প্রাতঃকালীন নৈমিত্তিক ভ্রমণে মাঝে-সাজে দেখা হয়, কথাও হয়, তবে তা সামান্য ,
কীসব লেখার কথা বলে-টলে তা মাথার উপ্রে দিয়ে যায়। সেও সকালে হাঁটে-টাটে কিনা জিজ্ঞেস করা হয়নি।
আহাম্মক বা বলদা বলদা টাইপ মনে হয় ধুনফুন কথাবার্তায়। তবুও দেখা হয়েই যায়,
নিজের হাঁটার একটি সুনির্দিষ্ট পথ ও সময় আছে,
নিয়ম মাফিক সেখানের কাছাকাছি যেতেই একটি অবাক করা বিষয় লক্ষ্য করে কাছে না গিয়ে সামান্য আড়াল থেকে সেটাকে চোখে রাখি। এই বিষম লোকটি ময়লা–আবর্জনার মধ্যে হন্যে হয়ে কী যেন খুঁজছে! দেখলাম একটুকরো কাগজ তুলে নিয়ে প্রথমে ফুঁ দিয়ে পরে জামায় মুছে-টুছে টুপ করে পকেটে পুরে আবার পূর্ণোদ্যমে অন্য জায়গায় পরিত্যক্ত কাগজ-ফাগজের মধ্যে কী যেন খুঁজছে।
এবারে ভাল করে আড়াল থেকে মাকালবলদের দিকে শ্যেন দৃষ্টি ফেললাম।
অনেক খুঁজে-টুঁজে কলম মত কী যেন তুলল, হ্যাঁ, আধ ভাংগা বলপেন! এবারে হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পকেট থেকে সেই আধময়লা কাগজ বের করে খিঁচানো মুখে লিখতে শুরু করল, লিখতে শুরু করে কলমটি প্রবল ঝাঁকাঝাঁকি, ঝাঁকায় আর কী যেন লেখে, ঝাঁকিয়েও সুবিধা হচ্ছে না দেখে এখন কলমটিতে ফুঁ দিতে শুরু করছে,
এই ফাঁকে ছ্যোৎ করে কাছে গিয়ে কিছু বুঝতে না দিয়ে প্রকাণ্ডবলদার সে লেখাকাগজটি ছিনিয়ে নিলাম।
পথ হেঁটে যায় আপন মনে
গুটি গুটি পায়ে
দৌড়ে দৌড়ে থেমে থেমে
জানা পথের অজানা ঠিকানায়……………
জিজ্ঞেস করলাম ‘ওহে লেখাবলদা, কোন বাল লিখেছো?
এই ক্লিশেস্য ক্লিশে বালেস্য বালের লেখার জন্য ময়লা ঘেঁটে কাগজ-কলম নেও!
তাও এই সক্কাল বেলা?’ মহাবলদ কোনহানকার!
বাতাসে শীষ কেটে ভেগে গেল মনে হয়, কোথাও কেউ নেই!
নাহ্, চশমাটি এবার পাল্টাতেই হবে দেখছি।
৪৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা পথে হেঁটে হেঁটে আজকাল এসব কাগজে লিখে রাখা হয়?
আসলেই এই লেখার জন্য ময়লা ঘাটা লাগে?
চশমা পাল্টান ফরজ হইয়া গেছে 🙂
লেখা কিন্তু মজারু হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই এই ক্লিশেস্য ক্লিশে লেখার জন্য এত্ত কিছু করা ঠিক না।
ভাবছি এবার টিনের চশমা নেব।
শুন্য শুন্যালয়
আজকাল পাগলরাও এত সুন্দর লিখতে পারে!! 😮
প্রাতঃকালীন নৈমিত্তিক ভ্রমণ বাদ দিয়ে আপনাকে এখন রাতে সন্ধ্যাকালীন ভ্রমণ করে দেখতে হবে, আমার ধারনা দিনকানা রোগ হয়েছে আপনার।
সত্যি বলছি, এই জীবনেও সম্ভব না এমন পাগলের লেখা মনে আসা। কি যেন কী গালাগালি কইচ্ছিলেন ভাউ, ছিঃ গালি দিতে নেই, এই অদৃশ্য পাগলের লেখাও একদিন নিলামে উঠতে পারে। ভূত ভূত লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
এই লেখাকেও আপনি সুন্দর বলছেন!!
