পিসি স্লো হয়ে যেতো ধীরে ধীরে আমার। নেট ব্যবহারে আরো স্লো হতো।এই সমস্যাটি অনেকেরই হয়।নেটে খুঁজে খুঁজে নিজের জন্য একটি পিসি ওয়াসিং মেশিন তৈরি করেছি পিসি ওয়াস করার জন্য। আপনারা হয়ত এরচেয়ে অনেক বেশী জানেন।অভিজ্ঞরা মন্তব্যে লিখে জানাবেন আমার কোন ভুল আছে কিনা বা আরো কিছু সংযোজন করতে হবে কিনা এই ওয়াসিং মেশিনে।
ধাপ-১ ( প্রাত্যহিক কাজ )
এটি রোজ পিসি অফ করার পুর্বে করি আমি।দিনে যখন শেষবার পিসি ব্যবহার করি, তখন এটি ব্যবহার করি।
রোজ ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বেশ কিছু হিস্ট্রি,ক্যাশ এবং অন্যান্য অদরকারী কিছু কন্টেন্ট পিসির হার্ড ড্রাইবে জমা হয়। এর পরিমাণ কমপক্ষে ২০ মেগাবাইট সর্বোচ্চ ৫০ মেগাবাইট বা তারও বেশি।সর্ব নিম ২০ মেগাবাইট জমা হতে থাকলেও মাসে ৬০০ মেগাবাইট।বছরে ৭ গিগাবাইটের বেশী। অদরকারী এসব কন্টেন্ট হার্ড ড্রাইব ধারণ করে পিসি স্লো করে দেয়।
ছোট একটি সফটওয়ার CCleaner ব্যবহার করি আমি।এই অদরকারী কন্টেন্ট সমূহ সম্পুর্ন ক্লিন করে দেয় এই সফট ওয়ার। CCleaner এর ডাউনলোড লিংক এই। ডাউনলোড করে ইন্সটল করে সফট চালু করে Run cleaner এ ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ১০০% এনালাইজ সম্পন্ন হলে আবার Run Cleaner এ ক্লিক। সম্পুর্ন ক্লিন হলে বুঝতে পারবেন যে কেউ।
ধাপ- ২ ( সাপ্তাহিক )
এটি করি প্রতি সপ্তাহে একদিন। পিসির Start মেনুতে গিয়ে Run এ গিয়ে লিখতে হবে
** tree. এরপর Enter. অপেক্ষা করতে হবে।বেশ কিছু লেখা এসে চলে যাবে। যাক চলে 🙂
** Run > prefetch>Enter>all select> all delete. প্রথমবার ডিলিট হতে একটু সময় লাগতে পারে।যে সব কন্টেন্ট ডিলিট হবে না, জোড় করে ডিলিট করার দরকার নেই।জোড় করা ভালো না 🙂
**Run>recent>Enter>all select>all delete. যে সব কন্টেন্ট ডিলিট হবে না, জোড় করে ডিলিট করার দরকার নেই।
** Run>temp>Enter>all select>all delete. যে সব কন্টেন্ট ডিলিট হবে না, জোড় করে ডিলিট করার দরকার নেই।
** Run>% temp>Enter>all select>all delete. যে সব কন্টেন্ট ডিলিট হবে না, জোড় করে ডিলিট করার দরকার নেই।
এই পাঁচটি করার পর CCleaner ব্যবহার করে ক্লিন করা ভালো। বা Recycle bin এ রাইট ক্লিক করে Clean Recycle bin করা যায়। তবে CCleaner এ সব ক্লিন হয়ে যায়।
ধাপ-৩ ( মাসিক )
প্রতি মাসে এটি আমি একবার ব্যবহার করি।পিসি ব্যবহারে আমরা কিছু সফট ডাউনলোড করি বা রিমুভ করি।এতে উইন্ডোজ এর ইন্টারনাল বন্ডিং কিছুটা এলো মেলো হয়। এই এলোমেলো অবস্থা ঠিক করার জন্য আমি Defraggler সফওয়ারটি ব্যবহার করিত ডাউনলোড করে ইনস্টল করে রান করুন। প্রতিটি ড্রাইভ আলাদা আলাদা ভাবে বা যে কোন একটি ড্রাইভ ডিফ্রাগমেন্ট করা যাবে এটি দিয়ে।ব্যবহারে অত্যন্ত সহজ এটি। Analys করুন এরপর Defragment করুন।
