ডুপ্লেক্স সিঁড়ি দিয়ে জুলি চলে গেল চেইঞ্জ করতে, ও ভিজে চুপসে গেছে একেবারে, আমি সোফায় বসে ফিরে গেলাম সেদিনে যেদিন হঠাৎ ওর আব্বা কানাডা থেকে এসে আমার বাসায় এলো সরাসরি আর খুব করে ধমকালো যেন উনার মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক না রাখি কারন আমাদের পারিবারিক অবস্থা আর আমার বেকার জীবন উনার মেয়ের জন্য ঠিক না, আমি যদি কন্টাক্ট রাখি উনি আমার লাশ ফেলে দেবেন আর জুলি যদি কোন ভাবে কন্টাক্ট করে তাহলে জুলিকেই মেরে ফেলবেন এবং আমি জানতাম তিনি তা করতেই পারেন কারন উনার সেই জোর আর জেদ ছিল। এরপরে আমি আর জুলির সাথে কন্টাক্ট করার চেস্টা করিনি আর জুলিও করেনি, এরপরে আমি বাপের দেওয়া অল্প কিছু বিনিয়োগ নিয়ে জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ি আর আজ দেশের নামকরা একজন ব্যবসায়ী।
হটাৎ জুলির ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলাম, দেখি ও আমার মার রাখা এক সেট কাপড় পড়েছে, আমি বললাম
ক্ষিদে পেয়েছে নিশ্চয়, এগুলো খাও।
ও তখন টেবিলে রাখা সেন্ডউইচ নিয়ে কামড় বসালো, আমি ওকে অবাক চোখে দেখছি আর ভাবছি ও এইখানে কি করে আসলো আর আমার ঠিকানাও কই পেলো?
জুলি জিজ্ঞেস করলো তুমি অবাক হয়েছো না?
হাঁ অবাকই হয়েছি, তুমি এখানে আর ওরা কারা যারা তোমার পিছনে লেগেছে?
আমি আজ পাঁচ দিন দেশে পালিয়ে এসেছি, প্রথমে তোমার বাসায় গেলাম কিন্তু কেউ কোন কিছু না বলেই আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলো, তখন তো আমার পাগলের মত অবস্থা বাহিরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলাম, পিছন দরজা দিয়ে তোমার ছোট বোন বের হয়ে এসে আমাকে এক কোনায় নিয়ে গিয়ে বলল তুমি এখন চট্টগ্রামে থাকো আর বললো ও ঠিকানা জানেনা কিন্তু তোমাকে নাকি এখন সবাই চিনে বলেই ঘরে চলে গেলো আর সাথে সাথেই আমি বাসস্টপেযে এসেই গাড়ীতে চেপে বসলাম এইখানে আসবো বলে, বলেই একটু চুপ করে থাকলো, পানি চাইল আমি কিচেন থেকে পানি নিয়ে এলাম সে ঢক ঢক করে দুই গ্লাস পানি খেলো।
আর তোমার পিছনে কারা লেগেছে?
বাবার গুন্ডারা সাথে বাবা আর ভাইয়া আছে, চট্টগ্রামে এসেই তোমার খোঁজ করছিলাম আজ কয়েকদিন ধরে, উঠে ছিলাম সেইন্ট মার্টিনে, তোমাকে খুঁজতে বেরুবো দেখলাম বাবা, ভাইয়া রিসেপশনে দাঁড়িয়ে আমার খোঁজ করছে, বুঝতে পারলাম আমি ধরা পড়ে গেছি তখন সব কিছু ফেলেই পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে এলাম।।
…………. চলবে।
১৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
নিয়তি বরই নির্মম। ইচ্ছে মত অনেক কিছুই পাওয়া হয়না।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখা ভাল হচ্ছে।
ইনজা
অজস্র ধন্যবাদ ভাইজান, সশ্রদ্ধ ভালোবাসা জানবেন। 🙂
মামুন
মুগ্ধতা নিয়ে সাথে আছি…
ইনজা
নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি আপনাদের মত বোদ্ধা পাঠক পেয়ে, ধন্যবাদ অফুরান। 🙂
রিমি রুম্মান
শুরুটি চমৎকার। আগ্রহ বাড়িয়ে দিল। অপেক্ষায়…
ইনজা
আপ্লুত হলাম। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ্যাকশান কাট কাট ওকে….নাইস -{@
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অনিঃশেষ, শেষ পর্ব দিলাম আজ।
আবু খায়ের আনিছ
আগ্রহ বাড়িয়ে দিল, অপেক্ষা পরের পর্বের।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ, আজ শেষ পর্ব দিলাম।
আবু খায়ের আনিছ
দেখলাম, পড়ে মন্তব্য করব।
মেহেরী তাজ
ভাগ্যিস আমি দুটা পর্ব এক সাথে পড়ার সুযোগ পাচ্ছি…
তা না হলে খুব উৎকণ্ঠায় থাকতাম!
যাই পরের টা পড়ি! 😀
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আগেই পড়েছি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো শেষ করে দিলেন। 🙁
ইঞ্জা
ভালো লেগেছি কি আপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লেগেছে সে কি আর বলতে হয়? (y)
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম। 🙂