পাগল হলেও কথা ছিল, এর তো অনেক বিশেষণ দেখতে পাচ্ছি।
আগে জানতাম আপনি দাঁতের দাক্তার, এখন চৌক্ষেরও!! জাতিকে এবার
চৌক্ষহারা করেই ছাড়বেন দেখছি,
ভূতুড়ে পাগলের লেখা অবশ্যই নিলামে উঠবে তবে নিলাম ডাকার কুন মানুষ
খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পাগলের পাগল না হলে এসব আবজাব লেখা আসতেই পারে না।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কিন্তু পাগলের ল্যাহা অই চারলাইনের কথা বলেছিলাম, আপনার লেখার কথা কখন কইলাম? অই পাগলখান কী তয় আপনিই আছিলেন? আমিযে কিসের ডাক্তার সময় হলেই টের পাবেন, এত তাড়াতাড়ি সময় শেষ আমার ভাইবেন না। ভূতের লেখা নিলামে শুনেছেন কোনদিন? মানুষ পাবেন না মানে? পাগলরাও মানুষ তা ভুলে গেলে চলবে কেন? পাগলের পাগল না, লেখক পাগলের লিডার, তবে বিষয়গুলো সত্যি সত্যি অবাক করে নাদান পাঠকদের। বেঁচেবর্তে থাকুন বেশি করে দুটা করে মাছের পেটি খেয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
আমার ল্যাহার কথা বলবেন কেন!! আমি তো ল্যাক্তারিনা আপনি জানেনই।
আপনি দাক্তার মানুষ, দুয়া দিয়েন, শেষে সব পাগলের এক ‘রা’ আবার বেরিয়ে পড়ে!!
শুধু মাছে বাঁচাতে পারবে না, কবিতাও লাগবে অনুপান হিসাবে।
মিষ্টি জিন
পাগল হয়ে যদি এত ভালো কবিতা লেখা যায় তবে পাগল হওয়াই ভালো 😀
চশমার পালটিয়ে লেজার করুন।
ছাইরাছ হেলাল
লেজার করলে আরও ভাল পাগলদের সাথে দেখা হবে যদি বলেন
তাহলে অবশ্যই তা করান উচিৎ।
মোঃ মজিবর রহমান
পাগল হলেও ভাল হত
কবিতা তবিতা
লিখতে পারিতাম
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা লেখা ভাল না,
আর হওয়া আরও খারাপ।
মোঃ মজিবর রহমান
বুঝিলাম কবি হওয়া ভাল না
তয় পইড়া তৃপ্তি আনন্দ পায়।
সমাজ সম্পর্কে জানতে পারি যা জীবনে কাজে লাগে।
-{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার আনন্দেই আমাদেরও আনন্দ।
ইঞ্জা
গুরু মাথার উপর দিয়ে স্যাৎ করে গেল। :p
ছাইরাছ হেলাল
আমার অবস্থা আপনার থেকেও খারাপ, মাথাই খুঁজে পাচ্ছি না।
ইঞ্জা
:D)
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
মৌনতা রিতু
কি লিখছে পাগল ! :p
বুঝতে পাগল হতে হবে বুঝছি।
ছাইরাছ হেলাল
এখনও হননি! দ্রুত কাজে মন দিন এবারে।
প্রহেলিকা
আর একটু ধৈর্য্য কি ধরা যেত না? আপনার কি এক আহামরি দরকার পড়েছিল ছিনিয়ে নেবার কাগজটি। লেখাটি হয়তো সে সম্পূর্ণ করেই ছাড়তেন এই যাত্রায়। আপনার কবলে পড়ে তা আর হলো কই, উল্টো আরো গালমন্দ করছেন।
এবার এর দায়ভার মাথায় নিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করে লেখাটি শেষ করিয়ে আনুন জলদি।
লেখক হলে বড্ডো সুবিধে, কোনোকিছুকে উপলক্ষ্য করে লেখা নামাতে সময় লাগে না। ভালোতো।
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের আরও সুবিধা, উপলক্ষও লাগে না, ল্যাহে আর ল্যাহে!!
কী ল্যাহে হয়ত নিজেও জানে না, এজন্যই খুউব হাসি পায়, হাসিও,
যদিও হাসাহাসি খুব উপাদেও।
ধৈর্য ধরলেই বা কী আর না ধরলেই বা কী!! ক্লিশ যে,
আবার অকস্মাৎ সাক্ষাতে আপনার কথা বলে দেখব কিন্তু ফল ফলবে বলে মনে হয় না।
প্রহেলিকা
এই ক্লিশ চেপেই রাখেন আপাতত, আমাগোরেও দেখতে দেন। মাইনষ্যে না বুঝলেও পাগলের লেখা পাগলে ঠিকই বুঝে। আপনি দয়া করে হাঁসি আর হাইসেন না পরের বার।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন বলছেন হাসি চেপে গেলাম, তবে আড়ালে না হেসে পারব বলে মনে হয় না।
আচ্ছা, পাগলের সাথে রফা এবার করবোই।
তবে মনে আছে তো পাগল ভাল হলে মাথা একটু নড়নড়ে থাকবেই।
প্রহেলিকা
নৈমিত্তিক ভ্রমণে যাওয়া যেতেই পারে তাই বলে উধাও হওয়া যাবে না।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এই ডিজিমাতাল যুগেও মোবাইল বান্ধব নেই, তাই ছেদ পড়ে,
তবে না লিখলেও সবার লেখা পড়ার সুযোগ চালু থাকে।
প্রহেলিকা
এই বান্ধব অতীব জরুরী, আপ্নে আর তাইলে বাদ যাবেন ক্যালা
ছাইরাছ হেলাল
ফোনে লেখা-লেখি করার খুব হ্যাপা,
দেখি কিছু একটা করতেই হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো কবিরা পাগল হয়, শুনেছিলাম। চোখে দেখা হয়নি। আজ প্রথম দেখলাম।
কিন্তু কবিতা তো বুঝিনি। মাথার উপর দিয়ে শুধু না, আমার মহাকাশের বাইরে দিয়ে গেছে।
পাগল কবে হবো, তাহলে হয়তো কবিতা বুঝবো। ;?
