জীবনে অনেকগুলো সময়ের গল্প চলতি জীবনকে আগলে রাখে। সে আমরা ভাবনায় শুধু নয় আবেগ-অনুভূতির প্রতিটি পলে রাখি। আর তাইতো আলো-ছায়ার মতো দুলে দুলে চলতে থাকে বেঁচে থাকার গল্প। ১৯৭১ সাল, ১২ মার্চ তারিখ। মুক্তিযুদ্ধের উন্মাতাল সময়। ঠিক সেই উত্তাল মার্চে বরিশাল শহরের কালিবাড়ী রোডের একটি বাড়ীতে মীরা নামের মেয়েটির বিয়ের আয়োজন। আর সুদূর সিলেট থেকে তিনদিনের লম্বা জার্নি করে আসা বরের নাম করুণাময়। এই দুজন মানুষ আমার জীবনের প্রতিটি সময়ে পাশে থেকেছে। তাদের পরিচয়ে পরিচিত হয়েছি, আমি তাদেরই সন্তান।
বাপি-মামনি প্রতিটি মুহূর্তে আছো এই মনে। পারছিনা কিছু লিখতে আর।
শুভ বিয়েবার্ষিকী।
আমার বাপি-মামনির দ্বৈত যে গানটি শুনে বড়ো হয়েছি, সেটা নিয়ে ভিডিও তৈরী করেছি। তারই লিঙ্ক দিলাম সকল বন্ধুদের জন্যে। তাঁদের দুজনের জন্যে প্রার্থনা করবেন যেনো সুস্থতার সাথে আরোও পথ পরিক্রমা করতে পারে দুজনে।
“সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে”
৪৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বাবা মা আর আর শত শত বছর থাকুক এধরায় সুস্থ ও ভালসুন্দর ভাবে একামনা করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই আমার আত্মা ওরা। আমি জানিয়ে দেবো আপনার দেয়া এ শুভাশীষ।
অনিকেত নন্দিনী
শুভ বিয়েবার্ষিকী।
সুস্থতার সাথে আরো অনেক অনেক পথ পরিক্রমা করুন দুজনে। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি আমি মামনিকে পড়ে শুনিয়েছি আপনাদের সবার মন্তব্য। খুব খুশী। -{@
শুন্য শুন্যালয়
১৯৭১ সাল, ১২ই মার্চ। উহ্ কি ভয়ংকর আনন্দ আর বিষাদে পাশে থেকেছে দুজন। আরো পাড়ি দিক অনেক অনেক বছর এইভাবে দুলে দুলে বনে।
ভিডিওটা সুন্দর হয়েছে আপু। মনে আছে, কাবাব মে হাড্ডি হয়ে তুমি দুজনের মাঝে বসে এই গান শুনতে। তোমার মত বকাটেও কিছু লিখতে পারছেনা, তাতেই আবেগ বোঝা যাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইলো তাদের জন্য। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি কি জানো মামনিকে তোমার মন্তব্য পড়ে শোনানোর পর হাসতে হাসতে শেষ।
বললাম এতো যে হাসছো, তার মানে শুন্য আপু সত্যি বলেছে? বললো “তুই হাড্ডি হয়ে ছিলি, কি করে বুঝলো মেয়েটা?”
তুমি আপু অনেক রাগ উঠিয়েছো আজ আমার। :@ :@
শুন্য শুন্যালয়
😀 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আবার দাঁত কেলিয়ে হাসা হচ্ছে :@ :@
জিসান শা ইকরাম
৪৫ তম বিবাহ বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন -{@
মীরা, করুণাময় এভাবেই থাকুক ভালোবাসার মাঝে দুজনে দুজনার হয়ে।
ভিডিওটি খুবই সুন্দর হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা মামনি বলেছে “আমার বাবাকে বলিস মেয়ের খবর নিতে।”
তুমি তোমার মেয়ের খবর নাও না কেন? তুমি পঁচা বাবা। কিন্তু ভালো নানা। 😀
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা খবর নেবো এখন হতে। ভাল নানা হবার সাথে সাথে ভাল বাবাও হতে চাই 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো নানা নাকি তুমি? 😮
কে বললো? ;?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ওম্মা! মাসী আর মেসো!!
শুভ বিবাহবার্ষিকী। সুবর্ণজয়ন্তী সুন্দরভাবে পার হোক, হীরকজয়ন্তীও সুস্থ শরীরে পার হোক আর প্রার্থনা রইলো সুস্থভাবে বাকী জীবনটা দু’জনে দু’জনার হয়ে কাটিয়ে দিক।
-{@ -{@ শুভেচ্ছা দু’জনকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু খুব আশায় আছি সামনের বছর তাদের এই দিনটি আমার এখানে পালিত হবার। জানিনা সম্ভব কিনা! তবে সদিচ্ছা অপূর্ণ থাকেনা।
ভালো থাকুন আপু।
খসড়া
বাবা মা অনেক অনেক দিন আমাদের মাঝে থাকুন। ভাল থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আপনার এই প্রার্থনা যেনো ঈশ্বর পূর্ণ করেন।
ভালো থাকুন আপনিও।
অরুনি মায়া
কতটা সময় দুটি মানুষ শুধু দুজন দুজনার হয়ে কাটিয়ে দিল। সুখ দু:খের সাথি হয়ে হাতে হাত রেখে আজও তারা প্রেমের কাব্য রচনা করে চলেছেন। এভাবেই ভাল থাকুন তারা শতবর্ষ পূর্তিতেও।
ভিডিও টা দেখে কেন যেন চোখ ভিজে গেল। কেন যেন অন্য ভাবনা খেলে গেল মনে।
হুম এই পৃথিবীরর সবাই নি:সঙ্গ নয়।
আপু তোমার বাপি মামনির জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল (3
অরুনি মায়া
প্রথম ছবিটি অসাধারণ। চোখে লেগে আছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কোন ছবির কথা বলছো? ভিডিওতে প্রথম ছবি নাকি লেখার শুরুতে দেয়া ছবি?
