
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক করলাম বই মেলায় যাবো। কিন্তু চাইলেইতো যাওয়া হয় না। যাওয়া যায়ও না। ঘরের কাজ শেষ করে বের হতে হবে। মনে মনে কাজ আর টাইম সেট করে নিলাম। দুই ঘন্টা পরের কাজ আগে শেষ করে বাকি কাজ পরে করার সময় বের করতে করতে বেলা এগারোটা বেজে গেলো।
ইচ্ছে ছিলো বইমেলায় সাজুগুজু করে যাওয়ার। সুতি শাড়ি, গলায় কানে সুতায় বোনা অলংকার, হাতে সুতোর কাজ করা চুড়ি, আঙ্গুলে সুতোর আংটি, পায়ে সুতার নকশা করা স্যান্ডেল আর পাটের সুতার তৈরী হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে একদম সুতলীবালা হয়ে মেলায় গিয়ে সেল্ফি-কুলফি তুলবো। অনেকদিন হলো ফেইসবুকে নতুন প্রোফাইল এ্যাড করিনি। ছবি তুলে ফেবুতে দিবো। কিন্তু সময় আমাকে সময় দিতে চায় না, তাই সাজুগুজুর চিন্তা বাদ দিয়ে আমার ইউনিফর্ম পড়ে কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে সোজা গিয়ে হাজির হলাম মেলায়। আহা ! কতকিছু যে দেখার আছে এখানে ! কিছুদিন আগেই একজন বেশ রসে-কসে বলেছিলেন এখানে বই ছাড়াও অনেক কিছুর দেখা মেলে। এইবার আমার চোখেও কিছু কিছু দেখা দিলো।
প্রিয় মানুষদের বই সংগ্রহের টেনশন আর সময় স্বল্পতায় দেখা-দেখি বাদ দিয়ে নম্বর মিলিয়ে স্টল খুঁজে বের করে হাতে নিলাম বহু প্রতিক্ষীত বইগুলো। মেলায় ডাকাডাকি শুরু করলে অনেকেই সঙ্গী হতে চাইবেন অনুমান করে ডাকাডাকি করা থেকে বিরত রইলাম, কি করবো ! সবাইকে দেয়ার মতো সময় আমার সময়-ভাণ্ডারে জমা ছিলো না। মেলা প্রাঙ্গন ত্যাগ করার সময় প্রতিবারই আমার চোখ ছলো-ছলো হয়ে যায়, মনে হয় আবার আসতে পারবো কি ! সময় কেন আর একটু বেশি সময় দেয় না আমায় ?
বাইরে এসে দেখি ফেরার পথ বেশি সুবিধার না। সি এন জি ওয়ালা হয়তো মনে মনে ভেবে নিয়ে ছিলো বই কেনার পরেও আমার হাতে অনেক টাকা আছে আর সে বেশি ভাড়া দাবী করে টাকাগুলো আত্মসাৎ করবে। গাড়ি খুঁজতে পেয়ে গেলাম বড় একটা গাড়ি মানে বাস। একা একা সি এন জি তে না বসে বাসে বসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠে পড়লাম। মনে মনে আশাও ছিলো, যদি কোনো সুন্দর হ্যান্ডসাম চেহারার মানুষ পাশের সিটে এসে বসে, তাহলে বাস-ভ্রমন খারাপ লাগবে না।
এলো একজন আর আমার পাশেই বসলো। আমি তখন লিস্ট দেখে বই কোন-কোনটা পেয়েছি সেটা ঠিক করছিলাম। পাশের সিটের দিকে খেয়াল ছিলো না। কথার আওয়াজে চমকে উঠে দেখি এক ভদ্রলোক ( ? )
জিজ্ঞেস করছে মেলায় এবার অনেক বই এসেছে দেখেছেন ? আমি মাথা উপর-নিচ করলাম যার মানে হ্যা।
তারপর আবার প্রশ্ন আপনি কি প্রায়ই আসেন এখানে ? এবার মাথা ডানে-বামে নাড়িয়ে বোঝালাম, না ।
কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে একহাত বাড়িয়ে ( হ্যান্ডশেক করার জন্যে ) বলে উঠলেন, হ্যালো ম্যাডাম আমি …. । আমরা কি পরিচিত হতে পারি ? এতক্ষণে আমি প্রথমে লোকটার হাতের দিকে একবার তাকালাম আর পরে চোখের দিকে তাকালাম , সুন্দর দেখতে। মুখটা হাসিতে ভরা। জানিনা আমার চোখে কি ছিলো !! লোকটি আর একটা শব্দ না করে হাতটা ফিরিয়ে নিয়ে বুকের মাঝে আড়ি-আড়ি রেখে বসে থাকলো। সারা পথে কোনো কথা বলেনি। আমি আমার নিজের কাজ করতে লাগলাম। আমার গন্তব্যের দুই স্ট্যান্ড আগেই সে নেমে গেলো আর জানালার সামনে এসে বলে গেলো আমার নাম লিখে ফেবুতে সার্চ দিবেন। আমি অপেক্ষা করবো !!!!
