বিজ্ঞানী রাতুল ১
রাতুল একটা ছোট্ট ছেলে । বয়স আট বছর । রাতুলের বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মা ডাক্তার । মা বাবা দুজনেই খুব ব্যাস্ত হওয়ার ওর সবচেয়ে বেশী সময় কাটে কম্পিউটারের সাথে । কম্পিউটার ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু । রাতুলের ইচ্ছা বড় হয়ে সে বিজ্ঞানী হবে । স্কুলে ওর তেমন বন্ধু নেই শুধু অনিক ওর একমাত্র কাছের বন্ধু । অনিক ওদের পাশের ফ্লাটে থাকে সেই সুত্রেই ওদের পরিচয় । তবে চরিত্রের দিক থেকে রাতুল আর অনিক একদম আলাদা । রাতুল অন্য সবার তুলনায় একটু আলাদা ওর কথাবার্তা বড়দের মত গুরুগম্ভীর । কথা খুব কম বলে যতটুকু বলে সেটা যুক্তিপূর্ণ । এজন্য রাতুলের সাথে সবাই কথা কম বলে এমনকি শিক্ষকরাও । এদিকে অনিক অন্যদের তুলনায় একটা গোবেচারা টাইপের । এমন দু জনের বন্ধুত্ব কিভাবে হল এটা ভাববার বিষয় ।
এবার চলুন ঘুরে আসি অনিকদের ক্রিকেট খেলার মাঠ থেকে । এতক্ষণ খেলা চলছিল । বলটা হঠাৎ বাউন্ডারি পার হয়ে হারিয়ে গিয়েছে ।
অনিক:
তুই তো অনেক কিছু আবিষ্কার করিস । এমন একটা সিষ্টেম আবিষ্কার করে দে না , যেটা দিয়ে আমাদের হারানো বল টা সহজেই পাওয়া যাবে ।
রাতুল:
বাদ দে এসব ছোট খাট বিষয় নিয়ে আমি গবেষণা করি না । তাছাড়া তুই তো জানিস সময় নষ্ট করা আমার পছন্দ নয় ।
বলিস কি আমাদের জন্য এতটুকু সময় তুই দিতে পারবি না ??
দাঁড়া একটু অপেক্ষা কর
হ্যাঁ আমি এই সিষ্টেম টা তৈরি করে দিতে পারি তবে এর জন্য খরচ হতে পারে ৬ ডলার মানে পাঁচশো টাকার মত । তোরা রাজি থাকলে একটা এগ্রিমেন্ট মেইল করিস ।
দূর এতটাকা আমরা কই পাব ?
তাঁরচেয়ে চল্লিশ টাকা দিয়ে আরেকটা বল কেনা ভাল ।
ঠিক আছে ভালটাই কর । আমি গেলাম কারেন্ট চলে এসেছে । এখানে বসে আর সময় নষ্ট করা যাবে না ।
পরদিন বিকালে
রাতুল:
কি বন্ধুরা আজ খেলা বন্ধ ।
অনিক :
হুম নতুন বল কেনা হয়নি ।
চলবে…………
৬টি মন্তব্য
স্বপ্ন
ভাল লেগেছে রাতুল ভাই । ঈদ মোবারক।
সঞ্জয় কুমার
ঈদ মোবারক । আপনার ঈদ কেমন কাটল?
শুন্য শুন্যালয়
বিজ্ঞানী রাতুল কি করবে এরপর? আমি তো টেনশনে আছি। ২ দিন তারাতারি।
সঞ্জয় কুমার
অনেক কিছুই করবে । সাথে থাকুন আর উপভোগ করুন ।
জিসান শা ইকরাম
চলুক ——
বিজ্ঞানী রাতুলের আবিষ্কার দেখার অপেক্ষায় —
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই চলবে ধন্যবাদ