
জরুরীঃ— প্রকৃতির বিচিত্র রুপকে আমরা ভালোবাসি। মৃত্যু চিরন্তন সত্যি,তবুও তাকে আমরা আলিংগন করতে সহসা চাইনা।প্রকৃতির কোনো ভালোবাসা যদি মৃত্যুর কারণ হয়ে যায়, তখন আমাদের কি করনীয়? আর সে সম্পর্কে কিছু আবার জানার চেষ্টা করি।কম বেশী কিছু জিনিস সকলেই জানি,আসুন আর একবার সকলে চোখ বুলিয়ে নেই।সাধারণত এই সময়ে বজ্রপাত হয়ে থাকে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।
৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।।।
বিঃ দ্রঃ—- শ্রদ্ধেয় লেখক– লেখিকা গন, পাঠক — পাঠিকা গন আপনাদের আরও কিছু জানা থাকলে কমেন্টে বলে দিবেন প্লিজ সকলের উপকার হবে। যে কোনো সময়েই আমরা বিপদের সমুক্ষীন হতে পারি,রাস্তার পাশে থাকা বিলবোর্ড গুলোও আজকাল নিরাপদ মনে হয়না। হয়তো অনেকেই দেখেছেন অফিস ফেরত মটর সাইকেল আরোহীর বিলবোর্ড উড়ে এসে মাথায় পড়ে জায়গাতেই করুন মৃত্যু। প্রচুর ঝড় বৃষ্টি ছিল। আসুন সকলে যত্নে ও নিরাপদে থাকি, অন্যকেও ভাল থাকার সহযোগিতা করি।সকলের জন্য অফুরান শুভ কামনা।
১৮টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
জন সচেতনতা মূলক পোস্ট। এখন তো বর্জপাতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দূর্যোগ বলা হচ্ছে। নিশ্চয় সবাই পোস্টটা পড়বে এবং সচেতন হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ এরকম একটি জন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেয়ার জন্য।
শুভ সকাল। শুভ কামনা সবসময়
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আশা করছি সবাই পড়বে এবং অজানা থাকলে জেনে যাবেন।কম বেশী সবাই জানি,তবুও জানতে দোষ নেই তো।
অফুরান শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখানে দিলেন বলেই এমন সব সতর্কতা জানতে পারলাম।
বজ্রপাতে নিয়মিত মৃত্যুর খবর পাচ্ছি।
উর্বশী
ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।
সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সঠিক বলেছেন প্রায়ই মৃত্যূর খবর শোনা যায়। সাবধানে থাকার চেষ্টা করি সকলে মিলে আল্লাহ পাক সহায় হবেন।
ভাল থাকুন,অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
হালিমা আক্তার
খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। গত কয়েক বছর যাবত বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। সবাইকে সচেতন করা গেলে মৃত্যুর হার কমবে। আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন। শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
উর্বশী
হালিমা আক্তার আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সঠিক বলেছেন।নিজেদেরই সচেতন হতে হবে সম্মিলিত ভাবে। আল্লাহ পাক আমাদের সহায় হবেন।ভাল থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ উর্বশী আপু, খুব প্রয়োজনীয় সচতন্মুলক পোষ্ট। আন্তরিক ধন্যবাদ।
উর্বশী
মোঃ মজিবর রহমান ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।
সকলে মিলে সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে ভাইয়া। বাকি তো আল্লাহ ভরসা। খুব ভাল থাকুন অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনীয় পোস্ট দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। কেমন আছেন? অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম।
উর্বশী
সুপর্না ফাল্গুনী আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আলহামদুলিল্লাহ, আছি এক রকম,পুরোপুরি সুস্থতা লাভ করতে পারিনি। চেষ্টা করছি ভাল থাকার। আম্মা না ফেরার দেশে চলে যাওয়াতে জীবনের মোড় ঘুরে গেল মনে হয়। দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যাই। অফুরান শুভ কামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
সময়োপযোগী পোস্ট, সবাইকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
ইদানিং বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা খুবই বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুভ কামনা।
উর্বশী
জিসান শা ইকরাম ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।
সঠিক বলেছেন করোনার পাশাপাশি বজ্রপাতে মৃত্যূর কথা শোনা যায়। খুব ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
ফয়জুল মহী
জনগুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট শেয়ার করলে।
সচেতন হওয়া দরকার ।
উর্বশী
ফয়জুল মহী,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আসোলেই সচেতন হওয়া জরুরী আমাদের সবার।নিত্য প্রয়োজনে ঘরের বাইরে কম বেশী অথবা প্রতিদিন ই যেতে হয় আমাদের।সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ সকলের।খুব ভাল থেকো, শুভ কামনা সব সময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা অনেকেই জানি না কি করা উচিত। প্রয়োজন সবার জানার। বনযায় যতগুলো মারা না যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় বজ্রপাতে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপু।
উর্বশী
রোকসানা খন্দকার রুকু আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ ভালোবাসা রইলো।
সঠিক বলেছেন, দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে ভুল করে বসি।কিছুটা জানা থাকলে সাধারণ ভুল গুলো হয়না বললেই চলে। জানতে এবং প্রয়োজনে মানতে দোষ নেই তো আপু তাইনা? খুব ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
হালিম নজরুল
চমৎকার সচেতনতার পোস্ট, ধন্যবাদ আপা।
উর্বশী
হালিম নজরুল ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ব্যস্ত মানুষ,তবুও সময় করে পড়ার জন্য অফুরান শুভ কামনা, ভাল থাকুন সব সময়।