লোকটা সুন্দর ছিলো, যাকে বলে লাস্যময় সুন্দর। তারপরেও লোকটাকে কেন যে ভালো মনে হলোনা বুঝলাম না। কালো মানুষদের উপর ইদানীং দূর্বল হয়ে পরছি। শুনেছি, কালাদের ভেতর জ্বালা বেশি থাকে।
জ্বালা-পোড়া তাদের মাঝে কতখানি থাকে জানতে পারলে মন্দ হতো না।
বইমেলা এখন প্রায় শেষদিকে। যারা এখনো বই সংগ্রহ করেননি তারা সময় বের করে মেলায় যান। নতুন নতুন মলাটের বই দেখেও সুখ পাওয়া যায়।
৩৭টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
সময় আমাকে সময় দেয় না কথাটা দারুন! লেখাটা আরোও দারুন । আমার সবচেয়ে পছন্দের যাওয়ার জায়গা ছিল বই মেলা যখন আব্বার হাত ধরে যেতাম । অর মনে মনে ভয় করতাম যে এই পছন্দের দিনগুলি মনে হয় শেষ হয়ে আসতেছে। এখন স্মৃতির পাতায় এগুলো । আব্বা বয়সের ভারে আর যেতে চায় না কিন্তু আমি যখন আমার কন্যাদের নিয়ে বই মেলায় যাই অনেক খুশি হন তিনি । সাবাই যেন বই মেলাটারে পছন্দের তালিকায় রাখি এ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
সবার পছন্দের জায়গার তালিকায় বই মেলার নাম থাকুক এটা আমারো কাম্য। নির্মল আনন্দ, জ্ঞান বিস্তার, আর অবসর সময়ের সেরা সাথি হলো বই। এর বিকল্প নেই।
আপনি আপনার কন্যাদের সাথে নিয়ে বই মেলায় যান শুনে ভালো লাগছে। ছোটো বেলা থেকেই যদি অন্য অনেক কিছুর সাথে বইয়ের পরিচয় করানো হয় তাহলে বাচ্চাদের বইয়ের প্রতি টান বাড়ে। সময়ের সাথে সাথে এই ভালোবাসাটাও বৃদ্ধি পায়।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা অবিরত।
ইঞ্জা
আপু শুধু এতটুকুই, গতকাল তো বইমেলায় সোনেলা বল্গের ব্লগারদের মেলা বসেছিলো? 😮
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলাম না ভাইজান।
মেলা বসেছিলো দেখেছি ছবিতে। মমি ভাই মেলার ভালোই আপডেট দিয়েছেন।
ইঞ্জা
তাই, ওকে আপু। 😆
সাবিনা ইয়াসমিন
আমার কেন মনে হচ্ছে গতকাল আপনি মিলনমেলায় অনুপস্থিত ছিলেন 🤔
তৌহিদ
বইমেলায় মেয়েরা সাজুগুজু করে না গেলে কেমন বেখাপ্পা লাগে যেন! আর মাথায় ফুলের ব্যান্ডের কথা উল্লেখ করলেন না যে??
বাই দ্যা ওয়ে কালো জগতের আলো, আমি নিজে কালো কিনা তাই😃😃
এতদিন জানতাম ছেলেরা বাসে উঠলে তাকায় কোন সুন্দরীরর পাশের সিট খালি আছে কিনা, মেয়েরাও আশা করে এই প্রথম জানলাম। সহজ সরল স্বীকারোক্তি ভালো লাগলো। তবে সাবধান থাকবেন, সবার মানসিকতা ভালো নাও হতে পারে।
প্রো পিকের ছবি তুলেছেন? আর ইউনিফর্ম কিসের আপু?