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই আপু এতো সুন্দর বন্ধন। দুজনার প্রতি দুজনার এতো সম্মান-শ্রদ্ধা আমি খুব কম দেখেছি কোনো দম্পত্তির মধ্যে। মনে পড়েনা কখনো তাঁদের দুজনার মধ্যে কখনো কোনোসময় ঝগড়া/কলহ হয়েছিলো কিনা!
এই মানুষ দুজন আমার আশ্রয়ের জায়গা এখনও।
প্রার্থনা করো যেনো এই আশ্রয়কে আমি আমার আরোও কাছে, চোখের সামনে নিয়ে আসতে পারি।
ভালো থেকো আপু।
অরুনি মায়া
লেখার শুরুর ছবিটার কথা বলছি আপু। সাদা কালো।খুব সুন্দর।
অবশ্যই দোওয়া রইল আপু, তোমার বাবা মা যেন তোমার কাছে চলে আসেন। যেন তোমার সাথেই বাকি জীবন থাকেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ আচ্ছা। ছবিটা তোলার দৃশ্য এখনও চোখে ভাসে। তখনও স্কুলে ভর্তি হইনি। পর্দা সরিয়ে উঁকি দিচ্ছিলাম। ফটোগ্রাফার কাকু সরে যেতে বললো। আমি পর্দা টেনে দিলেও পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম 😀
ইলিয়াস মাসুদ
খুব খুব শুভ কামনা রইল তাঁদের প্রতি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ইলিয়াস মাসুদ।
নাসির সারওয়ার
শুভ কামনা ওনাদের জন্য।
“বরিশাল শহরের কালিবাড়ী রোড”, কেমন জানি চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ আমার দাদু/নানার নাম প্রফুল্ল কুমার দাস।
বরিশাল শহরে আমার ছোট বোনের শ্বশুরবাড়ীও।
শহরটি আমার অনেক আপন আমার আনন্দ কবির বাড়ী ওখানে, আর প্রিয় ধানসিঁড়িও।
নাসির সারওয়ার
আপনি দেশে আসলে না হয় একসাথেই বেড়াতে যাবো ধানসিঁড়িতে !!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ অবশ্যই। দেশে এলে ওভাবে যদি সময় তৈরী করতে পারি, যাবোই।
আবু খায়ের আনিছ
প্রথম ছবির নিচে সেদিন দুজনে লেখাটা দেখেই গানটা আওড়ে উঠেছিলাম, নিচেই দেখি গানটা সহই দেওয়া আছে।
শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া এই গানটি খুব সুন্দর গাইতো আমার বাপি-মামনি। শমশেরনগর বাজারের এক কাকু ওদের দুজনের গান এসে রেকর্ড করে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সেই যুগের ক্যাসেটটা আর পাইনি।
আবু খায়ের আনিছ
পাইলে ভালো হত, আমরাও শুনতে পেতাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া এখন তো আর গাইতেই পারেনা বাপি-মামনি।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমের সেই দিনের মতই বাঁচুন তাঁরা এই কামনা করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার এই শুভ কামনা শুভ হোক তাদের দুজনার জীবনে।
মৌনতা রিতু
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো বাবা মায়ের জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ধন্যবাদ মৌনতা।
রিমি রুম্মান
গোটা একটা জীবন দু’জন দু’জনার হয়ে পার করে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
শুভেচ্ছা , ভালোবাসা উনাদের জন্যে।
প্রার্থনা করি, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকুক জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু তোমার এই প্রার্থনা ঈশ্বর যেনো শোনেন।
ভালো থেকো আপু।
অপার্থিব
মীরা ও করুণাময় জুটি হিসেবে নাম দুটো আমার খুব পছন্দ হয়েছে। সম্ভব হলে বিয়ের গল্প বিস্তারিত ভাবে লিখে ফেলুন।৪৫ তম বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে লিখবো সময় করে।
এভাবে বলেছেন মনে রাখলাম যত্ন করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
৪৫ তম বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনার বাবা মা কে -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তা আপনার লেখা পাচ্ছিনা কেন? :@
ব্লগার সজীব
লেখা সংকট চলছে দিদি 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ফুউউউউউউউউউউ
লেখা সঙ্কট কাটুক। “হে ভগবান, একটা লেখা যাস পেটে ওর ঢুকে” :p 😀