এই কার্যকরী Defraggler এর ডাউনলোড করার লিংক এই
আমি এমন করি।আপনি করে না থাকলে করুন আজকেই।দেখুন আপনার পিসির স্পীড বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোনেলার সবাইকে শুভেচ্ছা -{@
আপনারা চাইলে ভবিষ্যতে এমন পোষ্ট আরো দিতে পারি।
৩৩টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার সবক’টি পদ্ধতি নিজেও ব্যবহার করি আমি তবে ডিফ্রাগমেন্ট করতে বর্তমান উইন্ডোজ তেমন কাজে দেয় না বলে করা হয়। কিন্তু আপনার এই Defraggler ইউটিলিটি নামিয়ে নিচ্ছি নিশ্চিত।
আরেকটি ধাপ করা উচিত বলে আমি মনে করি। যতই আমরা CC Cleaner বা অন্যান্য ধাপ অনুসরণ করি না কেন অতি অবশ্যই ব্যবহৃত ব্রাউজার ম্যানুয়ালি হিস্টোরি, ক্যাশ ক্লিন করা উচিত প্রতিদিন অন্তত একবার।
সময়োপযোগী পোস্ট সজীব ভাইয়া 😀
নীতেশ বড়ুয়া
Defraggler এ গিয়ে কমেন্ট অপশনে যা দেখলাম তাতে কিছুটা সংশয় দেখা দিচ্ছে! আবার এই সফটের টেকনিক্যাল অপশনে গিয়ে দেখি শুধু মাত্র Win8 পর্যন্ত কম্প্যাটেটিবল। আমার Windows 10 ;(
Werner • 5 months ago
Defraggler 2.19 does not know the difference between MB and kB.
It does not move large files to the end of the drive, because 180 MB is 180 kb.
Only one of many new errors.
4 •Share ›
Avatar
AllenChicago • 5 months ago
Moving folders (like the one I created to download software to) to the end of the drive is something I’ve wanted for years. We now have it..hippee! I hope the folders will STAY at the end of the drive. Sometimes, files I move to the end find their way back to the front during the whole disk defrag. Not sure why, but hopefully that’s been fixed as well.
2 •Share ›
Avatar
Justinloljj • 5 months ago
Iobit smart defrag 4 is a cutting edge, top notch set and forget defragging software. It support TRIM for SSD. Give it a try. Hope you love it like I do XD.
2 •Share ›
Avatar
Captain Algeria • 5 months ago
As much as I love the gui and easy-to-use of this software, I hate the time it takes to finish defragging…so slow.
3 •Share ›
ব্লগার সজীব
ফ্রিতে এর চেয়ে বেশী পাওয়া যাবে নায়ের চেয়ে বেশী সার্ভিস পেতে হলে সফটওয়ার কিনতে হবে। এখান থেকে এটি কেনা যেতে পারে https://www.piriform.com/defraggler/download
সাধারণত উইন্ডোজে একটি defraggler বিল্ট ইন থাকে। সেটা ব্যবহার করা যায়।তবে প্রচুর সময় লেগে যেতে পারে।প্রথমবার কয়েক ঘণ্টা লেগেছে আমার।
ধন্যবাদ আপনাকে -{@
নীতেশ বড়ুয়া
ঠিক বুঝলাম না বেশী কি চাইলাম!!
