছুর উর্ধ্বে তার মর্যাদা দিতে হয়, তবেই প্রকৃত স্বাধীনতার আস্বাদ পাওয়া যায়।
ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে নিতে হবে। যেকোনো বৃহৎ অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ জাতীয় উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।
চমৎকার পোস্ট। আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রতি সৃষ্টিকর্তা সহায় হোন। শুভ কামনা 🌹🌹
উর্বশী
সাবিনা ইয়াসমিন আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আসলে মুক্তি যুদ্ধের আগে জন্মালেও আমি এত ছোট ছিলাম কিছুই মনে পড়েনা। আম্মা, আব্বা ও বড় ভাইয়ের কাছে সত্যি ঘটনা শুনে,সিনেমা, নাটক দেখে,বিভিন্ন বই, পত্রিকা পড়ে আর বংগবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনেই বলতে গেলে ধারন করা।
আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। উদ্যোগ নেয়ার মত মানুষ এবং সেই মানষিকতাই তো কারো নেই।
সঠিক ইতিহাস অজানাতে রেখে যদি নিজেদের জাহির করার পায়তারায় লিপ্ত থাকা হয়,সেখানে আমরা সাধারণ মানুষ হিসাবে কষ্ট পাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আর এসব কারনেই পরিবারে চারজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও কাউকে প্রকাশ করিনা খুব একটা।
ভাবছি এই বিষয়ের উপর কিছু লেখা দিব।
অনেক ভাল ও সুস্থ থাকুন,নিরাপদে থাকুন,অফুরান ভালোবাসা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
মূল্যবান উপস্থাপন।
প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতার ইতিহাস জানা উচিত।
নইলে বাঙালী হিসেবে জীবন অপূর্ণ থেকে যাবে।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা রেখে গেলাম একরাশ।
উর্বশী
বোরহানুল ইসলাম লিটন,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। আশা করি সব সময় পাশেই পাবো।ভাল ও সুস্থ থাকুন,নিরাপদে থাকুন।অফুরান শুভ কামনা।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
সত্যি বিজয়ের তাৎপর্য অপরিসীম
শুভকামনা রইল সতত প্রিয়
উর্বশী
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব,
বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ। সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আশা করি সব সময় পাশেই পাবো।ভাল থাকুন,সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
বিজয় দিবসের অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু
উর্বশী
আলমগীর সরকার লিটন ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা সহ সালাম।
সোনেলা থেকে দূরেই ছিলাম,অনেক ঝড় ঝামেলায় ছিলাম।
ভাল থাকুন।