কেমন বিষন্নতা ঝুলে আছে বাতাসে
ভাদ্র মাসের বৃষ্টি শেষে ধোঁয়া ধোঁয়া চারপাশ
নদীর জলে হাত বুলানো হিজল গাছটাও কেমন থম মেরে আছে
আসা-যাওয়ার পথে যে মাছরাঙ্গা পাখিটাকে দেখতাম রোজ
ইলেক্ট্রিকের তাঁরে দোল খাচ্ছে, তীক্ষ্ণ চোখ জলে রেখে
তাকেও দেখিনা বেশ কিছুদিন হল
হয়ত চলে গেছে কোন কিছুর আশংকায়
দু’পাশ দিয়ে মানুষ যাচ্ছে , মানুষ আসছে
কারও কথা বলা বা হাসির শব্দ পাচ্ছিনা
সেসব বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগেই
সবাই শংকিত, সবাই এখন সন্দেহপ্রবণ
বার বার মাথা ঘুড়িয়ে চারপাশ দেখে নিচ্ছে
পিছন পিছন যে বন্ধুটি আসছে, সে তাকে হত্যা করবে না তো!!
সবাই এখন মৃত্যুর অপেক্ষায়…
সবাই এখন এক সামগ্রিক বিষণ্ণতায় ডুবে আছে
মানুষগুলো ভুলে গেছে গান গাইতে, হাসতে বা কথা কইতে
আতঙ্কিত চোখ কিছুতেই বন্ধ হতে চায় না
চোখ বুঝলেই শুধু চোখে ভেসে উঠে
সৈকতে ভরা ভাঙ্গা খেলনা আর শিশুর লাশ
রক্তাক্ত ফুল, চাপাতি হাতে হায়েনার হাসি…
তবুও কেউ মুখ খুলে না
মৃত্যুর অপেক্ষা করে আরে ভাবতে থাকে বেঁচে থাকাটাই স্বপ্নের মত ………
৩টি মন্তব্য
অরুণিমা
শেষ দুই লাইনের হতাশা আমারো।
ইমন
তবুও কেউ মুখ খুলে না …….. 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ধন্যবাদ জানাই ঈশ্বরকে আরেকটি দিন দেয়ার জন্যে।
স্বপ্নদের আশা পূরণ করতে পারবো এই ভেবে।
কবিতায় মুগ্ধতা। 🙂