ধন্যবাদ 🙂 -{@ (y)
ব্লগার সজীব
ফ্রিতে এর চেয়ে বেশী পাওয়া যাবে না. এর চেয়ে বেশী সার্ভিস পেতে হলে সফটওয়ার কিনতে হবে। এ কথা কেবল আপনি না সবার জন্যই প্রযোজ্য।ফ্রি সফট এ সব সার্ভিস পাওয়া যায় না।
আপনাকেও ধন্যবাদ -{@
লীলাবতী
সজীব ভাইয়া আপনি পিসি ডকটরও? আজো হতেই আরম্ভ করলাম ভাইয়া।আগে দেখে নেই,এরপর ধন্যবাদ দেবো।
ব্লগার সজীব
আগে দেখুন,এরপরে না হয় ধন্যবাদ দিয়েন।আমি জানি আমি ধন্যবাদ পাবো 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হায়!! হায়!! আমি তো এতোদিন পর্যন্ত কিছুই করলাম না 🙁
আজ থেকেই পিসি ক্লিন করার কাজে নামতে হবে দেখছি 🙂
ধন্যবাদ…
আরো পোস্ট চাই 🙂
ব্লগার সজীব
নামুন নামুন জলদি নামুন।কতটা ক্লিন করলেন এবং ক্লিন করে ফলাফল জানিয়েন।আরো পোষ্ট আসবে 🙂
স্বপ্ন
আমার ল্যাপটপ খুব Slow. সব কিছু অনুসরণ করে দেখি স্পীড বৃদ্ধি হয় কিনা।প্রথমদিন সব করলে কি কোন সমস্যা আছে?
ব্লগার সজীব
প্রথমদিন সব করলে কোন সমস্যা নেই।একবারে সব ক্লিন 🙂 জানিয়েন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও টেকি!!
যাক, এক বাঁচা বেঁচে গেলা্ম। কাজে লাগবে অবশ্যি।
ব্লগার সজীব
ইহাকে টেঁকি বলে নাকি? :p
নীলাঞ্জনা নীলা
জিসান নানা আমাকে CCleaner এর কথা বলেছিলো। সেটা করি। তবে ধাপ-২ এবং ৩ বুঝিনি। এসবে আমি আবার এতো বেশী জ্ঞান ধারণ করি যে উপচে পড়ে যায়। ২ এরটা চেষ্টা করলাম। তবে আশা করি পারবো। চেষ্টার ধৈর্যটা হারিয়ে ফেললে আবার জানাবো।
আমার মতো মহাজ্ঞানীদের জন্য যথার্থ পোষ্ট সজীব ভাইয়া -{@
ব্লগার সজীব
Ccleaner অত্যন্ত কার্যকরী একটি সফটওয়ার।ধাপ-২ এর জন্য কোন সফটওয়ার প্রয়োজন নেই।এটি আপনার ল্যাপটপে নিজেই করবেন।start এ ক্লিক করে দেখবেন Run লেখা।না দেখতে পারলে search এ লিখুন Run,উপরে তাকালেই এটি পাবেন Run এ ক্লিক করঅলেই একটি বক্স আসবে ওখানে লিখুন এবং সবগুলো করুন। পারবেন আপনি। ধাপ-৩ একটি সফটওয়ার এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে চালু করলেই বুঝবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ নীলাদি -{@
সীমান্ত উন্মাদ
এই সফট গুলো আমিও ব্যাবহার করি, ডেস্কটপ, লেপটপ এবং এই গুলার মোবাই ভার্সনগুলোও খুবই উপকারী।
গুড পোষ্ট সজীব ভাই।
ভাল থাকবেন নিরন্তর, শুভকামনা।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ সীমান্ত ভাই -{@
শুন্য শুন্যালয়
ধাপ-২ এ run-recent টা এড করে নিতে পারেন, আমি করি।
আমার আগের ল্যাপিতে defragmenter preinstalled করা ছিল, তাই ভেবেছি এমনিতেই থাকে। এখন এটাতে খুঁজে পেলাম না। করে নিচ্ছি।
ওয়াশিং মেশিন থাকাতে ছেলেরা এখন নিজে নিজে ধৌত করছে, ভালোই তো। 🙂
আপনি টেকো/টাকি নাকি টেকি?
ব্লগার সজীব
recent টা যোগ করে দিচ্ছি।এর অর্থ হচ্ছে আপনি এসব তো করেনই, আমার চেয়ে অতিরিক্ত করেন। টেঁকি তো আপনিই বুঝা যাচ্ছে।সব কিছুতেই দেখছি আপনি সেরা 🙂
অরণ্য
আমি ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার নিয়ে লেখা খুজছি। কোন দুঃখে যে আপডেট করতে গেছিলাম!
