তোর কাছে কি এখনও আছে
আমার সেই নাটাই-ঘুড়ি ?
পুতুল খেলা-রান্নাবাটি আনন্দ ভরা বিশাল ঝুড়ি ?
অলস সময় , দুপুর ঘুম
ব্যস্ত ভোরে আলোর ছুট
কাঁধে ব্যাগ , বাবার হাত
ভয় আর দ্বিধা করতো লুট ।
তুই এখনও কাঁদিস নাকি বালিশে মুখ গুঁজে ?
সন্ধ্যে হলেই মায়ের কাছে ডুব দিস কি বইয়ের মাঝে ?
লুকোচুরী , কুমির-কুমির জন্মদিনে বৌয়ের সাজ লজ্জ্বামাখা মুখটি নিয়ে নীরবে করা কাজ-অকাজ ।
তুই কি আজোও আকাশ ছুঁতে নীল-নীল স্বপ্ন দেখিস ?
গভীর কালো চোখটি মেলে লক্ষ-কোটি তারা গুনিস ?
নাকি তুই বদলে গেছিস
এই এখনের আমার মতো ? নিরুদ্বেগ জীবন থেকে
সঙ্গী ভেঁজাল সময় যতো !
মুখ থুবড়ে কি আছিস পড়ে ডানা-ভাঙ্গা পাখী হয়ে ? মুখোশ পড়া এই মুখের মতো যন্ত্রণাগুলো যাচ্ছিস সয়ে ?
প্রজাপতি মেয়েবেলা যেমন চায় অসহায় চোখে
তুই কি এখন থেমে গেছিস স্মৃতি হয়ে আমার বুকে ?
আয়না যেমন চেনেনা আমায় তোকেও চিনিনা আজকাল
বলতে পারিস কেন আমার স্বপ্নালু চোখের এমন হাল ?
কষ্টের সুর বাজে বুকে
তবু জানিস হেসে চলি ?
হোকনা অভিনয় , তাতে কি ! নীরবে তো নিজেই জ্বলি ।
টিমহর্টন মেইন স্ট্রীট,
এন্টিগোনিশ,
কানাডা।
২৯ ফেব্রুয়ারী , ২০১২ ইং
পুরান লেখা হতে একটি সবার সাথে শেয়ার দিলাম।
২৬টি মন্তব্য
তানজির খান
আবেগ আর স্মৃতি। ছোটবেলার কথা মনে পরে গেলো। অসাধারণ শব্দ চয়ন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিজেকে নিয়ে লেখা কিনা…ধন্যবাদ ভাইয়া… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
প্রজাপতি হারিয়ে গেছে, নিয়ে গেছে প্রজাপতিবেলা
ডুবে গেছে নীল রঙ, রেখে গেছে কস্টের নীলা।
এমন কবিতা লিখে মন খারাপ করিয়ে দেয়া কি ঠিক? অসাধারন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন তো স্মৃতির ঘর থেকে বেরুতে চায়না। কি যে করি! 🙂
মেহেরী তাজ
ঘুড়িটা ছিড়ে গেছে,সেই সাথে সুতও কিন্তু নাটাই টা আস্তো আছে।
ভালো লেগে তারপর মন খারাপ হয়ে গেলো।
( আমি কেন যেন ইমো দিতে পারি না, এখানে কান্নার ইমো দিতাম)
নীলাঞ্জনা নীলা
কান্নার ইমো কি আমি তো কাঁদতেও পারিনা ভাই। 🙁
জিসান শা ইকরাম
হারিয়ে যায় অনেক কিছুই
এটিই বাস্তবতা।
ভালো লিখেছো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনারে হারাইতে দিমু না আমারে, বুজছইনি গো নানা? 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
হারানোর মধ্যেই আছি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
পাওয়ার হিসেব করিনা আমরা, তাই মনে হয় হারাই বেশী। আসলে কিন্তু উলটো।
আশা জাগানিয়া
ভালো লেগেছে আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ আশা জাগানিয়া। 🙂
নুসরাত মৌরিন
প্রজাপতি ওড়া, ভো-কাট্টা ঘুড়ির পেছনে ছোটা দিনগুলো কোথায় যে হারালো… কে জানে!!!!!!
বারবার শুধু সেইসময়েই ফিরতে মন চায়…।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার উল্টো। ১৯৯০ সালে যেতে মন চায়। সপ্তাদশীর কোলে। 😀
খেয়ালী মেয়ে
উফফফফফফফ্ এত্তো সুন্দর করে কিভাবে লিখেন আপু ;?
এতোই ভালো লেগেছে যে একবার পড়ে থেমে যায়নি, কয়েকবার পড়েছি (3
প্রজাপতি মেয়েবেলা যেমন চায় অসহায় চোখে
তুই কি এখন থেমে গেছিস স্মৃতি হয়ে আমার বুকে ?———–লাইন ২টা মায়াতে ভরা….
নীলাঞ্জনা নীলা
কই লিখি ভালো? আমি তো খেয়ালী মেয়ের লেখায় বেখেয়ালী হয়ে যাই। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
দারুন লিখেন আপু…দারুন
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ!
ব্লগার সজীব
এটি আপনি 🙂 নিজকে নিজের প্রশ্ন করা।ভালো লেগেছে দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম লেখাটি নিজেকে নিয়ে লেখা। নিজেকে নিয়ে কবিতা/গল্প লিখি না আমি। এটাই প্রথম। ধন্যবাদ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কিছুই বদলে যায় না, শুধু সময় ই বদলায় নিজ নিয়মে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ কি সুন্দর বললেন। ঠিক। ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
অনিকেত নন্দিনী
এই এক জীবনে অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলি আমরা, কেবল স্মৃতিগুলিই রয়ে যায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আর স্মৃতিগুলোই কিন্তু আমাদের একাকীত্ত্বের আনন্দ-হাসি। 🙂
ইমন
নস্টালজিক। 🙁
ছোট বেলা অনেক কষ্ট করে প্রজাপতি ধরার পর যখন দেখতাম মরে গেছে তখন ভিষণ কষ্ট হতো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি প্রজাপতি ধরেই ছেড়ে দিতাম…হাতে রঙ মেখে…