লেখা পড়ে ভালো লেগেছে, হাসিও পাচ্ছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
হুম, মাথায় ফুলের ব্যান্ডের কথা লিখতে মনে ছিলো না ভাই। কালো আর ধলো বলে কিছু নেই মনটাকে আলোকিত রাখাটাই আসল কথা। বাইরে গেলে অপরিচিত মানুষ থেকে সাবধানেই থাকি।
ইউনিফর্ম মানে বোরখা। আমি বাইরে কোথাও গেলে বোরখা হেজাব/ নেকাব ব্যবহার করি বেশির ভাগ সময়ে। তাই ওটাকে আমার ইউনিফর্ম ভাবি।
ছেলেরা যেমন পাশের সিট সম্পর্কে বলে/ ভাবে, তেমনি অনেক মেয়েরাও এসব ভাবে/ বলে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নায়িকা দীপিকার যেমন ছেলে ভক্ত আছে, তেমনি নায়ক সালমানেরও মেয়ে ভক্তের অভাব নেই 😂😂
মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ভাই। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
তৌহিদ
ভালো থাকবেন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনিও ভালো থাকুন আর নতুন নতুন লেখা পড়তে দিয়ে আমাদের ভালো রাখুন ☺
শাহরিন আক্তার মুক্তা
বুঝলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
ডরাইছি। বেশি বুঝে আবার ভুল বুইঝেন না। প্লিজ, 😂
ভালোবাসা ❤❤
নিতাই বাবু
প্রতিবারই যাওয়া হয়, আবার আর বই মেলায় যাওয়া হহনি। কারণ একটাই, তা হলো সময়! অবশ্য শ্রদ্ধেয় মনি দাদা অনেকদিন আগে থেকে বলে আসছিলেন, তাঁর সাথে বই মেলায় যেতে। আমিও সম্মতি দিয়েছিলাম যাবো বলে। কিন্তু হায়! হঠাৎ মেয়ের বাড়ি চলে যেতে হলো। তাই আর যাওয়া হয়নি। তবে আমরা যারা লেখালেখি করে থাকি, তাদের সকলেরি উচিৎ প্রতিবছর বই মেলায় যাওয়া।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার মন্তব্য পেয়ে অতিশয় আপ্লুত হলাম দাদা। ব্লগে ফিরেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি নিয়মিত হবেন।
নতুন লেখা দিতে হবে, আপনার লেখায় আমিও মন্তব্য দিতে চাই। শিঘ্রই লেখা দেয়ার অনুরোধ রইলো।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
দেখি! সময় আর সুযোগের অপেক্ষায় আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা, পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
রিতু জাহান
দারুন বর্ননা দিলা ময়না!! হাসতেছি একটু মুচকি মুচকি।
তোমার পোষ্ট পড়িয়া একটু হিংসিত যে হইতেছি না তা না। হইতেছি। কালন, নতুন বই এর গন্ধ আমারও পাইতে মনচায়।
মাথায় ফুল গলায় মালা পরে যেতে মনচায়।
ভালো থেকো।
সাবিনা ইয়াসমিন
হুম, এটা কোনো কথা ! মেমনের প্রথম বই মেলায় এলো , কই তুমি প্রতিদিন বই মেলায় ঘুরবে নতুন নতুন ফোটো তুলে আপলোড দিবে তা না ! বসে আছো কুড়িগ্রামে। এটা কিছু হলো ?
ঢাকায় এসে গলায় মালায় ফুল দিয়ে ফুলবানু সেজে সেল্ফি/ কুলফি তুলে যাও। ভালো লাগবে, তারপর ছবিগুলো খুশির ঠ্যালায় ফেবুতে আপলোড দিও। আমি লাইক কমেন্ট দিবোনে 😜
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখানে ময়না/ফয়না কৈ পাইলেন!!
জল তো দেখছি বেশ দূর-অব্দি গড়িয়েছে।
রিতু জাহান
জল আর কৈ এতো ঘি ঢেলে দিলাম। একেবারে ঘোষবাড়ির টাটকা ঘি।
ময়না কিন্তু দারুন কথা কয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ ছাইরাছ হেলাল – জল পেয়েছেন ? আমিতো একবারো জল/ পানির কথা উল্যেখ করিনি। যদিও ভোঁজ সভায় আপনাদের টেবিলে জলের বোতল অনেক গুলোই দেখেছি 😂
সাবিনা ইয়াসমিন
ময়না ! নামটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। তোমাকে কি নাম দিবো ? পাখি না ফুলের নাম নিবে ? তাড়াতাড়ি বলো ,
ছাইরাছ হেলাল
অশরীরী উপস্থিতি টের পাচ্ছি,
তাও ভাল জলের বোতল উল্টে যায়নি!
ছাইরাছ হেলাল
দিয়ে ফেলুন নাম-ধাম!!