ছাইরাছ হেলাল
এ সব কী বলেন!! আপনি তো বিশাল কবি বলেই জানি,
যদিও হাসাহাসি করি না।
তবে পাগল হওয়ার বাকি কোর্সটুকু সেরে ফেলুন, তাহলে মাথাই লাপাত্তা হবে,
তাই কিছুই আর মাথার উপ্রে দিয়ে যাবে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
পাগল হবার বাকী কোর্সটুকু বলতে বুঝলাম না। আপনি কি পুরো কোর্স করে এসেছেন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের এ কোর্স ছাড়া চলেই না!!
হা হা।
আবু খায়ের আনিছ
দূর মিয়া, এইডা কি করলাইন, ধইরা নিয়া আইতাইন, আমরাও দেখতাম।
চশমাটা পাল্টাইয়া একটা চশমাফি না কি যেন বলে দিয়েন তো দেহুমনে কেমন লাগে আমহেরে।
ভালো লেগেছে লেখা ভাইয়া। অনেক অনেক শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ধইরা আননের চান্স ই পাইলাম না, হাওয়া হয়ে গেল নিমেষেই,
পাল্টাপাল্টি কিছু একটা করতেই হবে,
ইলিয়াস মাসুদ
আমারো সেই কথা বালেশ্য বালক কে আরো একটু সময় দিলে কি বিপ-ই হতো?
পুরোপুরি পাগল হলেই বুঝি কবি হয় ?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এদের সময় দেয়া ঠিক না,
আউলফাউল লেখায় সময় দিলেই বা কী, আর না দিলেই বা কী!!
কবিরা পাগল কীনা জানি না, তবে তাদের দেখলেই আমি হেসে ফেলি।
অনিকেত নন্দিনী
ঘোর অগণতান্ত্রিক কাজকারবার!
পাগলে তার মতন করে পাগলামি করুকনা, আপনার কী দরকার ছিলো তার সাথে ওই ময়লাঘাঁটা কাগজকলম নিয়ে কাড়াকাড়ি করার? :@
চোখের চশমা ফেলায়ে দিয়া টিনের চশমা লাগান। সব ফকফকা হইয়া যাইবো।
এত্ত গালাগাল করা ভালোনা। ভীমরতি কি আসলেই ধরতাছে নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
ভীমরতিরটুকু আপনিই বুঝলেন, আর কেউ জিগাইলেই না।
পাগলামি মেনে নিতে বলছেন!
এমনিতেই কবিদের সংখ্যাধিক্যে অস্থির, আবার আরও পাগুল আমদানি করতে বলছেন!!
সেই লেখা কই?
অনিকেত নন্দিনী
আমি ছাড়া আপ্নের ভীমরতি আর কয়জনে বুঝে বলেন?
হোক পাগুলের আমদানি। দশ পাগুলের জায়গা হইলে চল্লিশ পাগুলের জায়গাও হইবে।
সেই লেখাটা কোন লেখা? ;?
ছাইরাছ হেলাল
পাগুল কী জয়,
জয় ব্জ্রাংবলি।
এত্ত বুঝ লইয়া আপনে কই কই থাহেন!!
ভালয় ভালয় সেই লেখা দিয়ে দিন,
ইমো-ফিমো দিয়ে বাঁচতে পারবেন্না,
অরুনি মায়া
একটি প্রতিভা বিকশিত হবার আগেই আপনি তার গলা টিপে ধরলেন এ বড্ড অন্যায় হয়ে গেল |
ছাইরাছ হেলাল
ও আচ্ছা, পাগলুদেরও প্রতিভার দিকে খেয়াল দিতে হবে!!
এমুন অন্যায় আর হবিনানে।
নাসির সারওয়ার
আপনি ঘুমাবার আগে একটা মটকা তালা লাগিয়ে নেবেন। চাবিটা একটা মটকার মধ্যে তালা দিয়ে রাখবেন। দেখুন, সাবধানের মার নাই। ঘুমের মধ্যে কখন কোথায় যান কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
সেই মটকার তালার চাবি কোথায় রাখতে হবে তা তো বললেন না!!
তবে আপনার ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখতে ভুলবেন না।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হা হা হা।
নাহ্।
লেখাটা আমার কাছে ভালোই লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
যাক বাঁচলাম, আপনাকে ভাল লাগাতে পেরেছি।