ব্লগার সজীব
IDM ভুলেও আপডেট করতে হয়না।ঝামেলা হয়ে যায়।আপনি এই পুরানো ভার্ষন দিয়ে দেখুন কাজ হয় কিনা।এটিতে সিরিয়াল কে দরকার নেই।না হলে জানাবেন,দেখি কিছু করা যায় কিনা 🙂 আমি অবশ্য IDM ব্যবহার করিনা।
ব্লগার সজীব
http://www.mediafire.com/download/e88jkn33gfjaccp/IDM++2013.exe
ব্লগার সজীব
এটিতেই কাজ করছে দেখলাম 🙂
মেহেরী তাজ
তোমার এই পোষ্ট আমার কোন কাজে আসবে না। কারন আমার ল্যাপটপ খানা নষ্ট প্রায় দু মাসের মত। এখন ফোনই শেষ সম্বল। ফোনের কোন সাজেশন থাকলে সেটা নিয়ে পোষ্ট দাও।
ব্লগার সজীব
হায় হায় ওস্তাদ,ল্যাপি নেই,সোনেলায় জবাব দিতে তো তাহলে ম্যালা কষ্ট হয় আপনার।ল্যাপটপ সেরে নিন। আর ফোনের কিছু সফট নিয়ে পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে রাখি।
মেহেরী তাজ
ডিসপ্লে নষ্ট। সারাতে সময় লাগবে। কষ্ট তো একটু হয়ই। কিন্তু সোলেনায় তো আসতেই হবে,এতো মজার মজার পোষ্ট কি মিস করা যায়??
ব্লগার সজীব
না ওস্তাদ যে ফান চলছে এখন,তা কোনভাবেই মিস করা যাবে না :D)
লীলাবতী
আপনার নামে একটি পোষ্ট এসেছে মনে হয়।সজীব নাম কেটে সজু করা হয়েছে।নাম কাটা চলবে না চলবে না :p
ব্লগার সজীব
দেখলাম,নাম কেটে সজু রাখার প্রতিবাদ করছি 🙁
জিসান শা ইকরাম
নতুন পরিচয়ে নতুন মোড়কে ব্লগার সজীবকে একটু অন্য রকম লাগছে
প্রকাশটা ভালোই
চলুক, শুভ কামনা -{@
ব্লগার সজীব
লজ্জা পেলাম ভাইয়া :p
অলিভার
চমৎকার পোষ্ট। Cleaner এবং Defraggler দুটি এ্যাপই দারুণ দরকারি উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্যে। Cleaner এর Options > Advanced হতে ছবিতে দেয়া [ http://i.imgur.com/IO2Mabb.png ] দুটো টিক তুলে দিলে আরও কার্যকর ভাবে প্রতিদিনের বা সর্বশেষ Junk গুলি রিমুভ করা সম্ভব হবে।
এ ছাড়া Disk Cleaner নামের এই সফটওয়্যারটিও Cleaner এর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন [ https://tr.im/etIPP ]। আরও কিছু leftover ফাইল এর মাধ্যমে ক্লিন করা সম্ভব।
আর যদি ঘন ঘর সফটওয়্যার সেটআপ করে আবার আনইন্সটল করার অভ্যাস থাকে তাহলে আনইন্সটল করার সময় ভালো কোন আনইন্সটলার প্রোগ্রাম ব্যবহার করলে ভালো হয়। তাতে করে সফটওয়্যারের আনইন্সটল করার পর পেছনে যত রেজিস্ট্রি, অপ্রয়োজনীয় ফাইল/ফোল্ডার ফেলে যায় তার সব রিমুভ করা যায়।
চমৎকার একটা পোষ্ট উপহার দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ 🙂
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ অলিভার ভাইয়া।Ccleaner এ টিক উঠিয়ে দিলাম 🙂 Disk Cleaner টি নিলাম আমি। আনইন্সটল করার জন্য আমি Revo Uninstaler ব্যবহার করি।
আপনার কাছে হতে আমি শিখতে পারবো অনেক কিছু,এ বিশ্বাস জন্মেছে -{@