আকাশ/বাতাস ফুল/পাখি/লতাপাতা দুন্নাইতে কোন কিছুর অভাব নেই।
ময়না/টিয়ে তো পেয়েই গেলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
নাম পেয়েছি রিতুর ! পরে বলবো। যার নাম তাকে আগে শোনাতে হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মহারাজ- অশরিরীদের নিয়ে আপনিই ঘুরেন, টের পাওয়া/ না পাওয়ায় কিই-বা আসে যায়। এবার এদেরকে কি পকেটে করে নিয়ে এসেছিলেন না ক্যাপের মধ্যে করে ?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চমৎকার বর্ননায় বই মেলার দরুণ প্রকাশ।এবারে মিস করলেও আগামীতে যদি বেচে থাকি মিস যেন না হয়।সোনেলার আপণ মানুষগুলোর মধ্যে আপনি একজন।ধন্যবাদ আপু।ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ইনশাহ্ আল্লাহ, আগামীতে হয়তো দেখা হবে। আপনিও আমার অনেক আপন মানুষ ভাই। এভাবেই দোয়া শুভ কামনায় রাখবেন আপনার এই বোনটিকে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কল্পনা-শক্তির তারিফ করতেই হয়। ফাক-ফোকড় থাকলেও বেশ চমৎকার বর্ণনা।
অবশ্য বানিয়ে-টানিয়ে ভ্রমণ কাহিনী লেখা যায়, তবে তা জুত-মত হয় না। অবশ্য তড়িঘড়িটুকু বাদ দিলে ধরা পড়তেন না।
আপনি ঠিক বলেছেন, ইউনিফর্ম কাজ দেয়, কিছুটা, সবটুকু না।
আপনার কালুকে দ্রুত এ্যাড করে নিন!! এরা এমনিতে খুব অনুগত হয়!
কল্পডানা আরও গজিয়ে উঠুক, খামোখা হলেও পাঠকের আপত্তি নেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার কমেন্ট পেয়ে হাসি আটকাতে পারছিনা। বুঝলাম ঠ্যালা দিয়ে কমেন্ট নিলে ভবিষ্যতেও এমন মন্তব্য পাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে। 😂
কবি/ কবিতাদের তো দৌড়ের উপরেই রাখেন, এখন আমার ভ্রমন-কাহিনীকার হতে সহজ পথ যে রাখবেন না, এটা কিন্তু একবারও মাথায় আসেনি। নইলে ফাঁক-ফোকর সব অদৃশ্য করে রাখতাম।
কালু কেতো এ্যাড করতে এক পায়ে দাড়িয়ে আছি, কিন্তু রিকোয়েষ্ট এসেছে লালুর। কি যে করি 😜
ডানা গোজানো শুরু হয়ে গেছে এখন উড়তে বাকি। সময় হলেই দেখতে পাবেন।
বই মেলার আপডেট কাহিনী কিছুই দিচ্ছেন না ব্যাপারটা কি ?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ব্যাথা পায়ের খবর তো আর দিচ্ছেন না।
এক ভ্রমণেই এত্ত কিছু! কালু/লালু!!
ডানার রং ও মাপঝোপ জানিয়ে দিয়েন আগে ভাগেই।
যাতে উড়ে যাওয়াটা যেন দেখতে পারি।
এমুন কাহিনী যে লিখতে পারে তার আর কী বা ফাঁক-ফোঁকর থাকতে পারে।
মেলার-ই-তো দেখা পেলাম না!!কী আর লিখব!!
পক্ষ কাল আগে একটি লেখা দিয়েছিলেন!! আর তো কিছুই পাচ্ছি না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি এখনো মেলার দেখা পাননি ! তাহলে কি দেখতে গিয়েছিলেন দলবল সাথে করে ? সেল্ফি/ কুল্ফি ? নাকি এবার ঝালমুড়ির প্যাকেট পাননি বলে মনে মনে রেগে আছেন? প্রশ্ন করছি, উত্তর দিতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।
আমার পায়ে মোটেও ব্যাথা নেই। অপেক্ষা যে কি মধুর হয় তা আপনি বুঝবেন ? বুঝলে শিমুল তলায় অবশ্যই আবার যেতেন।
পক্ষকাল কি পনেরো দিনে হয় না ! আপনি কি শাহেন শাহ আকবরের মতো নতুন ক্যালেন্ডার তৈরি করছেন মহারাজ !
