
ভাবছেন এই মসজিদে সব পাগলরা নামাজ পড়ে? কিংবা পাগলদের আখড়া? তেমন কিন্তু নয়। কথিত আছে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিতু হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। ফলে কালক্রমে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিত পায়। কিছু মানুষের বদ্ধমূল বিশ্বাস, যে কেউ একনিষ্ঠ নিয়তে এ মসজিদে কিছু দান-খয়রাত করলে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়। ফলে সাধারণ মানুষ এমন বিশ্বাসের আলোকে পাগলা মসজিদে প্রচুর দান-খয়রাত করে থাকেন।
মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া নামক এলাকায় অবস্থিত। শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিক্সাযোগে মসজিদে যাওয়া যায়। যাই যাই করেও এই মসজিদে যাওয়া হয়ে উঠছিলো না, তো এবার কোরবানীর ঈদের পর আর মিস করলাম না। আসুন দেখে নেই কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদটি।
(২/৩) নরসুন্দা নদীর পানি এখন আর আগের মতো স্বচ্ছ বা খুব একটা ব্যবহার যোগ্য নয়। তবু মসজিদের পাশে নদীতে নামার জন্য রয়েছে সান বাধানো ঘাট।
(৪) মসজিদের একটা সাইনবোর্ড।\
(৫/৬) মসজিদের দুটি প্রবেশ পথ।
(৭) মসজিদের ভেতরে।
(৮) দানের টাকার জন্য এমন বিশাল কয়েকটি সিন্দুক রয়েছে।
(৯) টাকা পয়সা সোনা দানা কারো হাতে না দিয়ে সিন্দুকে ফেলার কথা এখানে লিখা রয়েছে।
(১০) পাগলা মসজিদের অজুখানা।
(১১) মসজিদের পাশের দোকানগুলোতে অধিকাংশই কুরআন শরীফ, মোমবাতি টুপি এসব জিনিসের ব্যপক সমাহার।
(১২) নরসুন্দা নদীর উপর নির্মিত সুন্দর ব্রীজটার উপর দাঁড়িয়ে তোলা একটা ছবি।
(১৩) মসজিদ ছেড়ে একটু পুর্ব দিকেই গুরুদয়াল কলেজের পাশের পার্ক এটি।
৩১টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অনিন্দ্য সুন্দর l
কামাল উদ্দিন
হুমম
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পাগলা মসজিদে পাগলরা নামাজ পড়বে ! নামের সাথে ইতিহাস টা সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু হাফ সেঞ্চুরির শুভেচ্ছা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া
নৃ মাসুদ রানা
অনিন্দ্য সুন্দর। ভালো লেগেছে
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন মাসুদ ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
সুন্দর পোষ্ট।
আমি পাগলা মসজিদে গিয়েছি দু-বার অনেক সুন্দর পরিবেশটা, নামাজ পড়েছিলাম।
কামাল উদ্দিন
আমার নামাজ পড়া হয়ে উঠেনি আপু।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লাগল কামাল দা
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন কবি লিটন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এতো বিশাল মসজিদ!
মাছ ধরার দৃশ্যটি খুব সুন্দর।
কামাল উদ্দিন
এটা বিশাল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না ভাই। প্রতি মাসে এর দান বাক্সে কোটি টাকা, ডলার, স্বর্ণ জমা হয়।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনার বদান্যতায় জানা হল
ঐতিহাসিক মসজিদের ইতিকথা।
ভাল লাগলো।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
মনির হোসেন মমি
পাগলা মসজিদ ।ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সম্পর্কে আমার জানাই ছিল না।চমৎকার তথ্যের ছবি ব্লগ।ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আপনাকেও ধন্যবাদ মমি ভাই।
তৌহিদ
ছবিগুলি অসম্ভব সুন্দর। আর মসজিদটি সম্পর্কে আজই প্রথম জানলাম আপনার লেখার মাধ্যমে।
ধন্যবাদ রইলো ভাই।
কামাল উদ্দিন
আমিও খুব বেশী দিন হয়নি জেনেছি তৌহিদ ভাই…….শুভ কামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
নাম দেখে কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। আমাদের দেশে কিছু স্থান, জিনিস বা মানুষের প্রায়ই এমন নাম দেয়া হয়েছে / হচ্ছে যেগুলো কালের আবর্তনে ঐ নামেই পরিচিত হয়ে যায়।
ঐতিহাসিক মসজিদটি নিয়ে অনেক তথ্য জানা গেল। ছবি আর বিস্তারিত বর্ণনায় এর অবস্থান জানা হলো ভালো করেই। বর্তমানে এবং সুদূর অতীতের পোস্ট গুলো পড়ে স্বীকার করতে হচ্ছে আপনিই আমাদের ব্লগের একমাত্র কম্পিলিট পর্যটক ব্লগার 🙂
অনেক দিন হলো আমাদের বিদেশ ঘুরতে নিচ্ছেন না। এবার একটা বিদেশ ঘোরার ব্যবস্থা করুন টুরিস্ট কাম ফটো গ্রাফার ভাই 🙂
শুভ কামনা 🌹🌹
কামাল উদ্দিন
এখন বিদেশ ঘুরাফেরা ঠিক হবে না আপু, করোনার ব্যপক পাদুর্ভাব সর্বত্র 😀
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, ফাঁকি দিচ্ছেন। আচ্ছা দেশেই ঘুরিফিরি তাহলে 🙂
কামাল উদ্দিন
হুমম, আপাতত দেশেই ঘুরি
নিতাই বাবু
আপনার ছবি পোস্ট পড়ে যেমন জানা যায় অজানা কিছু, তেমন দেখা যায় অচেনা অজানা জায়গার সুন্দর সুন্দর ছবি। তো “পাগলা মসজিদ” সম্বন্ধে এবারেই জানা হলো! সাথে থাকলো শুভকামনা।
কামাল উদ্দিন
অজানাকে জানার নেশাটা আমার ব্যপক, তাইতো আমি সময় সুযোগ পেলেই ঘর ছেড়ে পালাই দাদা। বৌদির শারীরিক অবস্থা এখন কেমন?
নিতাই বাবু
বেশি একটা ভালো না, দাদা। চিকিৎসা চল্পছে। বাদবাকি মহান সৃষ্টিকর্তার হাত!
নিতাই বাবু
“চলছে”
এস.জেড বাবু
চমৎকার ইসলামিক নিদর্শন
দেখে ও জানতে পেরে ভালো লাগলো।
১২ নং ছবিটি চরম সুন্দর।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বাবু ভাই, শুভ কামনা জানবেন।
হালিম নজরুল
এত সুন্দর মসজিদ আছে আমার জানাই ছিল না।
কামাল উদ্দিন
এইতো আজ জেনে গেলেন 😀