জিসান শা ইকরাম
একা একাই গেলেন বই মেলায়! আমাদের বললে কি আমরা কি আপনার কাছ থেকে বই উপহার হিসেবে নিতাম?
গতকালের বই মেলায় প্রচন্ভ ভীর ছিলো, মানুষ শ্রোতের মত ঢুকছিল বই মেলায়। ভিতরে থাকা মানুষজনের হাতে বই এর ব্যাগ দেখা গিয়েছে খুবই কম। এত কস্ট করে এরা কেন যে বই মেলায় যায় তা আমি অনেক ভেবেও বুঝতে পারিনি।
চমৎকার বর্ননায় অনেক দারুন একট পোস্ট দিলেন। ধন্যবাদ আপনাক।
কালো! তা সে যতই কালো হোক – গানটি শুনছেন মনে হচ্ছে ইদানিং 🙂
কালোদের মাঝে জ্বালা বেশি, একথা আমাদের নানু বলতেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
কি করবো , ভাইয়ের ছবিতে দেখলাম দলবল নিয়ে পেট-পূজা করছেন তাও কাউকে দাওয়াত না দিয়েই। আমিও তাই চুপচাপ বিদ্যা-বাহক গুলোকে সংগ্রহ করে চলে এসেছি। খিদে পেয়েছিলো খুব, বাড়িতে ফেরার তাড়াও ছিলো।
বইমেলা বা যেকনো মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শক বেশি থাকবে এটাই সাভাবিক। এখন সেল্ফি/ কুলফির যুগ, স্মৃতিময় ছবি তুলে নিজের ফেইসবুক ওয়ালে টাঙিয়ে রাখার জন্যেও অনেকে যায় সেখানে।
হ্যা, এসব কথা নানু-দাদুর মুখেই শোনা যায়। আমরা যখন নানু-দাদু হবো তখন নব-প্রজন্ম আমাদের কাছ থেকেও শুনবে। এভাবেই কথা গুলো বচনে পরিনত হয়।
মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
বোরখা কে ইউনিফর্ম বলাটা বেশ মনে ধরেছে, এখন থেকে বোরখা দেখলে রাগ হবোনা 😀
কিন্তু বোরখা পরা একজন কে হাত বাড়িয়ে দিলো হ্যান্ডশেক করবার জন্য? উরি বাপস এই পোলা ড্যেয়ারিং, এরে কিন্তু আপনার এড করা লাগবেই। তবে এই ফাগুনী পূর্ণিমা রাতে চলো পলায়ে যাই, ওই গানের জন্যেও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে 🙂
ভালো ভালো, মাত্র ডানা মেলেছে কল্পনা ম্যাম, দেখি কদ্দুর যায় 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
হা,হা,হা, হয়তো এই কারনেই ঐ লোকটিকে আমার সুবিধের মনে হয়নি। যে কিনা চেহারা সুরুত না দেখেই এ্যাড করতে চায় সে আসলে কি ! হয় লম্পট নাহয় পাগল। আর এইদুটা থেকেই আমি দুরে থাকি। সুন্দর মুখ এরা মুখোশ হিসেবেই ব্যবহার করে বলেই মনে হয়।
বোরখা আমার একান্ত পোশাকে পরিনত হয়েছে তখন থেকেই যখন আমি এর মানেই জানতাম না। অভ্যাস এমন একটা শক্ত জিনিস। তবে এই পোশাক নিয়ে বাধ্যবাধকতা আমি মানতে পারি না। পোশাক ঐচ্ছিক হওয়া আবশ্যক। যার যেটা ভালো লাগবে তার ঐটাই পরা ভালো।
ডানা মেলতে হবে ? পুরাটাই ! হায়রে , আপনি এতো তাড়াতাড়ি মহারাজের দলে চলে
গেলেন। সে আপনার উপর ডাইনী চালান দিয়েছে, বুঝতে পারছি 🤔
বন্যা লিপি
কল্পনায় আমি বরং তোমাকে সুতলিবালাই ভেবেছিলাম, পরে দেখলাম,তুমিতো ইউনিফর্ম পরা!! ভদ্রলোক এতেই বাড়িয়েছে হাত……আর কিছু নয়, উনি বুঝে গেছেন, তুমি বই প্রেমি। আহারে চোখের আগুনেও পুড়লো না ভদ্রলোকের ইচ্ছাটুকু। চমৎকার বর্ননায় শিখলাম যা,পরবর্তিতে কাজে লাগাবো। এরপরে আমাকে সঙ্গে নিও কোথাও যেতে চাইলে, তোমার আমার জুটি জমবে ভালো।